স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের রয়েছে হাজার বছরের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছেন। নিউইয়র্কে প্রবাসী বাংলাদেশিরা সে দেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে অবদান রাখার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখে চলেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন স্কলারশিপ ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির অনুরোধ জানান। সংসদ ভবনে গতকাল সফররত নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সিনেটরদের একটি প্রতিনিধি দল তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ অনুরোধ জানান।
সিনেটর লুইস সেপুলভেদার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন সিনেটর জন ল্যু, জেমস স্কুফিস, লিরয় কমরি, কেভিন এ পার্কার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে সিনেটরদের প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ সফর করছে। সিনেটর লুইস সেপুলভেদা বলেন, বাংলাদেশিরা নিউইয়র্ক সিটিতে অবদান রেখে চলেছেন। এ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশ সম্প্রদায়ের হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এ কার্যক্রম আরও কার্যকর ও গঠনমূলক পদ্ধতিতে অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে তারা এ সফরে এসেছেন। এ সময় প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের সঙ্গে শিক্ষা-সংস্কৃতি বিনিময় ও বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য তৈরি পোশাক ও খাদ্যপণ্য আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেন। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
