শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১২ জুলাই, ২০১৫

খালেদা-তারেক ছাড়া কি বিএনপি চলতে প্রস্তুত?

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
খালেদা-তারেক ছাড়া কি বিএনপি চলতে প্রস্তুত?

৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট করে বলেছেন, পেট্রলবোমা মেরে মানুষ হত্যার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার দলের নেতা-কর্মীদের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার হবে। ঘোষণা কার্যকর হলে এর পরিণতি বেগম জিয়ার জন্য কী ভয়াবহ হতে পারে তা সহজেই অনুমান করা যায়। প্রকৃত অর্থেই বিএনপি একটি সংকটকাল অতিক্রম করছে। এ বছরের জানুয়ারি-মার্চ তিন মাসের আন্দোলন হঠকারী পথে বাঁক নিয়ে সম্পূর্ণ ব্যর্থ না হলে দলটি আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে পারত। লীগ সরকার কঠোর পন্থায়, ক্ষেত্রবিশেষে নিষ্ঠুরভাবে মোকাবিলা করে সে আন্দোলন গুঁড়িয়ে দিয়েছে। যে কোনো রাজনৈতিক দলে এমন পরিস্থিতিতে দলীয়ভাবে আলোচনা-পর্যলোচনা করা হয়, ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধান করা হয়। বিএনপিতে তেমন কিছু হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। বহুদিন পর ৭ জুলাই রাতে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে পার্টি চেয়ারপারসনের মাত্র ঘণ্টা দুয়েকের যে সভাটি অনুষ্ঠিত হয় তার যে বিবরণ বাংলাদেশ প্রতিদিনে ৮ জুলাই ছাপা হয়েছে তাতে বোঝা যায়, দলটি তাদের এতদিনের অনুসৃত পথ ধরেই চলবে। সমালোচকদের জবাবে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, তারা কোনো ভুল করেননি। 'দল শহীদ জিয়ার পথ ধরে চলছে না বা এই বিএনপি দিয়ে হবে না, জিয়ার বিএনপি লাগবে কিছু করতে হলে'- দলের যেসব প্রবীণ নেতা এমন সব কথা বলেছেন এবং সর্বস্তরের নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীরাও যে কারণে হতাশ হয়ে পড়েছেন, তাদের ধমকে দিয়ে সর্বত্র 'প্রতিরোধের' ভয় দেখানো হয়েছে সে সভায়। সরকারের বিরুদ্ধে মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণের অভিযোগ করে দলের অভ্যন্তরে সত্যভাষীর কণ্ঠরোধ বিস্ময়করই বটে! সমালোচনা ও আত্দসমালোচনা একটি দলকে প্রাণবন্ত ও উজ্জীবিত রাখে। যে দলে নানা বিষয়ে মতাদর্শগত লড়াই নেই, সেই দল স্রোতহীন একটি মরা নদীর মতো। সব ভিন্নমত বা সমালোচনা গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে কিন্তু মত প্রকাশের স্বাধীনতা রাষ্ট্রে যেমন, একটি দলেও তেমন বিদ্যমান থাকা জরুরি। এটা গণতন্ত্রের শর্ত। কারও মতের সঙ্গে দ্বিমত হলেই তাকে দল থেকে বেরিয়ে যেতে বলা বা প্রচ্ছন্নভাবে শায়েস্তা করার হুমকি স্বেচ্ছাচারিতা, স্বৈরমানসিকতারই প্রকাশ। নেতা বা নেত্রীর এ ধরনের মানসিকতার সুযোগ নেয় কিছু অযোগ্য, অথর্ব ও স্বার্থবাজ চাটুকার, তাতে দলের সামগ্রিক কোনো লাভ হয় না, বরং অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। বিএনপির ক্ষতি অনেক হয়েছে।

সংসদে না থাকলেও দেশে-বিদেশে সবাই স্বীকার করেন যে, এখন বিএনপিই হচ্ছে বাংলাদেশে সরকারবিরোধী প্রধান রাজনৈতিক দল। এ দলটির কাছ থেকে জনগণের প্রত্যাশা অনেক। কিন্তু জনগণের সে প্রত্যাশা পূরণে বারবার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে দলটি। ফলে দলের নিষ্ঠাবান কর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের মধ্যে দিন দিন হতাশা বাড়ছে। নির্দ্বিধায় বলা যায়, এ হতাশা সৃষ্টির জন্য দায়ী মূলত দলটির মূল নেতৃত্ব। দলে নীতিনির্ধারণী কমিটি, সহ-সভাপতিমণ্ডলী, একপাল উপদেষ্টামণ্ডলী এবং সম্পাদকমণ্ডলীসহ প্রায় ৩০০ জনের নির্বাহী কমিটির এক বিশাল বহর থাকলেও বলা হয় সব নামকাওয়াস্তে। দলের নীতিনির্ধারণ, কর্মসূচি প্রণয়ন এবং দল পরিচালনায় এদের কোনো ভূমিকাই চোখে পড়ে না। সমালোচকরা বলেন, বিএনপি এখন একটা 'করপোরেট হাউসে' পরিণত হয়েছে। এর মালিক 'জিয়া পরিবারের' নামে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান। অন্যরা সব তাদের স্টাফ অফিসারের মতো। যতক্ষণ মালিকের সন্তুষ্টি অনুযায়ী কাজ করতে পারেন তো চাকরিটা থাকে, নতুবা বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুতি। এই স্টাফ অফিসারদের মধ্যে আবার 'ইওর অবিডিয়েন্ট সার্ভেন্ট' জাতীয় কিছু ব্যক্তি আছে 'হাউসের' মালিকদের অতি বিশ্বস্ত। নিম্নমান ও নিম্নস্তরের লোকগুলোই আবার বড় বড় পদাধিকারী- যেমন স্থায়ী কমিটির সদস্য, সহ-সভাপতি, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এবং অঙ্গদলের নেতাদের ওপর ছড়ি ঘোরায়। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান অফিস ঘুরে আসা লোকজনের বর্ণনায় স্পষ্ট হয় ওইসব কর্মচারীদের দৌরাত্দ্য।

খালেদা জিয়া ১৯৮৩ সালে যখন দলের নেতৃত্বে আসেন পরিস্থিতিটা তখন এমন ছিল না। দলে অনেক প্রবীণ ও অভিজ্ঞ নেতা ছিলেন। ছিলেন মির্জা গোলাম হাফিজ, অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী, জেনারেল মাজেদুল হক, শেখ রাজ্জাক আলী, কর্নেল (অব.) মুস্তাফিজুর রহমান, কে এম ওবায়েদুর রহমান, ব্যারিস্টার আবদুস সালাম তালুকদার, আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার মতো প্রবীণ ও অভিজ্ঞজনরা। খালেদা জিয়া দলে ছিলেন নবাগত। তারেক রহমান তখন 'মাটির সঙ্গে' কথা বলতেন। খালেদা জিয়া সিনিয়রদের কথা শুনতেন, পরামর্শ মানতেন। বেশ কজন ছিলেন খালেদা জিয়াকে প্রয়োজনে কোনো বিষয়ে 'না' বলতে পারতেন। ফলে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করে সরকার গঠনে সক্ষম হয়েছিল বিএনপি। খালেদা জিয়ার ১৯৯১-৯৬ সালের প্রথম সরকারের সাফল্য যেমন ছিল, দুর্নামও হয়েছিল কম। আবদুল মান্নান ভূঁইয়া যখন দলের মহাসচিব হন, তখন তারেক রহমান বেশ 'ডাঙর'। দলীয় রাজনীতিতে হাত-পা ছুড়তে শুরু করেছেন। অনেক প্রতিকূলতাকে ডিঙিয়ে শেখ হাসিনার ১৯৯৬-২০০১ সালের সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির 'ডিঙিকে' বেগম জিয়ার সাহসী নেতৃত্বে অনেকটা নিরাপদে কূলে ভিড়ানোর অন্যতম দক্ষ নাবিকের পরিচয় দিয়েছিলেন মান্নান ভূঁইয়া। তখন দলের ভিতর সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী গংয়ের নেতৃত্বে তথাকথিত এক কট্টরপন্থি গ্রুপের উদ্ভব হয়েছিল। তারা তখনো ২০১৫ সালের জানুয়ারি-মার্চ তিন মাসের হঠকারী আন্দোলনের মতো 'বিপ্লব' করতে চেয়েছিলেন। মান্নান ভূঁইয়া দলের প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্রীদের সহায়তায় (বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধা নেতা-কর্মীদের) তা প্রতিহত করার কাজে বেগম জিয়াকে যথার্থ সহযোগিতা করেছিলেন। মান্নান ভূঁইয়াকে বলা হয়েছিল উদারপন্থি, আপসকামী, সরকারের দালাল এমনকি ভারতের দালাল। দৈনিক ইনকিলাবের পাতা ভর্তি করে তখন 'বিপ্লবের' তত্ত্ব দিতেন কয়েকজন 'হঠাৎ-জাতীয়তাবাদী' বিদ্যান। ওই চক্রটির গুলশান অফিসের ক্ষমতাধর কর্মচারীদের ওপর অনেক প্রভাব রয়েছে বলে শোনা যায়। ২০১৫ সালের জানুয়ারি-মার্চ হঠকারিতার পেছনে তাদের কুবুদ্ধিও বেশ কাজ করেছে বলে অনেকে মনে করেন।

বিএনপির দুর্বলতা ঠিকই চিহ্নিত করতে পেরেছে সরকারি দল। সরকারের কাছে তথ্য পাচারের অভিযোগও আছে কারও কারও বিরুদ্ধে। সরকার তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কঠোরভাবে মোকাবিলা করে নির্বাচন করে নিয়েছে। নির্বাচন প্রতিহত করার নামে যে আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া, জনগণ তো বটেই, তার দলের লোকজনও তাতে সাড়া দেয়নি। অথচ এই কর্মী-সমর্থক-শুভানুধ্যায়ী এবং জনগণ এরশাদবিরোধী তীব্র আন্দোলনে খালেদা জিয়া এবং বিএনপির সঙ্গে ছিল, শেখ হাসিনার প্রথম সরকারের (১৯৯৬-২০০১) আমলে আন্দোলনেও ছিল; কিন্তু এবার তিনবার তিনি ডাকলেন- একবার হেফাজতের সমর্থনে মাঠে নামতে বললেন, দ্বিতীয়বার 'মার্চ ফর ডেমোক্রেসি'তে অংশ নিতে ডাকলেন এবং শেষবার ৫ জানুয়ারি ২০১৫ আবার মহাসমাবেশ ডাকলেন; কেউ সাড়া দিল না। কেন দিল না? জবাবটা বেশ কর্কশই হবে। জনগণ কেন নামবে? জনগণের স্বার্থ কী? এর আগে বিএনপি যত আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়েছে সবই খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের ব্যক্তিগত বিষয়-আশয় নিয়ে দিয়েছে। শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট, বিদ্যুৎ-পানির সংকট, কৃষক-শ্রমিকের দুঃখ- কত ইস্যু এলো গেল, ওসব নিয়ে বিএনপি কোনো আন্দোলন করেনি। আন্দোলন করেছে একদম ব্যক্তিগত বিষয়াদি নিয়ে, যার সঙ্গে রাজনীতি-আদর্শ-দলীয় স্বার্থ এবং জনগণের কোনো স্বার্থ ছিল না। আবেগতাড়িত হয়ে যারা সাড়া দিয়েছিল তারা নানা দুর্ভোগ সহ্য করেছে; কিন্তু তাদের কোনো খবরও রাখেনি দল। কর্মী-সমর্থকরা মাঠে নেমেছে, 'নেতারা' নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়েছেন। পরবর্তীকালের তিন আন্দোলন কর্মসূচিতেও 'নেতা' তকমাধারীদের কাউকে মাঠে দেখা যায়নি। ফলে কর্মী-সমর্থক-জনতাও আগের মতো আর ঝুঁকি নিয়ে মাঠে নামেনি। স্রেফ গদি দখলের এ লড়াইকে আর দলের লোকরাও সমর্থন করছে না। রাজনীতিহীন, আদর্শহীন এবং জনগণের স্বার্থহীন এমন গদি দখলের লড়াইয়ে জনগণের সম্পৃক্ত না হওয়ার কারণও আছে। শহীদ জিয়াউর রহমান একটি সুনির্দিষ্ট আদর্শ ও দর্শনের ভিত্তিতে বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলটি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক একটি আত্দনির্ভর আধুনিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ ছিল তার স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন থেকে বিএনপি এখন অনেক দূরে সরে গেছে। 'ঐতিহাসিক মুক্তি সংগ্রামের সোনালি ফসল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আমাদের পবিত্র আমানত ও অলঙ্ঘনীয় অধিকার। প্রাণের চেয়ে প্রিয় মাতৃভূমির এই স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সুদৃঢ় ও সুরক্ষিত করে রাখাই হচ্ছে আমাদের কালের প্রথম ও প্রধান দাবি'- দলের ঘোষণাপত্রের শুরুর এই যুগান্তকারী ঘোষণার প্রতি বর্তমান বিএনপি অটল আছে বলে মনে হয় না। তারা এখন বিচ্যুত এই অবস্থান থেকে। ঐতিহাসিক মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা করা হবে সেই মুক্তিসংগ্রামের প্রত্যক্ষ বিরোধিতাকারী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীকে সঙ্গে নিয়ে? হেফাজতে ইসলামীর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে অর্জিত হবে এই মহান লক্ষ্য? যারা অন্তর দিয়ে বিএনপি করেন, তারা জামায়াত-হেফাজতপ্রীতির এ সর্বনাশা নীতি সমর্থন করে না বলেই এখন আর আগের মতো নেত্রী ডাক দিলেই সব কিছুতে সায় দেয় না। শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নে সব ধরনের আধিপত্যবাদী আগ্রাসনের আশঙ্কা সম্পর্কে সতর্ক ছিলেন; কিন্তু তার ভারতনীতি ছিল খুবই মার্জিত ও যুক্তিনির্ভর। খালেদা জিয়া জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে গাঁটছাড়া বাঁধার পর এমন এক ভারতনীতি অনুসরণ করছিলেন যা ছিল অযৌক্তিক, অনেকটা সাংঘর্ষিক এবং দল ও দেশের জন্য ক্ষতিকর। (সম্প্রতি তিনি তার সে অবস্থান থেকে সরে এসেছেন বলে প্রমাণ করতে চাচ্ছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠক করে বিজয়ীর হাসি হাসছেন, সে দেশের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে প্রাণনাশের হুমকিতে সাক্ষাৎ করতে পারেননি বলে কৈফিয়ৎ দিচ্ছেন) দলের রাজনীতি ও আদর্শসচেতন ব্যক্তিবর্গ দলের আগের অবস্থান সমর্থন করেনি। অপরদিকে এদের আশঙ্কা, সরকারবিরোধী আন্দোলন করে যদি বিএনপিকে আবার ক্ষমতায় নেওয়া যায় তাহলে কাদের নিয়ে সরকার গঠিত হবে? প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, খালেদা জিয়া নাকি তারেক রহমান? খালেদা জিয়ার ব্যাপারে সবাই সম্মত হলেও তারেক রহমানের ব্যাপারে মানুষের সংশয় কাটেনি। মন্ত্রী হবেন কারা? আগে যারা ছিলেন তারা, বা তাবিথ আউয়ালের মতো ব্যক্তিরা- বসন্তের কোকিলরা? ভেবে অাঁতকে ওঠেন অনেকে। এরাই তো ডুবিয়েছে দলকে, সরকারকে। এদের বিরুদ্ধে নিখিল বাংলাদেশ লুটপাট সমিতি গড়ার যে অভিযোগ আছে, তা তো তারা খণ্ডন করতে পারেননি। ওয়ান-ইলেভেনের পর দুর্নীতির দায়ে যারা জেল খেটেছেন তা কি খামাখা? দলের লোকজনই তা 'খামাখা' মনে করে না। প্রায় নিঃস্ব মানুষগুলোর এত সম্পদ, বিত্তবৈভব মাত্র ক'বছরে হলো কী করে? কার বাবার কী ছিল তা তো মানুষ জানে। এরাই যদি আবার মন্ত্রী, মিনিস্টার, এমপি, অ্যাম্বাসেডর হন তো এবার আরও ভয়ঙ্কর ব্যাপার হবে। আন্দোলনের ডাকে সাড়া না মেলার পেছনে এসবই কারণ বলে মনে করেন পর্যবেক্ষকরা।

রেকর্ডের আরেকটি পিঠও আছে। দেশে বর্তমানে যে শাসন চলছে তাও মানুষ পছন্দ করছে না। বাংলাদেশের মানুষ সর্বদাই স্বাধীনচেতা ও গণতন্ত্রপ্রিয়। মানুষ এখন তা ভোগ করতে পারছে না। শক্তিশালী একটি বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে সরকার অনেক স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তেলে মাথায় তেল ঢালা হচ্ছে। গরিবের কষ্ট বাড়ছে। বাড়ছে ধনী-গরিবের অর্থনৈতিক বৈষম্য। প্রতিপক্ষের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করছে প্রতিপক্ষের কাছে তাদের প্রতিহত করার শক্তি নেই বলে। নির্বাচন ছাড়াই এক ধরনের 'সমঝোতার গণতন্ত্রের' অদ্ভুত ধারণার প্রচলন করেছে তারা। এ অবস্থা থেকে মানুষ পরিত্রাণ চায়। জনগণ গণতন্ত্র, সুশাসন চায়, নিজের ভোটে নিজের সরকার গঠন করতে চায়, আইনের শাসন, অর্থনৈতিক-ব্যবসায়িক স্বাধীনতা চায়, সম্পদের সুরক্ষা চায়, যা এখন অনুপস্থিতই বলা চলে। শত সমালোচনার পরও এ জন্য মানুষ নির্ভর করতে চায় বিএনপির ওপর। আমাদের দেশের বর্তমান দ্বিদলীয় ব্যবস্থায় বিএনপির কাছে ঠকে মানুষ আওয়ামী লীগের কাছে আশ্রয় খোঁজে, আবার আওয়ামী লীগের দ্বারা প্রতারিত হয়ে বিএনপির কাছে প্রতিকার চায়। যেহেতু তৃতীয় কোনো 'ত্রাতা' শক্তি রাজনৈতিক পাল্টা পক্ষ হিসেবে দেশে এখনো আবির্ভূত হয়নি, তাই এবার বিএনপিরই পালা। হয় তারা পারবে, নতুবা ইতিহাসের অাঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।

পারতে হলে তাদের মনোযোগী হতে হবে রাজনীতির প্রতি, সংগঠনের প্রতি এবং সময়োপযোগী কর্মসূচির প্রতি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠাই হওয়া উচিত মূল রাজনীতি। জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয় বিবেচনা করতে হবে দ্রুত। দলে গণতন্ত্রের চর্চা করতে হবে। দল পুনর্গঠনের যে হাঁকডাক দেওয়া হচ্ছে, সে কাজে হাত দেওয়ার আগে মনে রাখতে হবে, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমাননির্ভর চিন্তাভাবনা থেকে আপাতত সরে আসতে হবে দলটিকে। খালেদা জিয়া আর আগের মতো শক্ত-সামর্থ্যবান নন। শোনা যায়, তিনি অসুস্থ। বয়সও হচ্ছে। সবচেয়ে বড় আশঙ্কা, সরকার তাকে নির্বাচনে অযোগ্য করার পথ খুঁজছে বলে মনে হয়। জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় যদি তাকে জেলে যেতে হয়, তিনি না পারবেন দলের নেতৃত্ব দিতে, না পারবেন নির্বাচন করতে। তারেক রহমান বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে দেশে আসতে পারছেন না। ঝুঁকি নিয়ে আসার সাহসও নেই তার। বিএনপি ছাড়া অন্য কেউ ক্ষমতায় এলেও তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারবেন বলে মনে হয় না। বিলাতে বসে তিনি বাংলাদেশের বিএনপির নেতৃত্ব দিতে পারবেন না। এটা সম্ভব নয়। যেসব পদাধিকারী এবং অফিস কর্মচারীর ওপর তৃণমূলের ক্ষোভ, অবিশ্বাস, তাদের বাদ দিয়ে সৎ, আদর্শবাদী ও সাহসী তরুণদের ওপর নির্ভর করার চিন্তা করতে হবে। সৎ, অভিজ্ঞ ও প্রবীণ ক্যারিয়ার রাজনীতিবিদদের অবহেলা, অবজ্ঞা না করে তাদের মূল্য দিতে হবে, দল থেকে কাউকে বের করে দেওয়া নয়, নানা কারণে যেসব নেতা-কর্মী দলের বাইরে আছেন, তাদের সসম্মানে দলে ফেরত আনতে হবে। দলের নীতিনির্ধারণ ও অন্যান্য নেতৃত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞদের মূল্য দিতে হবে, বি. চৌধুরী, কর্নেল (অব.) অলিদের ফিরিয়ে আনার কথা ভাবতে হবে, নবীন-প্রবীণের সমন্বয় ঘটিয়ে দলে গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা অনুসরণ করতে হবে। বেশি গুরুত্ব দিতে হবে যৌথ নেতৃত্বের ওপর। খালেদা জিয়া দেশে থেকেও নানা কারণে যদি সরাসরি নেতৃত্ব দিতে না পারেন এবং তারেক রহমান যদি দেশে আসতে না পারেন বা না আসেন, তাহলে দল চলবে কী করে? বিএনপি কি এ জন্য প্রস্তুত? তেমন পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যৌথ নেতৃত্বই বিএনপিকে রক্ষা করতে পারে। মুরবি্বদের তত্ত্বাবধানে তারেক রহমানের মেধাবী স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা যেতে পারে তেমন একটি যৌথ নেতৃত্ব কাঠামো। শক্তিমান, সামর্থ্যবান একটি বিএনপিই আওয়ামী লীগের বিকল্প হতে পারে- যে বিএনপি হবে প্রকৃত জাতীয়তাবাদী দল, 'জামায়াতিয়তাবাদী' দল নয়।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।

ই-মেইল :  [email protected]

 

এই বিভাগের আরও খবর
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
চেনা যায় সহজেই
চেনা যায় সহজেই
সর্বশেষ খবর
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ

১ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

‘বিএনপি ক্ষমতায় না এলে ভাত খাব না’ বলা নিজামের পাশে তারেক রহমান
‘বিএনপি ক্ষমতায় না এলে ভাত খাব না’ বলা নিজামের পাশে তারেক রহমান

১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গণপিটুনিতে যুবক নিহত
গণপিটুনিতে যুবক নিহত

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘অন্যান্য পেশাজীবীর মতো সাংবাদিকদের পেশাগত লাইসেন্স থাকা দরকার’
‘অন্যান্য পেশাজীবীর মতো সাংবাদিকদের পেশাগত লাইসেন্স থাকা দরকার’

৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার
চট্টগ্রামে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার

৮ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বজ্রপাতে ট্রলি চালকের মৃত্যু
বজ্রপাতে ট্রলি চালকের মৃত্যু

৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ইউনিয়নের কমিটি ঘোষণা
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ইউনিয়নের কমিটি ঘোষণা

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৫ মে থেকে বাজারে আসবে সাতক্ষীরার আম
৫ মে থেকে বাজারে আসবে সাতক্ষীরার আম

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পুঁজিবাজারে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে
পুঁজিবাজারে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে

১৩ মিনিট আগে | বাণিজ্য

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই, হাসপাতালে ভর্তি ২৯
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই, হাসপাতালে ভর্তি ২৯

১৮ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

ভিয়েতনামের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে সিপিবি নেতা হাসান তারিক
ভিয়েতনামের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে সিপিবি নেতা হাসান তারিক

১৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

রাখাইনে করিডর নিয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে সরকারের প্রতি সাইফুল হকের আহ্বান
রাখাইনে করিডর নিয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে সরকারের প্রতি সাইফুল হকের আহ্বান

২০ মিনিট আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রামে মৃগী রোগী আছে, পৃথক সেবা নেই
চট্টগ্রামে মৃগী রোগী আছে, পৃথক সেবা নেই

২২ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১০০ টাকার জন্য খুন, আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১০০ টাকার জন্য খুন, আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সংযোগ সড়কবিহীন সেতু, ১০ গ্রামবাসীর দুর্ভোগ
সংযোগ সড়কবিহীন সেতু, ১০ গ্রামবাসীর দুর্ভোগ

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দেশের রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার
দেশের রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার

৩৮ মিনিট আগে | জাতীয়

বগুড়ায় মাসব্যাপী অ্যাথলেটিকস প্রশিক্ষণ
বগুড়ায় মাসব্যাপী অ্যাথলেটিকস প্রশিক্ষণ

৫৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গোবিপ্রবি’তে কর্মকর্তাদের আচরণ ও শৃঙ্খলা বিষয়ক কর্মশালা
গোবিপ্রবি’তে কর্মকর্তাদের আচরণ ও শৃঙ্খলা বিষয়ক কর্মশালা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছাত্রলীগের নির্যাতনের সহযোগী শিক্ষক-কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ
ছাত্রলীগের নির্যাতনের সহযোগী শিক্ষক-কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্র্যাজুয়েশন ডে ২০২৫ উদযাপন
গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্র্যাজুয়েশন ডে ২০২৫ উদযাপন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়ায় ধান চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন
বগুড়ায় ধান চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কলাপাড়ায় বসতবাড়িতে ডাকাতি
কলাপাড়ায় বসতবাড়িতে ডাকাতি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ
মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিত
চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিত

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কসবায় ভারতীয় চশমা জব্দ
কসবায় ভারতীয় চশমা জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বন্যায় গৃহহীন ফেনীর শতাধিক পরিবার পেল সরকারি ঘর
বন্যায় গৃহহীন ফেনীর শতাধিক পরিবার পেল সরকারি ঘর

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে দেয়াল ভেঙে ঘরে ঢুকে গেল লরি
চট্টগ্রামে দেয়াল ভেঙে ঘরে ঢুকে গেল লরি

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মে মাসে দু’টি ঘূর্ণিঝড়ের আভাস
মে মাসে দু’টি ঘূর্ণিঝড়ের আভাস

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
কাশ্মীর ইস্যু: প্রতিশোধ নিতে সামরিক হামলার ‘সবুজ সংকেত’ দিলেন মোদি
কাশ্মীর ইস্যু: প্রতিশোধ নিতে সামরিক হামলার ‘সবুজ সংকেত’ দিলেন মোদি

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?
‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট
এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’
‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?
চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা
উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার
আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা
সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’
‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভারতে পাঠ্যবই থেকে বাদ মোগল-সুলতানি ইতিহাস
ভারতে পাঠ্যবই থেকে বাদ মোগল-সুলতানি ইতিহাস

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা
আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘বেগম খালেদা জিয়াকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ফেরাতে কাজ করছে সরকার’
‘বেগম খালেদা জিয়াকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ফেরাতে কাজ করছে সরকার’

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ
শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস
ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’
‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই
ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প
পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল
বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান
নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে
চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার
গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ
প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ

১১ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

মডেল মেঘনা আলম কারামুক্ত
মডেল মেঘনা আলম কারামুক্ত

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম
পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?
আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?

১৩ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

কলকাতার হোটেলে ভয়াবহ আগুনে ১৪ জনের মৃত্যু
কলকাতার হোটেলে ভয়াবহ আগুনে ১৪ জনের মৃত্যু

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো
বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো

পেছনের পৃষ্ঠা

আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত
আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি
আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না
বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড
পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড

নগর জীবন

চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে
চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে

পেছনের পৃষ্ঠা

মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু
মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু

পেছনের পৃষ্ঠা

পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান
পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবিলা নূরের লুকোচুরি...
সাবিলা নূরের লুকোচুরি...

শোবিজ

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ
অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ

পেছনের পৃষ্ঠা

বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না
বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না

পেছনের পৃষ্ঠা

অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা
অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক
গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক

দেশগ্রাম

শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা
শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা

সম্পাদকীয়

ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই
ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই

পেছনের পৃষ্ঠা

শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা
শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা

শোবিজ

আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি
আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কে কারিনা
বিতর্কে কারিনা

শোবিজ

শ্রমিকেরাও মানুষ
শ্রমিকেরাও মানুষ

সম্পাদকীয়

মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা
মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা

মাঠে ময়দানে

গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প
গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প

পেছনের পৃষ্ঠা

চম্পা কেন দূরে
চম্পা কেন দূরে

শোবিজ

১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার
১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার

মাঠে ময়দানে

নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে
নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে

শোবিজ

মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে
মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

কী চায় নতুন দলগুলো
কী চায় নতুন দলগুলো

প্রথম পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা
নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা

মাঠে ময়দানে