সোমবার, ৬ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

বর্ণাঢ্য আয়োজনে ন্যাশনাল কলেজে নবীন বরণ

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

ফুলে ফুলে ও আলোকের ঝর্ণাধারায় সাজানো হয়েছিল মঞ্চ। সেই মঞ্চ থেকে ভেসে আসছিল সুরের মূর্চ্ছনা। সেইসঙ্গে ছিলো নাচের মুদ্রার ছন্দময় শৈল্পিকতা। মঞ্চ থেকে নাচ ও গানের সেই নান্দনিকতার আলো ছড়িয়ে পড়েছিলো সমগ্র মিলনায়তনে। এভাবেই নাচ, গান, আবৃত্তি, ফ্যাশনসহ বর্ণাঢ্য আয়োজনে ন্যাশনাল কলেজ অব হেম ইকোনোমিক্সের নবীন ছাত্রীদের বরণ করে নিয়েছেন শিক্ষক ও পুরাতন শিক্ষার্থীরা। নতুন শিক্ষার্থীদের বরণের এ আয়োজনে সব সীমারেখা ও বয়সের ভেদাভেদ ভুলে বাঁধনহারা আনন্দে মেতে উঠেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। গতকাল জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় মনোমুগ্ধকর এ আয়োজন। শুরুতেই কলেজের শিক্ষকরা সমবেত কণ্ঠে পরিবেশন করেন নজরুলের ‘মোরা ঝঞ্ঝার মতো উদ্দাম’।

এরপর ন্যাশনাল কলেজ অব হোম ইকোনোমিক্সের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষকরা নাচ-গানে ভিন্ন এক দ্যোতনার সৃষ্টি করেন।

কলেজটির অধ্যক্ষ নূরুন নাহার বেগম একক কণ্ঠে পরিবেশন করেন, ‘মধুমালতী ডাকে আয়’ ও ‘সাতটি রঙের মাঝে আমি নীল খুঁজে না পাই’। অধ্যক্ষের সুরের বন্যায় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সমগ্র মিলনায়তনের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। ‘আমি জামালপুরের পোলা’ ও ‘চল পলাইয়া যাই’ গান দুটির সঙ্গে এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে দ্বৈত নৃত্য পরিবেশন করেন কলেজের শিক্ষক লাবনী। এছাড়া একক কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথের ‘পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে’ পরিবেশন করেন শিক্ষক শ্রেয়া ঘোষ। নাচ  ও গানের পাশাপাশি সবশেষে ফ্যাশন শো’তে অংশ নেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। আনন্দের সাগরে ডুব দিয়ে এক কাতারে দাঁড়িয়ে নবীনবরণকে অনন্য এক মিলনমেলায় পরিণত করেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

এর আগে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ-এর সভাপতি অধ্যাপক মাহফুজা খানম। কলেজের অধ্যক্ষ নূরুন নাহার বেগমের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুরাইয়া বেগম ও অধ্যাপক শাহীন আহমেদ।

সর্বশেষ খবর