শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১২ জুলাই, ২০১৫

খালেদা-তারেক ছাড়া কি বিএনপি চলতে প্রস্তুত?

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
খালেদা-তারেক ছাড়া কি বিএনপি চলতে প্রস্তুত?

৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট করে বলেছেন, পেট্রলবোমা মেরে মানুষ হত্যার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার দলের নেতা-কর্মীদের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার হবে। ঘোষণা কার্যকর হলে এর পরিণতি বেগম জিয়ার জন্য কী ভয়াবহ হতে পারে তা সহজেই অনুমান করা যায়। প্রকৃত অর্থেই বিএনপি একটি সংকটকাল অতিক্রম করছে। এ বছরের জানুয়ারি-মার্চ তিন মাসের আন্দোলন হঠকারী পথে বাঁক নিয়ে সম্পূর্ণ ব্যর্থ না হলে দলটি আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে পারত। লীগ সরকার কঠোর পন্থায়, ক্ষেত্রবিশেষে নিষ্ঠুরভাবে মোকাবিলা করে সে আন্দোলন গুঁড়িয়ে দিয়েছে। যে কোনো রাজনৈতিক দলে এমন পরিস্থিতিতে দলীয়ভাবে আলোচনা-পর্যলোচনা করা হয়, ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধান করা হয়। বিএনপিতে তেমন কিছু হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। বহুদিন পর ৭ জুলাই রাতে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে পার্টি চেয়ারপারসনের মাত্র ঘণ্টা দুয়েকের যে সভাটি অনুষ্ঠিত হয় তার যে বিবরণ বাংলাদেশ প্রতিদিনে ৮ জুলাই ছাপা হয়েছে তাতে বোঝা যায়, দলটি তাদের এতদিনের অনুসৃত পথ ধরেই চলবে। সমালোচকদের জবাবে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, তারা কোনো ভুল করেননি। 'দল শহীদ জিয়ার পথ ধরে চলছে না বা এই বিএনপি দিয়ে হবে না, জিয়ার বিএনপি লাগবে কিছু করতে হলে'- দলের যেসব প্রবীণ নেতা এমন সব কথা বলেছেন এবং সর্বস্তরের নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীরাও যে কারণে হতাশ হয়ে পড়েছেন, তাদের ধমকে দিয়ে সর্বত্র 'প্রতিরোধের' ভয় দেখানো হয়েছে সে সভায়। সরকারের বিরুদ্ধে মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণের অভিযোগ করে দলের অভ্যন্তরে সত্যভাষীর কণ্ঠরোধ বিস্ময়করই বটে! সমালোচনা ও আত্দসমালোচনা একটি দলকে প্রাণবন্ত ও উজ্জীবিত রাখে। যে দলে নানা বিষয়ে মতাদর্শগত লড়াই নেই, সেই দল স্রোতহীন একটি মরা নদীর মতো। সব ভিন্নমত বা সমালোচনা গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে কিন্তু মত প্রকাশের স্বাধীনতা রাষ্ট্রে যেমন, একটি দলেও তেমন বিদ্যমান থাকা জরুরি। এটা গণতন্ত্রের শর্ত। কারও মতের সঙ্গে দ্বিমত হলেই তাকে দল থেকে বেরিয়ে যেতে বলা বা প্রচ্ছন্নভাবে শায়েস্তা করার হুমকি স্বেচ্ছাচারিতা, স্বৈরমানসিকতারই প্রকাশ। নেতা বা নেত্রীর এ ধরনের মানসিকতার সুযোগ নেয় কিছু অযোগ্য, অথর্ব ও স্বার্থবাজ চাটুকার, তাতে দলের সামগ্রিক কোনো লাভ হয় না, বরং অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। বিএনপির ক্ষতি অনেক হয়েছে।

সংসদে না থাকলেও দেশে-বিদেশে সবাই স্বীকার করেন যে, এখন বিএনপিই হচ্ছে বাংলাদেশে সরকারবিরোধী প্রধান রাজনৈতিক দল। এ দলটির কাছ থেকে জনগণের প্রত্যাশা অনেক। কিন্তু জনগণের সে প্রত্যাশা পূরণে বারবার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে দলটি। ফলে দলের নিষ্ঠাবান কর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের মধ্যে দিন দিন হতাশা বাড়ছে। নির্দ্বিধায় বলা যায়, এ হতাশা সৃষ্টির জন্য দায়ী মূলত দলটির মূল নেতৃত্ব। দলে নীতিনির্ধারণী কমিটি, সহ-সভাপতিমণ্ডলী, একপাল উপদেষ্টামণ্ডলী এবং সম্পাদকমণ্ডলীসহ প্রায় ৩০০ জনের নির্বাহী কমিটির এক বিশাল বহর থাকলেও বলা হয় সব নামকাওয়াস্তে। দলের নীতিনির্ধারণ, কর্মসূচি প্রণয়ন এবং দল পরিচালনায় এদের কোনো ভূমিকাই চোখে পড়ে না। সমালোচকরা বলেন, বিএনপি এখন একটা 'করপোরেট হাউসে' পরিণত হয়েছে। এর মালিক 'জিয়া পরিবারের' নামে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান। অন্যরা সব তাদের স্টাফ অফিসারের মতো। যতক্ষণ মালিকের সন্তুষ্টি অনুযায়ী কাজ করতে পারেন তো চাকরিটা থাকে, নতুবা বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুতি। এই স্টাফ অফিসারদের মধ্যে আবার 'ইওর অবিডিয়েন্ট সার্ভেন্ট' জাতীয় কিছু ব্যক্তি আছে 'হাউসের' মালিকদের অতি বিশ্বস্ত। নিম্নমান ও নিম্নস্তরের লোকগুলোই আবার বড় বড় পদাধিকারী- যেমন স্থায়ী কমিটির সদস্য, সহ-সভাপতি, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এবং অঙ্গদলের নেতাদের ওপর ছড়ি ঘোরায়। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান অফিস ঘুরে আসা লোকজনের বর্ণনায় স্পষ্ট হয় ওইসব কর্মচারীদের দৌরাত্দ্য।

খালেদা জিয়া ১৯৮৩ সালে যখন দলের নেতৃত্বে আসেন পরিস্থিতিটা তখন এমন ছিল না। দলে অনেক প্রবীণ ও অভিজ্ঞ নেতা ছিলেন। ছিলেন মির্জা গোলাম হাফিজ, অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী, জেনারেল মাজেদুল হক, শেখ রাজ্জাক আলী, কর্নেল (অব.) মুস্তাফিজুর রহমান, কে এম ওবায়েদুর রহমান, ব্যারিস্টার আবদুস সালাম তালুকদার, আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার মতো প্রবীণ ও অভিজ্ঞজনরা। খালেদা জিয়া দলে ছিলেন নবাগত। তারেক রহমান তখন 'মাটির সঙ্গে' কথা বলতেন। খালেদা জিয়া সিনিয়রদের কথা শুনতেন, পরামর্শ মানতেন। বেশ কজন ছিলেন খালেদা জিয়াকে প্রয়োজনে কোনো বিষয়ে 'না' বলতে পারতেন। ফলে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করে সরকার গঠনে সক্ষম হয়েছিল বিএনপি। খালেদা জিয়ার ১৯৯১-৯৬ সালের প্রথম সরকারের সাফল্য যেমন ছিল, দুর্নামও হয়েছিল কম। আবদুল মান্নান ভূঁইয়া যখন দলের মহাসচিব হন, তখন তারেক রহমান বেশ 'ডাঙর'। দলীয় রাজনীতিতে হাত-পা ছুড়তে শুরু করেছেন। অনেক প্রতিকূলতাকে ডিঙিয়ে শেখ হাসিনার ১৯৯৬-২০০১ সালের সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির 'ডিঙিকে' বেগম জিয়ার সাহসী নেতৃত্বে অনেকটা নিরাপদে কূলে ভিড়ানোর অন্যতম দক্ষ নাবিকের পরিচয় দিয়েছিলেন মান্নান ভূঁইয়া। তখন দলের ভিতর সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী গংয়ের নেতৃত্বে তথাকথিত এক কট্টরপন্থি গ্রুপের উদ্ভব হয়েছিল। তারা তখনো ২০১৫ সালের জানুয়ারি-মার্চ তিন মাসের হঠকারী আন্দোলনের মতো 'বিপ্লব' করতে চেয়েছিলেন। মান্নান ভূঁইয়া দলের প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্রীদের সহায়তায় (বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধা নেতা-কর্মীদের) তা প্রতিহত করার কাজে বেগম জিয়াকে যথার্থ সহযোগিতা করেছিলেন। মান্নান ভূঁইয়াকে বলা হয়েছিল উদারপন্থি, আপসকামী, সরকারের দালাল এমনকি ভারতের দালাল। দৈনিক ইনকিলাবের পাতা ভর্তি করে তখন 'বিপ্লবের' তত্ত্ব দিতেন কয়েকজন 'হঠাৎ-জাতীয়তাবাদী' বিদ্যান। ওই চক্রটির গুলশান অফিসের ক্ষমতাধর কর্মচারীদের ওপর অনেক প্রভাব রয়েছে বলে শোনা যায়। ২০১৫ সালের জানুয়ারি-মার্চ হঠকারিতার পেছনে তাদের কুবুদ্ধিও বেশ কাজ করেছে বলে অনেকে মনে করেন।

বিএনপির দুর্বলতা ঠিকই চিহ্নিত করতে পেরেছে সরকারি দল। সরকারের কাছে তথ্য পাচারের অভিযোগও আছে কারও কারও বিরুদ্ধে। সরকার তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কঠোরভাবে মোকাবিলা করে নির্বাচন করে নিয়েছে। নির্বাচন প্রতিহত করার নামে যে আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া, জনগণ তো বটেই, তার দলের লোকজনও তাতে সাড়া দেয়নি। অথচ এই কর্মী-সমর্থক-শুভানুধ্যায়ী এবং জনগণ এরশাদবিরোধী তীব্র আন্দোলনে খালেদা জিয়া এবং বিএনপির সঙ্গে ছিল, শেখ হাসিনার প্রথম সরকারের (১৯৯৬-২০০১) আমলে আন্দোলনেও ছিল; কিন্তু এবার তিনবার তিনি ডাকলেন- একবার হেফাজতের সমর্থনে মাঠে নামতে বললেন, দ্বিতীয়বার 'মার্চ ফর ডেমোক্রেসি'তে অংশ নিতে ডাকলেন এবং শেষবার ৫ জানুয়ারি ২০১৫ আবার মহাসমাবেশ ডাকলেন; কেউ সাড়া দিল না। কেন দিল না? জবাবটা বেশ কর্কশই হবে। জনগণ কেন নামবে? জনগণের স্বার্থ কী? এর আগে বিএনপি যত আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়েছে সবই খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের ব্যক্তিগত বিষয়-আশয় নিয়ে দিয়েছে। শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট, বিদ্যুৎ-পানির সংকট, কৃষক-শ্রমিকের দুঃখ- কত ইস্যু এলো গেল, ওসব নিয়ে বিএনপি কোনো আন্দোলন করেনি। আন্দোলন করেছে একদম ব্যক্তিগত বিষয়াদি নিয়ে, যার সঙ্গে রাজনীতি-আদর্শ-দলীয় স্বার্থ এবং জনগণের কোনো স্বার্থ ছিল না। আবেগতাড়িত হয়ে যারা সাড়া দিয়েছিল তারা নানা দুর্ভোগ সহ্য করেছে; কিন্তু তাদের কোনো খবরও রাখেনি দল। কর্মী-সমর্থকরা মাঠে নেমেছে, 'নেতারা' নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়েছেন। পরবর্তীকালের তিন আন্দোলন কর্মসূচিতেও 'নেতা' তকমাধারীদের কাউকে মাঠে দেখা যায়নি। ফলে কর্মী-সমর্থক-জনতাও আগের মতো আর ঝুঁকি নিয়ে মাঠে নামেনি। স্রেফ গদি দখলের এ লড়াইকে আর দলের লোকরাও সমর্থন করছে না। রাজনীতিহীন, আদর্শহীন এবং জনগণের স্বার্থহীন এমন গদি দখলের লড়াইয়ে জনগণের সম্পৃক্ত না হওয়ার কারণও আছে। শহীদ জিয়াউর রহমান একটি সুনির্দিষ্ট আদর্শ ও দর্শনের ভিত্তিতে বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলটি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক একটি আত্দনির্ভর আধুনিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ ছিল তার স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন থেকে বিএনপি এখন অনেক দূরে সরে গেছে। 'ঐতিহাসিক মুক্তি সংগ্রামের সোনালি ফসল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আমাদের পবিত্র আমানত ও অলঙ্ঘনীয় অধিকার। প্রাণের চেয়ে প্রিয় মাতৃভূমির এই স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সুদৃঢ় ও সুরক্ষিত করে রাখাই হচ্ছে আমাদের কালের প্রথম ও প্রধান দাবি'- দলের ঘোষণাপত্রের শুরুর এই যুগান্তকারী ঘোষণার প্রতি বর্তমান বিএনপি অটল আছে বলে মনে হয় না। তারা এখন বিচ্যুত এই অবস্থান থেকে। ঐতিহাসিক মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা করা হবে সেই মুক্তিসংগ্রামের প্রত্যক্ষ বিরোধিতাকারী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীকে সঙ্গে নিয়ে? হেফাজতে ইসলামীর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে অর্জিত হবে এই মহান লক্ষ্য? যারা অন্তর দিয়ে বিএনপি করেন, তারা জামায়াত-হেফাজতপ্রীতির এ সর্বনাশা নীতি সমর্থন করে না বলেই এখন আর আগের মতো নেত্রী ডাক দিলেই সব কিছুতে সায় দেয় না। শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নে সব ধরনের আধিপত্যবাদী আগ্রাসনের আশঙ্কা সম্পর্কে সতর্ক ছিলেন; কিন্তু তার ভারতনীতি ছিল খুবই মার্জিত ও যুক্তিনির্ভর। খালেদা জিয়া জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে গাঁটছাড়া বাঁধার পর এমন এক ভারতনীতি অনুসরণ করছিলেন যা ছিল অযৌক্তিক, অনেকটা সাংঘর্ষিক এবং দল ও দেশের জন্য ক্ষতিকর। (সম্প্রতি তিনি তার সে অবস্থান থেকে সরে এসেছেন বলে প্রমাণ করতে চাচ্ছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠক করে বিজয়ীর হাসি হাসছেন, সে দেশের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে প্রাণনাশের হুমকিতে সাক্ষাৎ করতে পারেননি বলে কৈফিয়ৎ দিচ্ছেন) দলের রাজনীতি ও আদর্শসচেতন ব্যক্তিবর্গ দলের আগের অবস্থান সমর্থন করেনি। অপরদিকে এদের আশঙ্কা, সরকারবিরোধী আন্দোলন করে যদি বিএনপিকে আবার ক্ষমতায় নেওয়া যায় তাহলে কাদের নিয়ে সরকার গঠিত হবে? প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, খালেদা জিয়া নাকি তারেক রহমান? খালেদা জিয়ার ব্যাপারে সবাই সম্মত হলেও তারেক রহমানের ব্যাপারে মানুষের সংশয় কাটেনি। মন্ত্রী হবেন কারা? আগে যারা ছিলেন তারা, বা তাবিথ আউয়ালের মতো ব্যক্তিরা- বসন্তের কোকিলরা? ভেবে অাঁতকে ওঠেন অনেকে। এরাই তো ডুবিয়েছে দলকে, সরকারকে। এদের বিরুদ্ধে নিখিল বাংলাদেশ লুটপাট সমিতি গড়ার যে অভিযোগ আছে, তা তো তারা খণ্ডন করতে পারেননি। ওয়ান-ইলেভেনের পর দুর্নীতির দায়ে যারা জেল খেটেছেন তা কি খামাখা? দলের লোকজনই তা 'খামাখা' মনে করে না। প্রায় নিঃস্ব মানুষগুলোর এত সম্পদ, বিত্তবৈভব মাত্র ক'বছরে হলো কী করে? কার বাবার কী ছিল তা তো মানুষ জানে। এরাই যদি আবার মন্ত্রী, মিনিস্টার, এমপি, অ্যাম্বাসেডর হন তো এবার আরও ভয়ঙ্কর ব্যাপার হবে। আন্দোলনের ডাকে সাড়া না মেলার পেছনে এসবই কারণ বলে মনে করেন পর্যবেক্ষকরা।

রেকর্ডের আরেকটি পিঠও আছে। দেশে বর্তমানে যে শাসন চলছে তাও মানুষ পছন্দ করছে না। বাংলাদেশের মানুষ সর্বদাই স্বাধীনচেতা ও গণতন্ত্রপ্রিয়। মানুষ এখন তা ভোগ করতে পারছে না। শক্তিশালী একটি বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে সরকার অনেক স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তেলে মাথায় তেল ঢালা হচ্ছে। গরিবের কষ্ট বাড়ছে। বাড়ছে ধনী-গরিবের অর্থনৈতিক বৈষম্য। প্রতিপক্ষের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করছে প্রতিপক্ষের কাছে তাদের প্রতিহত করার শক্তি নেই বলে। নির্বাচন ছাড়াই এক ধরনের 'সমঝোতার গণতন্ত্রের' অদ্ভুত ধারণার প্রচলন করেছে তারা। এ অবস্থা থেকে মানুষ পরিত্রাণ চায়। জনগণ গণতন্ত্র, সুশাসন চায়, নিজের ভোটে নিজের সরকার গঠন করতে চায়, আইনের শাসন, অর্থনৈতিক-ব্যবসায়িক স্বাধীনতা চায়, সম্পদের সুরক্ষা চায়, যা এখন অনুপস্থিতই বলা চলে। শত সমালোচনার পরও এ জন্য মানুষ নির্ভর করতে চায় বিএনপির ওপর। আমাদের দেশের বর্তমান দ্বিদলীয় ব্যবস্থায় বিএনপির কাছে ঠকে মানুষ আওয়ামী লীগের কাছে আশ্রয় খোঁজে, আবার আওয়ামী লীগের দ্বারা প্রতারিত হয়ে বিএনপির কাছে প্রতিকার চায়। যেহেতু তৃতীয় কোনো 'ত্রাতা' শক্তি রাজনৈতিক পাল্টা পক্ষ হিসেবে দেশে এখনো আবির্ভূত হয়নি, তাই এবার বিএনপিরই পালা। হয় তারা পারবে, নতুবা ইতিহাসের অাঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।

পারতে হলে তাদের মনোযোগী হতে হবে রাজনীতির প্রতি, সংগঠনের প্রতি এবং সময়োপযোগী কর্মসূচির প্রতি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠাই হওয়া উচিত মূল রাজনীতি। জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয় বিবেচনা করতে হবে দ্রুত। দলে গণতন্ত্রের চর্চা করতে হবে। দল পুনর্গঠনের যে হাঁকডাক দেওয়া হচ্ছে, সে কাজে হাত দেওয়ার আগে মনে রাখতে হবে, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমাননির্ভর চিন্তাভাবনা থেকে আপাতত সরে আসতে হবে দলটিকে। খালেদা জিয়া আর আগের মতো শক্ত-সামর্থ্যবান নন। শোনা যায়, তিনি অসুস্থ। বয়সও হচ্ছে। সবচেয়ে বড় আশঙ্কা, সরকার তাকে নির্বাচনে অযোগ্য করার পথ খুঁজছে বলে মনে হয়। জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় যদি তাকে জেলে যেতে হয়, তিনি না পারবেন দলের নেতৃত্ব দিতে, না পারবেন নির্বাচন করতে। তারেক রহমান বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে দেশে আসতে পারছেন না। ঝুঁকি নিয়ে আসার সাহসও নেই তার। বিএনপি ছাড়া অন্য কেউ ক্ষমতায় এলেও তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারবেন বলে মনে হয় না। বিলাতে বসে তিনি বাংলাদেশের বিএনপির নেতৃত্ব দিতে পারবেন না। এটা সম্ভব নয়। যেসব পদাধিকারী এবং অফিস কর্মচারীর ওপর তৃণমূলের ক্ষোভ, অবিশ্বাস, তাদের বাদ দিয়ে সৎ, আদর্শবাদী ও সাহসী তরুণদের ওপর নির্ভর করার চিন্তা করতে হবে। সৎ, অভিজ্ঞ ও প্রবীণ ক্যারিয়ার রাজনীতিবিদদের অবহেলা, অবজ্ঞা না করে তাদের মূল্য দিতে হবে, দল থেকে কাউকে বের করে দেওয়া নয়, নানা কারণে যেসব নেতা-কর্মী দলের বাইরে আছেন, তাদের সসম্মানে দলে ফেরত আনতে হবে। দলের নীতিনির্ধারণ ও অন্যান্য নেতৃত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞদের মূল্য দিতে হবে, বি. চৌধুরী, কর্নেল (অব.) অলিদের ফিরিয়ে আনার কথা ভাবতে হবে, নবীন-প্রবীণের সমন্বয় ঘটিয়ে দলে গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা অনুসরণ করতে হবে। বেশি গুরুত্ব দিতে হবে যৌথ নেতৃত্বের ওপর। খালেদা জিয়া দেশে থেকেও নানা কারণে যদি সরাসরি নেতৃত্ব দিতে না পারেন এবং তারেক রহমান যদি দেশে আসতে না পারেন বা না আসেন, তাহলে দল চলবে কী করে? বিএনপি কি এ জন্য প্রস্তুত? তেমন পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যৌথ নেতৃত্বই বিএনপিকে রক্ষা করতে পারে। মুরবি্বদের তত্ত্বাবধানে তারেক রহমানের মেধাবী স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা যেতে পারে তেমন একটি যৌথ নেতৃত্ব কাঠামো। শক্তিমান, সামর্থ্যবান একটি বিএনপিই আওয়ামী লীগের বিকল্প হতে পারে- যে বিএনপি হবে প্রকৃত জাতীয়তাবাদী দল, 'জামায়াতিয়তাবাদী' দল নয়।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।

ই-মেইল :  [email protected]

 

এই বিভাগের আরও খবর
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
সর্বশেষ খবর
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের
ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু
খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর
ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের
তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি
ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের হামলা
তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের হামলা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পৃথিবীতে প্রাণের উৎস কী সত্যিই এসেছে এই অঞ্চল থেকে?
পৃথিবীতে প্রাণের উৎস কী সত্যিই এসেছে এই অঞ্চল থেকে?

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

নন্দনগাছীতে দুই মিনিট থামবে ঈশ্বরদী কমিউটার ট্রেন
নন্দনগাছীতে দুই মিনিট থামবে ঈশ্বরদী কমিউটার ট্রেন

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পার্বতীপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু
পার্বতীপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ
বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাসিরনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
নাসিরনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্পেশাল টিম: ডা. সায়েদুর
করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্পেশাল টিম: ডা. সায়েদুর

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডাকসু নির্বাচনের ১০ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ
ডাকসু নির্বাচনের ১০ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংবাদপত্রের ওপর কালোছায়া নেমে আসে’
‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংবাদপত্রের ওপর কালোছায়া নেমে আসে’

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঢাবি ভর্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা পেল দুই শিক্ষার্থী
ঢাবি ভর্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা পেল দুই শিক্ষার্থী

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫
২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫

৭ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ
সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১
মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা
উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা
নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’
‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর
ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন
ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু
‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক

২০ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা
সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান
নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত
ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’
‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড
ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার
তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা
দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা
ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা
নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান
আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত
ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি
ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী
১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত
ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত
ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এটিএম বুথের ভেতরে কারখানা শ্রমিককে ধর্ষণ
এটিএম বুথের ভেতরে কারখানা শ্রমিককে ধর্ষণ

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস
ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত
রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত

প্রথম পৃষ্ঠা

দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা
দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিমা খাতে আসছে নতুন আইন
বিমা খাতে আসছে নতুন আইন

শিল্প বাণিজ্য

সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ
সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার
মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি
সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি
স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

নামেই জীবন নামেই মরণ
নামেই জীবন নামেই মরণ

সম্পাদকীয়

নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি
নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি

নগর জীবন

চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি
চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা
ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা

পেছনের পৃষ্ঠা

নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ
নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ

খবর

পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ
পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা
লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়
ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি
যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি

শিল্প বাণিজ্য

ব্র্যান্ড দূষণ বাড়াচ্ছে ৪০ শতাংশ ফ্যাশন
ব্র্যান্ড দূষণ বাড়াচ্ছে ৪০ শতাংশ ফ্যাশন

শিল্প বাণিজ্য

হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী
হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী

পেছনের পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি
গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ
সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ
বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়
গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু
শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু

নগর জীবন

বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান
বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান
সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

পেছনের পৃষ্ঠা

সহসাই থামছে না ইরান ইসরায়েল সংঘাত
সহসাই থামছে না ইরান ইসরায়েল সংঘাত

পূর্ব-পশ্চিম

গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ
গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশের উন্নয়নে চাই মালয়েশিয়া মডেল
দেশের উন্নয়নে চাই মালয়েশিয়া মডেল

সম্পাদকীয়