সোমবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে : আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সরকার তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে এবং এ বিষয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

গতকাল রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজদের ৩৮তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। আইনমন্ত্রী বলেন, যেসব অপরাধী বিদেশে পালিয়ে আছেন তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা খাটানোর ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত তৎপর এবং আপিলে থাকা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাগুলো দ্রুত কার্য তালিকায় আনার উদ্যোগ নেয়া হবে। এর আগে সহকারী জজদের ৩৮তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনিসুল হক বলেন, ‘জনগণ যাতে আদালতের বাইরে বিরোধ নিষ্পত্তি করে সে বিষয়ে তাদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তাদের ভালোভাবে বোঝাতে পারলে তারা এটিকে গুরুত্বসহকারে নেবে এবং সেই চেষ্টা করবে।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোতে মামলা বা বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আদালতের বাইরে বিরোধ নিষ্পত্তির পরামর্শ দেন সেসব দেশের আদালতগুলো এবং এই পরামর্শের কারণে সেখানে শতকরা ৯০ ভাগ বিরোধ-মামলা আদালতের বাইরে নিষ্পত্তি হয়। এভাবে তাদের জুডিশিয়ারির ওপর চাপ কমে আসছে।’ আনিসুল হক বলেন, ‘দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিচারকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য।

কেবল আইনের শাসনই নয়, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, গণতন্ত্র সুসংহতকরণ এবং দারিদ্র্য দূরীকরণেও জুডিশিয়ারি, বিশেষ করে কোয়ালিটি জুডিশিয়ারির ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই জনগণকে কোয়ালিটি জুডিশিয়ারি উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার বিচার বিভাগকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। মামলার জট কমিয়ে আনার লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।’

বিচারপ্রার্থী জনগণের অল্প সময়ে, অল্প ব্যয়ে ও সহজে ন্যায় বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে প্রন্তরিকভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘নিছক গতানুগতিক বা দায়সারাভাব পরিহার করে কর্মক্ষেত্রে সৃষ্টিশীলতার পরিচয় দিতে হবে।’

বিচারকদের বিন্দুমাত্র লোভ কিংবা অসততার কারণে বিচার বিভাগ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মাঝে যাতে কোনো হতাশা বা বিরূপ ধারণা সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে বলেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিচারকদের পেশার গুরুত্ব যথাযথভাবে অনুধাবন করেই বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যৌক্তিকভাবে বাড়ানো হয়েছে।’

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক বিচার বিভাগের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের অবদানের কথা তুলে ধরেন।

সর্বশেষ খবর