চট্টগ্রাম বন্দরনগরীর ফুসফুস খ্যাত চিরসবুজ সিআরবিতে ৬ একর এলাকায় বেসরকারি হাসপাতাল নির্মাণের ঘোষণায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিব, রেলওয়ের মহাপরিচালকসহ আটজনকে ডিমান্ড অব জাস্টিস নোটিস (লিগ্যাল নোটিস) পাঠিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন (বিএইচআরএফ)। নোটিসে আগামী সাতদিনের মধ্যে পরিবেশ বিনষ্টকারী এই প্রকল্পের স্থান অন্য কোনো যৌক্তিক জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। অন্যথায় আদালতে মামলা কিংবা উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করার ঘোষণা দেন বিএইচআরএফের নেতারা। এখানে পরিবেশ, ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যহানি না হওয়ার বিষয়টিও নোটিসে উল্লেখ করা হয়। গতকাল বিএইচআরএফ পরিচালক, ট্রাস্টি ও চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম জিয়া হাবিব আহসানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ডাক ও ই-মেইলযোগে লিগ্যাল নোটিস পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম। মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের পরিচালক, ট্রাস্টি ও চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম জিয়া হাবিব আহসান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ঐতিহাসিক স্থাপনা ধ্বংস, পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট ও গাছ নিধন করে কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে সংবিধানের ১৮-ক ও ২৪ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হবে। যেখানে পরিবেশ ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনায় স্থানসমূহকে সংরক্ষণের কথা স্পষ্ট বলা আছে। জানা গেছে, লিগ্যাল নোটিসে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম), পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে বিবাদী করা হয়।
জানা গেছে, প্রকল্পের স্থান পরিবর্তনে সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হলে বিএইচআরএফের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপযুক্ত আদালতে মামলা কিংবা উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করার ঘোষণাও দেওয়া হয় নোটিসে।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) প্রণীত তালিকা অনুসারে ঐতিহাসিক, নান্দনিক ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় সিআরবির মতো জায়গা ও স্থাপনাসমূহকে সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। যা সিডিএর ওয়েবসাইটেও দেওয়া আছে।
