শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ২৯ জুন, ২০১৫

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সম্পর্কের চ্যালেঞ্জ

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)
অনলাইন ভার্সন
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সম্পর্কের চ্যালেঞ্জ

গত ১৭ জুন নাফ নদীতে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর টহল দলের মধ্যে গোলাগুলি হয় এবং বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) সদস্য নায়েক রাজ্জাককে অপহরণ করে নিয়ে যায় মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিয়ানমারের সরকার ও তাদের বর্ডার গার্ড পুলিশের অকূটনৈতিকসুলভ বিরূপ আচরণে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সম্পর্ক আবার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। মিয়ানমার প্রতিবেশীসুলভ আচরণ দেখাতে ব্যর্থ হয়। আন্তর্জাতিক রীতিনীতি ও জেনেভা কনভেনশনের সব শর্ত ভঙ্গ করে চরম ঔদ্ধত্যের পরিচয় দেয়, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি সামরিক জান্তা নিয়ন্ত্রিত মিয়ানমারের অগণতান্ত্রিক সরকারের চরম হঠকারী সিদ্ধান্ত। কিন্তু বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। গণতন্ত্রে ধর ধর মার মার কায়দায় কিছু করা যায় না, তার ফলও আখেরে ভালো হয় না। তাই বাংলাদেশ ধীরস্থির ও ধৈর্য সহকারে কূটনৈতিক পরিপক্বতায় পরিস্থিতির মোকাবিলা করবে, সেটাই কাম্য। নায়েক রাজ্জাকের অপহরণ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিয়ানমারের আচরণের বিরুদ্ধে বাংলদেশের পক্ষ থেকে কঠিন ও শক্তিশালী প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। অব্যাহত কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে ২৫ জুন শর্তহীনভাবে নায়েক রাজ্জাককে ফিরিয়ে এনেছে বাংলাদেশ। আপাত সমস্যার একটা শান্তিপূর্ণ সমাধান তাতে হয়েছে বলে মনে করা যায়। কিন্তু সমস্যার মূল কারণ রোহিঙ্গা ইস্যুর শান্তিপূর্ণ সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এ রকম ঘটনা আগে যেমন ঘটেছে, আগামীতেও ঘটতে থাকবে। সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে এবং তার সমাধান খোঁজার জন্য দুই দেশ নিজ নিজ নীতি ও দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে পারে, সমাধানের অনেক বিকল্পও হয়তো পাওয়া যাবে, কিন্তু সবার মনে রাখা উচিত প্রতিবেশী পাল্টানো যাবে না।

দীর্ঘদিনের লালিত অগণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ডজনেরও বেশি জাতিগত দ্বন্দ্ব ও সংঘাত চলছে যুগযুগ ধরে। রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গাকেন্দ্রিক নিজস্ব জাতিগত সমস্যা বাংলাদেশের ওপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। জাতিগত দ্বন্দ্বের ইতিহাস শিক্ষা হলো- এতে তাদের সমস্যার সমাধান তো হবেই না, বরং সমস্যা আরও জটিল করবে। নির্যাতন ও নিস্তব্ধ করার মাধ্যমে সমাধান খোঁজার অপদৃষ্টিভঙ্গির কারণে বৃহত্তম উপজাতি কারেন সম্প্রদায়ের সঙ্গে সশস্ত্র বিদ্রোহ ৬৭ বছরেও মিয়ানমার সমাধান করতে পারেনি। এটিকে বিশ্বের দীর্ঘতম সশস্ত্র বিদ্রোহ বলেও অভিহিত করা হয়। একই কারণে চলছে শান ও কাচিন সম্প্রদায়ের সশস্ত্র বিদ্রোহ। মিয়ানমারের সাড়ে ছয় কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় দুই কোটি মানুষ জাতিগত দ্বন্দ্ব-সংঘর্ষে জর্জরিত এবং একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠী ঘরবাড়ি ছাড়া ও বাস্তুচ্যুত। কিন্তু জান্তা সরকার এই সংঘর্ষগুলোকে জিইয়ে রেখে বিশ্ব দরবার ও মিয়ানমারের দরিদ্র সাধারণ মানুষের কাছে সামরিক কর্তৃত্বের অপরিহার্যতা প্রমাণ করতে চায়, তাদের দেশ শাসনকে জায়েজ করতে চায়। দেশ ও মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন নয়, ক্ষমতায় থাকাই মুখ্য। সব সামরিক শাসকের এটাই নীতি। আয়তনে বাংলাদেশের প্রায় চারগুণ বড়, খনিজ ও বনজ সম্পদে ভরপুর। ভৌগলিক অবস্থান আকর্ষণীয়। তা সত্ত্বেও মিয়ানমার এখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে পিছিয়েপড়া দেশ। নীতি ও করণীয় নির্ধারণে বাংলাদেশকে মিয়ানমার সামরিক সরকারের এই দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনায় রাখতে হবে।

রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে একটা ভ্রান্ত ধারণার জন্ম দেওয়া হয়েছে সেই ১৯৪৮ সাল থেকে, মিয়ানমার স্বাধীন হওয়ার পরপর। ভাষা, ধর্ম ও সাংস্কৃতিকভাবে বাংলাদেশের বৃহত্তর চট্টগ্রামের লোকজনের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের একটা সাদৃশ্য আছে। ফলে শুরু থেকে মিয়ানমারের সব সরকার, বিশেষ করে ১৯৬২ সালের পর থেকে সামরিক সরকারগুলোর একটা সন্দেহ হয় যে, এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী চট্টগ্রামের অধিবাসীদের সহায়তায় সুযোগমতো মিয়ানমার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার চেষ্টা করতে পারে। রোহিঙ্গাদের এই চেষ্টার পিছনে বিশ্বের অন্যান্য কিছু মুসলিম দেশের সমর্থন রয়েছে বলে মিয়ানমার মনে করে। এ ক্ষেত্রে তারা ফিলিপাইনের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দক্ষিণাঞ্চলের স্বাধীনতার জন্য পরিচালিত মরো ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের (MNLF) সশস্ত্র যুদ্ধের উদাহরণকে সামনে আনে, যাদের প্রতি কিছু মুসলিম দেশ ও সংগঠনের সমর্থন রয়েছে। একবার লিবিয়ার সাবেক শাসক গাদ্দাফি ঘোষণা দিয়েছিলেন আরাকান মুসলমানদের মুক্তির জন্য মুসলিম বিশ্বকে এগিয়ে আসতে হবে। যদিও বাস্তবে তার কোনো লক্ষণ কখনো দেখা যায়নি। এই আশঙ্কার কিছু ভৌগলিক ও নৃতত্ত্বগত কারণও আছে। সেখান থেকেই মিয়ানমারের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী ও সরকারের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের অবিশ্বাস ও সন্দেহের শুরু। মিয়ানমারের পক্ষ থেকে একটা প্রোপাগান্ডা চালানো হয় এই মর্মে যে, তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল থেকে ১৯৫০ সালের পর রোহিঙ্গারা রাখাইন রাজ্যে আসে। এ কথা ঐতিহাসিকভাবে একেবারে অসত্য। ১৮৯১ সালে ব্রিটিশ আদমশুমারি অনুসারে ৫৮ হাজার ২৫৫ জন রোহিঙ্গার অস্তিত্ব পাওয়া যায় আরাকানে। ১৯১১ সালের আদমশুমারিতে পাওয়া যায় এক লাখ ৭৮ হাজার ৬৪৭ জন। ১০০ বছর পর বর্তমান সময়ে সেই জনসংখ্যা ১০ লাখেরও অনেক ঊর্ধ্বে হওয়াটা অতি স্বাভাবিক। মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ১৮২৪ সালের অ্যাংলো-বার্মা যুদ্ধের সময়কে বেসলাইন ধরে নাগরিকত্ব নির্ধারণ করতে চায় এবং সেই পথ ধরে ১৯৮২ সালে আইন করে তারা রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার খর্ব করেছে। উলি্লখিত ভ্রান্ত ধারণা ও নীতি এবং জান্তা শাসন কায়েম রাখার লক্ষ্যে ১৯৭৮ সাল থেকে রাখাইন রাজ্যের প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা অধিবাসীকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে মিয়ানমার। সমস্যা মূলত এখান থেকেই শুরু। যার সাম্প্রতিক এপিসোড নায়েক রাজ্জাকের অপহরণ। রাজ্জাকের বিনিময়ে পরিচয় শনাক্ত ব্যতিরেকে সমুদ্র থেকে উদ্ধারকৃত বিদেশগামী রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার যুক্তিহীন শর্ত আরোপ করাতে প্রমাণ হয় রোহিঙ্গাদের বিতাড়নই তাদের লক্ষ্য। সেই ১৯৭৮ সাল থেকে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে জোরপূর্বক ঢুকিয়ে দেওয়ার ফলে সৃষ্ট রোহিঙ্গা সমস্যার বাই-প্রোডাক্ট হিসেবে এখন মানব পাচার ও মাদক চোরাচালানের মতো ভয়াবহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সৃষ্টি হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে দুই দেশের ক্ষমতাশালী চক্র এবং সরকারি এজেন্সিসমূহের ব্যক্তিরা। শক্তিশালী মানব পাচারকারী আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের চক্রান্তে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষও ফাঁদে পড়ছে। সংকট এখন বহুমুখী রূপ নিয়েছে, প্রতিনিয়ত ডালপালা ছড়াচ্ছে। বাংলাদেশ পড়ছে ত্রিমুখী সমস্যায়। বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মানবিক দিক এবং রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও জন-নিরাপত্তার ঝুঁকি এখন পরস্পরের বিরোধী হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখাও বাংলাদেশের জন্য আবশ্যিক। একদিকে নজর দিলে অন্যদিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যে বিরাট সংখ্যক রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশে আছে তার মধ্যে মাত্র ২৮ হাজার জাতিসংঘের শরণার্থী হিসেবে তালিকাভুক্ত। বাকি প্রায় তিন-চার লাখ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গায় দলবদ্ধ হয়ে সংঘবদ্ধভাবে, আবার কোথাও ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবাস করছে। এসব বাস্তুচ্যুত মানুষের নানাবিধ দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে বহুরূপ স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী। বাংলাদেশের ধর্মান্ধ রাজনৈতিক দলগুলো এবং জঙ্গিসন্ত্রাসী সংগঠনগুলো ধর্মীয় উসকানির দ্বারা রোহিঙ্গা যুবকদের উগ্রবাদী জঙ্গি দলে ভেড়াচ্ছে। যারা দেশের অভ্যন্তরে ও বিদেশে জঙ্গি সন্ত্রাসী কাজে জড়িত হয়ে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে, দেশের নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপভিত্তিক কিছু এনজিও নানা ছদ্মবেশে রোহিঙ্গাদের ভিতর ধর্র্মীয় উন্মাদনা ছড়াচ্ছে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মুসলিম এইড ও মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আল রাবেতার কার্যক্রম সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। আইন প্রয়োগ ও জঙ্গি কার্যক্রম বন্ধে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী একটু কড়াকড়ি করলেই ওই এনজিওগুলো মানবতার দোহাই তুলে চিৎকার করতে থাকে। অন্যদিকে বাংলাদেশের এক শ্রেণির দালাল, বাটপার, চোরাচালানিকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় ক্ষমতাবান লোকজন রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করছে চাঁদাবাজি, মানব পাচার, মাদক এবং অবৈধ আদম ব্যবসায়। ফলে এসব প্রতাপশালী বাংলাদেশি মানুষের সংযোগে রোহিঙ্গাদের একেকটি বসতি এলাকা এখন একেকটি দুর্ভেদ্য পকেট হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে, যাদের ওপর সরকারি সংস্থাগুলোর কার্যত নিয়ন্ত্রণ খুবই কম। গত শতকের আশির দশকে বাংলাদেশের জামায়াত ও তাদের সহযোগী দলগুলো ধর্মীয় উন্মাদনায় কয়েক হাজার বাংলাদেশি যুবককে পাঠিয়েছিল আফগানিস্তানে মুজাহিদ হিসেবে, সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে জিহাদে অংশ নেওয়ার জন্য। বাংলাদেশি যুবকদের সঙ্গে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা যুবকও ওই সময়ে আফগান জিহাদে অংশ নেয়। ১৯৯০-৯১ সালে এসব জিহাদি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ফিরে এসে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (RSO), আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (ARNO), আরাকান লিবারেশন ফ্রন্ট (ALF) জাতীয় কয়েকটি সশস্ত্র সংগঠন গড়ে তোলে, যারা আরাকানের ভেতরে সশস্ত্র আন্দোলন চালাতে থাকে। এতে সমস্যা আরও জটিল আকার ধারণ করে, দুদেশের মধ্যে আস্থার সংকট সৃষ্টি হয়, ভুল বোঝাবুঝি বৃদ্ধি পায়।

১৯৯১ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে বাংলাদেশের সীমান্ত চৌকি বেজুপাড়াতে মিয়ানমারের নাসাকা বাহিনী অতর্কিত আক্রমণ চালায় এবং কয়েকটি অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। মিয়ানমার তখন অভিযোগ করে তৎকালীন বিডিআরের সহযোগিতায় রোহিঙ্গা জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা নাসাকা বাহিনীর ওপর হামলা চালানোর পাল্টা হিসেবে তারা বেজুপাড়া সীমান্ত ফাঁড়িতে আক্রমণ চালিয়েছে। এ ঘটনার জের ধরে রাখাইন রাজ্যে ভয়াবহ দাঙ্গা বাঁধানো হয় এবং পুনরায় প্রায় দেড়-দুই লাখ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার বাংলাদেশে জোরপূর্বক ঢুকিয়ে দিতে সক্ষম হয়। ১৯৭৮ ও ১৯৯১-৯২ সময়ে ক্ষমতাসীন বিএনপি সরকার যদি ২০১২ সালের মতো একই নীতিতে রোহিঙ্গা প্রবেশ প্রতিহত করত তাহলে আজ পরিস্থিতি এত জটিল আকার ধারণ করত না। তারপর থেকে এ রকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কিছু দিন পরপর ঘটেই চলেছে। এ রকম ধারাবাহিক আগ্রাসী আচরণ প্রতিবেশীর কাছ থেকে কাম্য নয় এবং এর কোনো যুক্তিগ্রাহ্য কারণ নেই। জোরপূর্বক ১০ লাখের অধিক জাতিগোষ্ঠীকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে মিয়ানমার উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। এটা অবাস্তব চিন্তা। বরং বাংলাদেশের বর্তমান সরকার, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব ধরনের জঙ্গি সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীর বিরুদ্ধে যে জিরো টলারেন্সের নীতি ঘোষণা করেছেন তার সুবিধা নিয়ে এই সমস্যাটির সমাধান করতে পারে মিয়ানমার। যেমনটি করেছে ভারত, তাদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর জন্য। একই নীতিতে ১৯৯৭ সালের শান্তিচুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের রক্তক্ষরণের অবসান ঘটিয়েছিল বাংলাদেশ, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। এই উদাহরণগুলো দিচ্ছি এই কারণে যে, আগে যাই হয়ে থাকুক, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সব ধরনের জঙ্গিসন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরুদ্ধে, শান্তির পক্ষে। মিয়ানমার এই সুযোগটি গ্রহণ করতে পারে। মিয়ানমারের যতদিন এই শুভ বুদ্ধির উদয় না হচ্ছে, ততদিন নিজ দেশ ও মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে বাংলাদেশকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রথমত, জরুরি ভিত্তিতে তিন-চার লাখ রোহিঙ্গাকে সঠিকভাবে তালিকাভুক্ত করতে হবে এবং একসঙ্গে বড়সংখ্যক রোহিঙ্গাকে সংঘবদ্ধভাবে না রেখে তার পরিবর্তে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত বসবাসের ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকা থেকে সরিয়ে দেশের অন্যান্য জেলায় স্থানান্তরের চিন্তা করতে হবে। মোট কথা নিশ্চিত করতে হবে, কোনো স্বার্থান্বেষী মহল যেন তাদের কোনো রকম অপকর্মে ব্যবহার করতে না পারে। একই সময়ে নিশ্চিত করতে হবে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে বন্ধুপ্রতীম দেশের অভ্যন্তরে কোনো রকম জঙ্গি সন্ত্রাসী কার্যক্রম তারা যেন চালাতে না পারে। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক উন্নয়নকে যে দেশ ভালোভাবে নিতে পারছে না এবং যে পরাশক্তি বর্তমান সরকারের সঙ্গে নিজেদের স্বার্থ আদায়ে সুবিধা করতে পারছে না, তারা কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র করছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা দরকার।

তৃতীয়ত, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ও জোর করে ঢুকিয়ে দেওয়ার সব অপচেষ্টা প্রতিহত করার জন্য আমাদের সীমান্ত ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। অভ্যন্তরীণ গডফাদারদের কোনো রকম ছাড় দেওয়া যাবে না। মনে রাখা দরকার এখানে রাষ্ট্রের নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত। চতুর্থত, সীমান্তে দায়িত্বরত আমাদের সব বাহিনীগুলোর মধ্যে নিবিড় সমন্বয় সাধন করে কর্তব্যে যেতে হবে, যাতে বিচ্ছিন্নভাবে ১৭ জুনের মতো কোনো ঘটনা আর না ঘটে। তবে শেষ কথা হলো- সব রোহিঙ্গাকে ফেরত নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতাপূর্ণ যৌথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করলে মিয়ানমার চিরদিনের জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদের আশঙ্ক্ষা থেকে মুক্ত হতে পারে। তাতে দুই দেশ ও আঞ্চলিক সহযোগিতার সব অন্তরায় দূর হবে। BCIM এবং BIM-STEC-এর মতো অপার সম্ভাবনাময় কাঠামোগুলো সক্রিয় হলে উভয় দেশ লাভবান হবে।

লেখক : কলামিস্ট ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

[email protected]

 

এই বিভাগের আরও খবর
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
চেনা যায় সহজেই
চেনা যায় সহজেই
সর্বশেষ খবর
গোবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
গোবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ
জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ

১২ মিনিট আগে | জাতীয়

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন
জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

২৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ
দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ

২৯ মিনিট আগে | জাতীয়

তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

২৯ মিনিট আগে | জাতীয়

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘বিএনপি ক্ষমতায় না এলে ভাত খাব না’ বলা নিজামের পাশে তারেক রহমান
‘বিএনপি ক্ষমতায় না এলে ভাত খাব না’ বলা নিজামের পাশে তারেক রহমান

৩৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গণপিটুনিতে যুবক নিহত
গণপিটুনিতে যুবক নিহত

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘অন্যান্য পেশাজীবীর মতো সাংবাদিকদের পেশাগত লাইসেন্স থাকা দরকার’
‘অন্যান্য পেশাজীবীর মতো সাংবাদিকদের পেশাগত লাইসেন্স থাকা দরকার’

৪১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার
চট্টগ্রামে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার

৪১ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বজ্রপাতে ট্রলি চালকের মৃত্যু
বজ্রপাতে ট্রলি চালকের মৃত্যু

৪২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ইউনিয়নের কমিটি ঘোষণা
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ইউনিয়নের কমিটি ঘোষণা

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৫ মে থেকে বাজারে আসবে সাতক্ষীরার আম
৫ মে থেকে বাজারে আসবে সাতক্ষীরার আম

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পুঁজিবাজারে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে
পুঁজিবাজারে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে

৪৬ মিনিট আগে | বাণিজ্য

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই, হাসপাতালে ভর্তি ২৯
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই, হাসপাতালে ভর্তি ২৯

৫১ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

ভিয়েতনামের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে সিপিবি নেতা হাসান তারিক
ভিয়েতনামের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে সিপিবি নেতা হাসান তারিক

৫২ মিনিট আগে | রাজনীতি

রাখাইনে করিডর নিয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে সরকারের প্রতি সাইফুল হকের আহ্বান
রাখাইনে করিডর নিয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে সরকারের প্রতি সাইফুল হকের আহ্বান

৫৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রামে মৃগী রোগী আছে, পৃথক সেবা নেই
চট্টগ্রামে মৃগী রোগী আছে, পৃথক সেবা নেই

৫৪ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১০০ টাকার জন্য খুন, আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১০০ টাকার জন্য খুন, আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

৫৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সংযোগ সড়কবিহীন সেতু, ১০ গ্রামবাসীর দুর্ভোগ
সংযোগ সড়কবিহীন সেতু, ১০ গ্রামবাসীর দুর্ভোগ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দেশের রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার
দেশের রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় মাসব্যাপী অ্যাথলেটিকস প্রশিক্ষণ
বগুড়ায় মাসব্যাপী অ্যাথলেটিকস প্রশিক্ষণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোবিপ্রবি’তে কর্মকর্তাদের আচরণ ও শৃঙ্খলা বিষয়ক কর্মশালা
গোবিপ্রবি’তে কর্মকর্তাদের আচরণ ও শৃঙ্খলা বিষয়ক কর্মশালা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছাত্রলীগের নির্যাতনের সহযোগী শিক্ষক-কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ
ছাত্রলীগের নির্যাতনের সহযোগী শিক্ষক-কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্র্যাজুয়েশন ডে ২০২৫ উদযাপন
গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্র্যাজুয়েশন ডে ২০২৫ উদযাপন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়ায় ধান চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন
বগুড়ায় ধান চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কলাপাড়ায় বসতবাড়িতে ডাকাতি
কলাপাড়ায় বসতবাড়িতে ডাকাতি

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
কাশ্মীর ইস্যু: প্রতিশোধ নিতে সামরিক হামলার ‘সবুজ সংকেত’ দিলেন মোদি
কাশ্মীর ইস্যু: প্রতিশোধ নিতে সামরিক হামলার ‘সবুজ সংকেত’ দিলেন মোদি

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?
‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট
এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’
‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?
চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা
উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার
আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা
সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’
‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা
আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে পাঠ্যবই থেকে বাদ মোগল-সুলতানি ইতিহাস
ভারতে পাঠ্যবই থেকে বাদ মোগল-সুলতানি ইতিহাস

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ
শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান
নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস
ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’
‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই
ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প
পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল
বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান
ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম
পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে
চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ
প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ

১১ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার
গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?
আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?

১৪ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

প্রিন্ট সর্বাধিক
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো
বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো

পেছনের পৃষ্ঠা

আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত
আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি
আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না
বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে
চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে

পেছনের পৃষ্ঠা

পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড
পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড

নগর জীবন

মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু
মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু

পেছনের পৃষ্ঠা

পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান
পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবিলা নূরের লুকোচুরি...
সাবিলা নূরের লুকোচুরি...

শোবিজ

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ
অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ

পেছনের পৃষ্ঠা

বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না
বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না

পেছনের পৃষ্ঠা

গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক
গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক

দেশগ্রাম

অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা
অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা
শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা

সম্পাদকীয়

ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই
ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই

পেছনের পৃষ্ঠা

শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা
শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা

শোবিজ

আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি
আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কে কারিনা
বিতর্কে কারিনা

শোবিজ

শ্রমিকেরাও মানুষ
শ্রমিকেরাও মানুষ

সম্পাদকীয়

মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা
মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা

মাঠে ময়দানে

গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প
গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প

পেছনের পৃষ্ঠা

চম্পা কেন দূরে
চম্পা কেন দূরে

শোবিজ

১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার
১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার

মাঠে ময়দানে

নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে
নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে

শোবিজ

মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে
মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

কী চায় নতুন দলগুলো
কী চায় নতুন দলগুলো

প্রথম পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা
নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা

মাঠে ময়দানে