জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গণরুম ব্যবস্থা দূর করে সিট প্রদানসহ চার দফা দাবিতে মশাল মিছিল করেছে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা। গতকাল সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে মশাল মিছিলটি বের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে উপাচার্য বাসভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। শিক্ষার্থীদের অন্য দাবির মধ্যে রয়েছে- অবৈধ শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে হল থেকে বহিষ্কার, নতুন হল চালু করে প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত এবং ডাইনিংয়ের খাবার মানসম্মত করা।
সমাবেশে দর্শন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী সজীব আহমেদ বলেন, ‘গণরুমে আমাদের মুরগি বানানোসহ নানা রকম খেলতামাশা করে। তারা নানা রকম নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাখে। হাতঘড়ি ব্যবহার করা যাবে না, ক্যান্টিন-ডাইনিংয়ে খাইতে পারি না। এককথায় আমরা একটা ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্যে আছি। এক রুমে আমরা থাকছি ৪৬ জন। পরিস্থিতি এমন যে রাতে ঘুমানো যায় না, এরমধ্যে আবার নির্যাতন। এটা আসলে একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি। ১ মার্চের মধ্যে নতুন হল চালু করে ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের আসন বরাদ্দের দাবি জানাচ্ছি।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি রায় বলেন, ‘১ মার্চের মধ্যে নতুন হল চালু করে নবীন শিক্ষার্থীদের আসন বরাদ্দ নিশ্চিতের আলটিমেটাম নিয়ে এখানে দাঁড়িয়েছি। প্রশাসন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি মানতে ব্যর্থ হলে আমরা বলব তাদের প্রশাসনিক পদে থাকার কোনো যোগ্যতা নেই। প্রশাসন আমাদের ওপর, বর্তমান প্রজন্মের ওপর যে অত্যাচার করেছে এর প্রতিশোধ আমরা নেব। প্রশাসন আরামে বাসায় ঘুমাবে আর নবীন শিক্ষার্থীরা গণরুমে অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করবে তা হতে পারে না।’
এ সময় আরও বক্তৃতা করেন, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচি, ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমর্ত্য রায় প্রমুখ।
তবে শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে বক্তব্য জানতে উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের মোবাইলে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।