শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ২৯ জুন, ২০১৫

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সম্পর্কের চ্যালেঞ্জ

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)
অনলাইন ভার্সন
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সম্পর্কের চ্যালেঞ্জ

গত ১৭ জুন নাফ নদীতে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর টহল দলের মধ্যে গোলাগুলি হয় এবং বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) সদস্য নায়েক রাজ্জাককে অপহরণ করে নিয়ে যায় মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিয়ানমারের সরকার ও তাদের বর্ডার গার্ড পুলিশের অকূটনৈতিকসুলভ বিরূপ আচরণে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সম্পর্ক আবার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। মিয়ানমার প্রতিবেশীসুলভ আচরণ দেখাতে ব্যর্থ হয়। আন্তর্জাতিক রীতিনীতি ও জেনেভা কনভেনশনের সব শর্ত ভঙ্গ করে চরম ঔদ্ধত্যের পরিচয় দেয়, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি সামরিক জান্তা নিয়ন্ত্রিত মিয়ানমারের অগণতান্ত্রিক সরকারের চরম হঠকারী সিদ্ধান্ত। কিন্তু বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। গণতন্ত্রে ধর ধর মার মার কায়দায় কিছু করা যায় না, তার ফলও আখেরে ভালো হয় না। তাই বাংলাদেশ ধীরস্থির ও ধৈর্য সহকারে কূটনৈতিক পরিপক্বতায় পরিস্থিতির মোকাবিলা করবে, সেটাই কাম্য। নায়েক রাজ্জাকের অপহরণ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিয়ানমারের আচরণের বিরুদ্ধে বাংলদেশের পক্ষ থেকে কঠিন ও শক্তিশালী প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। অব্যাহত কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে ২৫ জুন শর্তহীনভাবে নায়েক রাজ্জাককে ফিরিয়ে এনেছে বাংলাদেশ। আপাত সমস্যার একটা শান্তিপূর্ণ সমাধান তাতে হয়েছে বলে মনে করা যায়। কিন্তু সমস্যার মূল কারণ রোহিঙ্গা ইস্যুর শান্তিপূর্ণ সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এ রকম ঘটনা আগে যেমন ঘটেছে, আগামীতেও ঘটতে থাকবে। সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে এবং তার সমাধান খোঁজার জন্য দুই দেশ নিজ নিজ নীতি ও দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে পারে, সমাধানের অনেক বিকল্পও হয়তো পাওয়া যাবে, কিন্তু সবার মনে রাখা উচিত প্রতিবেশী পাল্টানো যাবে না।

দীর্ঘদিনের লালিত অগণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ডজনেরও বেশি জাতিগত দ্বন্দ্ব ও সংঘাত চলছে যুগযুগ ধরে। রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গাকেন্দ্রিক নিজস্ব জাতিগত সমস্যা বাংলাদেশের ওপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। জাতিগত দ্বন্দ্বের ইতিহাস শিক্ষা হলো- এতে তাদের সমস্যার সমাধান তো হবেই না, বরং সমস্যা আরও জটিল করবে। নির্যাতন ও নিস্তব্ধ করার মাধ্যমে সমাধান খোঁজার অপদৃষ্টিভঙ্গির কারণে বৃহত্তম উপজাতি কারেন সম্প্রদায়ের সঙ্গে সশস্ত্র বিদ্রোহ ৬৭ বছরেও মিয়ানমার সমাধান করতে পারেনি। এটিকে বিশ্বের দীর্ঘতম সশস্ত্র বিদ্রোহ বলেও অভিহিত করা হয়। একই কারণে চলছে শান ও কাচিন সম্প্রদায়ের সশস্ত্র বিদ্রোহ। মিয়ানমারের সাড়ে ছয় কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় দুই কোটি মানুষ জাতিগত দ্বন্দ্ব-সংঘর্ষে জর্জরিত এবং একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠী ঘরবাড়ি ছাড়া ও বাস্তুচ্যুত। কিন্তু জান্তা সরকার এই সংঘর্ষগুলোকে জিইয়ে রেখে বিশ্ব দরবার ও মিয়ানমারের দরিদ্র সাধারণ মানুষের কাছে সামরিক কর্তৃত্বের অপরিহার্যতা প্রমাণ করতে চায়, তাদের দেশ শাসনকে জায়েজ করতে চায়। দেশ ও মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন নয়, ক্ষমতায় থাকাই মুখ্য। সব সামরিক শাসকের এটাই নীতি। আয়তনে বাংলাদেশের প্রায় চারগুণ বড়, খনিজ ও বনজ সম্পদে ভরপুর। ভৌগলিক অবস্থান আকর্ষণীয়। তা সত্ত্বেও মিয়ানমার এখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে পিছিয়েপড়া দেশ। নীতি ও করণীয় নির্ধারণে বাংলাদেশকে মিয়ানমার সামরিক সরকারের এই দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনায় রাখতে হবে।

রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে একটা ভ্রান্ত ধারণার জন্ম দেওয়া হয়েছে সেই ১৯৪৮ সাল থেকে, মিয়ানমার স্বাধীন হওয়ার পরপর। ভাষা, ধর্ম ও সাংস্কৃতিকভাবে বাংলাদেশের বৃহত্তর চট্টগ্রামের লোকজনের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের একটা সাদৃশ্য আছে। ফলে শুরু থেকে মিয়ানমারের সব সরকার, বিশেষ করে ১৯৬২ সালের পর থেকে সামরিক সরকারগুলোর একটা সন্দেহ হয় যে, এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী চট্টগ্রামের অধিবাসীদের সহায়তায় সুযোগমতো মিয়ানমার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার চেষ্টা করতে পারে। রোহিঙ্গাদের এই চেষ্টার পিছনে বিশ্বের অন্যান্য কিছু মুসলিম দেশের সমর্থন রয়েছে বলে মিয়ানমার মনে করে। এ ক্ষেত্রে তারা ফিলিপাইনের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দক্ষিণাঞ্চলের স্বাধীনতার জন্য পরিচালিত মরো ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের (MNLF) সশস্ত্র যুদ্ধের উদাহরণকে সামনে আনে, যাদের প্রতি কিছু মুসলিম দেশ ও সংগঠনের সমর্থন রয়েছে। একবার লিবিয়ার সাবেক শাসক গাদ্দাফি ঘোষণা দিয়েছিলেন আরাকান মুসলমানদের মুক্তির জন্য মুসলিম বিশ্বকে এগিয়ে আসতে হবে। যদিও বাস্তবে তার কোনো লক্ষণ কখনো দেখা যায়নি। এই আশঙ্কার কিছু ভৌগলিক ও নৃতত্ত্বগত কারণও আছে। সেখান থেকেই মিয়ানমারের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী ও সরকারের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের অবিশ্বাস ও সন্দেহের শুরু। মিয়ানমারের পক্ষ থেকে একটা প্রোপাগান্ডা চালানো হয় এই মর্মে যে, তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল থেকে ১৯৫০ সালের পর রোহিঙ্গারা রাখাইন রাজ্যে আসে। এ কথা ঐতিহাসিকভাবে একেবারে অসত্য। ১৮৯১ সালে ব্রিটিশ আদমশুমারি অনুসারে ৫৮ হাজার ২৫৫ জন রোহিঙ্গার অস্তিত্ব পাওয়া যায় আরাকানে। ১৯১১ সালের আদমশুমারিতে পাওয়া যায় এক লাখ ৭৮ হাজার ৬৪৭ জন। ১০০ বছর পর বর্তমান সময়ে সেই জনসংখ্যা ১০ লাখেরও অনেক ঊর্ধ্বে হওয়াটা অতি স্বাভাবিক। মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ১৮২৪ সালের অ্যাংলো-বার্মা যুদ্ধের সময়কে বেসলাইন ধরে নাগরিকত্ব নির্ধারণ করতে চায় এবং সেই পথ ধরে ১৯৮২ সালে আইন করে তারা রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার খর্ব করেছে। উলি্লখিত ভ্রান্ত ধারণা ও নীতি এবং জান্তা শাসন কায়েম রাখার লক্ষ্যে ১৯৭৮ সাল থেকে রাখাইন রাজ্যের প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা অধিবাসীকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে মিয়ানমার। সমস্যা মূলত এখান থেকেই শুরু। যার সাম্প্রতিক এপিসোড নায়েক রাজ্জাকের অপহরণ। রাজ্জাকের বিনিময়ে পরিচয় শনাক্ত ব্যতিরেকে সমুদ্র থেকে উদ্ধারকৃত বিদেশগামী রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার যুক্তিহীন শর্ত আরোপ করাতে প্রমাণ হয় রোহিঙ্গাদের বিতাড়নই তাদের লক্ষ্য। সেই ১৯৭৮ সাল থেকে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে জোরপূর্বক ঢুকিয়ে দেওয়ার ফলে সৃষ্ট রোহিঙ্গা সমস্যার বাই-প্রোডাক্ট হিসেবে এখন মানব পাচার ও মাদক চোরাচালানের মতো ভয়াবহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সৃষ্টি হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে দুই দেশের ক্ষমতাশালী চক্র এবং সরকারি এজেন্সিসমূহের ব্যক্তিরা। শক্তিশালী মানব পাচারকারী আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের চক্রান্তে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষও ফাঁদে পড়ছে। সংকট এখন বহুমুখী রূপ নিয়েছে, প্রতিনিয়ত ডালপালা ছড়াচ্ছে। বাংলাদেশ পড়ছে ত্রিমুখী সমস্যায়। বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মানবিক দিক এবং রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও জন-নিরাপত্তার ঝুঁকি এখন পরস্পরের বিরোধী হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখাও বাংলাদেশের জন্য আবশ্যিক। একদিকে নজর দিলে অন্যদিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যে বিরাট সংখ্যক রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশে আছে তার মধ্যে মাত্র ২৮ হাজার জাতিসংঘের শরণার্থী হিসেবে তালিকাভুক্ত। বাকি প্রায় তিন-চার লাখ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গায় দলবদ্ধ হয়ে সংঘবদ্ধভাবে, আবার কোথাও ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবাস করছে। এসব বাস্তুচ্যুত মানুষের নানাবিধ দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে বহুরূপ স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী। বাংলাদেশের ধর্মান্ধ রাজনৈতিক দলগুলো এবং জঙ্গিসন্ত্রাসী সংগঠনগুলো ধর্মীয় উসকানির দ্বারা রোহিঙ্গা যুবকদের উগ্রবাদী জঙ্গি দলে ভেড়াচ্ছে। যারা দেশের অভ্যন্তরে ও বিদেশে জঙ্গি সন্ত্রাসী কাজে জড়িত হয়ে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে, দেশের নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপভিত্তিক কিছু এনজিও নানা ছদ্মবেশে রোহিঙ্গাদের ভিতর ধর্র্মীয় উন্মাদনা ছড়াচ্ছে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মুসলিম এইড ও মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আল রাবেতার কার্যক্রম সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। আইন প্রয়োগ ও জঙ্গি কার্যক্রম বন্ধে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী একটু কড়াকড়ি করলেই ওই এনজিওগুলো মানবতার দোহাই তুলে চিৎকার করতে থাকে। অন্যদিকে বাংলাদেশের এক শ্রেণির দালাল, বাটপার, চোরাচালানিকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় ক্ষমতাবান লোকজন রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করছে চাঁদাবাজি, মানব পাচার, মাদক এবং অবৈধ আদম ব্যবসায়। ফলে এসব প্রতাপশালী বাংলাদেশি মানুষের সংযোগে রোহিঙ্গাদের একেকটি বসতি এলাকা এখন একেকটি দুর্ভেদ্য পকেট হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে, যাদের ওপর সরকারি সংস্থাগুলোর কার্যত নিয়ন্ত্রণ খুবই কম। গত শতকের আশির দশকে বাংলাদেশের জামায়াত ও তাদের সহযোগী দলগুলো ধর্মীয় উন্মাদনায় কয়েক হাজার বাংলাদেশি যুবককে পাঠিয়েছিল আফগানিস্তানে মুজাহিদ হিসেবে, সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে জিহাদে অংশ নেওয়ার জন্য। বাংলাদেশি যুবকদের সঙ্গে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা যুবকও ওই সময়ে আফগান জিহাদে অংশ নেয়। ১৯৯০-৯১ সালে এসব জিহাদি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ফিরে এসে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (RSO), আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (ARNO), আরাকান লিবারেশন ফ্রন্ট (ALF) জাতীয় কয়েকটি সশস্ত্র সংগঠন গড়ে তোলে, যারা আরাকানের ভেতরে সশস্ত্র আন্দোলন চালাতে থাকে। এতে সমস্যা আরও জটিল আকার ধারণ করে, দুদেশের মধ্যে আস্থার সংকট সৃষ্টি হয়, ভুল বোঝাবুঝি বৃদ্ধি পায়।

১৯৯১ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে বাংলাদেশের সীমান্ত চৌকি বেজুপাড়াতে মিয়ানমারের নাসাকা বাহিনী অতর্কিত আক্রমণ চালায় এবং কয়েকটি অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। মিয়ানমার তখন অভিযোগ করে তৎকালীন বিডিআরের সহযোগিতায় রোহিঙ্গা জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা নাসাকা বাহিনীর ওপর হামলা চালানোর পাল্টা হিসেবে তারা বেজুপাড়া সীমান্ত ফাঁড়িতে আক্রমণ চালিয়েছে। এ ঘটনার জের ধরে রাখাইন রাজ্যে ভয়াবহ দাঙ্গা বাঁধানো হয় এবং পুনরায় প্রায় দেড়-দুই লাখ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার বাংলাদেশে জোরপূর্বক ঢুকিয়ে দিতে সক্ষম হয়। ১৯৭৮ ও ১৯৯১-৯২ সময়ে ক্ষমতাসীন বিএনপি সরকার যদি ২০১২ সালের মতো একই নীতিতে রোহিঙ্গা প্রবেশ প্রতিহত করত তাহলে আজ পরিস্থিতি এত জটিল আকার ধারণ করত না। তারপর থেকে এ রকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কিছু দিন পরপর ঘটেই চলেছে। এ রকম ধারাবাহিক আগ্রাসী আচরণ প্রতিবেশীর কাছ থেকে কাম্য নয় এবং এর কোনো যুক্তিগ্রাহ্য কারণ নেই। জোরপূর্বক ১০ লাখের অধিক জাতিগোষ্ঠীকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে মিয়ানমার উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। এটা অবাস্তব চিন্তা। বরং বাংলাদেশের বর্তমান সরকার, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব ধরনের জঙ্গি সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীর বিরুদ্ধে যে জিরো টলারেন্সের নীতি ঘোষণা করেছেন তার সুবিধা নিয়ে এই সমস্যাটির সমাধান করতে পারে মিয়ানমার। যেমনটি করেছে ভারত, তাদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর জন্য। একই নীতিতে ১৯৯৭ সালের শান্তিচুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের রক্তক্ষরণের অবসান ঘটিয়েছিল বাংলাদেশ, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। এই উদাহরণগুলো দিচ্ছি এই কারণে যে, আগে যাই হয়ে থাকুক, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সব ধরনের জঙ্গিসন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরুদ্ধে, শান্তির পক্ষে। মিয়ানমার এই সুযোগটি গ্রহণ করতে পারে। মিয়ানমারের যতদিন এই শুভ বুদ্ধির উদয় না হচ্ছে, ততদিন নিজ দেশ ও মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে বাংলাদেশকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রথমত, জরুরি ভিত্তিতে তিন-চার লাখ রোহিঙ্গাকে সঠিকভাবে তালিকাভুক্ত করতে হবে এবং একসঙ্গে বড়সংখ্যক রোহিঙ্গাকে সংঘবদ্ধভাবে না রেখে তার পরিবর্তে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত বসবাসের ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকা থেকে সরিয়ে দেশের অন্যান্য জেলায় স্থানান্তরের চিন্তা করতে হবে। মোট কথা নিশ্চিত করতে হবে, কোনো স্বার্থান্বেষী মহল যেন তাদের কোনো রকম অপকর্মে ব্যবহার করতে না পারে। একই সময়ে নিশ্চিত করতে হবে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে বন্ধুপ্রতীম দেশের অভ্যন্তরে কোনো রকম জঙ্গি সন্ত্রাসী কার্যক্রম তারা যেন চালাতে না পারে। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক উন্নয়নকে যে দেশ ভালোভাবে নিতে পারছে না এবং যে পরাশক্তি বর্তমান সরকারের সঙ্গে নিজেদের স্বার্থ আদায়ে সুবিধা করতে পারছে না, তারা কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র করছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা দরকার।

তৃতীয়ত, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ও জোর করে ঢুকিয়ে দেওয়ার সব অপচেষ্টা প্রতিহত করার জন্য আমাদের সীমান্ত ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। অভ্যন্তরীণ গডফাদারদের কোনো রকম ছাড় দেওয়া যাবে না। মনে রাখা দরকার এখানে রাষ্ট্রের নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত। চতুর্থত, সীমান্তে দায়িত্বরত আমাদের সব বাহিনীগুলোর মধ্যে নিবিড় সমন্বয় সাধন করে কর্তব্যে যেতে হবে, যাতে বিচ্ছিন্নভাবে ১৭ জুনের মতো কোনো ঘটনা আর না ঘটে। তবে শেষ কথা হলো- সব রোহিঙ্গাকে ফেরত নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতাপূর্ণ যৌথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করলে মিয়ানমার চিরদিনের জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদের আশঙ্ক্ষা থেকে মুক্ত হতে পারে। তাতে দুই দেশ ও আঞ্চলিক সহযোগিতার সব অন্তরায় দূর হবে। BCIM এবং BIM-STEC-এর মতো অপার সম্ভাবনাময় কাঠামোগুলো সক্রিয় হলে উভয় দেশ লাভবান হবে।

লেখক : কলামিস্ট ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

[email protected]

 

এই বিভাগের আরও খবর
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
সর্বশেষ খবর
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র
চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত
চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা
সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ
লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা
কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’
‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের
মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের

৬ ঘণ্টা আগে | পরবাস

মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস
লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ
ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা
জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন
টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ
কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক
ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’
‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

১৭ ঘণ্টা আগে | টক শো

মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার
মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন
গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর
মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি
ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ
শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা
বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’
চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত
গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ
রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের
আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী
ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক
স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!
বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?
কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন

নগর জীবন

পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি
প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি

পেছনের পৃষ্ঠা

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির

প্রথম পৃষ্ঠা

২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি
প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি

নগর জীবন

ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে
ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে

নগর জীবন

ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত
ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত

নগর জীবন

নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি
অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি

নগর জীবন

দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ
দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন
বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ
ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির

নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই

নগর জীবন

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে

নগর জীবন

বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮
বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮

নগর জীবন

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা
কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা

নগর জীবন

ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন
ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন

নগর জীবন

ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল
সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল

খবর

১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়
১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়

নগর জীবন

মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত
মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত

খবর

শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের
শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের

খবর