আতঙ্ক কাটিয়ে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরেছে শেয়ারবাজার। গতকাল ঢাকা শেয়ারবাজারের প্রধান মূল্যসূচক বড় উল্লম্ফন হয়ে ৬ হাজার ১২৫ পয়েন্টে উঠে এসেছে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫৬ পয়েন্ট বেড়েছে। এর সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণও।
গত বছর দেশে মহামারী করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে শেয়ারবাজারে ভয়াবহ ধস নামে। শেয়ারবাজারের পতন ঠেকাতে গত বছরের ১৯ মার্চ শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দিয়ে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গত বৃহস্পতিবার ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয় বিএসইসি। সেই সঙ্গে সার্কিট ব্রেকারের নতুন নিয়ম আরোপ করা হয়। এতে রবিবার লেনদেনের শুরুতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক দেখা দেয়। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কও কেটে যেতে থাকে। ফলে লেনদেনের শেষদিকে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরে আসে।
ডিএসইতে গতকাল মূল্যসূচকে বড় উত্থানের পাশাপাশি বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বেড়েছে। দর বেড়েছে ২২৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১১৯টির এবং ২৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দিনভর লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৪৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ৮৩৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার। কোম্পানিটির ১১১ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দিনশেষে ২ টাকা ১০ পয়সা কমে বেক্সিমকোর শেয়ার দর ছিল ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা মালেক স্পিনিংয়ের ৬৩ কোটি ৮২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৬০ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ন্যাশনাল ফিড। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১৭৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩০৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৯৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৬টির এবং ১৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।