সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

ডেঙ্গু মশা নিঃশেষ হয়নি আমরা কাজ করছি

-স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, পৃথিবী থেকে মশা নিঃশেষ হয়ে যায়নি। পৃথিবীর সব জায়গায় মশা আছে, বাংলাদেশেও মশা আছে। তবে আমার তো মনে হয় আমরা সবাই এটার জন্য কাজ করছি, আর সারাক্ষণই ফলোআপ করছি, এটার স্ট্যাটাস জানার জন্য কাজ করা হচ্ছে। এবার যাতে রাজধানীবাসীকে মশার উপদ্রব সহ্য করতে না হয় সে জন্য আগে থেকেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গতকাল সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দূষণরোধ ও নাব্য বৃদ্ধির জন্য মাস্টার প্ল্যান তৈরি সংক্রান্ত কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, মনে হয় আমরা ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে... সারা পৃথিবীতে বহু সমস্যা আছে। যেমন চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে, তবে তারা হাল ছেড়ে দেয়নি, চ্যালেঞ্জটাকে মোকাবিলা করছে। আমরা সব সিটি করপোরেশন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন সব প্রতিষ্ঠান ডেঙ্গুর বাহক মশা ম্যানেজমেন্টে কাজ করছি। গত বছরের যে অভিজ্ঞতা আছে সেই অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা আরও বেশি পদক্ষেপ নিচ্ছি।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, কীটনাশক ব্যবহার করে মশা মারতে গিয়ে উপকারী অন্যান্য পোকামাকড় যাতে না মরে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তিনি বলেন, পৃথিবীতে ১০ মিলিয়ন পোকামাকড় আছে, যার মধ্যে কিছু সংখ্যক মানুষের জন্য ক্ষতিকর। এমন ওষুধ ¯ন্ডেপ্র করা যাবে না যাতে ক্ষতিকর পতঙ্গ দমন করতে গিয়ে উপকারী পোকামাকড়ও মরে যায়। তাতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে।

তাজুল ইসলাম বলেন, আমি মনে করি আমাদের মন্ত্রণালয় এবং সরকারি কর্মকর্তারা সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে ইতিমধ্যে... এখনো তো মশার প্রাদুর্ভাব দেখা যায়নি, বৃষ্টিও হয়নি। কিন্তু এর মধ্যে আমরা ৫-৬টা মিটিং করে ফেলেছি এবং উই আর ওয়ার্কিং। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা সবার সঙ্গে রেগুলার কো-অর্ডিনেশন ও কো-অপারেশন আছে।

মন্ত্রী বলেন, দেশে মশার ওষুধের মজুদ রয়েছে এবং কিছু ওষুধ দেশে তৈরি হয়। আজ যে ওষুধে যে মশা মরছে আগামী বছর ওই ওষুধে সেটা মারা নাও যেতে পারে। সে জন্য বহু জায়গায় এ নিয়ে রিসার্চ হয়। এসব বিষয় নিয়েই কাজ করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর