সংলাপের সম্ভাবনা ‘ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান’। মানুষ আরও হতাশায়। ভালো কথা কেইবা শুনতে চায়। একসঙ্গে পথ চলার অভ্যাস নেই। পথের কাঁটা না সরা পর্যন্ত পথ চলব না। কোনো দিকেই আশার ক্ষীণতম আলো দেখতে না পেয়ে একজন রাতের দোকানের ঝাঁপিটি বন্ধ করতে করতে বললেন : ইনশাল্লাহ কাল সকালে সূর্য উঠবে। সে সকাল হবে নতুন। কেউ সেই সকাল কখনো দেখেনি। আনন্দে উজ্জ্বল হবে সে সকাল। বেচাবিক্রি ভালো হয়নি। আশঙ্কা দোকান খুলতেও, দোকানে আসতেও।
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ‘আম আদমি পার্টি’ ৬৭ আসন পাবে কেউ ভাবেনি। অথচ নতুন সূর্যোদয় তো তাই দেখাল। নরেন্দ্র দামোদর মোদি-২০১৪ তে ভারতে নতুন সূর্য হিসেবে প্রতিভাত হলেন। সবাই ভাবল কংগ্রেসের দিন শেষ। আর কোনো দিন ওই পার্টি সামনে আসতে পারবে না। অথচ তা তো নয়। দিন আসবে, হিন্দুত্বের স্লোগানের বদলে ‘সারা জাঁহাসে আচ্ছা হিন্দুস্তান হামারা’ গানটিই বেশি গাওয়া হবে। যে দিন ধর্ম নিরপেক্ষতা নির্ভুলভাবে ফিরে আসার সুযোগ পাবে। মুহূর্তটি নিরাশার সন্দেহ নেই। কিভাবে নিরাশা কাটবে, জানা নেই। আমার ধারণা বেগম জিয়া এক মুহূর্তে অবরোধ ও হরতালের কর্মসূচি পরিত্যাগ করবেন, যে মুহূর্তে অপরপক্ষ খানিকটা ছাড় দেবেন। খানিকটা মানে পদ ছেড়ে দেওয়া নয়, খানিকটা মানে সব বিসর্জন দেওয়া নয়। যেসব মন্ত্রী নতুন স্যুট বানিয়েছেন তাদের পরতে দেওয়া হবে, তাদের সুযোগ-সুবিধা প্রত্যাহার হবে না, বিরোধী দলকে একটু কথা বলতে দিন। এটি গণতন্ত্রের দাবি, মনুষ্যত্বের দাবি, সুন্দর সমাজের দাবি। দেশের মানুষ কি চায় তা পরিষ্কার হয়ে গেছে। যারা অনড় তাদের দেশের মানুষ চায় না। যে পক্ষেরই হোক। যারা পদ ভালোবাসে তাদের নতুন করে ম্যান্ডেট নিয়ে আসতে হয়। কেজরিওয়ালের কাছে শেখার আছে। তিনি তাই করেছেন, সবার কাছে ছুটে গেছেন, ক্ষমা চেয়েছেন, বছর ধরে ক্ষমা চেয়েছেন। যারা তাকে সহায়তা করেছেন, তারা সমস্ত দেশ থেকে ছুটে এসেছেন। ওরা স্বেচ্ছাসেবক, ছাত্র, তরুণ, যাদের বয়স সতের, আঠার, ঊনিশ, বিশ। ওরা চায় দেশ থেকে ঝাড়– দিয়ে বড়মানসি প্রবণতা উৎখাত করতে। দেশ থেকে ঝাড়– দিয়ে অনাচার ও দুষ্টাচার ধ্বংস করতে। এখনো সমস্ত দিল্লি তরুণদের নৃত্যগীতে মুখর। সবাই ভাবতে বসেছেন মোদির কোথায় ভুল ছিল? কোথায় ছিল কংগ্রেসের ভুল? যে বন্ধুরা সরকারে আছেন, ভাববেন কি তরুণদের চিন্তার কথা। মনে হয়, তরুণরা আগের পলিটিকসের মধ্যে যাবেন না। নিজেরাই নেতৃত্ব দিয়ে দেশ থেকে সব রকমের ঘুষ ও অনাচার দূর করতে চান। এরা কোনো দলের ধার ধারেন বলে মনে হয় না। গুলশান, বনানী, বারিধারা এলাকায় থাকি আমি। হেঁটে বেড়াই, কথা বলি এলাকার মানুষের সঙ্গে। দোকানিরা কথা বলতে ভয় পান, পথচারীরা সন্ত্রস্ত। গাড়ির মালিকরা ভীত হলেও তাদের পার্টি থেমে নেই। প্রতি রাতেই বিরামহীন বড়লোকি। নিজেদের দুনিয়ায় ভালোই আছে ওরা। দিল্লিতেও তাই ছিল। ক’দিন আগে ঘুরে এসেছি। ঝুঁপড়ি ও কোনোক্রমে ঠাঁই নেওয়া মানুষরা এত বড় ভারতের ষাট বছরের উন্নতির ভাগ পায়নি। তারা বড়লোকদের বড়লোকি প্রত্যক্ষ করে এসেছে। সারা দিন বৃষ্টির মধ্যে রাস্তায় ওবামাকে খুশি করার নৃত্যগীত টেলিভিশনে দেখেছি। এতে ভারতের সম্মান বেড়েছে, দিল্লির মানুষ পায়নি কিছুই। তারা জেনে গেছে ওরা তাদের কেউ নয়। জীবন চলেছে, যেমনটি ছিল আগেও। কোনো পরিবর্তনের ঢেউ ওদের জীবনে আসবে না। আমজনতা মিলিত হতে না পারলে আমরা ভেসে যাব। হেরে যাব। তফাৎ থাকবেই, তা মেনে নিতে হবে। সংসারে, ব্যক্তি জীবনে, সব কিছুর মধ্যেই অমিল থাকবে। তবুও মিলিয়ে চলি। যারা মিলনের গান গায়, তাদের হাতে হাত মিলান। তাদের কণ্ঠেই আশার সুর। তারাই আনতে পারবে নতুন দিন। বিধাতা দেননি পাখা, উড়তে পারি না। সকালে একটি লেখা পড়েছি, মনটা ভালো হয়ে গেল। লেখক বলছেন : বিধাতা দিয়েছেন যে দুটি পাখা, তুমি তা দেখতেই পাওনি। একটি পাখার নাম : শুকরিয়া, ধন্যবাদ। অন্য পাখার নাম : সবর, ধৈর্য। দুটি পাখা উড়িয়ে তুমি চলতে পারবে। আনন্দের মুহূর্তে প্রভুর প্রতি শুকরিয়ায় নত। দুঃখের মুহূর্তে সবরে, ‘সবর-ই জামিলে’। রক্তসূর্যে স্নাত বাংলাদেশ, তার জন্য : শুকরিয়া। ধৈর্য ধরে আছি : যেন সুদিন আসে। লেখক : সাহিত্য-সংগীত ব্যক্তিত্ব।
শিরোনাম
- পার্বতীপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু
- সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
- বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ
- নাসিরনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
- ডাকসু নির্বাচনের ১০ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ
- বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- ঢাবি ভর্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা পেল দুই শিক্ষার্থী
- ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান
- ২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫
- রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
- শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
- ‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’
- ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
- পোশাক শিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ : বিজিএমইএ সভাপতি
- জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার
- বগুড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির সমন্বয় কমিটি ঘোষণা
- ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সে খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন শুরু
- জামালপুরে কৃষক হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার দাবি
- প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা
আমজনতা মিলিত হতে না পারলে আমরা ভেসে যাব
মুস্তাফা জামান আব্বাসী
অনলাইন ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু
১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান
১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম