শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ২৬ জুলাই, ২০১৫

ঘর ভাঙা না বি. চৌধুরী কর্নেল অলিদের ঘরেফেরা?

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
ঘর ভাঙা না বি. চৌধুরী কর্নেল অলিদের ঘরেফেরা?

বেশ কিছুদিন ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনের একটি মুখরোচক খবর প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায়ও বেশ গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পাচ্ছে যে, বিএনপি ভেঙে যাচ্ছে এবং এই ভাঙন রোধ করার জন্যই পার্টির চেয়ারপারসন তার সৌদি আরব সফর বাতিল করেছেন। যাদের ব্যাপারে ভাঙন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা আকারে-ইঙ্গিতে বলা হচ্ছে এরা প্রায় সবাই ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী 'বিপ্লবী'। ওয়ান-ইলেভেনের পর এদের কেউ কেউ দুর্নীতির দায়ে জেল খেটেছেন। বিএনপির দু'একজন প্রবীণ নেতার টেলিফোন সংলাপ আড়ি পেতে সংগ্রহ করে বলার চেষ্টা করা হচ্ছে, বর্তমান বিএনপির হালচালে তারা মোটেও সন্তুষ্ট নন। অর্থাৎ তারাও নতুন কিছু করার কথা ভাবছেন। কিন্তু ওই টেলিফোন সংলাপ পর্যালোচনা করলে অনুমানটা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না। নেতা-কর্মীদের মধ্যে দল নিয়ে, দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে কিংবা করণীয় নিয়ে এমন আলোচনা হতেই পারে। সেই আলোচনার সঙ্গে সবাইকে একমত হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। আবার মতামতটা যদি দলের জন্য উপযোগী এবং লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হয় তাহলে তা গ্রহণ করলেইবা ক্ষতি কি? ওয়ান-ইলেভেনের পর দলের তৎকালীন মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার উত্থাপিত সংস্কার প্রস্তাব নাকচ করে তার ব্যাপারে অগণতান্ত্রিক ও অগঠনতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত না নিয়ে যদি প্রস্তাবের ভালো দিকগুলো বিবেচনা করা হতো, দলটিকে এখন এত পস্তাতে হতো না এবং দল 'পুনর্গঠন-পুনর্গঠন' বলে গলা শুকাতে হতো না। দলে ভিন্ন মতের প্রকাশ হলেই তা দল ভাঙার প্রক্রিয়া হিসেবে ভাবা ঠিক নয়। তবে রাজনৈতিক ও আদর্শগত কারণে একটা দলে বিভক্তি আসতেও পারে। আওয়ামী লীগেও এমন ভাঙন হয়েছিল ১৯৫৭ সালে। পাক-মার্কিন সামরিক চুক্তি, সিয়েটো-সেন্টো চুক্তি, বাগদাদ প্যাক্ট এবং পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের প্রশ্নে (সোহরাওয়ার্দী বলেছিলেন ৯৮ ভাগ স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হয়ে গেছে) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে দলের প্রতিষ্ঠাতা মওলানা ভাসানীর বিরোধ মীমাংসার অযোগ্য স্তরে পৌঁছে গেলে দল ভেঙে যায়। সোহরাওয়ার্দী ছিলেন মার্কিন অনুরাগী আর মওলানা ছিলেন ঘোর সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী। ফলে লীগ ভেঙে সেই সাতান্ন সালেই ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) জন্ম। বিএনপিতে তেমন কোনো রাজনৈতিক বিরোধ এখনো দৃশ্যমান নয়। মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ ও জামায়াতে ইসলামী প্রশ্নে মতাদর্শগত যে বিষয়টি নিয়ে দলে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে, এটা সমগ্র দলগতভাবেই হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। এ বিষয়টি বিএনপিতে একটি জটিল বিষয় তো বটেই। তবে বিএনপির রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক অবস্থানে একটা তাৎপর্যপূর্ণ ও দৃশ্যমান পরিবর্তনের লক্ষণ দিন দিন স্পষ্ট হচ্ছে। বিএনপিকে বলা হতো 'ডানের বাম এবং বামের ডান'- অর্থাৎ মধ্যপন্থি একটি উদার গণতান্ত্রিক দল। দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদীদের একটি মিলনকেন্দ্র হিসেবেই ভাবা হতো দলটিকে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জীবদ্দশায় লক্ষ্যের প্রতি অবিচল ছিল দলটি। একটি স্বনির্ভর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তিনি 'জাতীয় ঐক্য, সমন্বয় ও সমঝোতা' তত্ত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন। সেই তত্ত্ব প্রয়োগের ক্ষেত্রে কিছু ভুল-ত্রুটি হয়তো হয়েছে; কিন্তু তিনি লক্ষ্যচ্যুত ও আদর্শচ্যুত হয়েছেন- এটা তার 'জাতশত্রু'রাই শুধু বলতে পারে, আর কেউ নয়। জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক দল হিসেবে কাজ করার সুযোগ প্রাপ্তি ঘটেছে জিয়াউর রহমান শাসন ক্ষমতায় আসার পর সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে।

আমরা জানি, এর আগে বঙ্গবন্ধুর শাসনকালে ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে একদলীয় বাকশাল প্রথা কায়েম করা হয়। জনগণের মৌলিক সব নাগরিক অধিকার হরণ করা হয়। পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে একদলীয় ব্যবস্থার বদলে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করা হয়। সেই সুবাদে বাকশালের 'কোটর' থেকে আওয়ামী লীগ যেমন আবার আলোর মুখ দেখে, জামায়াতে ইসলামীও সেই সাংবিধানিক সুযোগটি গ্রহণ করে। জিয়াউর রহমানের বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার সেই উদ্যোগটি যদি 'অপরাধ' হয়ে থাকে- যার সুযোগ জামায়াত নিয়েছে, পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ এবং তার ঘনিষ্ঠ মিত্ররা কী করেছে? সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য এ সময় তো যথেষ্ট ছিল। স্পষ্ট বোঝা যায়, বিএনপিকে ঘায়েল করার জন্যই অভিযোগটি বারবার উত্থাপন করা হয়। উচ্চ আদালতে যেখানে নির্বাচন কমিশনে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল হয়ে গেছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াতে ইসলামীকে যেখানে দল হিসেবে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বিবেচনার কথা বলেছেন, সে ক্ষেত্রে এ ব্যাপারে লীগ সরকারের টালবাহানা রহস্যময়ই বটে!

তাই বলে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপির বর্তমানে 'হরিহর আত্মা' হয়ে যাওয়ার মতো সম্পর্ককে কি অনুমোদন করা যেতে পারে? প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমলে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপির এমন 'হানিমুন' সম্পর্কের কথা কল্পনাও করা যায়নি। ১৯৯৮ সালে চারদলীয় জোট গঠনের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর নিবিড় সম্পর্কের বিন্যাস শুরু হয়। জানা যায় আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে হারাতে ভোটের অঙ্কের হিসাব বুঝিয়ে খালেদা জিয়াকে রাজি করানো হয়। বিএনপির তৎকালীন মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়া জামায়াতকে নিয়ে জোট গঠনের বিরোধিতা করেছিলেন; কিন্তু ঠেকাতে পারেননি। সেই যে শুরু, দেড় যুগে তা আরও পোক্ত হয়েছে।

তখন ভোটে জেতা বা আসন সংখ্যার চেয়েও জামায়াতের প্রয়োজন ছিল বিএনপির মতো একটি রাজনৈতিক বটবৃক্ষের আশ্রয়। সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য ছিল ভোটের জোটকে স্থায়ী মৈত্রী জোটে পরিণত করে জোটের রাজনীতির নামে সারা দেশে সংগঠনকে ছড়িয়ে দেওয়া। ১৯৯৮ সালে জামায়াতের সাংগঠনিক বিস্তৃতি, শক্তি ও সক্ষমতার সঙ্গে বর্তমান অবস্থা তুলনা করলে বলতে হবে, তারা তাদের লক্ষ্য অর্জনে সফলই হয়েছে। তৃণমূলে তাদের কর্মী-সমর্থক রিক্রুটমেন্টের 'টার্গেট গ্রুপ'ই ছিল বিএনপির তৃণমূলের নেতা-কর্মী সমর্থকরা। বিএনপির 'বড় বাবুরা' হয়তো জানেনই না যে, তৃণমূলে তাদের দলের কী সর্বনাশই না হয়ে গেছে এরই মধ্যে! শুধু তৃণমূল কেন, থানায়, জেলায় এমনকি কেন্দ্রেও বিএনপির ওপর তাদের প্রভাব এতটাই বেশি বলে ধারণা করা হয় যে, দলের নীতি-নির্ধারণেও তারা কলকাঠি নাড়তে পারে। আবদুল মতিন চৌধুরীকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার পেছনে জামায়াতের জোর তদবির ছিল বলে একদা গুঞ্জন ছিল। বলা হয়ে থাকে, তার পৃষ্ঠপোষকতাতেই বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে ইসলামী ছাত্রশিবির শক্তি আহরণ করে এবং বিএনপির প্রতাপশালী অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল দিন দিন দুর্বল হতে থাকে। জামায়াতের সঙ্গে জোট বাঁধার পর বিএনপি চরিত্রে এমন একটা লক্ষণীয় পরিবর্তন দেখা যায় যে, তারা যেন 'ইসলাম গেল ইসলাম গেল' একটা রব তুলতে চাইছে। খালেদা জিয়া নিশ্চয়ই কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে একবার বলে ফেলেছিলেন, 'এখন থেকে মসজিদে আজানের পরিবর্তে উলুধ্বনি শোনা যাবে।' তেমন ঘটনা কিন্তু দেশে ঘটেনি। পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রেও বিএনপির ভুল আছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন। জিয়ার শাসনামলে বিএনপির বহু আন্তর্জাতিক মিত্র তৈরি হয়েছিল। তার শাহাদাতবরণের পর বিশ্ব প্রতিক্রিয়ায় তা লক্ষ্য করা গেছে। খালেদা জিয়া স্বল্পকালীন একবারসহ তিনবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকার গঠন করেন। ১০ বছরের বেশি সময় তিনি ক্ষমতায় ছিলেন। কিন্তু এত দীর্ঘ সময়েও তিনি আন্তর্জাতিক পরিসরে না পেরেছেন দলের জন্য, না পেরেছেন নিজের জন্য কোনো শক্তিশালী ও নির্ভরযোগ্য মিত্র তৈরি করতে। দ্বিতীয় দফার ক্ষমতাকালে অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী স্বল্পকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন ছাড়া ১০ বছরের বাদবাকি সময় ম্যাডামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন কর্নেল (অব.) মুস্তাফিজুর রহমান এবং এম মোর্শেদ খান। অবাক বিস্ময়ে মানুষ এখনো ভাবে কোন বিবেচনায় তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়েছিল! ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও বিএনপি ভুল নীতি অনুসরণ করেছে বলে এখনো সমালোচনা শুনতে হয় দলটিকে।

খালেদা জিয়া তা উপলব্ধি করেছেন বলে স্পষ্ট হতে থাকে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় দফার শাসনামলেই। বাংলাদেশের ক্ষমতার রাজনীতিতে নিকট প্রতিবেশী ভারতের মনোভাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থ ছাড়াও ইনসার্জেন্সি রোধে বাংলাদেশে একটি বন্ধুভাবাপন্ন সরকার তারা প্রত্যাশা করতেই পারে। বাংলাদেশে মৌলবাদী ও জঙ্গি তৎপরতাও ভারতের মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। শুধু ভারত কেন, মৌলবাদ-জঙ্গিবাদ এখন সারা বিশ্বের জন্য হুমকি বলে বিবেচিত।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনাহূত ভারত-বৈরিতার কুফল বিএনপির টের পাওয়ারই কথা। ২০১২ সালের অক্টোবরে সরকারি আমন্ত্রণে ভারত সফরে গিয়ে খালেদা জিয়া তার দলের ভারতনীতিতে পরিবর্তনের সুস্পষ্ট ঘোষণা দেন। ঘোষণা দেন তার দল ক্ষমতায় গেলে ভারতের স্বার্থবিরোধী কোনো কাজে বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করতে দেবে না। অন্য আরও অনেক বিষয়েই তিনি অনুকূল অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, 'আমরা অতীত ভুলে যেতে চাই। পেছনে নয়, তাকাতে চাই সামনে।' কিন্তু কিছুদিন পরই আবার বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধ জন্ম নিতে থাকে হয়তো কারও উস্কানিতে। তার বড় আকারের দৃষ্টিকটু বহিঃপ্রকাশ ঘটে ২০১৩ সালের মার্চ মাসে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির বাংলাদেশ সফরকালে। তার সঙ্গে পূর্ব-নির্ধারিত সাক্ষাৎ কর্মসূচি বাতিল করে দেন খালেদা জিয়া। তখন তার জোট আহূত হরতালের কর্মসূচিকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। অবশ্য সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি তার নিরাপত্তা হুমকিকেই কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। নরেন্দ্র মোদির সফরকালে খালেদা জিয়া আবারও তার ভারতনীতির পরিবর্তনের বিষয় বেশ ভালোভাবেই পরিষ্কার করেছেন। নরেন্দ্র মোদিও খালেদা জিয়াকে যা বলেছেন তার মমার্থ না বোঝার কিছু নেই। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব ড. এস জয়শংকর বলেছেন, 'খালেদা জিয়ার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বেশকিছু বিষয় আলোচনা হয়েছে। বিএনপি নেত্রী স্থলসীমান্ত চুক্তি অনুস্বাক্ষরে প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। এ অঞ্চলের এবং এর বাইরে পণ্যের অবাধ চলাচলের প্রতিও তিনি সমর্থন জানান। তিনি সব ধরনের সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে তার অবস্থান তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের অবস্থানও স্পষ্ট করেছেন। আর তা হলো আমরা গণতন্ত্রের সমর্থক এবং আমরা মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরোধী।' রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, বাংলাদেশে ভারতের মতো নির্বাচনমুখী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে খালেদা জিয়ার সহযোগিতা কামনার জবাবে নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য বিএনপির প্রতি জামায়াত ছাড়ারই গুরুত্বপূর্ণ বার্তা।

একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে জয়লাভ করার মতো বিপুল জনসমর্থন থাকার পরও দলটির নেতৃত্ব কাঠামোর অনেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, মৌলবাদী ঝোঁক দলটিকে দারুণ ইমেজ সংকটে ফেলেছে। খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে এই ইমেজ সংকট কাটানোর মতো ক্যারিশমেটিক নেতৃত্ব এখন বিএনপিতে নেই। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরুর পর দলটির অস্পষ্ট ভূমিকা ভাবমূর্তির সংকট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে তরুণ প্রজন্মের কাছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে-পরে গড়ে ওঠা দেশি-বিদেশি সমর্থক মহলের এবং সর্বশেষ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের অন্তর্নিহিত বার্তার শর্ত পূরণ করে হারানো ভাবমূর্তি উদ্ধারে দলটি সচেষ্ট হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। একদিকে নীতি-নির্ধারণী নেতৃত্ব সংকট, অন্যদিকে রাজাকার অপবাদের ভাবমূর্তি সংকট থেকে উদ্ধারের জন্যই দলের প্রতিষ্ঠাকালীন মহাসচিব ও সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে সসম্মানে দলে ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে। এ ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য খবর বের হচ্ছে মিডিয়ায়। অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীও তার বক্তব্যে ইতিবাচক কথাবার্তা বলছেন। তবে তিনি একটা বিষয়ে বারবার গুরুত্ব দিচ্ছেন, বিএনপিকে জিয়ার বিএনপিতে ফেরত যেতে হবে অর্থাৎ বিএনপি তার জন্মকালীন আদর্শ থেকে বিচ্যুত। কর্নেল (অব.) অলি আহমদের ব্যাপারে শোনা যাচ্ছে তিনিও 'স্বগৃহে' প্রত্যাবর্তন করছেন। দুই নেতা একা নন, দল-বল নিয়েই পুরনো দলে ফিরছেন বলে খবর মিডিয়ায় আসছে। এমনকি আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার সংস্কার প্রস্তাবের পক্ষে যারা ছিলেন, যারা এখনো দলে ফেরেননি বা ফেরার সুযোগ পাননি, সেই সংস্কাপন্থিরাও পুনরায় দলে ফিরছেন বা তাদের ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলেও খবর বেরুচ্ছে। দল ভাঙার খবরের সঙ্গে এসব খবর সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সরকারি চাপে বা অজ্ঞাত উৎস থেকে উপার্জিত বিপুল বিত্তবৈভব রক্ষার জন্য কেউ হয়তো সরকারি পৃষ্ঠপোষকতাধন্য একটা কিছু করার চেষ্টা করতে পারেন, কিন্তু তাতে সরকারের কোনো লাভ তারা করে দিতে পারবেন না। বি. চৌধুরী এবং কর্নেল (অব.) অলি আহমদদের স্বদলে প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনায় প্রগতিশীল, দেশপ্রেমিক, জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্রীরা খুশি হলেও মৌলবাদের সমর্থকরা বিচলিত। এরই মধ্যে ২০-দলীয় জোটের প্যাডসর্বস্ব দু'একটি দল বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। অস্থিরতা বেড়েছে বিএনপিতে ওদের পৃষ্ঠপোষকদের মধ্যেও। তবে খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান যদি সিদ্ধান্তে অটল থাকেন, এসব প্রতিক্রিয়ায় কোনো কাজ হবে না। এদের যোগদানে বিএনপি লাভবান হবে সন্দেহ নেই। অধ্যাপক বি. চৌধুরীর যে রাজনৈতিক অতীত এবং উত্তরাধিকার, মুক্তিযুদ্ধে কর্নেল (অব.) অলির যে গৌরবদীপ্ত ভূমিকা তা থেকে সর্বত্র এই গুরুত্বপূর্ণ বার্তাটি পৌঁছবে যে, বিএনপি আবার জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাসমৃদ্ধ বিএনপিতে ফেরত যাচ্ছে, প্রগতিশীল গণতন্ত্রী জাতীয়তাবাদের ধারায় ফিরছে। এতে নতুন প্রাণের স্পন্দন জাগবে দলটিতে। ফিরে আসবে অনেকে, নতুন যোগও দিতে পারে অনেকে। জামায়াত বর্জনে অর্জন হয়ে যেতে পারে অনেক বেশি।

এবং এটাও বলা যায়, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থার ঘোষিত-অঘোষিত বার্তা, সর্বোপরি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও প্রচ্ছন্নে যে বার্তা বিএনপিকে দিয়ে গেছেন, বিএনপি তা সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। বোঝা যায়, খালেদা জিয়ার এ ব্যাপারে অবস্থান সুচিন্তিত ও দৃঢ়। চিন্তা ও বিশ্বাসের সঙ্গে দলকে মিলিয়ে নিতে হলে যেসব শর্ত পূরণ জরুরি, তা তো দৃশ্যমান ও কার্যকর হতেই হবে। এখন দেখতে হবে, বি. চৌধুরী, কর্নেল (অব.) অলি আহমদরা দলে ফিরলে যে 'অথর্বদের' কপাল পুড়বে, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার যোগ্যতাহীন যারা সংসদ সদস্য পদে লড়ার খোয়াব দেখছেন, যে অযোগ্যরা দলে বড় বড় পদ দখল করে বসে আছেন তাদের সব প্রতিরোধ ও চক্রান্তকে প্রতিহত করে বেগম খালেদা জিয়া তার সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারেন কিনা।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট

ই-মেইল : [email protected]

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
সর্বশেষ খবর
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র
চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত
চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা
সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ
লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা
কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’
‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের
মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের

৬ ঘণ্টা আগে | পরবাস

মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস
লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ
ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা
জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন
টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ
কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক
ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’
‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

১৭ ঘণ্টা আগে | টক শো

মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার
মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন
গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর
মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি
ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ
শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা
বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’
চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত
গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ
রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের
আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী
ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক
স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!
বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?
কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন

নগর জীবন

পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি
প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি

পেছনের পৃষ্ঠা

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির

প্রথম পৃষ্ঠা

২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি
প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি

নগর জীবন

ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে
ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে

নগর জীবন

ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত
ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত

নগর জীবন

নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি
অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি

নগর জীবন

দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ
দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন
বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ
ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির

নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই

নগর জীবন

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে

নগর জীবন

বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮
বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮

নগর জীবন

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা
কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা

নগর জীবন

ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন
ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন

নগর জীবন

ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল
সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল

খবর

১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়
১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়

নগর জীবন

মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত
মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত

খবর

শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের
শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের

খবর