রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আজিম (৬০) নামে এক নিরাপত্তাকর্মীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পশ্চিম আগারওগাঁয়ে রবিবার রাত ৩টায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আজিমের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ডুবুরিয়ায়। তিনি পশ্চিম আগারগাঁওয়ের একটি বাসায় নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। ওই বাসার মালিক ইমাম হোসেন গতকাল বলেন, রবিবার রাত ৩টায় এক যুবক আমাদের বাসায় জোরপূর্বক ঢুকতে চাইলে নিরাপত্তাকর্মী আজিম তাকে বাধা দেন। তখন দুজনের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে ওই যুবক আজিমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। আমরা তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি শেরেবাংলা নগর থানাকে জানানো হয়েছে।
ছিনতাইয়ের তথ্য পুলিশকে জানানোয় যুবককে ছুরিকাঘাত : মোহাম্মদপুরে সোহাগ (২৮) নামে এক যুবককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেছে দুই ছিনতাইকারী। অভিযুক্ত দুই ছিনতাইকারীর নাম সাগর ও মিরাজ। মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডে গতকাল দুপুর ১২টায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত সোহাগকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আহত সোহাগ বলেন, আমার বড় বোন পারভীন আক্তারের তরুণী টেইলার্স নামে একটি দোকান আছে। আমি ওই টেইলার্সের কাটিং মাস্টার। আমি সাগর নামে এক ছেলের কাছ থেকে একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন কিনেছিলাম। আমি জানতাম না সেটি চোরাই। পরে মোহাম্মদপুর থানা থেকে এসআই তারেক জাহান ও জুয়েল এসে জানতে চাইলে আমি মোবাইলটি কেনার ঘটনা খুলে বলি।সেই সঙ্গে মোবাইল ফোনটিও পুলিশকে দিয়ে দিই। তখন আমি জানতে পারি সাগর ও মিরাজ ছিনতাইকারী। এটি দুই দিন আগের ঘটনা। এতে আমার সমস্যা হতে পারে, পুলিশের কাছে শঙ্কাও প্রকাশ করি। আজ (গতকাল) তারা গরু জবাই দেওয়ার দুটি ছুরি নিয়ে এসে আমাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা ঘটনাটি জানতে পেরেছি। দুই দিন আগে এ সংক্রান্ত একটি মামলা হয়েছিল। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।