শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ২৮ জুন, ২০১৫

ভারত কি বাংলাদেশে মধ্যবর্তী নির্বাচন চায়

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
ভারত কি বাংলাদেশে মধ্যবর্তী নির্বাচন চায়

লীগ সরকার একটি মধ্যবর্তী নির্বাচনের চিন্তাভাবনা করছে বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। বিএনপির কোনো কোনো নেতাও এ ধরনের সম্ভাবনার কথা নাকচ করছেন না। তবে তারা শঙ্কিত এই কারণে যে, তার আগে সরকার বিএনপিকে ভেঙে তছনছ করে দিতে পারে। এমন কি দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার ব্যবস্থাটিও পাকাপোক্ত করে নিতে পারে। এ উদ্দেশ্যে তাদের দুজনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত দুর্নীতি মামলার কাজ দ্রুত যাতে সম্পন্ন হয় সে জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের তৎপরতা হয়তো আরও বেড়ে যাবে। জিয়া অরফানেজ এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বর্তমান অবস্থান বিবেচনায় বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন তাতে মাতা-পুত্রের সাজা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। দুই বছরের বেশি সময়ের জন্য কারাদণ্ড হয়ে গেলেই তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অযোগ্য হয়ে যাবেন। নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে ফৌজদারি মামলায় এমন দণ্ড হলে দণ্ড চলাকালীন সময় তো বটেই, কারামুক্তির পরবর্তী পাঁচ বছরও অপরাধীর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোনো সুযোগ নেই। কেউ কেউ বলছেন, এ অবস্থায় মধ্যবর্তী নির্বাচনের আয়োজন করলে বিএনপি সেই নির্বাচনে না যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তখন বিএনপিতে নির্বাচনপন্থি অংশ দলের সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করে পৃথক বিএনপি গঠন করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে। সরকার সেই সুযোগটি কাজে লাগানোর কৌশল নেবে। কিন্তু সেই কৌশলে কি কাজ হবে? মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রশ্ন তো এসেছে দেশে একটি অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের তাগিদ থেকে। খালেদা জিয়া-তারেকবিহীন একটি সরকারপন্থি বিএনপিকে নির্বাচনে এনে কি এটা প্রমাণ করা যাবে যে, নির্বাচনটি সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে? সরকারের বিএনপি ভাঙার কোনো পরিকল্পনা যদি থাকে তাতে মধ্যবর্তী নির্বাচনের উদ্দেশ্য মোটেই সফল হবে না।

মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রসঙ্গটা নতুন নয়। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট এই দাবিতে আন্দোলনরত। তিন মাসের ব্যর্থ আন্দোলনে জামায়াতের এজেন্ডা ভিন্ন থাকলেও বিএনপির এজেন্ডা ছিল আগাম বা মধ্যবর্তী একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন। বিএনপির সেই দাবি এখন সম্ভাব্যতার নিরিখে বিবেচনা হচ্ছে। এই ভাবনা বিএনপির বাইরের লোকজনেরও ভাবনা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের পর এই আলোচনা বেশ অর্থপূর্ণই মনে হচ্ছে। নরেন্দ্র মোদির সফরের উদ্দেশ্য ছিল দ্বিবিধ। এক. নিকট প্রতিবেশী ও আঞ্চলিক রাষ্ট্রসমূহের সঙ্গে ভারতের আগের 'প্রভুত্বের' নয়- 'বন্ধুত্বের', 'বড়ভাইয়ের' নতুন সম্পর্কনীতি বাস্তবায়নের সদিচ্ছা প্রমাণ করে নিজেকে শুধু ভারতের নেতা নয়, আঞ্চলিক একক নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা এবং দুই. বাংলাদেশে ভারতের জরুরি স্বার্থসমূহ সংরক্ষণ নিশ্চিত করা। দ্বিতীয় উদ্দেশ্যটা অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ। সেই গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য সফল করার লক্ষ্যেই তার সফরকালে বাংলাদেশ-ভারত ২২টি চুক্তি, প্রটোকল ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। ৬৫ দফা যৌথ ঘোষণাও প্রকাশ করা হয়েছে। বিনা বাধায়, বিনা গোলযোগে এই কাজগুলো সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু যত সহজে হয়েছে, তত সহজে কী সব বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে? এই প্রশ্নটাই মধ্যবর্তী বা আগাম নির্বাচনের বিষয়টিকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক আলোচনার প্রায় শীর্ষে নিয়ে এসেছে। যুক্তিসঙ্গতভাবেই আলোচনা হচ্ছে যে, এই ধরনের চুক্তি, প্রটোকল ও সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়নের জন্য যে কোনো দেশের সরকারকে প্রকৃত অর্থে জনগণের ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত হতে হয়। বাংলাদেশে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনটিকে কোনোক্রমেই আদর্শ নির্বাচন বলা যাচ্ছে না। নির্বাচনের ঘোষিত তারিখের ১৫ দিন আগেই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৩০০ আসনের সংসদের ১৫৩ জন 'প্রত্যক্ষ নির্বাচন' ছাড়াই এমপি হয়ে যান। অথচ বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৫(২) অনুচ্ছেদে 'প্রত্যক্ষ নির্বাচনের' বিষয়টি বাধ্যতামূলক। বাকি ১৪৭ আসনের নির্বাচন কেমন হয়েছিল দেশবাসী তা প্রত্যক্ষ করেছে। তাদের চোখের সামনেই তো হয়েছে সব। ৪৯টি কেন্দ্রে একটি ভোটও কাস্ট হয়নি। সিল মারামারি, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের অনৈতিক আচরণ, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা সব কিছুই দেশি-বিদেশি মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার হয়েছে। এমন একটি বিতর্কিত নির্বাচনকে জাস্টিফাই করার জন্য লীগ সরকার, তাদের লোকজন দুটি যুক্তি উত্থাপন করেন। এক. এটি সাংবিধানিক শাসনের ধারাবাহিকতা রক্ষার নির্বাচন। এতে সাংবিধানিক নির্দেশের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি দুই. কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যে কোনো ব্যক্তির নির্বাচিত হতে আইনি কোনো বাধা নেই। এ ধরনের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ড বাংলাদেশেই আছে। প্রথম যুক্তির পেছনে তারা বিএনপি এবং অন্যান্য বিরোধী দলের নির্বাচন বর্জনের বিষয়কে দায়ী করেন। কিন্তু বিরোধীরা নির্বাচনটা কেন বর্জন করল তা আড়ালে রাখেন। বিএনপি নির্বাচনপন্থি একটি দল। আদর্শ নির্বাচন হলে তাতে তাদের ঝাঁপিয়ে পড়ার কথা। দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটা সত্য যে, আমাদের দেশে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব একে অপরকে বিশ্বাস করেন না। পারস্পরিক এই অনাস্থাজনিত কারণেই নির্বাচনকালে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার প্রবর্তন হয়েছিল এবং সব দলের সম্মতিতে তা সংবিধানে সনি্নবেশিত হয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতাসীন লীগ সরকার এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাটি বাতিল করে দেয় সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে। সব দলের সম্মতিতে গৃহীত ব্যবস্থাটি একদলীয় সিদ্ধান্তেই বাতিল হয়ে যায়। বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দল অবিরাম অভিযোগ করে আসছে যে, নিজেদের জয় নিশ্চিত করার জন্যই ক্ষমতাসীনরা অনৈতিক কাজটি করেছে। ব্যবস্থাটি ছিল প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ প্রতিপক্ষ শক্তিসমূহকে নির্বাচনের বাইরে রাখার একটা রাজনৈতিক কূট-কৌশল। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চেয়ে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৪২টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩২টি দলই ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করেছে। দ্বিতীয়ত, তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৩ জনের নির্বাচিত হয়ে যাওয়ার পক্ষে অতীতের যে যুক্তি হাজির করেন তা হাস্যকর। এর আগে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির একতরফা নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৪৯ জন এমপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। অতীতে সরকার গঠন করার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে কোনো দলের বা জোটের জয়লাভের রেকর্ড নেই। এবার তাই হয়েছে। সরকার গঠন করতে লাগে ১৫১ জন এমপির সমর্থন। সে ক্ষেত্রে শাসকদল ক্ষমতায় থেকে, পূর্ববর্তী পার্লামেন্ট বহাল রেখে বিনা ভোটে ১৫৩ আসন করায়ত্ত করে, অর্থাৎ জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই সরকার গঠন করার ব্যবস্থা করে ফেলে সাংবিধানিক শাসনের ধারাবাহিকতার দোহাই দিয়ে। নৈতিক বৈধতার বিষয়টিও গ্রাহ্য করছেন না তারা। বাংলাদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে স্বাক্ষরিত চুক্তি, প্রটোকল এবং সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়নের প্রশ্নেই উঠেছে বাংলাদেশের যে সরকারের সঙ্গে এতসব সই-সাবুদে হলো, এসব বাস্তবায়নে সে সরকারের সক্ষমতা কতটুকু? জনগণের 'পপুলার ম্যান্ডেটহীন একটি সরকারের পক্ষে কি তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব? খোদ ভারতেও এই প্রশ্ন উঠেছে। প্রবীণ ভারতীয় সাংবাদিক কুলদীপ নায়ার তো আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তিকে 'পড়ন্ত ভাবমূর্তি' হিসেবে চিহ্নিত করে নিজ দেশের প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে বলেছেন, 'শেখ হাসিনার পড়ন্ত ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য অসময়ে তিনি বাংলাদেশ সফর করেছেন।

কানেকটিভিটি, বহুল কাঙ্ক্ষিত চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের সুযোগ এবং নিজ দেশের সারপ্লাস পুঁজি বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুবিধাসহ অন্যান্য স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্বাক্ষরিত চুক্তি, প্রটোকল ও সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়ন ভারতের জন্য খুবই জরুরি। কিন্তু যে সরকারের প্রতি তার দেশের জনগণের ম্যান্ডেট প্রশ্নবিদ্ধ, সেই সরকার কীভাবে তা বাস্তবায়ন করবে তা ভারতের প্রশংসিত নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত নরেন্দ্র মোদির গণতান্ত্রিক সরকারকে ভাবিয়ে তুলতেই পারে। বাংলাদেশ সরকারের একান্ত অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং জনসমর্থনের দিক থেকে আওয়ামী লীগের সমান সমান (অন্যান্য বিরোধী দলের সমর্থন নিয়ে অনেক বেশি) বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির আনুষ্ঠানিক বৈঠক ও প্রায় ১৫ মিনিট একান্ত (ওয়ান-টু-ওয়ান) আলোচনাকে সেই ভাবনা থেকে মুক্ত হওয়ার কারণ হিসেবে দেখছেন অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক। এই সফরকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন লীগ সরকার মনস্তাত্তি্বক দৌর্বল্য কাটাতে চেয়েছিল বেগম জিয়াকে মানসিকভাবে আরও ধসিয়ে দিয়ে। মোদি-খালেদা বৈঠক না হলে তারা সফল হয়ে যেত। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী সংবাদ সম্মেলন করে 'খালেদা-মোদি বৈঠক হবে না' ঘোষণা করার মাহাত্দ্য মানুষ বুঝেছে। তারা জানতেন, এমন বৈঠক বেগম জিয়া এবং তার দল ও সমর্থকদের 'মোরাল' অনেক উঁচুতে নিয়ে যাবে এবং তা বিএনপি-বিজেপি সম্পর্কের একটা নতুন দিগন্তও উন্মোচন করে দিতে পারে। বৈঠকটি না হওয়ার জন্য লীগ সরকার ভারত সরকারের কাছে দরখাস্ত দিয়ে কোনো অনুনয়-বিনয় করেছে কিনা, কিংবা আমাদের পররাষ্ট্র দফতর দিল্লির 'সাউথ ব্লকের সঙ্গে কোনো দেনদরবার করেছে কিনা জানি না, তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে প্রদত্ত বক্তব্যের মাধ্যমে ভারত সরকারের কাছে একটি অন্তর্নিহিত ম্যাসেজ তো পরিষ্কার ছিল যে, বাংলাদেশে নরেন্দ্র মোদির 'হোস্ট' এমন একটি বৈঠক চায় না। কিন্তু সেই ম্যাসেজে যে কোনো কাজ হয়নি, তাকে যে দিল্লির 'সাউথ ব্লক' পাত্তাই দেয়নি তার প্রমাণ পাওয়া গেছে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর 'বৈঠক হবে না' ঘোষণার চার ঘণ্টা পর। পররাষ্ট্রমন্ত্রী, গোটা সরকার এবং সরকারের 'দলদাস' বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-সাংবাদিক-বুদ্ধিজীবীরা তাতে লজ্জা পাওয়ার কথা। জানি না পেয়েছেন কিনা! ব্যাকফুটে ছিল বিএনপি। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ ত্যাগের দেশি-বিদেশি নানামুখী চাপ এবং তিন মাসের ব্যর্থ আন্দোলন শেষে বেগম খালেদা জিয়ার চেহারায় যে ক্লান্তি ও হতাশার ছাপ পরিলক্ষিত হচ্ছে, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর তার সেই ক্লান্তি ও ছাপ কেটে গেছে বলে মনে হয়। তাকে বেশ আত্দপ্রত্যয়ী মনে হচ্ছিল, আচরণে-উচ্চারণে মনে হচ্ছে তিনি বেশ উজ্জীবিত। তার তো এখন একটাই এজেন্ডা- একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য আগাম বা মধ্যবর্তী নির্বাচন। প্রায়- সারা গণতান্ত্রিক দুনিয়াই তা চেয়েছে, এখনো চায়। এই ব্যাপারে ভারতের এতদিনের ভূমিকা সবারই জানা। খালেদা-মোদি বৈঠকে ভারতের সেই ভূমিকা পরিবর্তনের কি ইঙ্গিত মিলেছে? এটা জানেন নরেন্দ্র মোদি, জানেন বেগম খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়া মুখে কিছু বলছেন না। কিন্তু তার বডি ল্যাংগুয়েজে কি কিছু বোঝা যায় না? তিনি দল পুনর্গঠনের কথা বলছেন। বৃদ্ধ, অসুস্থ, নিষ্ক্রিয় এবং খারাপ ব্যক্তিদের দল থেকে বাদ দেওয়ার কথা বলছেন। দল ছেড়ে যাওয়াদের দলে ফেরাচ্ছেন। নির্বাচনী এলাকায় যেতে বলছেন সবাইকে। ঈদের পর কাজ শুরু হবে আরও জোরে। অপরদিকে শাসকলীগেও হাওয়া বইছে নির্বাচনের। এমপিদের এলাকায় যাওয়ার এবং নির্দিষ্ট সময় এলাকায় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যোগ্যপ্রার্থী বাছাই কাজ শুরু হয়েছে। যারা দলের বোঝা, মন্ত্রী হলেও তাদের বাদ দিয়ে দলের ইমেজ সংকট পূরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। দল, অঙ্গদল ও সহযোগী দলের কমিটি গঠন-পুনর্গঠনের মাধ্যমে দলকে চাঙ্গা করার কাজ পুরোদমে শুরু হবে ঈদের পর। সবই নির্বাচনেরই প্রস্তুতি। ২০১৯ সালে নির্বাচন হলে প্রধান দুই দলে এত আগে নির্বাচনের প্রস্তুতি কেন?

মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা ভাবার পেছনে তিন পক্ষের তিনটি স্বার্থের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। এক. ভারত একটি নির্বাচনমুখী গণতন্ত্র অনুশীলনের দেশ। মোদি সরকার সেই দেশের জনগণের ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত। প্রতিবেশী দেশেও জনগণের ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত সরকার থাকলে সম্পর্কোন্নয়ন এবং উভয় দেশের স্বার্থ সংরক্ষণে তা উপযোগী বলে তারা ভাবতে পারে। সরকার জনগণের প্রকৃত ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত কিনা তা প্রমাণিত হয় একটি অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে। বাংলাদেশে তেমন একটি নির্বাচন হোক তা তারা চাইতে পারে নিজেদের স্বার্থেও। কেননা, তেমন একটি সরকার ছাড়া যত চুক্তিই করা হোক, তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। দুই. সরকার ২০১৪ সালের নির্বাচনের নেতিবাচক বোঝা টানছে। তারা মনে করছে প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজ তারা করেছে। জনগণ তাদের পক্ষে। বিএনপি এখন একেবারেই কাবু। এখন নির্বাচন করলে তারা আবার ক্ষমতায় ফিরে আসবে। শক্তি প্রয়োগ করে ক্ষমতা ভোগের পরিণতি তাদেরও অজানা নয়। অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচনে হেরে গেলেও একটা 'সেইফ এঙ্টি' তৈরি হবে তাদের জন্য। তিন. বিএনপি মনে করছে আগাম নির্বাচন হলে তারা সরকার গঠন করার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। তা ছাড়া দল গোছানো হবে, জেল-জুলুম, মামলা-মোকদ্দমা থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যাবে। নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হলে সরকারকে এসব বিবেচনা করতেই হবে। যদি ক্ষমতায় যাওয়া না-ও যায়, সম্মানজনক আসন নিয়ে বড় বিরোধী দল হিসেবে সংসদে থাকতে পারবে, দল রক্ষা হবে। বেগম জিয়া ও তারেক রহমানকে মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করলে পরিস্থিতি জটিল হবে বটে; তবে ধারণা করা হয়, তারপরও বিএনপি নির্বাচনে যাবে।

এসব নানাবিধ সমীকরণ থেকেই দেশে আগাম বা মধ্যবর্তী নির্বাচনের সম্ভাবনা দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও পর্যবেক্ষকরা।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট

ই-মেইল : [email protected]

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
সর্বশেষ খবর
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের
ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু
খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর
ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের
তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি
ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের হামলা
তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের হামলা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পৃথিবীতে প্রাণের উৎস কী সত্যিই এসেছে এই অঞ্চল থেকে?
পৃথিবীতে প্রাণের উৎস কী সত্যিই এসেছে এই অঞ্চল থেকে?

৫ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

নন্দনগাছীতে দুই মিনিট থামবে ঈশ্বরদী কমিউটার ট্রেন
নন্দনগাছীতে দুই মিনিট থামবে ঈশ্বরদী কমিউটার ট্রেন

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পার্বতীপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু
পার্বতীপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ
বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাসিরনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
নাসিরনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্পেশাল টিম: ডা. সায়েদুর
করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্পেশাল টিম: ডা. সায়েদুর

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডাকসু নির্বাচনের ১০ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ
ডাকসু নির্বাচনের ১০ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংবাদপত্রের ওপর কালোছায়া নেমে আসে’
‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংবাদপত্রের ওপর কালোছায়া নেমে আসে’

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঢাবি ভর্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা পেল দুই শিক্ষার্থী
ঢাবি ভর্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা পেল দুই শিক্ষার্থী

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫
২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫

৭ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ
সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১
মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা
উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা
নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’
‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর
ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন
ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু
‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক

২০ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা
সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান
নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত
ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’
‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড
ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার
তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা
দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা
ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা
নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান
আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত
ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি
ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী
১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত
ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত
ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এটিএম বুথের ভেতরে কারখানা শ্রমিককে ধর্ষণ
এটিএম বুথের ভেতরে কারখানা শ্রমিককে ধর্ষণ

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস
ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত
রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত

প্রথম পৃষ্ঠা

দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা
দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিমা খাতে আসছে নতুন আইন
বিমা খাতে আসছে নতুন আইন

শিল্প বাণিজ্য

সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ
সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার
মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি
সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি
স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

নামেই জীবন নামেই মরণ
নামেই জীবন নামেই মরণ

সম্পাদকীয়

নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি
নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি

নগর জীবন

চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি
চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা
ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা

পেছনের পৃষ্ঠা

নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ
নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ

খবর

পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ
পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা
লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি
যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি

শিল্প বাণিজ্য

ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়
ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্র্যান্ড দূষণ বাড়াচ্ছে ৪০ শতাংশ ফ্যাশন
ব্র্যান্ড দূষণ বাড়াচ্ছে ৪০ শতাংশ ফ্যাশন

শিল্প বাণিজ্য

হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী
হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী

পেছনের পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি
গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ
সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ
বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু
শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু

নগর জীবন

গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়
গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান
সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

পেছনের পৃষ্ঠা

বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান
বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান

প্রথম পৃষ্ঠা

সহসাই থামছে না ইরান ইসরায়েল সংঘাত
সহসাই থামছে না ইরান ইসরায়েল সংঘাত

পূর্ব-পশ্চিম

গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ
গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশের উন্নয়নে চাই মালয়েশিয়া মডেল
দেশের উন্নয়নে চাই মালয়েশিয়া মডেল

সম্পাদকীয়