শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ২৬ জুলাই, ২০১৫

ঘর ভাঙা না বি. চৌধুরী কর্নেল অলিদের ঘরেফেরা?

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
ঘর ভাঙা না বি. চৌধুরী কর্নেল অলিদের ঘরেফেরা?

বেশ কিছুদিন ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনের একটি মুখরোচক খবর প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায়ও বেশ গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পাচ্ছে যে, বিএনপি ভেঙে যাচ্ছে এবং এই ভাঙন রোধ করার জন্যই পার্টির চেয়ারপারসন তার সৌদি আরব সফর বাতিল করেছেন। যাদের ব্যাপারে ভাঙন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা আকারে-ইঙ্গিতে বলা হচ্ছে এরা প্রায় সবাই ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী 'বিপ্লবী'। ওয়ান-ইলেভেনের পর এদের কেউ কেউ দুর্নীতির দায়ে জেল খেটেছেন। বিএনপির দু'একজন প্রবীণ নেতার টেলিফোন সংলাপ আড়ি পেতে সংগ্রহ করে বলার চেষ্টা করা হচ্ছে, বর্তমান বিএনপির হালচালে তারা মোটেও সন্তুষ্ট নন। অর্থাৎ তারাও নতুন কিছু করার কথা ভাবছেন। কিন্তু ওই টেলিফোন সংলাপ পর্যালোচনা করলে অনুমানটা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না। নেতা-কর্মীদের মধ্যে দল নিয়ে, দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে কিংবা করণীয় নিয়ে এমন আলোচনা হতেই পারে। সেই আলোচনার সঙ্গে সবাইকে একমত হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। আবার মতামতটা যদি দলের জন্য উপযোগী এবং লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হয় তাহলে তা গ্রহণ করলেইবা ক্ষতি কি? ওয়ান-ইলেভেনের পর দলের তৎকালীন মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার উত্থাপিত সংস্কার প্রস্তাব নাকচ করে তার ব্যাপারে অগণতান্ত্রিক ও অগঠনতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত না নিয়ে যদি প্রস্তাবের ভালো দিকগুলো বিবেচনা করা হতো, দলটিকে এখন এত পস্তাতে হতো না এবং দল 'পুনর্গঠন-পুনর্গঠন' বলে গলা শুকাতে হতো না। দলে ভিন্ন মতের প্রকাশ হলেই তা দল ভাঙার প্রক্রিয়া হিসেবে ভাবা ঠিক নয়। তবে রাজনৈতিক ও আদর্শগত কারণে একটা দলে বিভক্তি আসতেও পারে। আওয়ামী লীগেও এমন ভাঙন হয়েছিল ১৯৫৭ সালে। পাক-মার্কিন সামরিক চুক্তি, সিয়েটো-সেন্টো চুক্তি, বাগদাদ প্যাক্ট এবং পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের প্রশ্নে (সোহরাওয়ার্দী বলেছিলেন ৯৮ ভাগ স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হয়ে গেছে) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে দলের প্রতিষ্ঠাতা মওলানা ভাসানীর বিরোধ মীমাংসার অযোগ্য স্তরে পৌঁছে গেলে দল ভেঙে যায়। সোহরাওয়ার্দী ছিলেন মার্কিন অনুরাগী আর মওলানা ছিলেন ঘোর সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী। ফলে লীগ ভেঙে সেই সাতান্ন সালেই ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) জন্ম। বিএনপিতে তেমন কোনো রাজনৈতিক বিরোধ এখনো দৃশ্যমান নয়। মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ ও জামায়াতে ইসলামী প্রশ্নে মতাদর্শগত যে বিষয়টি নিয়ে দলে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে, এটা সমগ্র দলগতভাবেই হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। এ বিষয়টি বিএনপিতে একটি জটিল বিষয় তো বটেই। তবে বিএনপির রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক অবস্থানে একটা তাৎপর্যপূর্ণ ও দৃশ্যমান পরিবর্তনের লক্ষণ দিন দিন স্পষ্ট হচ্ছে। বিএনপিকে বলা হতো 'ডানের বাম এবং বামের ডান'- অর্থাৎ মধ্যপন্থি একটি উদার গণতান্ত্রিক দল। দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদীদের একটি মিলনকেন্দ্র হিসেবেই ভাবা হতো দলটিকে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জীবদ্দশায় লক্ষ্যের প্রতি অবিচল ছিল দলটি। একটি স্বনির্ভর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তিনি 'জাতীয় ঐক্য, সমন্বয় ও সমঝোতা' তত্ত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন। সেই তত্ত্ব প্রয়োগের ক্ষেত্রে কিছু ভুল-ত্রুটি হয়তো হয়েছে; কিন্তু তিনি লক্ষ্যচ্যুত ও আদর্শচ্যুত হয়েছেন- এটা তার 'জাতশত্রু'রাই শুধু বলতে পারে, আর কেউ নয়। জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক দল হিসেবে কাজ করার সুযোগ প্রাপ্তি ঘটেছে জিয়াউর রহমান শাসন ক্ষমতায় আসার পর সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে।

আমরা জানি, এর আগে বঙ্গবন্ধুর শাসনকালে ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে একদলীয় বাকশাল প্রথা কায়েম করা হয়। জনগণের মৌলিক সব নাগরিক অধিকার হরণ করা হয়। পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে একদলীয় ব্যবস্থার বদলে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করা হয়। সেই সুবাদে বাকশালের 'কোটর' থেকে আওয়ামী লীগ যেমন আবার আলোর মুখ দেখে, জামায়াতে ইসলামীও সেই সাংবিধানিক সুযোগটি গ্রহণ করে। জিয়াউর রহমানের বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার সেই উদ্যোগটি যদি 'অপরাধ' হয়ে থাকে- যার সুযোগ জামায়াত নিয়েছে, পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ এবং তার ঘনিষ্ঠ মিত্ররা কী করেছে? সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য এ সময় তো যথেষ্ট ছিল। স্পষ্ট বোঝা যায়, বিএনপিকে ঘায়েল করার জন্যই অভিযোগটি বারবার উত্থাপন করা হয়। উচ্চ আদালতে যেখানে নির্বাচন কমিশনে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল হয়ে গেছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াতে ইসলামীকে যেখানে দল হিসেবে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বিবেচনার কথা বলেছেন, সে ক্ষেত্রে এ ব্যাপারে লীগ সরকারের টালবাহানা রহস্যময়ই বটে!

তাই বলে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপির বর্তমানে 'হরিহর আত্মা' হয়ে যাওয়ার মতো সম্পর্ককে কি অনুমোদন করা যেতে পারে? প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমলে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপির এমন 'হানিমুন' সম্পর্কের কথা কল্পনাও করা যায়নি। ১৯৯৮ সালে চারদলীয় জোট গঠনের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর নিবিড় সম্পর্কের বিন্যাস শুরু হয়। জানা যায় আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে হারাতে ভোটের অঙ্কের হিসাব বুঝিয়ে খালেদা জিয়াকে রাজি করানো হয়। বিএনপির তৎকালীন মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়া জামায়াতকে নিয়ে জোট গঠনের বিরোধিতা করেছিলেন; কিন্তু ঠেকাতে পারেননি। সেই যে শুরু, দেড় যুগে তা আরও পোক্ত হয়েছে।

তখন ভোটে জেতা বা আসন সংখ্যার চেয়েও জামায়াতের প্রয়োজন ছিল বিএনপির মতো একটি রাজনৈতিক বটবৃক্ষের আশ্রয়। সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য ছিল ভোটের জোটকে স্থায়ী মৈত্রী জোটে পরিণত করে জোটের রাজনীতির নামে সারা দেশে সংগঠনকে ছড়িয়ে দেওয়া। ১৯৯৮ সালে জামায়াতের সাংগঠনিক বিস্তৃতি, শক্তি ও সক্ষমতার সঙ্গে বর্তমান অবস্থা তুলনা করলে বলতে হবে, তারা তাদের লক্ষ্য অর্জনে সফলই হয়েছে। তৃণমূলে তাদের কর্মী-সমর্থক রিক্রুটমেন্টের 'টার্গেট গ্রুপ'ই ছিল বিএনপির তৃণমূলের নেতা-কর্মী সমর্থকরা। বিএনপির 'বড় বাবুরা' হয়তো জানেনই না যে, তৃণমূলে তাদের দলের কী সর্বনাশই না হয়ে গেছে এরই মধ্যে! শুধু তৃণমূল কেন, থানায়, জেলায় এমনকি কেন্দ্রেও বিএনপির ওপর তাদের প্রভাব এতটাই বেশি বলে ধারণা করা হয় যে, দলের নীতি-নির্ধারণেও তারা কলকাঠি নাড়তে পারে। আবদুল মতিন চৌধুরীকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার পেছনে জামায়াতের জোর তদবির ছিল বলে একদা গুঞ্জন ছিল। বলা হয়ে থাকে, তার পৃষ্ঠপোষকতাতেই বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে ইসলামী ছাত্রশিবির শক্তি আহরণ করে এবং বিএনপির প্রতাপশালী অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল দিন দিন দুর্বল হতে থাকে। জামায়াতের সঙ্গে জোট বাঁধার পর বিএনপি চরিত্রে এমন একটা লক্ষণীয় পরিবর্তন দেখা যায় যে, তারা যেন 'ইসলাম গেল ইসলাম গেল' একটা রব তুলতে চাইছে। খালেদা জিয়া নিশ্চয়ই কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে একবার বলে ফেলেছিলেন, 'এখন থেকে মসজিদে আজানের পরিবর্তে উলুধ্বনি শোনা যাবে।' তেমন ঘটনা কিন্তু দেশে ঘটেনি। পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রেও বিএনপির ভুল আছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন। জিয়ার শাসনামলে বিএনপির বহু আন্তর্জাতিক মিত্র তৈরি হয়েছিল। তার শাহাদাতবরণের পর বিশ্ব প্রতিক্রিয়ায় তা লক্ষ্য করা গেছে। খালেদা জিয়া স্বল্পকালীন একবারসহ তিনবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকার গঠন করেন। ১০ বছরের বেশি সময় তিনি ক্ষমতায় ছিলেন। কিন্তু এত দীর্ঘ সময়েও তিনি আন্তর্জাতিক পরিসরে না পেরেছেন দলের জন্য, না পেরেছেন নিজের জন্য কোনো শক্তিশালী ও নির্ভরযোগ্য মিত্র তৈরি করতে। দ্বিতীয় দফার ক্ষমতাকালে অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী স্বল্পকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন ছাড়া ১০ বছরের বাদবাকি সময় ম্যাডামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন কর্নেল (অব.) মুস্তাফিজুর রহমান এবং এম মোর্শেদ খান। অবাক বিস্ময়ে মানুষ এখনো ভাবে কোন বিবেচনায় তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়েছিল! ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও বিএনপি ভুল নীতি অনুসরণ করেছে বলে এখনো সমালোচনা শুনতে হয় দলটিকে।

খালেদা জিয়া তা উপলব্ধি করেছেন বলে স্পষ্ট হতে থাকে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় দফার শাসনামলেই। বাংলাদেশের ক্ষমতার রাজনীতিতে নিকট প্রতিবেশী ভারতের মনোভাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থ ছাড়াও ইনসার্জেন্সি রোধে বাংলাদেশে একটি বন্ধুভাবাপন্ন সরকার তারা প্রত্যাশা করতেই পারে। বাংলাদেশে মৌলবাদী ও জঙ্গি তৎপরতাও ভারতের মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। শুধু ভারত কেন, মৌলবাদ-জঙ্গিবাদ এখন সারা বিশ্বের জন্য হুমকি বলে বিবেচিত।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনাহূত ভারত-বৈরিতার কুফল বিএনপির টের পাওয়ারই কথা। ২০১২ সালের অক্টোবরে সরকারি আমন্ত্রণে ভারত সফরে গিয়ে খালেদা জিয়া তার দলের ভারতনীতিতে পরিবর্তনের সুস্পষ্ট ঘোষণা দেন। ঘোষণা দেন তার দল ক্ষমতায় গেলে ভারতের স্বার্থবিরোধী কোনো কাজে বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করতে দেবে না। অন্য আরও অনেক বিষয়েই তিনি অনুকূল অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, 'আমরা অতীত ভুলে যেতে চাই। পেছনে নয়, তাকাতে চাই সামনে।' কিন্তু কিছুদিন পরই আবার বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধ জন্ম নিতে থাকে হয়তো কারও উস্কানিতে। তার বড় আকারের দৃষ্টিকটু বহিঃপ্রকাশ ঘটে ২০১৩ সালের মার্চ মাসে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির বাংলাদেশ সফরকালে। তার সঙ্গে পূর্ব-নির্ধারিত সাক্ষাৎ কর্মসূচি বাতিল করে দেন খালেদা জিয়া। তখন তার জোট আহূত হরতালের কর্মসূচিকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। অবশ্য সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি তার নিরাপত্তা হুমকিকেই কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। নরেন্দ্র মোদির সফরকালে খালেদা জিয়া আবারও তার ভারতনীতির পরিবর্তনের বিষয় বেশ ভালোভাবেই পরিষ্কার করেছেন। নরেন্দ্র মোদিও খালেদা জিয়াকে যা বলেছেন তার মমার্থ না বোঝার কিছু নেই। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব ড. এস জয়শংকর বলেছেন, 'খালেদা জিয়ার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বেশকিছু বিষয় আলোচনা হয়েছে। বিএনপি নেত্রী স্থলসীমান্ত চুক্তি অনুস্বাক্ষরে প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। এ অঞ্চলের এবং এর বাইরে পণ্যের অবাধ চলাচলের প্রতিও তিনি সমর্থন জানান। তিনি সব ধরনের সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে তার অবস্থান তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের অবস্থানও স্পষ্ট করেছেন। আর তা হলো আমরা গণতন্ত্রের সমর্থক এবং আমরা মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরোধী।' রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, বাংলাদেশে ভারতের মতো নির্বাচনমুখী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে খালেদা জিয়ার সহযোগিতা কামনার জবাবে নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য বিএনপির প্রতি জামায়াত ছাড়ারই গুরুত্বপূর্ণ বার্তা।

একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে জয়লাভ করার মতো বিপুল জনসমর্থন থাকার পরও দলটির নেতৃত্ব কাঠামোর অনেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, মৌলবাদী ঝোঁক দলটিকে দারুণ ইমেজ সংকটে ফেলেছে। খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে এই ইমেজ সংকট কাটানোর মতো ক্যারিশমেটিক নেতৃত্ব এখন বিএনপিতে নেই। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরুর পর দলটির অস্পষ্ট ভূমিকা ভাবমূর্তির সংকট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে তরুণ প্রজন্মের কাছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে-পরে গড়ে ওঠা দেশি-বিদেশি সমর্থক মহলের এবং সর্বশেষ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের অন্তর্নিহিত বার্তার শর্ত পূরণ করে হারানো ভাবমূর্তি উদ্ধারে দলটি সচেষ্ট হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। একদিকে নীতি-নির্ধারণী নেতৃত্ব সংকট, অন্যদিকে রাজাকার অপবাদের ভাবমূর্তি সংকট থেকে উদ্ধারের জন্যই দলের প্রতিষ্ঠাকালীন মহাসচিব ও সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে সসম্মানে দলে ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে। এ ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য খবর বের হচ্ছে মিডিয়ায়। অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীও তার বক্তব্যে ইতিবাচক কথাবার্তা বলছেন। তবে তিনি একটা বিষয়ে বারবার গুরুত্ব দিচ্ছেন, বিএনপিকে জিয়ার বিএনপিতে ফেরত যেতে হবে অর্থাৎ বিএনপি তার জন্মকালীন আদর্শ থেকে বিচ্যুত। কর্নেল (অব.) অলি আহমদের ব্যাপারে শোনা যাচ্ছে তিনিও 'স্বগৃহে' প্রত্যাবর্তন করছেন। দুই নেতা একা নন, দল-বল নিয়েই পুরনো দলে ফিরছেন বলে খবর মিডিয়ায় আসছে। এমনকি আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার সংস্কার প্রস্তাবের পক্ষে যারা ছিলেন, যারা এখনো দলে ফেরেননি বা ফেরার সুযোগ পাননি, সেই সংস্কাপন্থিরাও পুনরায় দলে ফিরছেন বা তাদের ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলেও খবর বেরুচ্ছে। দল ভাঙার খবরের সঙ্গে এসব খবর সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সরকারি চাপে বা অজ্ঞাত উৎস থেকে উপার্জিত বিপুল বিত্তবৈভব রক্ষার জন্য কেউ হয়তো সরকারি পৃষ্ঠপোষকতাধন্য একটা কিছু করার চেষ্টা করতে পারেন, কিন্তু তাতে সরকারের কোনো লাভ তারা করে দিতে পারবেন না। বি. চৌধুরী এবং কর্নেল (অব.) অলি আহমদদের স্বদলে প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনায় প্রগতিশীল, দেশপ্রেমিক, জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্রীরা খুশি হলেও মৌলবাদের সমর্থকরা বিচলিত। এরই মধ্যে ২০-দলীয় জোটের প্যাডসর্বস্ব দু'একটি দল বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। অস্থিরতা বেড়েছে বিএনপিতে ওদের পৃষ্ঠপোষকদের মধ্যেও। তবে খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান যদি সিদ্ধান্তে অটল থাকেন, এসব প্রতিক্রিয়ায় কোনো কাজ হবে না। এদের যোগদানে বিএনপি লাভবান হবে সন্দেহ নেই। অধ্যাপক বি. চৌধুরীর যে রাজনৈতিক অতীত এবং উত্তরাধিকার, মুক্তিযুদ্ধে কর্নেল (অব.) অলির যে গৌরবদীপ্ত ভূমিকা তা থেকে সর্বত্র এই গুরুত্বপূর্ণ বার্তাটি পৌঁছবে যে, বিএনপি আবার জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাসমৃদ্ধ বিএনপিতে ফেরত যাচ্ছে, প্রগতিশীল গণতন্ত্রী জাতীয়তাবাদের ধারায় ফিরছে। এতে নতুন প্রাণের স্পন্দন জাগবে দলটিতে। ফিরে আসবে অনেকে, নতুন যোগও দিতে পারে অনেকে। জামায়াত বর্জনে অর্জন হয়ে যেতে পারে অনেক বেশি।

এবং এটাও বলা যায়, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থার ঘোষিত-অঘোষিত বার্তা, সর্বোপরি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও প্রচ্ছন্নে যে বার্তা বিএনপিকে দিয়ে গেছেন, বিএনপি তা সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। বোঝা যায়, খালেদা জিয়ার এ ব্যাপারে অবস্থান সুচিন্তিত ও দৃঢ়। চিন্তা ও বিশ্বাসের সঙ্গে দলকে মিলিয়ে নিতে হলে যেসব শর্ত পূরণ জরুরি, তা তো দৃশ্যমান ও কার্যকর হতেই হবে। এখন দেখতে হবে, বি. চৌধুরী, কর্নেল (অব.) অলি আহমদরা দলে ফিরলে যে 'অথর্বদের' কপাল পুড়বে, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার যোগ্যতাহীন যারা সংসদ সদস্য পদে লড়ার খোয়াব দেখছেন, যে অযোগ্যরা দলে বড় বড় পদ দখল করে বসে আছেন তাদের সব প্রতিরোধ ও চক্রান্তকে প্রতিহত করে বেগম খালেদা জিয়া তার সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারেন কিনা।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট

ই-মেইল : [email protected]

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
চেনা যায় সহজেই
চেনা যায় সহজেই
সর্বশেষ খবর
গোবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
গোবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

১১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ
জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ

২১ মিনিট আগে | জাতীয়

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন
জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন

২৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

৩৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ
দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ

৩৭ মিনিট আগে | জাতীয়

তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

৩৮ মিনিট আগে | জাতীয়

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ

৪১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘বিএনপি ক্ষমতায় না এলে ভাত খাব না’ বলা নিজামের পাশে তারেক রহমান
‘বিএনপি ক্ষমতায় না এলে ভাত খাব না’ বলা নিজামের পাশে তারেক রহমান

৪২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গণপিটুনিতে যুবক নিহত
গণপিটুনিতে যুবক নিহত

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘অন্যান্য পেশাজীবীর মতো সাংবাদিকদের পেশাগত লাইসেন্স থাকা দরকার’
‘অন্যান্য পেশাজীবীর মতো সাংবাদিকদের পেশাগত লাইসেন্স থাকা দরকার’

৪৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার
চট্টগ্রামে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার

৪৯ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বজ্রপাতে ট্রলি চালকের মৃত্যু
বজ্রপাতে ট্রলি চালকের মৃত্যু

৫০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ইউনিয়নের কমিটি ঘোষণা
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ইউনিয়নের কমিটি ঘোষণা

৫৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৫ মে থেকে বাজারে আসবে সাতক্ষীরার আম
৫ মে থেকে বাজারে আসবে সাতক্ষীরার আম

৫৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পুঁজিবাজারে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে
পুঁজিবাজারে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে

৫৪ মিনিট আগে | বাণিজ্য

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই, হাসপাতালে ভর্তি ২৯
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই, হাসপাতালে ভর্তি ২৯

৫৯ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

ভিয়েতনামের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে সিপিবি নেতা হাসান তারিক
ভিয়েতনামের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে সিপিবি নেতা হাসান তারিক

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাখাইনে করিডর নিয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে সরকারের প্রতি সাইফুল হকের আহ্বান
রাখাইনে করিডর নিয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে সরকারের প্রতি সাইফুল হকের আহ্বান

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রামে মৃগী রোগী আছে, পৃথক সেবা নেই
চট্টগ্রামে মৃগী রোগী আছে, পৃথক সেবা নেই

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১০০ টাকার জন্য খুন, আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১০০ টাকার জন্য খুন, আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সংযোগ সড়কবিহীন সেতু, ১০ গ্রামবাসীর দুর্ভোগ
সংযোগ সড়কবিহীন সেতু, ১০ গ্রামবাসীর দুর্ভোগ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দেশের রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার
দেশের রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় মাসব্যাপী অ্যাথলেটিকস প্রশিক্ষণ
বগুড়ায় মাসব্যাপী অ্যাথলেটিকস প্রশিক্ষণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোবিপ্রবি’তে কর্মকর্তাদের আচরণ ও শৃঙ্খলা বিষয়ক কর্মশালা
গোবিপ্রবি’তে কর্মকর্তাদের আচরণ ও শৃঙ্খলা বিষয়ক কর্মশালা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছাত্রলীগের নির্যাতনের সহযোগী শিক্ষক-কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ
ছাত্রলীগের নির্যাতনের সহযোগী শিক্ষক-কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্র্যাজুয়েশন ডে ২০২৫ উদযাপন
গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্র্যাজুয়েশন ডে ২০২৫ উদযাপন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়ায় ধান চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন
বগুড়ায় ধান চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কলাপাড়ায় বসতবাড়িতে ডাকাতি
কলাপাড়ায় বসতবাড়িতে ডাকাতি

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
কাশ্মীর ইস্যু: প্রতিশোধ নিতে সামরিক হামলার ‘সবুজ সংকেত’ দিলেন মোদি
কাশ্মীর ইস্যু: প্রতিশোধ নিতে সামরিক হামলার ‘সবুজ সংকেত’ দিলেন মোদি

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?
‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট
এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’
‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?
চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা
উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার
আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা
সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’
‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা
আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে পাঠ্যবই থেকে বাদ মোগল-সুলতানি ইতিহাস
ভারতে পাঠ্যবই থেকে বাদ মোগল-সুলতানি ইতিহাস

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ
শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান
নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস
ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’
‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই
ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প
পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল
বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান
ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম
পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে
চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ
প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ

১১ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার
গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?
আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?

১৪ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

প্রিন্ট সর্বাধিক
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো
বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো

পেছনের পৃষ্ঠা

আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত
আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি
আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না
বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে
চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে

পেছনের পৃষ্ঠা

পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড
পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড

নগর জীবন

মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু
মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু

পেছনের পৃষ্ঠা

পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান
পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবিলা নূরের লুকোচুরি...
সাবিলা নূরের লুকোচুরি...

শোবিজ

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ
অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ

পেছনের পৃষ্ঠা

বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না
বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না

পেছনের পৃষ্ঠা

গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক
গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক

দেশগ্রাম

অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা
অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা
শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা

সম্পাদকীয়

ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই
ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই

পেছনের পৃষ্ঠা

শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা
শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা

শোবিজ

আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি
আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কে কারিনা
বিতর্কে কারিনা

শোবিজ

শ্রমিকেরাও মানুষ
শ্রমিকেরাও মানুষ

সম্পাদকীয়

মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা
মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা

মাঠে ময়দানে

গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প
গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প

পেছনের পৃষ্ঠা

চম্পা কেন দূরে
চম্পা কেন দূরে

শোবিজ

১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার
১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার

মাঠে ময়দানে

নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে
নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে

শোবিজ

মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে
মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

কী চায় নতুন দলগুলো
কী চায় নতুন দলগুলো

প্রথম পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা
নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা

মাঠে ময়দানে