শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৫ জুলাই, ২০১৫

বিএনপি কি \\\'মরহুম\\\' মুসলিম লীগে পরিণত হবে?

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
বিএনপি কি \\\'মরহুম\\\' মুসলিম লীগে পরিণত হবে?

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, বিএনপি আছে, বিএনপি থাকবে। দেশের সব গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষই চায় যতদিন আমাদের দেশে প্রায় দ্বিদলীয় ব্যবস্থা টিকে আছে ততদিন প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল- আওয়ামী লীগ ও বিএনপি শক্তিমত্তা নিয়েই টিকে থাক। তা না হলে একদলীয় কর্তৃত্ববাদী প্রবণতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। ইতিমধ্যে সে লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আছে যে, তারা দেশ শাসনে গণতন্ত্রের সব শর্তই একে একে লঙ্ঘন করে চলেছে। এবার তাদের সরকার গঠন প্রতিক্রিয়াটাই দেশে-বিদেশে মহাবিতর্কের ঝড় তোলে। প্রত্যক্ষ কোনো নির্বাচন ছাড়াই তারা সরকার গঠন করার মতো স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন করায়ত্ত করে নেয়। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সদস্য সংখ্যা ৩০০-এর মধ্যে ১৫৩ আসনেই কোনো নির্বাচন হয়নি। এরা অটো এমপি। বর্তমান সরকার প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের দ্বারা গঠিত নয় বলে বিরোধী দলসমূহ, দেশের অনেক বুদ্ধিজীবী অভিযোগের যে তীর ছুড়ছেন তা একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার বিষয় নয়। প্রতিদ্বন্দ্বী-প্রতিপক্ষ যদি অতিশয় দুর্বল হয়, পরিস্থিতি গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের তীব্রতা দিয়ে যদি প্রতিহত করতে না পারে তখন শক্তিশালী সক্ষম পক্ষ যা খুশি তা করার সুযোগ পায়। বর্তমান ক্ষমতাসীনরা সে সুযোগ নিয়েছে। বিএনপির সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং আওয়ামী লীগের ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং মোকাবিলার মোক্ষম কৌশল নির্ধারণে ব্যর্থতার কারণেই বর্তমান পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। তো, বিএনপি তো ছিলই, এখনো আছে- অন্তত পত্রিকার পাতায় এবং টিভি পর্দায় তো আছে। এমন থেকে লাভ কী?

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, বিএনপির টিকে থাকার মতো থাকাটা নির্ভর করে প্রথমত দলটির সঠিক রাজনৈতিক লাইন পুনঃনির্ধারণ এবং দ্বিতীয়ত সাংগঠনিক পুনর্বিন্যাসের ওপর। রাজনৈতিক লাইন নির্ধারণের ক্ষেত্রে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়টিকে যথাযথভাবে অ্যাড্রেস করতে হবে। সাংগঠনিক পুনর্বিন্যাসের ক্ষেত্রে 'কর্মচারীনির্ভর' প্রক্রিয়া পরিহার করতে হবে। বিএনপির থাকার মতো থাকার রাজনীতিটা কী হবে? এ ব্যাপারে নতুন করে কষ্টসাধ্য কিছু করার প্রয়োজন নেই। দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিএনপির ঘোষণাপত্রের শুরুটা প্রথম যে বাক্য দিয়ে শুরু করেছিলেন, স্খলনের জন্য তওবা করে আবার সেই ঘোষণার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ, তার যথার্থ অনুসরণ এবং তা বাস্তবায়নের প্রতি বিএনপি নেতৃত্বকে সৎ ও আন্তরিক হতে হবে সর্বাগ্রে। বিএনপির ঘোষণাপত্রে সেই বাক্যটি এখনো লিপিবদ্ধ আছে। কী আছে তাতে? বাক্যটি হুবহু এমন, 'ঐতিহাসিক মুক্তিসংগ্রামের সোনালি ফসল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আমাদের পবিত্র আমানত এবং অলঙ্ঘনীয় অধিকার। প্রাণের চেয়ে প্রিয় মাতৃভূমি এই স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সুদৃঢ় এবং সুরক্ষিত করে রাখাই হচ্ছে আমাদের কালের প্রথম ও প্রধান দাবি।' জিয়াউর রহমান কোন বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার কথা বলেছেন তা অত্যন্ত পরিষ্কার 'ঐতিহাসিক মুক্তিসংগ্রামের সোনালি ফসল'- এই শব্দ চতুষ্টয় উচ্চারণের মধ্যে। মুক্তিসংগ্রাম বা মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশকে তিনি অবিচ্ছিন্ন, অবিচ্ছেদ্যভাবে দেখেছেন। এ অবস্থান থেকে বিচ্যুত হলে বিএনপি আর জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বিএনপি থাকে না। শহীদ জিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী বিএনপির রাজনীতি ঐতিহাসিক মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটকে বাদ দিয়ে চিন্তাই করা যায় না। বেশি ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নেই যে, মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই হবে বাংলাদেশের আজ, কাল ও আগামীর রাজনীতির ভিত্তি। জিয়ার জীবদ্দশায় বিএনপি সেই রাজনীতি-ই করেছে। শাহ আজিজ-আবদুল আলীমরা বিএনপিকে সাম্প্রদায়িক-মৌলবাদী বা পাকিস্তানপন্থি রাজনীতির ধারায় নেওয়ার কোনো চিন্তার সুযোগই পাননি। তারপরও বহুদিন এই সমালোচনাও থাকবে যে, এদের সঙ্গে না নিলে কি চলত না?

কিন্তু এখন বিএনপি কী করছে? জিয়াউর রহমানের অনুসৃত পথে কি তারা অটল আছে? নেই তো। যদি থাকত তাহলে বাংলাদেশের 'ঐতিহাসিক মুক্তিসংগ্রামের' প্রত্যক্ষ বিরোধিতাকারী জামায়াতে ইসলামী কী করে তাদের ঘনিষ্ঠতম মিত্র হয়? জোটের নামে কেমন করে তাদের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা হয়? সমালোচনার জবাবে বলা হয়, এই জোট (২০ দলীয় জোট) নাকি ভোটের জোট। প্রায় দুই দশক ধরে দেশে কি প্রতিদিন ভোটই হচ্ছে যে, জামায়াত-বিএনপি বাঁধন টুটাই যাচ্ছে না! 'বাঙালকে হাইকোর্ট দেখানোর' মতো এসব কথা বলে লাভ নেই। মানুষ বোঝে এবং বলেও যাচ্ছে যে, বিএনপির চরম দক্ষিণপন্থি বিচ্যুতি হয়েছে। সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী রাজনীতি দক্ষিণপন্থি প্রতিক্রিয়াশীলতার নগ্ন ও উগ্র প্রকাশ। এই রাজনীতি গণতন্ত্র ও সমাজ- প্রগতিবিরোধী। এরা আধুনিক বিজ্ঞানমনস্কতার বিপরীতে পশ্চাদপদতার অনুসারী। আলোর ভুবন থেকে এরা মানুষ ও সমাজকে নিয়ে যেতে চায় কষকালো অন্ধকারে। ধর্মানুরাগ ও ধর্মাচারকে এরা ভয়ঙ্কর ধর্মনির্মান্ধতার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলে। গণতন্ত্রের সঙ্গে এবং সমাজপ্রগতির সঙ্গে ধর্মের কোনো বিরোধ নেই, সংঘাত নেই। কিন্তু গণতন্ত্রের সঙ্গে ধর্মান্ধতা কখনোই সমানে যায় না। জামায়াতে ইসলামী এবং এই ধরনের প্রকাশ্য ও গোপন সংগঠনগুলো ধর্মান্ধ বলেই চিহ্নিত ও সমালোচিত। এই শক্তি কখনো, কোথাও গণতন্ত্রের বন্ধু হয় না। বাংলাদেশে এরা আবার আমাদের ঐতিহাসিক মুক্তিসংগ্রামের প্রত্যক্ষ বিরোধিতাকারী রাজনৈতিক শক্তি। কেউ কেউ ইদানীং এমন ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেন যে, এখন যারা জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে যুক্ত, তাদের অধিকাংশের বয়সই ৫০-এর নিচে। স্বাধীনতা যুদ্ধকালে এদের কারও জন্মই হয়নি অথবা তাদের নেতাদের মতো ভূমিকা রাখার বয়স ছিল না। কথাটা সত্য। এখানে দুটি বিষয় বিবেচ্য; এক. আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীকেও অভিযুক্ত করার বিষয়টি এসেছে এবং তার ভিত্তিতে দলটি নিষিদ্ধ করার জোরালো দাবি আছে সারা দেশে। জামায়াত-শিবিরের বর্তমান নেতা-কর্মীদের অধিকাংশের বয়স ৫০-এর কম হলেও তারা এই 'যুদ্ধাপরাধী' সংগঠনের সঙ্গেই জড়িত। দুই. একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্মকালীন 'প্রসববেদনা'। সেই মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ বিরোধিতাকারী এবং হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনসহ নানাবিধ মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত দলটি এখনো একটিবার উচ্চারণও করেনি যে, একাত্তরে তারা অন্যায় করেছে এবং সে জন্য জাতির কাছে তারা ক্ষমাপ্রার্থী। বরং তারা বিভিন্ন সময়ে এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ উচ্চারণও করেছে যে, একাত্তরে তারা যা করেছে ঠিক করেছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকালে 'খালেদা-মোদি' একান্ত বৈঠকের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে একটা ধারণা ছড়িয়ে পড়ে যে, বিএনপি বোধহয় শিগগিরই জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করবে। ধারণাটা এ কারণে যে, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনাকে বেগম খালেদা জিয়া 'খুবই ফলপ্রসূ' বলে চিত্রিত করেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী যদি পূর্ববর্তী কংগ্রেসী সরকারের মতো শেখ হাসিনার সরকারকে সহযোগিতার এবং তিনি যা বলেন সেভাবে কাজ করার কথা বেগম জিয়াকে বলতেন, তিনি নিশ্চয়ই আলোচনা 'ফলপ্রসূ' হয়েছে তেমন কথা বলতেন না। বেগম জিয়া চান একটি আগাম বা মধ্যবর্তী নির্বাচন। ভারত সেই নির্বাচন করে দিতে পারবে না ঠিক, কিন্তু সবাই বিশ্বাস করে, এ ব্যাপারে প্রভাব খাটাতে পারবে। পৃথিবীর প্রায় সব গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র এবং জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশে তেমন একটি অংশগ্রহণমূলক বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন চায়। ভারতও যদি চায়, সরকার তেমন একটি নির্বাচনের কথা ভাববে এমন একটা ধারণা এদেশে অনেকটাই বদ্ধমূল। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ভিতরে ভিতরে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। সব দেখেশুনেই মনে হচ্ছে, খালেদা-মোদি আলোচনা সত্যিই 'ফলপ্রসূ' হয়েছে। বাংলাদেশে ভারতের যে সব স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে চুক্তি, প্রটোকল ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে সেসব বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশে জনগণের ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত একটা সরকার প্রয়োজন- ভারতের নেতৃত্ব এটা অবশ্যই বোঝেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনটি কেমন হয়েছে সেই খবরও অবশ্যই আছে তাদের কাছে। বেগম খালেদা জিয়া তার কাঙ্ক্ষিত ইস্যুতে পজিটিভ একটা ইঙ্গিত না পেলে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনাকে নিশ্চয়ই 'ফলপ্রসূ' বলতেন না। বেগম জিয়ার আগাম বা মধ্যবর্তী নির্বাচনের শর্তে ভারতের প্রধানমন্ত্রী যদি অনুকূল মনোভাব দেখিয়ে থাকেন, তা কি কোনো শর্ত ছাড়াই? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, সহযোগিতার শর্তের বাইরে একটা গুরুত্বপূর্ণ শর্ত থাকার কথা স্বাভাবিক এবং তা জামায়াত ত্যাগ। ভারত তার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার স্বার্থেই জামায়াতবিরোধী হওয়ার কথা।

বিএনপির শুভানুধ্যায়ীরা মনে করেন, বিএনপি এখনো বিপুলভাবে জনসমর্থিত একটি দল। ভোটের হিসাবে প্রায় আওয়ামী লীগের সমান সমান। কিন্তু জনগণের এই সমর্থন রাজনীতি বর্জিত নয়। বেগম খালেদা জিয়া দলের নেতৃত্ব গ্রহণের পর এরশাদ-বিরোধী আন্দোলনে এবং শেখ হাসিনার প্রথম সরকারের (৯৬-২০০১) অগণতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে সাহসী আন্দোলনে এই জনগণ দলের সঙ্গে মাঠে ছিল। সেই জনগণ দলের পক্ষে এখনো আছে, কিন্তু আন্দোলনের মাঠে নেই। কেন নেই? ১. জামায়াত 'ঘষাঘষি' মানুষ পছন্দ করে না। মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রক্রিয়া শুরুর পর বিএনপি সমর্থক বিপুল জনগোষ্ঠীও এর পক্ষে দাঁড়িয়েছে। জামায়াত-হেফাজতকে নিয়ে নেতাদের 'খেলার' সঙ্গে সমর্থক জনগোষ্ঠী নেই বলেই আন্দোলনের কর্মসূচিতে অংশ নেয় না। গণতন্ত্র আর মৌলবাদতন্ত্র একসঙ্গে যেতে পারে না। গদির লোভে নেতৃত্ব রাজনীতি বিসর্জন দিলেও যে রাজনীতি নিয়ে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা কাজ শুরু করেছে তারা সে রাজনীতি বর্জন করতে পারে না, করেনি। বিএনপিকে লক্ষ্য অর্জন করতে হলে রাজনীতির সঠিক লাইন গ্রহণ করতে হবে। জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা না রাখার বিষয় বিএনপির রাজনীতির এক বড় অধ্যায়। গণতন্ত্র ও সুশাসন চাইলে এটা পরিষ্কার করতে হবে। ২. দলের জনসমর্থন কাজে লাগাতে হলে উপযুক্ত সংগঠন লাগবে। উপযুক্ত নেতৃত্ব কাঠামোই নিচ থেকে ওপর সর্বত্র দলের একটি উপযুক্ত ও সক্ষম কাঠামোও নির্মাণ করে। বিএনপিতে বর্তমানে তা একেবারেই নড়বড়ে। সরকারি নিপীড়ন, জেল, জুলুম, মামলা-মোকদ্দমায় দলটি জর্জরিত এ কথা সত্য। কেন্দ্রের কজন নেতা জেলে আছেন? স্থায়ী কমিটির সদস্য ১৯ জন, সহ-সভাপতি ১৬ জন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ৩৮ জন, সম্পাদকমণ্ডলী, নির্বাহী কমিটি মিলে নেতার সংখ্যা চার শতাধিক। জেলে তো আছেন কেন্দ্রের ১৫-২০ জন। বাকিরা কোথায়? কী করেন? আসলে কোনো কাজ নেই অনেকের। অনেকের 'ওজন' নানাভাবে এত ভারী হয়ে গেছে যে, এরা কিছু করার কোনো সাহস বা ক্ষমতা কোনোটাই রাখেন না। অধিকাংশই সুপারইম্পোজিশনের মাধ্যমে পদাধিকারী। স্টাফ অফিসারের মতো। দলের যারা মালিক-মোক্তার তাদের সন্তুষ্টি অনুযায়ী কাজ করাটাই এদের কাজ। অসন্তুষ্ট হলেই চাকরি নেই। অধিকাংশের রাজনৈতিক কমিটমেন্ট নিয়েই প্রশ্ন আছে। সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় দু-একজনের ইচ্ছায়। সিনিয়র নেতারাও দলের অনেক সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকেন না। নীতিনির্ধারণী কমিটির অনেক সদস্যের সঙ্গে দলের চেয়ারপারসনের দেখা সাক্ষাৎ, কথাবার্তা হয় না মাসের পর মাস। বার্তা বা নির্দেশ যায় কর্মচারীদের মাধ্যমে। ওপর কাঠামোতেই আস্থার সংকটের কথা শোনা যায়। আছে পারস্পরিক অবিশ্বাস। দলের জন্য যারা খাটে, কষ্ট ভোগ করে, পুলিশের লাঠি-গুঁতো খায়, তারা চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করে কষ্টের কথাও বলতে পারে না ওনার অতি ক্ষমতাধর কয়েকজন কর্মচারীর বাধার কারণে। বেগম খালেদা জিয়া সরকারকে গণবিচ্ছিন্ন বলেন। কথাটা মিথ্যা নয়। কিন্তু তিনি দলবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন, কিছু লোক যে কৌশলে তা করছে তিনি সে সম্পর্কে অবগত বলে মনে হয় না। সরকার প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করছে বলেও তিনি অভিযোগ করছেন; কিন্তু চক্রান্তকারী স্বার্থান্বেষীরা তাকে এ ধরনের 'কারাগারে' বন্দী রেখে বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান যে ধ্বংস করছে সেদিকেও বোধহয় তার নজর নেই। গণতন্ত্রে বিরোধী দলের ভূমিকাও খুব জরুরি। বিএনপির কাছ থেকে জনগণের প্রত্যাশা অনেক। সেই প্রত্যাশা পূরণের জন্য বিএনপি পুনর্গঠনের ডাক বাত-কা-বাত হলে চলবে না। বিএনপির যে রোগ হয়েছে সে রোগ হোমিও চিকিৎসায় সারবে না। মেজর অপারেশন দরকার। আজেবাজে 'পদার্থ' (লুটেরা, সন্ত্রাসী, জালিয়াত, সামাজিক দুর্বৃত্ত, দলের বোঝা, দল করে খায়, স্পাই) সব সাফ করে ফেলতে হবে। দাগি-দোষীদের বাদ দিয়ে নতুন প্রজন্মের সৎ ও আদর্শবাদীদের হাতে তুলে দিতে হবে দলের ঝাণ্ডা। সমন্বয় ঘটাতে হবে নবীন-প্রবীণের। দলের শুভানুধ্যায়ীরা ইদানীং বলতে শুরু করেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার বয়স হয়েছে। তিনি অসুস্থও। দলকে তিনি যদি সুনির্দিষ্ট আদর্শের ওপর দাঁড় করিয়ে একটা গণতান্ত্রিক সিস্টেমে চলার ব্যবস্থা করে না যান, বিএনপি ভবিষ্যতে আরও বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে। বিলাতে বসে তারেক রহমানের পক্ষে লক্ষ্যহীন, অগোছালো বিএনপি চালানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। একটি আগাম বা মধ্যবর্তী নির্বাচন যদি অবশ্যম্ভাবী হয়, তার ফসল ঘরে তুলতে চাইলে যে বিএনপি আছে সে বিএনপি দিয়ে হবে না, অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ভাষ্য অনুযায়ী জিয়ার বিএনপি লাগবে। এখনো সে সময় ও সুযোগ আছে। সুযোগ কাজে না লাগালে মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফসলও উঠবে আওয়ামী লীগের ঘরে। বিএনপি পরিণত হবে 'মরহুম মুসলিম লীগের' মতো দলে।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।

ই-মেইল :  [email protected]

 

এই বিভাগের আরও খবর
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
সর্বশেষ খবর
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র
চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত
চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা
সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ
লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা
কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’
‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের
মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের

৬ ঘণ্টা আগে | পরবাস

মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস
লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ
ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা
জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন
টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ
কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক
ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’
‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

১৭ ঘণ্টা আগে | টক শো

মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার
মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন
গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর
মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি
ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ
শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা
বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’
চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত
গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ
রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের
আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী
ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক
স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!
বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?
কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন

নগর জীবন

পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি
প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি

পেছনের পৃষ্ঠা

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির

প্রথম পৃষ্ঠা

২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি
প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি

নগর জীবন

ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে
ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে

নগর জীবন

ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত
ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত

নগর জীবন

নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি
অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি

নগর জীবন

দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ
দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন
বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ
ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির

নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই

নগর জীবন

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে

নগর জীবন

বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮
বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮

নগর জীবন

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা
কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা

নগর জীবন

ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন
ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন

নগর জীবন

ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল
সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল

খবর

১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়
১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়

নগর জীবন

মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত
মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত

খবর

শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের
শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের

খবর