শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঢাকায় বায়ুদূষণের মাত্রায় উন্নতি

প্রতিদিন ডেস্ক

ঢাকায় বায়ুদূষণের মাত্রায় উন্নতি

রাজধানী ঢাকায় বায়ুদূষণের মাত্রায় খানিকটা উন্নতি হয়েছে। গতকাল সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৭৭ নিয়ে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় ছিল ঢাকা। যদিও দূষিত শহরের তালিকায় এখনো ঢাকার অবস্থান নবম। তবে আগের বছর একই সময়ে অবস্থান ছিল শীর্ষ তিনের আশপাশে। সূত্র : একিউআই।

গতকাল পাকিস্তানের করাচি ও লাহোর এবং ইরাকের বাগদাদ যথাক্রমে একিউআই স্কোর ২৬৭, ২৩৯ ও ২২৯ নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করে ছিল। প্রসঙ্গত, একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের যে পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে- সেগুলো হলো বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২ দশমিক ৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)। দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে বিষয়ে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেয় এবং বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু হয়।

 

 

সর্বশেষ খবর