‘জন আকাক্সক্ষা পূরণে প্রত্যাশিত সিভিল সার্ভিস’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, জনবান্ধব ও কার্যকর সেবা ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে সব ক্যাডারের মধ্যে সমতা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, সুসম্পর্ক ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করে আন্তক্যাডার বৈষম্য দূর করতে হবে। মন্ত্রণালয়গুলোতে উপসচিব পুলে যাওয়া সংশ্লিষ্ট ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদায়ন করতে হবে। পদ ছাড়া পদোন্নতি বন্ধ করতে হবে অথবা সব ক্যাডারের জন্য একই নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে স্ব-স্ব ক্যাডারের অভিজ্ঞ ও দক্ষ কর্মকর্তাদের পদায়িত করতে হবে। গতকাল আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের উদ্যোগে রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির আহ্বায়ক ড. মুহাম্মদ আহসান হাবিব।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. মুহম্মদ মফিজুর রহমান। আলোচনায় অংশ নেন বিশিষ্ট লেখক ফিরোজ আহমেদ, প্রফেসর নাসরিন বেগম, কৃষিবিদ আহমেদ আলী চৌধুরী ইকবাল, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা জজ ড. শাহজাহান সাজু, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, এসসিবিএ সংবিধান সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মামুন মাহবুব, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহবুবুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদেকুর রহমান সানি।
সেমিনারে বক্তারা আরও বলেন, বিরাজমান প্রশাসনিক অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে ২৫ ক্যাডারের প্রায় সব শীর্ষপদে সংশ্লিষ্ট ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদায়ন নেই। এতে সংশ্লিষ্ট ক্যাডার কর্মকর্তারা কাজের স্পৃহা হারিয়ে ফেলছেন। ফলে জনগণ তাদের কাক্সিক্ষত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দক্ষ, পেশাদার ও গতিশীল সিভিল সার্ভিস ব্যবস্থা গড়ে তুলতে যথাসময়ে পদোন্নতিসহ সব ক্যাডারের মধ্যে সমতার প্রয়োজন।