শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১২ জুলাই, ২০১৫

খালেদা-তারেক ছাড়া কি বিএনপি চলতে প্রস্তুত?

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
খালেদা-তারেক ছাড়া কি বিএনপি চলতে প্রস্তুত?

৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট করে বলেছেন, পেট্রলবোমা মেরে মানুষ হত্যার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার দলের নেতা-কর্মীদের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার হবে। ঘোষণা কার্যকর হলে এর পরিণতি বেগম জিয়ার জন্য কী ভয়াবহ হতে পারে তা সহজেই অনুমান করা যায়। প্রকৃত অর্থেই বিএনপি একটি সংকটকাল অতিক্রম করছে। এ বছরের জানুয়ারি-মার্চ তিন মাসের আন্দোলন হঠকারী পথে বাঁক নিয়ে সম্পূর্ণ ব্যর্থ না হলে দলটি আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে পারত। লীগ সরকার কঠোর পন্থায়, ক্ষেত্রবিশেষে নিষ্ঠুরভাবে মোকাবিলা করে সে আন্দোলন গুঁড়িয়ে দিয়েছে। যে কোনো রাজনৈতিক দলে এমন পরিস্থিতিতে দলীয়ভাবে আলোচনা-পর্যলোচনা করা হয়, ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধান করা হয়। বিএনপিতে তেমন কিছু হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। বহুদিন পর ৭ জুলাই রাতে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে পার্টি চেয়ারপারসনের মাত্র ঘণ্টা দুয়েকের যে সভাটি অনুষ্ঠিত হয় তার যে বিবরণ বাংলাদেশ প্রতিদিনে ৮ জুলাই ছাপা হয়েছে তাতে বোঝা যায়, দলটি তাদের এতদিনের অনুসৃত পথ ধরেই চলবে। সমালোচকদের জবাবে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, তারা কোনো ভুল করেননি। 'দল শহীদ জিয়ার পথ ধরে চলছে না বা এই বিএনপি দিয়ে হবে না, জিয়ার বিএনপি লাগবে কিছু করতে হলে'- দলের যেসব প্রবীণ নেতা এমন সব কথা বলেছেন এবং সর্বস্তরের নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীরাও যে কারণে হতাশ হয়ে পড়েছেন, তাদের ধমকে দিয়ে সর্বত্র 'প্রতিরোধের' ভয় দেখানো হয়েছে সে সভায়। সরকারের বিরুদ্ধে মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণের অভিযোগ করে দলের অভ্যন্তরে সত্যভাষীর কণ্ঠরোধ বিস্ময়করই বটে! সমালোচনা ও আত্দসমালোচনা একটি দলকে প্রাণবন্ত ও উজ্জীবিত রাখে। যে দলে নানা বিষয়ে মতাদর্শগত লড়াই নেই, সেই দল স্রোতহীন একটি মরা নদীর মতো। সব ভিন্নমত বা সমালোচনা গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে কিন্তু মত প্রকাশের স্বাধীনতা রাষ্ট্রে যেমন, একটি দলেও তেমন বিদ্যমান থাকা জরুরি। এটা গণতন্ত্রের শর্ত। কারও মতের সঙ্গে দ্বিমত হলেই তাকে দল থেকে বেরিয়ে যেতে বলা বা প্রচ্ছন্নভাবে শায়েস্তা করার হুমকি স্বেচ্ছাচারিতা, স্বৈরমানসিকতারই প্রকাশ। নেতা বা নেত্রীর এ ধরনের মানসিকতার সুযোগ নেয় কিছু অযোগ্য, অথর্ব ও স্বার্থবাজ চাটুকার, তাতে দলের সামগ্রিক কোনো লাভ হয় না, বরং অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। বিএনপির ক্ষতি অনেক হয়েছে।

সংসদে না থাকলেও দেশে-বিদেশে সবাই স্বীকার করেন যে, এখন বিএনপিই হচ্ছে বাংলাদেশে সরকারবিরোধী প্রধান রাজনৈতিক দল। এ দলটির কাছ থেকে জনগণের প্রত্যাশা অনেক। কিন্তু জনগণের সে প্রত্যাশা পূরণে বারবার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে দলটি। ফলে দলের নিষ্ঠাবান কর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের মধ্যে দিন দিন হতাশা বাড়ছে। নির্দ্বিধায় বলা যায়, এ হতাশা সৃষ্টির জন্য দায়ী মূলত দলটির মূল নেতৃত্ব। দলে নীতিনির্ধারণী কমিটি, সহ-সভাপতিমণ্ডলী, একপাল উপদেষ্টামণ্ডলী এবং সম্পাদকমণ্ডলীসহ প্রায় ৩০০ জনের নির্বাহী কমিটির এক বিশাল বহর থাকলেও বলা হয় সব নামকাওয়াস্তে। দলের নীতিনির্ধারণ, কর্মসূচি প্রণয়ন এবং দল পরিচালনায় এদের কোনো ভূমিকাই চোখে পড়ে না। সমালোচকরা বলেন, বিএনপি এখন একটা 'করপোরেট হাউসে' পরিণত হয়েছে। এর মালিক 'জিয়া পরিবারের' নামে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান। অন্যরা সব তাদের স্টাফ অফিসারের মতো। যতক্ষণ মালিকের সন্তুষ্টি অনুযায়ী কাজ করতে পারেন তো চাকরিটা থাকে, নতুবা বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুতি। এই স্টাফ অফিসারদের মধ্যে আবার 'ইওর অবিডিয়েন্ট সার্ভেন্ট' জাতীয় কিছু ব্যক্তি আছে 'হাউসের' মালিকদের অতি বিশ্বস্ত। নিম্নমান ও নিম্নস্তরের লোকগুলোই আবার বড় বড় পদাধিকারী- যেমন স্থায়ী কমিটির সদস্য, সহ-সভাপতি, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এবং অঙ্গদলের নেতাদের ওপর ছড়ি ঘোরায়। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান অফিস ঘুরে আসা লোকজনের বর্ণনায় স্পষ্ট হয় ওইসব কর্মচারীদের দৌরাত্দ্য।

খালেদা জিয়া ১৯৮৩ সালে যখন দলের নেতৃত্বে আসেন পরিস্থিতিটা তখন এমন ছিল না। দলে অনেক প্রবীণ ও অভিজ্ঞ নেতা ছিলেন। ছিলেন মির্জা গোলাম হাফিজ, অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী, জেনারেল মাজেদুল হক, শেখ রাজ্জাক আলী, কর্নেল (অব.) মুস্তাফিজুর রহমান, কে এম ওবায়েদুর রহমান, ব্যারিস্টার আবদুস সালাম তালুকদার, আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার মতো প্রবীণ ও অভিজ্ঞজনরা। খালেদা জিয়া দলে ছিলেন নবাগত। তারেক রহমান তখন 'মাটির সঙ্গে' কথা বলতেন। খালেদা জিয়া সিনিয়রদের কথা শুনতেন, পরামর্শ মানতেন। বেশ কজন ছিলেন খালেদা জিয়াকে প্রয়োজনে কোনো বিষয়ে 'না' বলতে পারতেন। ফলে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করে সরকার গঠনে সক্ষম হয়েছিল বিএনপি। খালেদা জিয়ার ১৯৯১-৯৬ সালের প্রথম সরকারের সাফল্য যেমন ছিল, দুর্নামও হয়েছিল কম। আবদুল মান্নান ভূঁইয়া যখন দলের মহাসচিব হন, তখন তারেক রহমান বেশ 'ডাঙর'। দলীয় রাজনীতিতে হাত-পা ছুড়তে শুরু করেছেন। অনেক প্রতিকূলতাকে ডিঙিয়ে শেখ হাসিনার ১৯৯৬-২০০১ সালের সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির 'ডিঙিকে' বেগম জিয়ার সাহসী নেতৃত্বে অনেকটা নিরাপদে কূলে ভিড়ানোর অন্যতম দক্ষ নাবিকের পরিচয় দিয়েছিলেন মান্নান ভূঁইয়া। তখন দলের ভিতর সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী গংয়ের নেতৃত্বে তথাকথিত এক কট্টরপন্থি গ্রুপের উদ্ভব হয়েছিল। তারা তখনো ২০১৫ সালের জানুয়ারি-মার্চ তিন মাসের হঠকারী আন্দোলনের মতো 'বিপ্লব' করতে চেয়েছিলেন। মান্নান ভূঁইয়া দলের প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্রীদের সহায়তায় (বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধা নেতা-কর্মীদের) তা প্রতিহত করার কাজে বেগম জিয়াকে যথার্থ সহযোগিতা করেছিলেন। মান্নান ভূঁইয়াকে বলা হয়েছিল উদারপন্থি, আপসকামী, সরকারের দালাল এমনকি ভারতের দালাল। দৈনিক ইনকিলাবের পাতা ভর্তি করে তখন 'বিপ্লবের' তত্ত্ব দিতেন কয়েকজন 'হঠাৎ-জাতীয়তাবাদী' বিদ্যান। ওই চক্রটির গুলশান অফিসের ক্ষমতাধর কর্মচারীদের ওপর অনেক প্রভাব রয়েছে বলে শোনা যায়। ২০১৫ সালের জানুয়ারি-মার্চ হঠকারিতার পেছনে তাদের কুবুদ্ধিও বেশ কাজ করেছে বলে অনেকে মনে করেন।

বিএনপির দুর্বলতা ঠিকই চিহ্নিত করতে পেরেছে সরকারি দল। সরকারের কাছে তথ্য পাচারের অভিযোগও আছে কারও কারও বিরুদ্ধে। সরকার তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কঠোরভাবে মোকাবিলা করে নির্বাচন করে নিয়েছে। নির্বাচন প্রতিহত করার নামে যে আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া, জনগণ তো বটেই, তার দলের লোকজনও তাতে সাড়া দেয়নি। অথচ এই কর্মী-সমর্থক-শুভানুধ্যায়ী এবং জনগণ এরশাদবিরোধী তীব্র আন্দোলনে খালেদা জিয়া এবং বিএনপির সঙ্গে ছিল, শেখ হাসিনার প্রথম সরকারের (১৯৯৬-২০০১) আমলে আন্দোলনেও ছিল; কিন্তু এবার তিনবার তিনি ডাকলেন- একবার হেফাজতের সমর্থনে মাঠে নামতে বললেন, দ্বিতীয়বার 'মার্চ ফর ডেমোক্রেসি'তে অংশ নিতে ডাকলেন এবং শেষবার ৫ জানুয়ারি ২০১৫ আবার মহাসমাবেশ ডাকলেন; কেউ সাড়া দিল না। কেন দিল না? জবাবটা বেশ কর্কশই হবে। জনগণ কেন নামবে? জনগণের স্বার্থ কী? এর আগে বিএনপি যত আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়েছে সবই খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের ব্যক্তিগত বিষয়-আশয় নিয়ে দিয়েছে। শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট, বিদ্যুৎ-পানির সংকট, কৃষক-শ্রমিকের দুঃখ- কত ইস্যু এলো গেল, ওসব নিয়ে বিএনপি কোনো আন্দোলন করেনি। আন্দোলন করেছে একদম ব্যক্তিগত বিষয়াদি নিয়ে, যার সঙ্গে রাজনীতি-আদর্শ-দলীয় স্বার্থ এবং জনগণের কোনো স্বার্থ ছিল না। আবেগতাড়িত হয়ে যারা সাড়া দিয়েছিল তারা নানা দুর্ভোগ সহ্য করেছে; কিন্তু তাদের কোনো খবরও রাখেনি দল। কর্মী-সমর্থকরা মাঠে নেমেছে, 'নেতারা' নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়েছেন। পরবর্তীকালের তিন আন্দোলন কর্মসূচিতেও 'নেতা' তকমাধারীদের কাউকে মাঠে দেখা যায়নি। ফলে কর্মী-সমর্থক-জনতাও আগের মতো আর ঝুঁকি নিয়ে মাঠে নামেনি। স্রেফ গদি দখলের এ লড়াইকে আর দলের লোকরাও সমর্থন করছে না। রাজনীতিহীন, আদর্শহীন এবং জনগণের স্বার্থহীন এমন গদি দখলের লড়াইয়ে জনগণের সম্পৃক্ত না হওয়ার কারণও আছে। শহীদ জিয়াউর রহমান একটি সুনির্দিষ্ট আদর্শ ও দর্শনের ভিত্তিতে বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলটি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক একটি আত্দনির্ভর আধুনিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ ছিল তার স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন থেকে বিএনপি এখন অনেক দূরে সরে গেছে। 'ঐতিহাসিক মুক্তি সংগ্রামের সোনালি ফসল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আমাদের পবিত্র আমানত ও অলঙ্ঘনীয় অধিকার। প্রাণের চেয়ে প্রিয় মাতৃভূমির এই স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সুদৃঢ় ও সুরক্ষিত করে রাখাই হচ্ছে আমাদের কালের প্রথম ও প্রধান দাবি'- দলের ঘোষণাপত্রের শুরুর এই যুগান্তকারী ঘোষণার প্রতি বর্তমান বিএনপি অটল আছে বলে মনে হয় না। তারা এখন বিচ্যুত এই অবস্থান থেকে। ঐতিহাসিক মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা করা হবে সেই মুক্তিসংগ্রামের প্রত্যক্ষ বিরোধিতাকারী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীকে সঙ্গে নিয়ে? হেফাজতে ইসলামীর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে অর্জিত হবে এই মহান লক্ষ্য? যারা অন্তর দিয়ে বিএনপি করেন, তারা জামায়াত-হেফাজতপ্রীতির এ সর্বনাশা নীতি সমর্থন করে না বলেই এখন আর আগের মতো নেত্রী ডাক দিলেই সব কিছুতে সায় দেয় না। শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নে সব ধরনের আধিপত্যবাদী আগ্রাসনের আশঙ্কা সম্পর্কে সতর্ক ছিলেন; কিন্তু তার ভারতনীতি ছিল খুবই মার্জিত ও যুক্তিনির্ভর। খালেদা জিয়া জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে গাঁটছাড়া বাঁধার পর এমন এক ভারতনীতি অনুসরণ করছিলেন যা ছিল অযৌক্তিক, অনেকটা সাংঘর্ষিক এবং দল ও দেশের জন্য ক্ষতিকর। (সম্প্রতি তিনি তার সে অবস্থান থেকে সরে এসেছেন বলে প্রমাণ করতে চাচ্ছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠক করে বিজয়ীর হাসি হাসছেন, সে দেশের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে প্রাণনাশের হুমকিতে সাক্ষাৎ করতে পারেননি বলে কৈফিয়ৎ দিচ্ছেন) দলের রাজনীতি ও আদর্শসচেতন ব্যক্তিবর্গ দলের আগের অবস্থান সমর্থন করেনি। অপরদিকে এদের আশঙ্কা, সরকারবিরোধী আন্দোলন করে যদি বিএনপিকে আবার ক্ষমতায় নেওয়া যায় তাহলে কাদের নিয়ে সরকার গঠিত হবে? প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, খালেদা জিয়া নাকি তারেক রহমান? খালেদা জিয়ার ব্যাপারে সবাই সম্মত হলেও তারেক রহমানের ব্যাপারে মানুষের সংশয় কাটেনি। মন্ত্রী হবেন কারা? আগে যারা ছিলেন তারা, বা তাবিথ আউয়ালের মতো ব্যক্তিরা- বসন্তের কোকিলরা? ভেবে অাঁতকে ওঠেন অনেকে। এরাই তো ডুবিয়েছে দলকে, সরকারকে। এদের বিরুদ্ধে নিখিল বাংলাদেশ লুটপাট সমিতি গড়ার যে অভিযোগ আছে, তা তো তারা খণ্ডন করতে পারেননি। ওয়ান-ইলেভেনের পর দুর্নীতির দায়ে যারা জেল খেটেছেন তা কি খামাখা? দলের লোকজনই তা 'খামাখা' মনে করে না। প্রায় নিঃস্ব মানুষগুলোর এত সম্পদ, বিত্তবৈভব মাত্র ক'বছরে হলো কী করে? কার বাবার কী ছিল তা তো মানুষ জানে। এরাই যদি আবার মন্ত্রী, মিনিস্টার, এমপি, অ্যাম্বাসেডর হন তো এবার আরও ভয়ঙ্কর ব্যাপার হবে। আন্দোলনের ডাকে সাড়া না মেলার পেছনে এসবই কারণ বলে মনে করেন পর্যবেক্ষকরা।

রেকর্ডের আরেকটি পিঠও আছে। দেশে বর্তমানে যে শাসন চলছে তাও মানুষ পছন্দ করছে না। বাংলাদেশের মানুষ সর্বদাই স্বাধীনচেতা ও গণতন্ত্রপ্রিয়। মানুষ এখন তা ভোগ করতে পারছে না। শক্তিশালী একটি বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে সরকার অনেক স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তেলে মাথায় তেল ঢালা হচ্ছে। গরিবের কষ্ট বাড়ছে। বাড়ছে ধনী-গরিবের অর্থনৈতিক বৈষম্য। প্রতিপক্ষের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করছে প্রতিপক্ষের কাছে তাদের প্রতিহত করার শক্তি নেই বলে। নির্বাচন ছাড়াই এক ধরনের 'সমঝোতার গণতন্ত্রের' অদ্ভুত ধারণার প্রচলন করেছে তারা। এ অবস্থা থেকে মানুষ পরিত্রাণ চায়। জনগণ গণতন্ত্র, সুশাসন চায়, নিজের ভোটে নিজের সরকার গঠন করতে চায়, আইনের শাসন, অর্থনৈতিক-ব্যবসায়িক স্বাধীনতা চায়, সম্পদের সুরক্ষা চায়, যা এখন অনুপস্থিতই বলা চলে। শত সমালোচনার পরও এ জন্য মানুষ নির্ভর করতে চায় বিএনপির ওপর। আমাদের দেশের বর্তমান দ্বিদলীয় ব্যবস্থায় বিএনপির কাছে ঠকে মানুষ আওয়ামী লীগের কাছে আশ্রয় খোঁজে, আবার আওয়ামী লীগের দ্বারা প্রতারিত হয়ে বিএনপির কাছে প্রতিকার চায়। যেহেতু তৃতীয় কোনো 'ত্রাতা' শক্তি রাজনৈতিক পাল্টা পক্ষ হিসেবে দেশে এখনো আবির্ভূত হয়নি, তাই এবার বিএনপিরই পালা। হয় তারা পারবে, নতুবা ইতিহাসের অাঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।

পারতে হলে তাদের মনোযোগী হতে হবে রাজনীতির প্রতি, সংগঠনের প্রতি এবং সময়োপযোগী কর্মসূচির প্রতি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠাই হওয়া উচিত মূল রাজনীতি। জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয় বিবেচনা করতে হবে দ্রুত। দলে গণতন্ত্রের চর্চা করতে হবে। দল পুনর্গঠনের যে হাঁকডাক দেওয়া হচ্ছে, সে কাজে হাত দেওয়ার আগে মনে রাখতে হবে, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমাননির্ভর চিন্তাভাবনা থেকে আপাতত সরে আসতে হবে দলটিকে। খালেদা জিয়া আর আগের মতো শক্ত-সামর্থ্যবান নন। শোনা যায়, তিনি অসুস্থ। বয়সও হচ্ছে। সবচেয়ে বড় আশঙ্কা, সরকার তাকে নির্বাচনে অযোগ্য করার পথ খুঁজছে বলে মনে হয়। জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় যদি তাকে জেলে যেতে হয়, তিনি না পারবেন দলের নেতৃত্ব দিতে, না পারবেন নির্বাচন করতে। তারেক রহমান বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে দেশে আসতে পারছেন না। ঝুঁকি নিয়ে আসার সাহসও নেই তার। বিএনপি ছাড়া অন্য কেউ ক্ষমতায় এলেও তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারবেন বলে মনে হয় না। বিলাতে বসে তিনি বাংলাদেশের বিএনপির নেতৃত্ব দিতে পারবেন না। এটা সম্ভব নয়। যেসব পদাধিকারী এবং অফিস কর্মচারীর ওপর তৃণমূলের ক্ষোভ, অবিশ্বাস, তাদের বাদ দিয়ে সৎ, আদর্শবাদী ও সাহসী তরুণদের ওপর নির্ভর করার চিন্তা করতে হবে। সৎ, অভিজ্ঞ ও প্রবীণ ক্যারিয়ার রাজনীতিবিদদের অবহেলা, অবজ্ঞা না করে তাদের মূল্য দিতে হবে, দল থেকে কাউকে বের করে দেওয়া নয়, নানা কারণে যেসব নেতা-কর্মী দলের বাইরে আছেন, তাদের সসম্মানে দলে ফেরত আনতে হবে। দলের নীতিনির্ধারণ ও অন্যান্য নেতৃত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞদের মূল্য দিতে হবে, বি. চৌধুরী, কর্নেল (অব.) অলিদের ফিরিয়ে আনার কথা ভাবতে হবে, নবীন-প্রবীণের সমন্বয় ঘটিয়ে দলে গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা অনুসরণ করতে হবে। বেশি গুরুত্ব দিতে হবে যৌথ নেতৃত্বের ওপর। খালেদা জিয়া দেশে থেকেও নানা কারণে যদি সরাসরি নেতৃত্ব দিতে না পারেন এবং তারেক রহমান যদি দেশে আসতে না পারেন বা না আসেন, তাহলে দল চলবে কী করে? বিএনপি কি এ জন্য প্রস্তুত? তেমন পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যৌথ নেতৃত্বই বিএনপিকে রক্ষা করতে পারে। মুরবি্বদের তত্ত্বাবধানে তারেক রহমানের মেধাবী স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা যেতে পারে তেমন একটি যৌথ নেতৃত্ব কাঠামো। শক্তিমান, সামর্থ্যবান একটি বিএনপিই আওয়ামী লীগের বিকল্প হতে পারে- যে বিএনপি হবে প্রকৃত জাতীয়তাবাদী দল, 'জামায়াতিয়তাবাদী' দল নয়।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।

ই-মেইল :  [email protected]

 

এই বিভাগের আরও খবর
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
সর্বশেষ খবর
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র
চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত
চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা
সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ
লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা
কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’
‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের
মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের

৬ ঘণ্টা আগে | পরবাস

মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস
লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ
ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা
জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন
টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ
কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক
ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’
‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

১৭ ঘণ্টা আগে | টক শো

মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার
মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন
গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর
মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি
ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ
শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা
বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’
চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত
গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ
রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের
আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী
ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক
স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!
বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?
কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন

নগর জীবন

পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি
প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি

পেছনের পৃষ্ঠা

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির

প্রথম পৃষ্ঠা

২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি
প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি

নগর জীবন

ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে
ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে

নগর জীবন

ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত
ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত

নগর জীবন

নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি
অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি

নগর জীবন

দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ
দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন
বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ
ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির

নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই

নগর জীবন

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে

নগর জীবন

বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮
বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮

নগর জীবন

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা
কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা

নগর জীবন

ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন
ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন

নগর জীবন

ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল
সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল

খবর

১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়
১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়

নগর জীবন

মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত
মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত

খবর

শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের
শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের

খবর