বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকার পরও সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। একজন ৭৩ বছর বয়সী মহিলা বাংলাদেশের জনপ্রিয় দলের নেত্রী হওয়া সত্ত্বেও সুচিকিৎসা না পাওয়া মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। দেশের ১০১ জন চিকিৎসক গতকাল এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।

বিবৃতিতে তারা অবিলম্বে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার দাবি জানিয়ে বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিসজনিত রোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন। এ ছাড়া তার চোখের অপারেশন করানো হয়। এসব জটিল রোগের জন্য তিনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ও নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন। কিন্তু তাকে প্রহসনের মামলায় রাজনীতি থেকে দূরে রাখার জন্য সাজা দিয়ে পুরনো জরাজীর্ণ কারাগারে একাকী রাখা হয়। বিবৃতিতে চিকিৎসকরা বলেন, সরকার গা-ছাড়াভাবে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসা করছে। বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে বিএসএমএমইউতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার নামে এনে শুধু এক্স-রে করানো হয়। কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বোর্ড বা তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দ্বারাও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়নি। তারা বলেন, বিভিন্ন সময়ে বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং দেশের বরেণ্য চিকিৎসকরা তার অবনতিশীল স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশবাসীকে অবহিত করেন। বিবৃতিদাতা চিকিৎসকদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক ডা. এ কে এম আজিজুল হক, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ডা. রফিকুল কবির লাবু, ডা. মো. আবদুস সালাম, ডা. হারুন-অর-রশীদ, ডা. মো. শহীদ হাসান, ডা. মো. শহীদুল আলম, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. এ কে এম মহিউদ্দিন ভূইয়া মাসুম, অধ্যাপক ডা. মোস্তাক আহমেদ, ডা. মো. সাহাদাত হোসেন প্রমুখ।