ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নিয়োগ পেয়েছেন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী। গত মঙ্গলবার আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সলিসিটর মাহরুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এহসানুল হক সমাজীকে নিয়োগ প্রদান করা হয়। এদিকে গতকাল তার নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ করেছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। তারা আজ সকাল ৯টার মধ্যে তাকে পদত্যাগ করতে আলটিমেটাম দিয়েছেন। বিগত মইনউদ্দিন-ফখরুদ্দীনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় এহসানুল হক সমাজী দুই বছর ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এরপর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাকে সরিয়ে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পান অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আবু। তিনি দীর্ঘ ১৫ বছর দায়িত্বে ছিলেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আবদুল্লাহ আবু আর আদালতে আসেননি। গতকাল সমাজীর নিয়োগের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা সাধারণ আইনজীবীর ব্যানারে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সামনে নিয়োগ বাতিল চেয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। অবিলম্বে এহসানুল হক সমাজীর নিয়োগ বাতিলের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আহ্বান জানান তারা।
অন্যথায় নতুন পিপিকে দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হবে না মর্মে হুঁশিয়ারিও প্রদান করেন। সমাজীকে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রেতাত্মা বলে অভিহিত করা হয় বিক্ষোভ সমাবেশে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সুবিধা দেওয়ার জন্যই তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন বিক্ষুব্ধরা।
গতকাল বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি বোরহান উদ্দিন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকীকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায়। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার মধ্যে তিনি পদত্যাগ না করলে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তারা পাবলিক প্রসিকিউটর অফিসে তালা মেরে দেন।সমাবেশে ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, সমাজী বারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করেছেন। তার নিয়োগে আইনজীবীরা ক্ষুব্ধ। তার নিয়োগ বাতিল না হলে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি দেব। তবে নবনিযুক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এহসানুল হক সমাজী বলেন, এটা সম্পূর্ণ সরকারের বিষয়। এখনো আমি কোনো চিঠি পাইনি। এ বিষয়ে আপাতত কোনো মন্তব্য করতে চাই না।