শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ২৯ জুন, ২০১৫

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সম্পর্কের চ্যালেঞ্জ

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)
অনলাইন ভার্সন
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সম্পর্কের চ্যালেঞ্জ

গত ১৭ জুন নাফ নদীতে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর টহল দলের মধ্যে গোলাগুলি হয় এবং বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) সদস্য নায়েক রাজ্জাককে অপহরণ করে নিয়ে যায় মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিয়ানমারের সরকার ও তাদের বর্ডার গার্ড পুলিশের অকূটনৈতিকসুলভ বিরূপ আচরণে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সম্পর্ক আবার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। মিয়ানমার প্রতিবেশীসুলভ আচরণ দেখাতে ব্যর্থ হয়। আন্তর্জাতিক রীতিনীতি ও জেনেভা কনভেনশনের সব শর্ত ভঙ্গ করে চরম ঔদ্ধত্যের পরিচয় দেয়, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি সামরিক জান্তা নিয়ন্ত্রিত মিয়ানমারের অগণতান্ত্রিক সরকারের চরম হঠকারী সিদ্ধান্ত। কিন্তু বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। গণতন্ত্রে ধর ধর মার মার কায়দায় কিছু করা যায় না, তার ফলও আখেরে ভালো হয় না। তাই বাংলাদেশ ধীরস্থির ও ধৈর্য সহকারে কূটনৈতিক পরিপক্বতায় পরিস্থিতির মোকাবিলা করবে, সেটাই কাম্য। নায়েক রাজ্জাকের অপহরণ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিয়ানমারের আচরণের বিরুদ্ধে বাংলদেশের পক্ষ থেকে কঠিন ও শক্তিশালী প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। অব্যাহত কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে ২৫ জুন শর্তহীনভাবে নায়েক রাজ্জাককে ফিরিয়ে এনেছে বাংলাদেশ। আপাত সমস্যার একটা শান্তিপূর্ণ সমাধান তাতে হয়েছে বলে মনে করা যায়। কিন্তু সমস্যার মূল কারণ রোহিঙ্গা ইস্যুর শান্তিপূর্ণ সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এ রকম ঘটনা আগে যেমন ঘটেছে, আগামীতেও ঘটতে থাকবে। সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে এবং তার সমাধান খোঁজার জন্য দুই দেশ নিজ নিজ নীতি ও দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে পারে, সমাধানের অনেক বিকল্পও হয়তো পাওয়া যাবে, কিন্তু সবার মনে রাখা উচিত প্রতিবেশী পাল্টানো যাবে না।

দীর্ঘদিনের লালিত অগণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ডজনেরও বেশি জাতিগত দ্বন্দ্ব ও সংঘাত চলছে যুগযুগ ধরে। রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গাকেন্দ্রিক নিজস্ব জাতিগত সমস্যা বাংলাদেশের ওপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। জাতিগত দ্বন্দ্বের ইতিহাস শিক্ষা হলো- এতে তাদের সমস্যার সমাধান তো হবেই না, বরং সমস্যা আরও জটিল করবে। নির্যাতন ও নিস্তব্ধ করার মাধ্যমে সমাধান খোঁজার অপদৃষ্টিভঙ্গির কারণে বৃহত্তম উপজাতি কারেন সম্প্রদায়ের সঙ্গে সশস্ত্র বিদ্রোহ ৬৭ বছরেও মিয়ানমার সমাধান করতে পারেনি। এটিকে বিশ্বের দীর্ঘতম সশস্ত্র বিদ্রোহ বলেও অভিহিত করা হয়। একই কারণে চলছে শান ও কাচিন সম্প্রদায়ের সশস্ত্র বিদ্রোহ। মিয়ানমারের সাড়ে ছয় কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় দুই কোটি মানুষ জাতিগত দ্বন্দ্ব-সংঘর্ষে জর্জরিত এবং একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠী ঘরবাড়ি ছাড়া ও বাস্তুচ্যুত। কিন্তু জান্তা সরকার এই সংঘর্ষগুলোকে জিইয়ে রেখে বিশ্ব দরবার ও মিয়ানমারের দরিদ্র সাধারণ মানুষের কাছে সামরিক কর্তৃত্বের অপরিহার্যতা প্রমাণ করতে চায়, তাদের দেশ শাসনকে জায়েজ করতে চায়। দেশ ও মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন নয়, ক্ষমতায় থাকাই মুখ্য। সব সামরিক শাসকের এটাই নীতি। আয়তনে বাংলাদেশের প্রায় চারগুণ বড়, খনিজ ও বনজ সম্পদে ভরপুর। ভৌগলিক অবস্থান আকর্ষণীয়। তা সত্ত্বেও মিয়ানমার এখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে পিছিয়েপড়া দেশ। নীতি ও করণীয় নির্ধারণে বাংলাদেশকে মিয়ানমার সামরিক সরকারের এই দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনায় রাখতে হবে।

রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে একটা ভ্রান্ত ধারণার জন্ম দেওয়া হয়েছে সেই ১৯৪৮ সাল থেকে, মিয়ানমার স্বাধীন হওয়ার পরপর। ভাষা, ধর্ম ও সাংস্কৃতিকভাবে বাংলাদেশের বৃহত্তর চট্টগ্রামের লোকজনের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের একটা সাদৃশ্য আছে। ফলে শুরু থেকে মিয়ানমারের সব সরকার, বিশেষ করে ১৯৬২ সালের পর থেকে সামরিক সরকারগুলোর একটা সন্দেহ হয় যে, এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী চট্টগ্রামের অধিবাসীদের সহায়তায় সুযোগমতো মিয়ানমার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার চেষ্টা করতে পারে। রোহিঙ্গাদের এই চেষ্টার পিছনে বিশ্বের অন্যান্য কিছু মুসলিম দেশের সমর্থন রয়েছে বলে মিয়ানমার মনে করে। এ ক্ষেত্রে তারা ফিলিপাইনের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দক্ষিণাঞ্চলের স্বাধীনতার জন্য পরিচালিত মরো ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের (MNLF) সশস্ত্র যুদ্ধের উদাহরণকে সামনে আনে, যাদের প্রতি কিছু মুসলিম দেশ ও সংগঠনের সমর্থন রয়েছে। একবার লিবিয়ার সাবেক শাসক গাদ্দাফি ঘোষণা দিয়েছিলেন আরাকান মুসলমানদের মুক্তির জন্য মুসলিম বিশ্বকে এগিয়ে আসতে হবে। যদিও বাস্তবে তার কোনো লক্ষণ কখনো দেখা যায়নি। এই আশঙ্কার কিছু ভৌগলিক ও নৃতত্ত্বগত কারণও আছে। সেখান থেকেই মিয়ানমারের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী ও সরকারের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের অবিশ্বাস ও সন্দেহের শুরু। মিয়ানমারের পক্ষ থেকে একটা প্রোপাগান্ডা চালানো হয় এই মর্মে যে, তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল থেকে ১৯৫০ সালের পর রোহিঙ্গারা রাখাইন রাজ্যে আসে। এ কথা ঐতিহাসিকভাবে একেবারে অসত্য। ১৮৯১ সালে ব্রিটিশ আদমশুমারি অনুসারে ৫৮ হাজার ২৫৫ জন রোহিঙ্গার অস্তিত্ব পাওয়া যায় আরাকানে। ১৯১১ সালের আদমশুমারিতে পাওয়া যায় এক লাখ ৭৮ হাজার ৬৪৭ জন। ১০০ বছর পর বর্তমান সময়ে সেই জনসংখ্যা ১০ লাখেরও অনেক ঊর্ধ্বে হওয়াটা অতি স্বাভাবিক। মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ১৮২৪ সালের অ্যাংলো-বার্মা যুদ্ধের সময়কে বেসলাইন ধরে নাগরিকত্ব নির্ধারণ করতে চায় এবং সেই পথ ধরে ১৯৮২ সালে আইন করে তারা রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার খর্ব করেছে। উলি্লখিত ভ্রান্ত ধারণা ও নীতি এবং জান্তা শাসন কায়েম রাখার লক্ষ্যে ১৯৭৮ সাল থেকে রাখাইন রাজ্যের প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা অধিবাসীকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে মিয়ানমার। সমস্যা মূলত এখান থেকেই শুরু। যার সাম্প্রতিক এপিসোড নায়েক রাজ্জাকের অপহরণ। রাজ্জাকের বিনিময়ে পরিচয় শনাক্ত ব্যতিরেকে সমুদ্র থেকে উদ্ধারকৃত বিদেশগামী রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার যুক্তিহীন শর্ত আরোপ করাতে প্রমাণ হয় রোহিঙ্গাদের বিতাড়নই তাদের লক্ষ্য। সেই ১৯৭৮ সাল থেকে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে জোরপূর্বক ঢুকিয়ে দেওয়ার ফলে সৃষ্ট রোহিঙ্গা সমস্যার বাই-প্রোডাক্ট হিসেবে এখন মানব পাচার ও মাদক চোরাচালানের মতো ভয়াবহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সৃষ্টি হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে দুই দেশের ক্ষমতাশালী চক্র এবং সরকারি এজেন্সিসমূহের ব্যক্তিরা। শক্তিশালী মানব পাচারকারী আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের চক্রান্তে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষও ফাঁদে পড়ছে। সংকট এখন বহুমুখী রূপ নিয়েছে, প্রতিনিয়ত ডালপালা ছড়াচ্ছে। বাংলাদেশ পড়ছে ত্রিমুখী সমস্যায়। বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মানবিক দিক এবং রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও জন-নিরাপত্তার ঝুঁকি এখন পরস্পরের বিরোধী হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখাও বাংলাদেশের জন্য আবশ্যিক। একদিকে নজর দিলে অন্যদিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যে বিরাট সংখ্যক রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশে আছে তার মধ্যে মাত্র ২৮ হাজার জাতিসংঘের শরণার্থী হিসেবে তালিকাভুক্ত। বাকি প্রায় তিন-চার লাখ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গায় দলবদ্ধ হয়ে সংঘবদ্ধভাবে, আবার কোথাও ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবাস করছে। এসব বাস্তুচ্যুত মানুষের নানাবিধ দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে বহুরূপ স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী। বাংলাদেশের ধর্মান্ধ রাজনৈতিক দলগুলো এবং জঙ্গিসন্ত্রাসী সংগঠনগুলো ধর্মীয় উসকানির দ্বারা রোহিঙ্গা যুবকদের উগ্রবাদী জঙ্গি দলে ভেড়াচ্ছে। যারা দেশের অভ্যন্তরে ও বিদেশে জঙ্গি সন্ত্রাসী কাজে জড়িত হয়ে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে, দেশের নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপভিত্তিক কিছু এনজিও নানা ছদ্মবেশে রোহিঙ্গাদের ভিতর ধর্র্মীয় উন্মাদনা ছড়াচ্ছে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মুসলিম এইড ও মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আল রাবেতার কার্যক্রম সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। আইন প্রয়োগ ও জঙ্গি কার্যক্রম বন্ধে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী একটু কড়াকড়ি করলেই ওই এনজিওগুলো মানবতার দোহাই তুলে চিৎকার করতে থাকে। অন্যদিকে বাংলাদেশের এক শ্রেণির দালাল, বাটপার, চোরাচালানিকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় ক্ষমতাবান লোকজন রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করছে চাঁদাবাজি, মানব পাচার, মাদক এবং অবৈধ আদম ব্যবসায়। ফলে এসব প্রতাপশালী বাংলাদেশি মানুষের সংযোগে রোহিঙ্গাদের একেকটি বসতি এলাকা এখন একেকটি দুর্ভেদ্য পকেট হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে, যাদের ওপর সরকারি সংস্থাগুলোর কার্যত নিয়ন্ত্রণ খুবই কম। গত শতকের আশির দশকে বাংলাদেশের জামায়াত ও তাদের সহযোগী দলগুলো ধর্মীয় উন্মাদনায় কয়েক হাজার বাংলাদেশি যুবককে পাঠিয়েছিল আফগানিস্তানে মুজাহিদ হিসেবে, সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে জিহাদে অংশ নেওয়ার জন্য। বাংলাদেশি যুবকদের সঙ্গে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা যুবকও ওই সময়ে আফগান জিহাদে অংশ নেয়। ১৯৯০-৯১ সালে এসব জিহাদি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ফিরে এসে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (RSO), আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (ARNO), আরাকান লিবারেশন ফ্রন্ট (ALF) জাতীয় কয়েকটি সশস্ত্র সংগঠন গড়ে তোলে, যারা আরাকানের ভেতরে সশস্ত্র আন্দোলন চালাতে থাকে। এতে সমস্যা আরও জটিল আকার ধারণ করে, দুদেশের মধ্যে আস্থার সংকট সৃষ্টি হয়, ভুল বোঝাবুঝি বৃদ্ধি পায়।

১৯৯১ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে বাংলাদেশের সীমান্ত চৌকি বেজুপাড়াতে মিয়ানমারের নাসাকা বাহিনী অতর্কিত আক্রমণ চালায় এবং কয়েকটি অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। মিয়ানমার তখন অভিযোগ করে তৎকালীন বিডিআরের সহযোগিতায় রোহিঙ্গা জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা নাসাকা বাহিনীর ওপর হামলা চালানোর পাল্টা হিসেবে তারা বেজুপাড়া সীমান্ত ফাঁড়িতে আক্রমণ চালিয়েছে। এ ঘটনার জের ধরে রাখাইন রাজ্যে ভয়াবহ দাঙ্গা বাঁধানো হয় এবং পুনরায় প্রায় দেড়-দুই লাখ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার বাংলাদেশে জোরপূর্বক ঢুকিয়ে দিতে সক্ষম হয়। ১৯৭৮ ও ১৯৯১-৯২ সময়ে ক্ষমতাসীন বিএনপি সরকার যদি ২০১২ সালের মতো একই নীতিতে রোহিঙ্গা প্রবেশ প্রতিহত করত তাহলে আজ পরিস্থিতি এত জটিল আকার ধারণ করত না। তারপর থেকে এ রকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কিছু দিন পরপর ঘটেই চলেছে। এ রকম ধারাবাহিক আগ্রাসী আচরণ প্রতিবেশীর কাছ থেকে কাম্য নয় এবং এর কোনো যুক্তিগ্রাহ্য কারণ নেই। জোরপূর্বক ১০ লাখের অধিক জাতিগোষ্ঠীকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে মিয়ানমার উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। এটা অবাস্তব চিন্তা। বরং বাংলাদেশের বর্তমান সরকার, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব ধরনের জঙ্গি সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীর বিরুদ্ধে যে জিরো টলারেন্সের নীতি ঘোষণা করেছেন তার সুবিধা নিয়ে এই সমস্যাটির সমাধান করতে পারে মিয়ানমার। যেমনটি করেছে ভারত, তাদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর জন্য। একই নীতিতে ১৯৯৭ সালের শান্তিচুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের রক্তক্ষরণের অবসান ঘটিয়েছিল বাংলাদেশ, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। এই উদাহরণগুলো দিচ্ছি এই কারণে যে, আগে যাই হয়ে থাকুক, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সব ধরনের জঙ্গিসন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরুদ্ধে, শান্তির পক্ষে। মিয়ানমার এই সুযোগটি গ্রহণ করতে পারে। মিয়ানমারের যতদিন এই শুভ বুদ্ধির উদয় না হচ্ছে, ততদিন নিজ দেশ ও মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে বাংলাদেশকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রথমত, জরুরি ভিত্তিতে তিন-চার লাখ রোহিঙ্গাকে সঠিকভাবে তালিকাভুক্ত করতে হবে এবং একসঙ্গে বড়সংখ্যক রোহিঙ্গাকে সংঘবদ্ধভাবে না রেখে তার পরিবর্তে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত বসবাসের ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকা থেকে সরিয়ে দেশের অন্যান্য জেলায় স্থানান্তরের চিন্তা করতে হবে। মোট কথা নিশ্চিত করতে হবে, কোনো স্বার্থান্বেষী মহল যেন তাদের কোনো রকম অপকর্মে ব্যবহার করতে না পারে। একই সময়ে নিশ্চিত করতে হবে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে বন্ধুপ্রতীম দেশের অভ্যন্তরে কোনো রকম জঙ্গি সন্ত্রাসী কার্যক্রম তারা যেন চালাতে না পারে। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক উন্নয়নকে যে দেশ ভালোভাবে নিতে পারছে না এবং যে পরাশক্তি বর্তমান সরকারের সঙ্গে নিজেদের স্বার্থ আদায়ে সুবিধা করতে পারছে না, তারা কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র করছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা দরকার।

তৃতীয়ত, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ও জোর করে ঢুকিয়ে দেওয়ার সব অপচেষ্টা প্রতিহত করার জন্য আমাদের সীমান্ত ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। অভ্যন্তরীণ গডফাদারদের কোনো রকম ছাড় দেওয়া যাবে না। মনে রাখা দরকার এখানে রাষ্ট্রের নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত। চতুর্থত, সীমান্তে দায়িত্বরত আমাদের সব বাহিনীগুলোর মধ্যে নিবিড় সমন্বয় সাধন করে কর্তব্যে যেতে হবে, যাতে বিচ্ছিন্নভাবে ১৭ জুনের মতো কোনো ঘটনা আর না ঘটে। তবে শেষ কথা হলো- সব রোহিঙ্গাকে ফেরত নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতাপূর্ণ যৌথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করলে মিয়ানমার চিরদিনের জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদের আশঙ্ক্ষা থেকে মুক্ত হতে পারে। তাতে দুই দেশ ও আঞ্চলিক সহযোগিতার সব অন্তরায় দূর হবে। BCIM এবং BIM-STEC-এর মতো অপার সম্ভাবনাময় কাঠামোগুলো সক্রিয় হলে উভয় দেশ লাভবান হবে।

লেখক : কলামিস্ট ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

[email protected]

 

এই বিভাগের আরও খবর
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
সর্বশেষ খবর
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের
ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু
খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর
ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের
তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি
ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের হামলা
তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের হামলা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পৃথিবীতে প্রাণের উৎস কী সত্যিই এসেছে এই অঞ্চল থেকে?
পৃথিবীতে প্রাণের উৎস কী সত্যিই এসেছে এই অঞ্চল থেকে?

৫ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

নন্দনগাছীতে দুই মিনিট থামবে ঈশ্বরদী কমিউটার ট্রেন
নন্দনগাছীতে দুই মিনিট থামবে ঈশ্বরদী কমিউটার ট্রেন

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পার্বতীপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু
পার্বতীপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ
বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাসিরনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
নাসিরনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্পেশাল টিম: ডা. সায়েদুর
করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্পেশাল টিম: ডা. সায়েদুর

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডাকসু নির্বাচনের ১০ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ
ডাকসু নির্বাচনের ১০ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংবাদপত্রের ওপর কালোছায়া নেমে আসে’
‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংবাদপত্রের ওপর কালোছায়া নেমে আসে’

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঢাবি ভর্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা পেল দুই শিক্ষার্থী
ঢাবি ভর্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা পেল দুই শিক্ষার্থী

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫
২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫

৭ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ
সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১
মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা
উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা
নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’
‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর
ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন
ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু
‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক

২০ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা
সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান
নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত
ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’
‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড
ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার
তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা
দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা
ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা
নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান
আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত
ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি
ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী
১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত
ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত
ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এটিএম বুথের ভেতরে কারখানা শ্রমিককে ধর্ষণ
এটিএম বুথের ভেতরে কারখানা শ্রমিককে ধর্ষণ

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস
ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত
রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত

প্রথম পৃষ্ঠা

বিমা খাতে আসছে নতুন আইন
বিমা খাতে আসছে নতুন আইন

শিল্প বাণিজ্য

দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা
দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা

প্রথম পৃষ্ঠা

সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ
সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার
মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি
সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি
স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

নামেই জীবন নামেই মরণ
নামেই জীবন নামেই মরণ

সম্পাদকীয়

নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি
নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি

নগর জীবন

চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি
চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা
ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা

পেছনের পৃষ্ঠা

নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ
নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ

খবর

পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ
পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা
লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্র্যান্ড দূষণ বাড়াচ্ছে ৪০ শতাংশ ফ্যাশন
ব্র্যান্ড দূষণ বাড়াচ্ছে ৪০ শতাংশ ফ্যাশন

শিল্প বাণিজ্য

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি
যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি

শিল্প বাণিজ্য

ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়
ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়

প্রথম পৃষ্ঠা

হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী
হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী

পেছনের পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি
গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ
সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ
বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু
শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু

নগর জীবন

গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়
গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান
সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

পেছনের পৃষ্ঠা

বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান
বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান

প্রথম পৃষ্ঠা

সহসাই থামছে না ইরান ইসরায়েল সংঘাত
সহসাই থামছে না ইরান ইসরায়েল সংঘাত

পূর্ব-পশ্চিম

গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ
গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশের উন্নয়নে চাই মালয়েশিয়া মডেল
দেশের উন্নয়নে চাই মালয়েশিয়া মডেল

সম্পাদকীয়