সোমবার, ২৩ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

নেতা-কর্মীদের প্রতি কাদেরের ৭ নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলায় সারা দেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ৭ নিদের্শনা দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বৈশি^ক মহামারী করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ ও সব সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি ও সতর্কতা মেনে চলে দেশব্যাপী গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে উপযোগী কার্যক্রম পরিচালনার আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রথম নিদের্শনায় তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি ও সতর্কতা মেনে চলে সারা দেশের জনগণের মধ্যে বিজ্ঞানসম্মতভাবে করোনাভাইরাস সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টি করবেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সঠিক তথ্য প্রদান করে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করবেন এবং জনসমাগম হতে পারে এমন কর্মসূচি পরিহার করবেন। সঠিক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে মানুষের মনে সৃষ্ট আতঙ্ক দূর করবেন এবং গণমাধ্যমে প্রচারিত সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার জন্য জনগণকে উৎসাহিত করবেন।

দ্বিতীয় নির্দেশনায় রয়েছে- ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, গ্রাম ও শহর পর্যায়ে সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশফেরত ব্যক্তিদের তালিকা প্রস্তুত করে ওই সব ব্যক্তির তথ্য স্থানীয় পর্যায়ের প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত করবেন এবং স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যক্রমে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবেন। প্রয়োজনে সরকার ঘোষিত হটলাইনে যোগাযোগ রক্ষা করবেন।

তৃতীয় নিদের্শনায় কাদের বলেন, করোনাভাইরাস সংকট নিয়ে সব ধরনের গুজব, মিথ্যা তথ্য, অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকা  সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে এবং এসব অপকর্ম প্রতিরোধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। একই সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সম্পর্কে প্রশাসনকে অবহিত করতে হবে।

চতুর্থ নিদের্শনায় তিনি বলেছেন, দেশে কোনো প্রকার খাদ্য সংকট নেই। বাজারে গুজব সৃষ্টি করে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রী এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির অপতৎপরতা ও মজুদদারির বিরুদ্ধে সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করবেন। এ বিষয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন।

পঞ্চম নিদের্শনায় বলেছেন, জনপ্রতিনিধিরা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণমূলক কর্মকান্ডে  স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করবেন এবং নিজ নিজ এলাকার জনগণকে সচেতন করবেন।

ষষ্ঠ নিদের্শনায় ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনো ব্যক্তির মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দিলে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত করে তাদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা প্রদানে সহযোগিতা করবেন।

সপ্তম নিদের্শনায় কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য তথা দেশের প্রতিটি নাগরিকের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও জীবনের নিরাপত্তা রক্ষায় বদ্ধপরিকর। তিনি বৈশি^ক মহামারী করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করে নিবিড়ভাবে কাজ করে চলেছেন। দেশবাসীর সম্মিলিত সচেতনতা, সতর্কতা ও স্বাস্থ্যবিধি পালনই পারে ভয়াবহ এ সংকট থেকে আমাদের রক্ষা করতে। বাংলাদেশ তথা বিশ্ববাসীর এ ক্রান্তিলগ্নে সবাইকে ধৈর্য, সতর্কতা, দায়িত্বশীলতা, মানবিকতা ও দেশপ্রেমের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।

সর্বশেষ খবর