শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৫ জুলাই, ২০১৫

বিএনপি কি \\\'মরহুম\\\' মুসলিম লীগে পরিণত হবে?

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
বিএনপি কি \\\'মরহুম\\\' মুসলিম লীগে পরিণত হবে?

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, বিএনপি আছে, বিএনপি থাকবে। দেশের সব গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষই চায় যতদিন আমাদের দেশে প্রায় দ্বিদলীয় ব্যবস্থা টিকে আছে ততদিন প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল- আওয়ামী লীগ ও বিএনপি শক্তিমত্তা নিয়েই টিকে থাক। তা না হলে একদলীয় কর্তৃত্ববাদী প্রবণতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। ইতিমধ্যে সে লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আছে যে, তারা দেশ শাসনে গণতন্ত্রের সব শর্তই একে একে লঙ্ঘন করে চলেছে। এবার তাদের সরকার গঠন প্রতিক্রিয়াটাই দেশে-বিদেশে মহাবিতর্কের ঝড় তোলে। প্রত্যক্ষ কোনো নির্বাচন ছাড়াই তারা সরকার গঠন করার মতো স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন করায়ত্ত করে নেয়। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সদস্য সংখ্যা ৩০০-এর মধ্যে ১৫৩ আসনেই কোনো নির্বাচন হয়নি। এরা অটো এমপি। বর্তমান সরকার প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের দ্বারা গঠিত নয় বলে বিরোধী দলসমূহ, দেশের অনেক বুদ্ধিজীবী অভিযোগের যে তীর ছুড়ছেন তা একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার বিষয় নয়। প্রতিদ্বন্দ্বী-প্রতিপক্ষ যদি অতিশয় দুর্বল হয়, পরিস্থিতি গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের তীব্রতা দিয়ে যদি প্রতিহত করতে না পারে তখন শক্তিশালী সক্ষম পক্ষ যা খুশি তা করার সুযোগ পায়। বর্তমান ক্ষমতাসীনরা সে সুযোগ নিয়েছে। বিএনপির সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং আওয়ামী লীগের ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং মোকাবিলার মোক্ষম কৌশল নির্ধারণে ব্যর্থতার কারণেই বর্তমান পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। তো, বিএনপি তো ছিলই, এখনো আছে- অন্তত পত্রিকার পাতায় এবং টিভি পর্দায় তো আছে। এমন থেকে লাভ কী?

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, বিএনপির টিকে থাকার মতো থাকাটা নির্ভর করে প্রথমত দলটির সঠিক রাজনৈতিক লাইন পুনঃনির্ধারণ এবং দ্বিতীয়ত সাংগঠনিক পুনর্বিন্যাসের ওপর। রাজনৈতিক লাইন নির্ধারণের ক্ষেত্রে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়টিকে যথাযথভাবে অ্যাড্রেস করতে হবে। সাংগঠনিক পুনর্বিন্যাসের ক্ষেত্রে 'কর্মচারীনির্ভর' প্রক্রিয়া পরিহার করতে হবে। বিএনপির থাকার মতো থাকার রাজনীতিটা কী হবে? এ ব্যাপারে নতুন করে কষ্টসাধ্য কিছু করার প্রয়োজন নেই। দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিএনপির ঘোষণাপত্রের শুরুটা প্রথম যে বাক্য দিয়ে শুরু করেছিলেন, স্খলনের জন্য তওবা করে আবার সেই ঘোষণার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ, তার যথার্থ অনুসরণ এবং তা বাস্তবায়নের প্রতি বিএনপি নেতৃত্বকে সৎ ও আন্তরিক হতে হবে সর্বাগ্রে। বিএনপির ঘোষণাপত্রে সেই বাক্যটি এখনো লিপিবদ্ধ আছে। কী আছে তাতে? বাক্যটি হুবহু এমন, 'ঐতিহাসিক মুক্তিসংগ্রামের সোনালি ফসল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আমাদের পবিত্র আমানত এবং অলঙ্ঘনীয় অধিকার। প্রাণের চেয়ে প্রিয় মাতৃভূমি এই স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সুদৃঢ় এবং সুরক্ষিত করে রাখাই হচ্ছে আমাদের কালের প্রথম ও প্রধান দাবি।' জিয়াউর রহমান কোন বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার কথা বলেছেন তা অত্যন্ত পরিষ্কার 'ঐতিহাসিক মুক্তিসংগ্রামের সোনালি ফসল'- এই শব্দ চতুষ্টয় উচ্চারণের মধ্যে। মুক্তিসংগ্রাম বা মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশকে তিনি অবিচ্ছিন্ন, অবিচ্ছেদ্যভাবে দেখেছেন। এ অবস্থান থেকে বিচ্যুত হলে বিএনপি আর জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বিএনপি থাকে না। শহীদ জিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী বিএনপির রাজনীতি ঐতিহাসিক মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটকে বাদ দিয়ে চিন্তাই করা যায় না। বেশি ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নেই যে, মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই হবে বাংলাদেশের আজ, কাল ও আগামীর রাজনীতির ভিত্তি। জিয়ার জীবদ্দশায় বিএনপি সেই রাজনীতি-ই করেছে। শাহ আজিজ-আবদুল আলীমরা বিএনপিকে সাম্প্রদায়িক-মৌলবাদী বা পাকিস্তানপন্থি রাজনীতির ধারায় নেওয়ার কোনো চিন্তার সুযোগই পাননি। তারপরও বহুদিন এই সমালোচনাও থাকবে যে, এদের সঙ্গে না নিলে কি চলত না?

কিন্তু এখন বিএনপি কী করছে? জিয়াউর রহমানের অনুসৃত পথে কি তারা অটল আছে? নেই তো। যদি থাকত তাহলে বাংলাদেশের 'ঐতিহাসিক মুক্তিসংগ্রামের' প্রত্যক্ষ বিরোধিতাকারী জামায়াতে ইসলামী কী করে তাদের ঘনিষ্ঠতম মিত্র হয়? জোটের নামে কেমন করে তাদের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা হয়? সমালোচনার জবাবে বলা হয়, এই জোট (২০ দলীয় জোট) নাকি ভোটের জোট। প্রায় দুই দশক ধরে দেশে কি প্রতিদিন ভোটই হচ্ছে যে, জামায়াত-বিএনপি বাঁধন টুটাই যাচ্ছে না! 'বাঙালকে হাইকোর্ট দেখানোর' মতো এসব কথা বলে লাভ নেই। মানুষ বোঝে এবং বলেও যাচ্ছে যে, বিএনপির চরম দক্ষিণপন্থি বিচ্যুতি হয়েছে। সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী রাজনীতি দক্ষিণপন্থি প্রতিক্রিয়াশীলতার নগ্ন ও উগ্র প্রকাশ। এই রাজনীতি গণতন্ত্র ও সমাজ- প্রগতিবিরোধী। এরা আধুনিক বিজ্ঞানমনস্কতার বিপরীতে পশ্চাদপদতার অনুসারী। আলোর ভুবন থেকে এরা মানুষ ও সমাজকে নিয়ে যেতে চায় কষকালো অন্ধকারে। ধর্মানুরাগ ও ধর্মাচারকে এরা ভয়ঙ্কর ধর্মনির্মান্ধতার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলে। গণতন্ত্রের সঙ্গে এবং সমাজপ্রগতির সঙ্গে ধর্মের কোনো বিরোধ নেই, সংঘাত নেই। কিন্তু গণতন্ত্রের সঙ্গে ধর্মান্ধতা কখনোই সমানে যায় না। জামায়াতে ইসলামী এবং এই ধরনের প্রকাশ্য ও গোপন সংগঠনগুলো ধর্মান্ধ বলেই চিহ্নিত ও সমালোচিত। এই শক্তি কখনো, কোথাও গণতন্ত্রের বন্ধু হয় না। বাংলাদেশে এরা আবার আমাদের ঐতিহাসিক মুক্তিসংগ্রামের প্রত্যক্ষ বিরোধিতাকারী রাজনৈতিক শক্তি। কেউ কেউ ইদানীং এমন ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেন যে, এখন যারা জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে যুক্ত, তাদের অধিকাংশের বয়সই ৫০-এর নিচে। স্বাধীনতা যুদ্ধকালে এদের কারও জন্মই হয়নি অথবা তাদের নেতাদের মতো ভূমিকা রাখার বয়স ছিল না। কথাটা সত্য। এখানে দুটি বিষয় বিবেচ্য; এক. আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীকেও অভিযুক্ত করার বিষয়টি এসেছে এবং তার ভিত্তিতে দলটি নিষিদ্ধ করার জোরালো দাবি আছে সারা দেশে। জামায়াত-শিবিরের বর্তমান নেতা-কর্মীদের অধিকাংশের বয়স ৫০-এর কম হলেও তারা এই 'যুদ্ধাপরাধী' সংগঠনের সঙ্গেই জড়িত। দুই. একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্মকালীন 'প্রসববেদনা'। সেই মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ বিরোধিতাকারী এবং হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনসহ নানাবিধ মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত দলটি এখনো একটিবার উচ্চারণও করেনি যে, একাত্তরে তারা অন্যায় করেছে এবং সে জন্য জাতির কাছে তারা ক্ষমাপ্রার্থী। বরং তারা বিভিন্ন সময়ে এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ উচ্চারণও করেছে যে, একাত্তরে তারা যা করেছে ঠিক করেছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকালে 'খালেদা-মোদি' একান্ত বৈঠকের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে একটা ধারণা ছড়িয়ে পড়ে যে, বিএনপি বোধহয় শিগগিরই জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করবে। ধারণাটা এ কারণে যে, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনাকে বেগম খালেদা জিয়া 'খুবই ফলপ্রসূ' বলে চিত্রিত করেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী যদি পূর্ববর্তী কংগ্রেসী সরকারের মতো শেখ হাসিনার সরকারকে সহযোগিতার এবং তিনি যা বলেন সেভাবে কাজ করার কথা বেগম জিয়াকে বলতেন, তিনি নিশ্চয়ই আলোচনা 'ফলপ্রসূ' হয়েছে তেমন কথা বলতেন না। বেগম জিয়া চান একটি আগাম বা মধ্যবর্তী নির্বাচন। ভারত সেই নির্বাচন করে দিতে পারবে না ঠিক, কিন্তু সবাই বিশ্বাস করে, এ ব্যাপারে প্রভাব খাটাতে পারবে। পৃথিবীর প্রায় সব গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র এবং জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশে তেমন একটি অংশগ্রহণমূলক বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন চায়। ভারতও যদি চায়, সরকার তেমন একটি নির্বাচনের কথা ভাববে এমন একটা ধারণা এদেশে অনেকটাই বদ্ধমূল। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ভিতরে ভিতরে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। সব দেখেশুনেই মনে হচ্ছে, খালেদা-মোদি আলোচনা সত্যিই 'ফলপ্রসূ' হয়েছে। বাংলাদেশে ভারতের যে সব স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে চুক্তি, প্রটোকল ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে সেসব বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশে জনগণের ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত একটা সরকার প্রয়োজন- ভারতের নেতৃত্ব এটা অবশ্যই বোঝেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনটি কেমন হয়েছে সেই খবরও অবশ্যই আছে তাদের কাছে। বেগম খালেদা জিয়া তার কাঙ্ক্ষিত ইস্যুতে পজিটিভ একটা ইঙ্গিত না পেলে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনাকে নিশ্চয়ই 'ফলপ্রসূ' বলতেন না। বেগম জিয়ার আগাম বা মধ্যবর্তী নির্বাচনের শর্তে ভারতের প্রধানমন্ত্রী যদি অনুকূল মনোভাব দেখিয়ে থাকেন, তা কি কোনো শর্ত ছাড়াই? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, সহযোগিতার শর্তের বাইরে একটা গুরুত্বপূর্ণ শর্ত থাকার কথা স্বাভাবিক এবং তা জামায়াত ত্যাগ। ভারত তার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার স্বার্থেই জামায়াতবিরোধী হওয়ার কথা।

বিএনপির শুভানুধ্যায়ীরা মনে করেন, বিএনপি এখনো বিপুলভাবে জনসমর্থিত একটি দল। ভোটের হিসাবে প্রায় আওয়ামী লীগের সমান সমান। কিন্তু জনগণের এই সমর্থন রাজনীতি বর্জিত নয়। বেগম খালেদা জিয়া দলের নেতৃত্ব গ্রহণের পর এরশাদ-বিরোধী আন্দোলনে এবং শেখ হাসিনার প্রথম সরকারের (৯৬-২০০১) অগণতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে সাহসী আন্দোলনে এই জনগণ দলের সঙ্গে মাঠে ছিল। সেই জনগণ দলের পক্ষে এখনো আছে, কিন্তু আন্দোলনের মাঠে নেই। কেন নেই? ১. জামায়াত 'ঘষাঘষি' মানুষ পছন্দ করে না। মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রক্রিয়া শুরুর পর বিএনপি সমর্থক বিপুল জনগোষ্ঠীও এর পক্ষে দাঁড়িয়েছে। জামায়াত-হেফাজতকে নিয়ে নেতাদের 'খেলার' সঙ্গে সমর্থক জনগোষ্ঠী নেই বলেই আন্দোলনের কর্মসূচিতে অংশ নেয় না। গণতন্ত্র আর মৌলবাদতন্ত্র একসঙ্গে যেতে পারে না। গদির লোভে নেতৃত্ব রাজনীতি বিসর্জন দিলেও যে রাজনীতি নিয়ে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা কাজ শুরু করেছে তারা সে রাজনীতি বর্জন করতে পারে না, করেনি। বিএনপিকে লক্ষ্য অর্জন করতে হলে রাজনীতির সঠিক লাইন গ্রহণ করতে হবে। জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা না রাখার বিষয় বিএনপির রাজনীতির এক বড় অধ্যায়। গণতন্ত্র ও সুশাসন চাইলে এটা পরিষ্কার করতে হবে। ২. দলের জনসমর্থন কাজে লাগাতে হলে উপযুক্ত সংগঠন লাগবে। উপযুক্ত নেতৃত্ব কাঠামোই নিচ থেকে ওপর সর্বত্র দলের একটি উপযুক্ত ও সক্ষম কাঠামোও নির্মাণ করে। বিএনপিতে বর্তমানে তা একেবারেই নড়বড়ে। সরকারি নিপীড়ন, জেল, জুলুম, মামলা-মোকদ্দমায় দলটি জর্জরিত এ কথা সত্য। কেন্দ্রের কজন নেতা জেলে আছেন? স্থায়ী কমিটির সদস্য ১৯ জন, সহ-সভাপতি ১৬ জন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ৩৮ জন, সম্পাদকমণ্ডলী, নির্বাহী কমিটি মিলে নেতার সংখ্যা চার শতাধিক। জেলে তো আছেন কেন্দ্রের ১৫-২০ জন। বাকিরা কোথায়? কী করেন? আসলে কোনো কাজ নেই অনেকের। অনেকের 'ওজন' নানাভাবে এত ভারী হয়ে গেছে যে, এরা কিছু করার কোনো সাহস বা ক্ষমতা কোনোটাই রাখেন না। অধিকাংশই সুপারইম্পোজিশনের মাধ্যমে পদাধিকারী। স্টাফ অফিসারের মতো। দলের যারা মালিক-মোক্তার তাদের সন্তুষ্টি অনুযায়ী কাজ করাটাই এদের কাজ। অসন্তুষ্ট হলেই চাকরি নেই। অধিকাংশের রাজনৈতিক কমিটমেন্ট নিয়েই প্রশ্ন আছে। সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় দু-একজনের ইচ্ছায়। সিনিয়র নেতারাও দলের অনেক সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকেন না। নীতিনির্ধারণী কমিটির অনেক সদস্যের সঙ্গে দলের চেয়ারপারসনের দেখা সাক্ষাৎ, কথাবার্তা হয় না মাসের পর মাস। বার্তা বা নির্দেশ যায় কর্মচারীদের মাধ্যমে। ওপর কাঠামোতেই আস্থার সংকটের কথা শোনা যায়। আছে পারস্পরিক অবিশ্বাস। দলের জন্য যারা খাটে, কষ্ট ভোগ করে, পুলিশের লাঠি-গুঁতো খায়, তারা চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করে কষ্টের কথাও বলতে পারে না ওনার অতি ক্ষমতাধর কয়েকজন কর্মচারীর বাধার কারণে। বেগম খালেদা জিয়া সরকারকে গণবিচ্ছিন্ন বলেন। কথাটা মিথ্যা নয়। কিন্তু তিনি দলবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন, কিছু লোক যে কৌশলে তা করছে তিনি সে সম্পর্কে অবগত বলে মনে হয় না। সরকার প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করছে বলেও তিনি অভিযোগ করছেন; কিন্তু চক্রান্তকারী স্বার্থান্বেষীরা তাকে এ ধরনের 'কারাগারে' বন্দী রেখে বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান যে ধ্বংস করছে সেদিকেও বোধহয় তার নজর নেই। গণতন্ত্রে বিরোধী দলের ভূমিকাও খুব জরুরি। বিএনপির কাছ থেকে জনগণের প্রত্যাশা অনেক। সেই প্রত্যাশা পূরণের জন্য বিএনপি পুনর্গঠনের ডাক বাত-কা-বাত হলে চলবে না। বিএনপির যে রোগ হয়েছে সে রোগ হোমিও চিকিৎসায় সারবে না। মেজর অপারেশন দরকার। আজেবাজে 'পদার্থ' (লুটেরা, সন্ত্রাসী, জালিয়াত, সামাজিক দুর্বৃত্ত, দলের বোঝা, দল করে খায়, স্পাই) সব সাফ করে ফেলতে হবে। দাগি-দোষীদের বাদ দিয়ে নতুন প্রজন্মের সৎ ও আদর্শবাদীদের হাতে তুলে দিতে হবে দলের ঝাণ্ডা। সমন্বয় ঘটাতে হবে নবীন-প্রবীণের। দলের শুভানুধ্যায়ীরা ইদানীং বলতে শুরু করেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার বয়স হয়েছে। তিনি অসুস্থও। দলকে তিনি যদি সুনির্দিষ্ট আদর্শের ওপর দাঁড় করিয়ে একটা গণতান্ত্রিক সিস্টেমে চলার ব্যবস্থা করে না যান, বিএনপি ভবিষ্যতে আরও বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে। বিলাতে বসে তারেক রহমানের পক্ষে লক্ষ্যহীন, অগোছালো বিএনপি চালানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। একটি আগাম বা মধ্যবর্তী নির্বাচন যদি অবশ্যম্ভাবী হয়, তার ফসল ঘরে তুলতে চাইলে যে বিএনপি আছে সে বিএনপি দিয়ে হবে না, অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ভাষ্য অনুযায়ী জিয়ার বিএনপি লাগবে। এখনো সে সময় ও সুযোগ আছে। সুযোগ কাজে না লাগালে মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফসলও উঠবে আওয়ামী লীগের ঘরে। বিএনপি পরিণত হবে 'মরহুম মুসলিম লীগের' মতো দলে।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।

ই-মেইল :  [email protected]

 

এই বিভাগের আরও খবর
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
সর্বশেষ খবর
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের
ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু
খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর
ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের
তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি
ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের হামলা
তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের হামলা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পৃথিবীতে প্রাণের উৎস কী সত্যিই এসেছে এই অঞ্চল থেকে?
পৃথিবীতে প্রাণের উৎস কী সত্যিই এসেছে এই অঞ্চল থেকে?

৫ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

নন্দনগাছীতে দুই মিনিট থামবে ঈশ্বরদী কমিউটার ট্রেন
নন্দনগাছীতে দুই মিনিট থামবে ঈশ্বরদী কমিউটার ট্রেন

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পার্বতীপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু
পার্বতীপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ
বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাসিরনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
নাসিরনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্পেশাল টিম: ডা. সায়েদুর
করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্পেশাল টিম: ডা. সায়েদুর

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডাকসু নির্বাচনের ১০ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ
ডাকসু নির্বাচনের ১০ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংবাদপত্রের ওপর কালোছায়া নেমে আসে’
‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংবাদপত্রের ওপর কালোছায়া নেমে আসে’

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঢাবি ভর্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা পেল দুই শিক্ষার্থী
ঢাবি ভর্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা পেল দুই শিক্ষার্থী

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫
২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫

৭ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ
সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১
মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা
উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা
নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’
‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর
ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন
ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু
‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক

২০ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা
সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান
নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত
ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’
‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড
ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার
তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা
দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা
ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা
নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান
আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত
ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি
ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী
১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত
ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত
ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এটিএম বুথের ভেতরে কারখানা শ্রমিককে ধর্ষণ
এটিএম বুথের ভেতরে কারখানা শ্রমিককে ধর্ষণ

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস
ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত
রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত

প্রথম পৃষ্ঠা

দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা
দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিমা খাতে আসছে নতুন আইন
বিমা খাতে আসছে নতুন আইন

শিল্প বাণিজ্য

সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ
সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার
মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি
সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি
স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

নামেই জীবন নামেই মরণ
নামেই জীবন নামেই মরণ

সম্পাদকীয়

নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি
নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি

নগর জীবন

চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি
চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা
ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা

পেছনের পৃষ্ঠা

নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ
নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ

খবর

পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ
পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা
লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি
যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি

শিল্প বাণিজ্য

ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়
ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্র্যান্ড দূষণ বাড়াচ্ছে ৪০ শতাংশ ফ্যাশন
ব্র্যান্ড দূষণ বাড়াচ্ছে ৪০ শতাংশ ফ্যাশন

শিল্প বাণিজ্য

হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী
হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী

পেছনের পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি
গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ
সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ
বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু
শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু

নগর জীবন

গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়
গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান
সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

পেছনের পৃষ্ঠা

বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান
বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান

প্রথম পৃষ্ঠা

সহসাই থামছে না ইরান ইসরায়েল সংঘাত
সহসাই থামছে না ইরান ইসরায়েল সংঘাত

পূর্ব-পশ্চিম

গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ
গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশের উন্নয়নে চাই মালয়েশিয়া মডেল
দেশের উন্নয়নে চাই মালয়েশিয়া মডেল

সম্পাদকীয়