আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে উদ্যাপনের লক্ষ্যে নাগরিকের জন্য প্রয়োজনীয় একগুচ্ছ পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ সদর দফতর। এর মধ্যে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে বের হওয়া, মালবাহী যানবাহনে ভ্রমণ না করা, রাস্তা পারাপারে জেব্রা ক্রসিং ব্যবহারের পরামর্শ রয়েছে। গতকাল বিকালে পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস বিভাগের এআইজি ইনামুল হক সাগরের গণমাধ্যমকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পর্যাপ্ত সময় নিয়ে ঈদের ভ্রমণ পরিকল্পনা করুন। ভ্রমণকালে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনায় রাখুন। চালককে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালাতে তাগিদ দেবেন না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে বাসের ছাদে কিংবা ট্রাক, পিকআপ ও অন্যান্য পণ্যবাহী যানবাহনে ভ্রমণ করবেন না। রাস্তা পারাপারের ক্ষেত্রে জেব্রা ক্রসিং অথবা ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করুন। যেখানে জেব্রা ক্রসিং বা ফুটওভার ব্রিজ নেই সেখানে যানবাহনের গতিবিধি দেখে নিরাপদে রাস্তা পার হোন। প্রয়োজনে পুলিশের সহায়তা নিন। অপরিচিত কোনো ব্যক্তির থেকে খাবার খাবেন না।
বাস মালিকদের বলা হয়েছে : অদক্ষ, অপেশাদার, ক্লান্ত বা অসুস্থ চালককে যাত্রীবাহী বাস ও গাড়ি চালাতে দেবেন না। চালক যাতে নিয়ম মেনে গাড়ি চালায় এবং ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিং না করে সেজন্য চালককে নির্দেশ দিন। বাসে অতিরিক্ত যাত্রী ওঠানো যাবে না। ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় বের করবেন না।
বেশি ভাড়া নিলে কঠোর ব্যবস্থা : ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, যাত্রীদের কাছ থেকে সড়ক, রেল ও নৌ-মন্ত্রণালয় নির্ধারিত ভাড়ার বেশি টাকা নিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে কাউন্টার ছাড়া টিকিট বিক্রি হলেও বিক্রয়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া লাইসেন্সবিহীন কেউ গাড়ি চালালেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।গতকাল দুপুরে ডিএমপি সদর দফতরে আয়োজিত সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ডিএমপি কমিশনারের সভাপতিত্বে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে যাত্রীদের যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন রাখা এবং ঈদের জামাত সুষ্ঠুভাবে আয়োজনে গৃহীত ব্যবস্থাসহ ঢাকা মহানগরীর সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনার সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী দেড় কোটি লোক প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে ঢাকা ছাড়বে। সেটি যেন সুন্দর করতে পারি, সেজন্য আমাদের আজকের এ সভা। ঈদে নৌ-রেল-সড়ক সবকিছুতেই আমাদের নজর থাকবে। তবে সড়কপথের প্রতি আমাদের বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। এজন্য পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর জেলার সঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সমন্বয় খুবই দরকার। তিনি বলেন, ঢাকায় প্রবেশ ও বহির্গমনের জন্য ১১টি পথ রয়েছে। অনুরোধ করব আমাদের ট্রাফিকের এবং ক্রাইমের ডিসিরা পথগুলোতে যেন আলাদাভাবে সবাই সুন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। প্রয়োজনে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ চালু করেন। নিজেদের প্রোগ্রাম শেয়ার করেন। সমন্বয় করেন।