জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, ক্ষমতায় থেকে ক্ষমতা না ছাড়তে চাওয়াই রাজনৈতিক অপসংস্কৃতি। এই অপচেষ্টা হচ্ছে রাজনৈতিক বিকৃতি। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রবেশদ্বার। সুষ্ঠু নির্বাচন হলেই গণতন্ত্রের চর্চা সম্ভব। তিনি বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে সংবিধানের আলোকে নির্বাচন কমিশন আইন করতে হবে। গতকাল পার্টির বনানী কার্যালয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার ইকবাল জাপাতে যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। এ সময় প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক এনান জয়নাল আবেদিন, মাখন সরকারসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জিএম কাদের আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন করতে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলোর উপদেষ্টা পর্যায়ের নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়ে তাদের হাতে সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতা দিতে হবে। নির্বাচনকালীন দেশের নির্বাহী বিভাগ সম্পূর্ণভাবেই নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাজ করবে। পাশর্^বর্তী দেশগুলোতেও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারছেন। তিনি বলেন, কয়েকটি দল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নির্বাচনের জন্য খ কালীন সমাধান। এই ব্যবস্থা স্থায়ী সমাধান নয়। কারণ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার তিন মাস পর বিলুপ্ত হলে, পরবর্তী উপ-নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সরকার প্রভাব বিস্তার করতে পারে। আইন করে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন না হওয়ায় নির্বাচন কমিশন সঠিকভাবে কাজ করছে না বা সঠিকভাবে কাজ করতে পারছে না। তাই, জনগণের ইচ্ছে অনুযায়ী প্রতিনিধি নির্বাচিত হচ্ছে না। নির্বাচনে গণমানুষের প্রত্যাশা প্রতিফলিত হচ্ছে না। এ কারণেই, নির্বাচন কমিশনের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা এখন শূন্যের কোঠায়।
