দ্বীপ জেলা ভোলার প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকার ৬০ জন অসচ্ছল নারীকে বসুন্ধরা শুভসংঘের পক্ষ থেকে সেলাই মেশিন দেওয়া হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টায় ভোলা প্রেস ক্লাবের হলরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে ভোলা সদর উপজেলার ১৫ জন নারীর হাতে সেলাই মেশিন তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও ভোলা-১ আসনে বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আলহাজ গোলাম নবী আলমগীর। এর আগে গত তিন দিনে ভোলার মনপুরা, চরফ্যাশন ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার প্রতিটিতে ১৫ জন করে মোট ৪৫ জন নারীকে তিন মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষে বিনামূল্যে সেলাই মেশিন দেওয়া হয়। শুভসংঘের উপদেষ্টা ও কালের কণ্ঠ পত্রিকার ভোলা জেলা প্রতিনিধি ইকরামুল আলম এ তথ্য জানান। শুভসংঘের ভোলা জেলা সভাপতি মো. শাফায়াত হোসেন সিয়ামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম কায়েদ, কালের কণ্ঠের সিনিয়র সহসম্পাদক ও বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সিনিয়র অফিসার মো. মামুন, ইসলামী আন্দোলন ভোলা জেলা উত্তরের সেক্রেটারি মাওলানা তরিকুল ইসলাম, শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তা সেলিনা আক্তার, এনসিপি জেলা সমন্বয় কমিটির সদস্য মীর মোশারেফ হোসেন অমি।
উপস্থিত ছিলেন যুগান্তরের ভোলা প্রতিনিধি এম হেলাল উদ্দিন, বাংলা নিউজ-২৪ এর ভোলা প্রতিনিধি ছোটন সাহা, কালের কণ্ঠের ভোলা প্রতিনিধি ইকরামুল আলম, প্রথম আলোর ভোলা প্রতিনিধি নেয়ামতউল্যাহ, ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান, বসুন্ধরা শুভসংঘ ভোলা জেলার সহসভাপতি মীর আবিদ হোসেন রাফি প্রমুখ।
সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে আলহাজ গোলাম নবী আলমগীর বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ একটি শিল্পগোষ্ঠী। গ্রুপটি শুভসংঘের মাধ্যমে ভোলাসহ সারা দেশে অসচ্ছল নারীদের মাঝে যে সেলাই মেশিন বিতরণ করে যাচ্ছে এটিকে আমি সাধুবাদ জানাই। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের নারীদের একটা সংসার চালিয়ে যাওয়া অনেক কষ্টকর। অনেক সময় তাকে সংসারের সব দায়িত্ব নিতে হয়। তাদের হাত যদি শক্তিশালী ও কর্মক্ষম করে আয়ের ব্যবস্থা করা যায় তাহলে শত দুঃখ-কষ্টের মধ্যেও সংসার চালিয়ে যেতে পারবেন তারা। আর এ কাজটি করে যাচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপ। তারা সেলাই মেশিন বিতরণের পাশাপাশি শিক্ষাবৃত্তি, স্কুল প্রতিষ্ঠাসহ নানা ধরনের সামাজিক কাজ করে যাচ্ছে, আমি এজন্য তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আশা করছি, সামনের দিকে তারা আরও বড় আকারে এ ধরনের জনকল্যাণমুখী কাজ অব্যাহত রাখবে।
এদিকে সেলাই মেশিনে আয়ের নতুন পথ খুঁজে পাওয়ায় দারুণ খুশি পরিবারগুলো। উপকারভোগী সীমা আক্তার নামে এক নারী জানান, তার স্বামী একজন নির্মাণশ্রমিক। গত সাত মাস আগে কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে যায় তার। পরিবারের একমাত্র আয়ের লোকটি এখন বিছানায়। স্বামীর চিকিৎসাসহ পরিবারে খরচ চালানোর মতো কোনো ব্যবস্থা নেই। শুভসংঘের সেলাই প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ শেষে একটি নতুন সেলাই মেশিন পেয়ে আমার পরিবারের খরচ চালানোর একটা ব্যবস্থা হবে বলে আশা করছি। আমাদের অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও শুভসংঘের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।