রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
স্মরণসভায় বক্তারা

তালুকদার মনিরুজ্জামানের মৃত্যু শূন্যতার সৃষ্টি করেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও জাতীয় অধ্যাপক ড. তালুকদার মনিরুজ্জামান জ্ঞানচর্চার দিক থেকে ছিলেন ‘আনসান হিরো’। তিনি কখনো প্রচার চাননি। তিনি নীরবে কাজ করে গেছেন। তার মৃত্যু দেশের জন্য এক শূন্যতার সৃষ্টি করেছে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক স্মরণসভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। তালুকদার মনিরুজ্জামান নাগরিক স্মরণসভা কমিটি এর আয়োজন করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আবু সাইয়িদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি রিয়াজউদ্দিন আহমেদ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সি আর আবরার, অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, অধ্যাপক দিলারা জামান, তালুকদার মনিরুজ্জামানের ছেলে সাদিদ মুনির প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম।

ড. আকবর আলি খান বলেন, ‘বাংলাদেশে আদর্শ শিক্ষক বলতে যা বোঝায়, তালুকদার মনিরুজ্জামান তা-ই ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার পথে দৌড়াননি, প্রক্টরও হতে চাননি।’ ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেন, ‘আজকে পতাকার কথা বলা হয়, দেশের কথা বলা হয়, কিন্তু যার দেশ তার যে ভোট নাই, এই কথা বলা হয় না।’ মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘তালুকদার মনিরুজ্জামানের যদি জ্ঞান দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনকে সমৃদ্ধ করত, তবে দেশের রাজনীতির মান আরও বাড়তে পারত।’

আ ন ম এহছানুল হক মিলন বলেন, ‘তালুকদার মনিরুজ্জামান ছিলেন পরিচ্ছন্ন রাষ্ট্রচিন্তক, গবেষক। তার গবেষণা ও কর্মে তিনি একটি আদর্শ রাষ্ট্র গড়ার স্বপ্ন দেখতেন।’

অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘তালুকদার মনিরুজ্জামান জ্ঞানচর্চার দিক থেকে ছিলেন আনসান হিরো। তিনি কখনো প্রচার চাননি।’

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘সহজে এ দেশ স্বাধীন হয়নি। তার কাছ থেকে যারা যা শিখেছেন সেগুলোর চর্চা আর প্রয়োগ করলে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে।’

সর্বশেষ খবর