শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৫

\\\'পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার প্রকল্প\\\' ভেস্তে গেছে?

জাফর ওয়াজেদ
অনলাইন ভার্সন
\\\'পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার প্রকল্প\\\' ভেস্তে গেছে?

১৯৭১ সালে পরাজিত হওয়ার পর থেকেই তা পুনরুদ্ধারে গত ৪৩ বছর ধরে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা ও মুক্তির বিরুদ্ধে বাঙালি পরিবারে জন্ম নিয়েও সশস্ত্র বিরোধিতা আজও শেষ হয়নি। নাশকতামূলক তৎপরতায় 'সিদ্ধহস্ত' হিসেবে খ্যাতরা তাদের পুরো শ্রম, নিষ্ঠা, একাগ্রতা ব্যয় করছে মূলত সেই উপনিবেশ রাজ্য 'পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধারে'। ধর্মকে বর্ম করে তারা তাদের লক্ষ্য সম্প্রসারিত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তথাপি দীর্ঘ সময় ধরে যত তৎপরতাই চালিয়েছে, তা একটা জায়গায় এসে মুখ থুবড়ে পড়েছে। কিন্তু থেমে নেই। ইতিমধ্যে শীর্ষ নেতারা যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বিচারে প্রমাণিত। ফাঁসি, কারাদণ্ড, আমৃত্যু কারাদণ্ডের আওতায় নেতারা। ফাঁসি হয়েছে একজনের। আর অপরজনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে নব্বইঊর্ধ্ব বয়সে কারাদণ্ড নিয়ে। তিনিই সব কর্ম-অপকর্মের হোতা হিসেবে অভিহিত।

তিনি সদ্য প্রয়াত গোলাম আযম। জামায়াতের আমিরও ছিলেন। জীবনভর যত প্রচেষ্টাই নিয়েছেন, ব্যুমেরাং হয়ে তা ফিরে ফিরে এসেছে। আর এসব প্রচেষ্টার কোনোটাই ছিল না গণমুখী। বরং জনগণের বিরুদ্ধে হানাদার শাসকদের বক্ষপুষ্ট হয়েও থেকেছেন। দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে সহিংস অবস্থানের কারণে নিজ দেশের নাগরিকত্ব হারাতে হয়েছে। পালাতে হয়েছে দেশ ছেড়ে। বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্বের পাসপোর্ট নিয়ে জন্মভূমিতে ফিরে এলেও মামলা করে শাসকশ্রেণির 'তল্পিবাহক' হিসেবে নাগরিকত্ব পেলেও রাজনৈতিক অঙ্গনে নিরাপদে ঘোরাফেরা করতে পারেননি। বরং তাকে কেন্দ্র করেই যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রাসঙ্গিকতা সামনে এসে দাঁড়ায়। বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী প্রথম শীর্ষ ১০ জনের তিনি একজন। শুধু তাই নয়, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও তিনি পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধারে বাকি জীবন সচেষ্ট থেকেছেন। স্বীয় অপরাধের জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ বা ক্ষমা প্রার্থনা করেননি। '৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সক্রিয় সহযোগী হিসেবে তিনি সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিলেন।

জামায়াতে ইসলামীর 'পূর্ব পাকিস্তান' শাখার আমির গোলাম আযম যুদ্ধ চলাকালে ঢাকা ছেড়ে পাকিস্তান চলে যান একাত্তরের ২২ নভেম্বর আরও জামায়াত নেতাসহ। পুরো মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সমর্থনে প্রথমে বাংলাদেশবিরোধী রাজনীতিকদের সমন্বয়ে শান্তি কমিটি, পরে রাজনৈতিক কর্মী সমন্বয়ে সশস্ত্র রাজাকার বাহিনী এবং জামায়াত ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী ও ক্যাডার সমন্বয়ে আলবদর বাহিনী গঠন করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধবিরোধী তৎপরতাকে সর্বাত্মক করার জন্যই জামায়াতে ইসলামী হানাদার বাহিনীর সহযোগিতায় এসব গড়ে তোলে। আলবদর ছিল জামায়াতের তৈরি স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী। শিক্ষিত জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রসংঘ কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত সশস্ত্র সংগঠনটির উদ্দেশ্য ছিল, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধরত বাঙালি জনগোষ্ঠীকে পাকিস্তানি জীবনদর্শনে বিশ্বাসী জনগোষ্ঠীতে পরিণত করা। হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যোগসাজশে বদর বাহিনী সর্বাত্মকভাবে জামায়াতে ইসলামীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হতো। 'বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ঠাণ্ডা মাথায়' বদর বাহিনীর নৃশংসতা যুদ্ধের শেষ পাঁচটি মাস জনমনে ভয়াবহ আতঙ্কের সৃষ্টি করেছিল। হানাদারকবলিত দেশের প্রতিটি জেলা ও মহকুমা শহরেই এদের নিজস্ব 'ঘাঁটি' বা 'ক্যাম্প' ছিল। এসব ক্যাম্পে ধরে আনা স্বাধীনতাকামীদের ক্রমাগত নির্যাতনের মধ্য দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হতো। বদর বাহিনী সার্বিকভাবে গোলাম আযমের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হতো। এর প্রকাশ্য নেতা ছিলেন মতিউর রহমান নিজামী।

১৯৭১ সালের ২২ নভেম্বর গোলাম আযম, মওলানা আবদুর রহিম ও এ কে এম ইউসুফ- এই তিন জামায়াত তথা বদর রাজাকার ও শান্তি কমিটি নেতা পাকিস্তান চলে যান। সেখানে বসে তারা পাকিস্তান জামায়াত নেতাদের সঙ্গে সলাপরামর্শ করেন। গোলাম আযম ১৯৭১-এর ১ ডিসেম্বর ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে দেখা করে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষিত শ্রেণিকে হত্যা করার জন্য বদর বাহিনী ও রাজাকারের ক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিলেন, এমনটা পরে প্রচারিত হয়। তা ছাড়া ১৬ ডিসেম্বর 'পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ'-এর বৈঠক ডাকার প্রসঙ্গটিও আলোচনা হয়েছে বলে পরবর্তীকালে প্রকাশিত হয়। গোলাম আযমসহ স্বাধীনতাবিরোধী দলগুলো আওয়ামী লীগের আসন শূন্য করিয়ে সেখানে ৮৮টি আসন ভাগাভাগি করে নেয় ভোট ছাড়াই। ততদিনে পরিস্থিতি পাল্টে যেতে থাকে। পাকিস্তান হামলা চালায় ভারতে। ভারতও পাল্টা আক্রমণ করে। দু'দেশের মধ্যে যুদ্ধ বেধে যায়। ১৬ ডিসেম্বর হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের চূড়ান্ত পতন ঘটে এবং আত্মসমর্পণ করে হানাদার বাহিনী। কিন্তু রাজাকার আলবদর ও শান্তি কমিটি এবং আলশামস সদস্যরা পালিয়ে যায়। পলাতকদের অনেককে পরে ধরা হয়। বিচারের সম্মুখীনও করা হয়। তবে শীর্ষ পর্যায়ের যারা ছিল, তারা আত্মগোপন করে।

পরাজয় মেনে নিতে না পারা জামায়াত নেতা, শান্তি কমিটির নেতা গোলাম আযম ১৯৭২-এর ১৫ জানুয়ারি লাহোরে গঠন করেন 'পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি'। গোলাম আযমের নেতৃত্বে সপ্তাহব্যাপী পাকিস্তানের বাঙালি ও বিহারি অধ্যুষিত স্থানে মিছিল, সমাবেশসহ অন্যান্য কর্মসূচি পালন করা হয়। ভুট্টো তখন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট। তারও লক্ষ্য একই। ভুট্টোর অর্থায়নে গোলাম আযম পাকিস্তানে এ কর্মসূচি পালন করেন। এরপর মুসলিম দেশগুলোর সমর্থনলাভে ও বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দেওয়ার জন্য বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণার জন্য সফর শুরু করেন পাকিস্তানি নাগরিক হিসেবেই, পাকিস্তানি পাসপোর্টে। তবে তার গঠিত তথাকথিত পুনরুদ্ধার কমিটি পাকিস্তানে বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা অব্যাহত রাখে। পাকিস্তান সরকার যাতে কোনোভাবেই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দেয়, সে জন্য জামায়াতের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে গোলাম আযম প্রস্তাব পাস করান। এরপর '৭২ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশবিরোধী তার পরিকল্পিত আন্দোলনকে ব্যাপকতা দান ও সফল করার জন্য পাকিস্তান গোয়েন্দা বাহিনীর সহায়তায় দেশত্যাগ করেন।

সৌদি আরবে বসে গোলাম আযম ফন্দি ও পরিকল্পনা অাঁটতে থাকেন। সৌদি সরকারকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন, বাংলাদেশ ভারতের অঙ্গরাজ্য। সেখানে ইসলাম ধর্ম বিনষ্ট হচ্ছে। এ অবস্থায় 'পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধারে' সৌদি সহায়তা পেতে সক্ষম হন। তার প্ররোচনায় সৌদি আরব বাংলাদেশ থেকে কোনো হজযাত্রী যেতে দেয়নি ১৯৭২-৭৩ সালে। ১৯৭৪ সালে ওআইসি সম্মেলনে শেখ মুজিব সৌদি বাদশাহকে চাপ দেওয়ার পর হজযাত্রী যাতায়াত শুরু হয়। গোলাম আযম পূর্ব পাকিস্তানে ইসলামপন্থিদের ঐক্যবদ্ধ করে পাকিস্তানের সঙ্গে প্রথমে কনফেডারেশন গঠন ও ইসলামী রাষ্ট্র গোষণার আশ্বাস দেন। সেই সঙ্গে শেখ মুজিব সরকারকে উৎখাতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা নেওয়ার প্রস্তাবও রেখেছিলেন। ১৯৭২ সালের ডিসেম্বরে রিয়াদে অনুষ্ঠিত 'বিশ্ব ইসলামী যুব সংস্থা' আয়োজিত আন্তর্জাতিক ইসলামি যুব সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে সভাপতির ভাষণে গোলাম আযম স্পষ্টভাবেই বলেছেন, 'হিন্দুস্থান দখল করে নিয়েছে পূর্ব পাকিস্তান। সেখানে মুসলমানদের হত্যা ও নির্যাতন করা হচ্ছে। মসজিদগুলো মন্দিরে রূপান্তরিত করা হচ্ছে।'

এমন ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টিকারী মিথ্যাচারে বশীভূত করে বিশ্ব মুসলিম যুবকদের সাহায্য দাবি করেন এগিয়ে আসার ও সহায়তা করার। এই প্রক্রিয়ায় বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেন পরবর্তীকালেও। তবে সংগৃহীত অর্থের বিরাট অংশ আত্মসাতেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। যদিও এর অংশবিশেষ তিনি বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন জামায়াত পুনর্গঠনে। ১৯৭৩ সালের মার্চে গোলাম আযম সৌদি আরব হতে লিবিয়া যান। বেনগাজিতে অনুষ্ঠিত মুসলিম পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনে হাজির হন। মুসলিম দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কাছে ধরনা দেন এবং বাংলাদেশ যে ভারতীয়দের দখলে অঙ্গরাজ্য এবং ইসলাম বিপন্ন, মসজিদগুলো মন্দির হয়ে গেছে- ইত্যাকার মিথ্যা ও বানোয়াট বিষয় ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে তুলে ধরে 'পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার' ও সেখানকার মুসলিমদের উদ্ধারে সহায়তা চান। গোলাম আযম বাংলাদেশে তার অনুসারীরা সংঘবদ্ধ হচ্ছে বলে তাদের জানিয়েছিলেন। দ্বিতীয়বার ১৯৭৩ সালের জুলাই মাসে গোলাম আযম লিবিয়ায় যান। ত্রিপলিতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইসলামী সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি বাংলাদেশবিরোধী বক্তব্য রেখে ভাষা ও ভৌগোলিক জাতীয়তাবাদের তীব্র সমালোচনা করে মুসলিম জাতীয়তাবাদের ব্যাখ্যা দেন।

এই বক্তব্যের ক'মাস আগে ১৯৭৩ সালের ২২ এপ্রিল গোলাম আযমের নাগরিকত্ব বাতিল করে বাংলাদেশ সরকার। এরপর তিনি লন্ডনে চলে যান। 'পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধারের' নামে সংগৃহীত অর্থে লন্ডনে বাড়ি কিনে বসবাস শুরু করেন পাকিস্তানি নাগরিক হিসেবেই। লন্ডনে স্থাপন করেন পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি'র সদর দফতর। লন্ডনের ম্যানচেস্টারে ফেডারেশন অব স্টুডেন্টস ইসলামিক সোসাইটি গঠন করান। এবং বার্ষিক সম্মেলনে বাংলাদেশে ইসলাম ধর্ম পালন করা যায় না বলে নানা বানোয়াট যুক্তি-তথ্য দিয়ে সম্মোহিত করেন। সম্মেলনে 'পূর্ব পকিস্তান পুনরুদ্ধারে' অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোর সন্ত্রাসবাদী দল নেতাদের সঙ্গেও গোলাম আযম মতবিনিময় চালাতেন। লন্ডনে তিনি বাংলাদেশবিরোধী তৎপরতা অব্যাহত রাখতে বিভিন্ন সমাবেশে অংশ নিতে থাকেন। ১৯৭৩ সালের আগস্টে ব্রিটিশ ইসলামিক মিশনের লোটারে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সম্মেলনে বাংলাদেশবিরোধী মনোভাব উসকে দেন। ইসলামি আন্দোলন করার কারণে তার নাগরিকত্ব বাতিল হয়েছে বলে সহমর্মিতা লাভ করেন। আর আর্থিক সহায়তা পেতে থাকেন।

'পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধারে' তহবিল সংগ্রহে গোলাম আযম সমাবেশে যোগ দিতে থাকেন। এরপর আমেরিকা যান ১৯৭৩ সালের ৩১ হতে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে মুসলিম স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা অ্যান্ড কানাডা আয়োজিত একাদশ বার্ষিক কনভেনশনে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখার সুযোগ নিয়ে তার দেশকে পুনরুদ্ধারে সবার সহায়তা চান। টানা তিন সপ্তাহ ধরে গোলাম আযম যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ইসলামী কেন্দ্র ও সংস্থায় ঘুরে ঘুরে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দেওয়ার জন্য মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আবেদন জানান এবং দেশটি উদ্ধারে আর্থিক সহায়তা চান। বিশাল অঙ্কের তহবিল সংগ্রহ করেন গোলাম আযম।

১৯৭৩ সাল থেকে শুরু করে বেশ কয়েকবার গোলাম আযম সৌদি বাদশাহ ফয়সল বিন আজিজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। 'ভারতীয় আগ্রাসন এবং আধিপত্যের কবল থেকে বাংলাদেশের মুসলবানদের হেফাজতে রাখার' ব্যাপারে তিনি বাদশাহর সাহায্য কামনা করেছিলেন। 'বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ জনগণের ওপর ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ধর্মহীনতা চাপিয়ে দেওয়ার কোনো ষড়যন্ত্র যাতে সফল হতে না পারে সে বিষয়ে তার প্রভাব কাজে লাগানোর' অনুরোধও জানিয়েছিলেন। ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন, গোটা মুসলিম জাহান থেকে ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন বাংলাদেশ। সে দেশটির তিন দিকে ভারত এবং অপরদিকে বঙ্গোপসাগর এবং পাশে কোনো মুসলিম রাষ্ট্র নেই। সেই দেশের ইসলামপ্রিয় জনতার স্বার্থে সৌদি আরবসহ গোটা মুসলিম বিশ্বের বাংলাদেশের বিষয়ে একটি অবস্থানে শামিল হওয়া উচিত। ১৯৭৪ সালের এপ্রিলে গোলাম আযম মক্কায় রাবেতায়ে আলম ইসলামির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ইসলামি সংগঠনসমূহের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে পাকিস্তানি নাগরিক হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন। এখানেও তিনি জামায়াত পুনর্গঠনে বাংলাদেশে অবস্থানরত পাকিস্তানি বিহারিদের সহায়তাকারী রাবেতার সহায়তা চান। সে সময় প্রচার হয় যে, মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে বিধ্বস্ত মসজিদ পুনর্গঠনের দাবি জানিয়ে গোলাম আযম ৪৫ লাখ রিয়াল সংগ্রহ করেন। এ টাকার একটি অংশ দিয়ে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারের বাড়ি কেনেন। যেখানে তার পুত্ররা বসবাস করে আসছেন এখনো। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার পর গোলাম আযম তার রূপরেখা বাস্তবায়নে বাংলাদেশে আসার তৎপরতা চালান। মোশতাকের কাছে জামায়াতীরা ধরনা দিলেও গোলাম আযমকে দেশে ফিরে আসতে দিতে রাজি হয়নি। এরপর সামরিক জান্তা শাসক জিয়ার কাছে আবেদন জানালেও জিয়া আপত্তি করেন শুরুতে। তখন গোলাম আযম তার নাগরিকত্ব ফেরতসহ বাংলাদেশে প্রবেশাধিকার দাবি করেন। ১৯৭৬ সালের এপ্রিলে গোলাম আযম লন্ডনে অনুষ্ঠিত ইসলামিক কাউন্সিল অব ইউরোপ আয়োজিত ইসলামি সম্মেলনে পাকিস্তানের সঙ্গে কনফেডারেশনের জন্য বাংলাদেশকে চাপ দিতে বলেন। ডিসেম্বরে সৌদি আরবে ইবনে সউদ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামি আইন সম্মেলনে যোগ দিয়ে বাংলাদেশের মুসলমানদের ভারতের হাত থেকে রক্ষার জন্য মুসলিম বিশ্বের সহায়তা কামনা করে লিফলেট বিতরণ করেন।

গোলাম আযম ১৯৭৭ সালের জুলাইয়ে মক্কার কিং আবদুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক ইসলামি শিক্ষা সম্মেলনে যোগ দিয়ে বাংলাদেশে ইসলামি শিক্ষার পথ রুদ্ধ বলে বানোয়াট বর্ণনা দিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষার প্রসারে বাংলাদেশকে চাপ দিতে ও মাদ্রাসাগুলোকে আর্থিক সহায়তাদানের আবেদন জানান। জুলাই মাসে ইস্তাম্বুলে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ফেডারেশন অব স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশনস আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অতিথি বক্তা হয়ে ইসলামি আন্দোলনের নামে বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা চালাতে থাকেন। লন্ডনে গোলাম আযম 'ডকুমেন্টেশন সেন্টার' নামে বাংলাদেশবিরোধী প্রচার ও 'পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধারের' পক্ষে সমর্থনের লক্ষ্যে স্থাপন করেন। বিদেশি পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত বাংলাদেশবিরোধী খবরের কাটিং একসঙ্গে করে ছাপিয়ে বের করাই ছিল এ প্রতিষ্ঠানের কাজ। এসব কাটিংসমৃদ্ধ কাগজপত্র বাংলাদেশের বিভিন্ন বার লাইব্রেরিতে পাঠানো হতো।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রশ্নে গোলাম আযম ও তার দল জামায়াতে ইসলামী কেবল বিরোধী অবস্থানই নেয়নি, একে সমূলে নস্যাতের জন্য দলটি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায় এবং হত্যা, ধর্ষণ লুটপাটের পথ বেছে নেয়। দেশ, জাতি ও জনগণের বিরুদ্ধে গোলাম আযম ও জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই। তাই এ দলটি মানবতাবিরোধী অপরাধ যুদ্ধাপরাধে জড়িত। দেশ ও জাতির বিরুদ্ধেই অবস্থান নিয়ে এখনো সন্ত্রাস, ফন্দিপনা, হত্যা ইত্যাদির পথ বেছে নিয়েছে। আর এসব পথে দলটিকে ঠেলে দিয়েছেন গোলাম আযম, যার মৃত্যুর পর 'পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার প্রসঙ্গ' ভেস্তে গেছে। গোলাম আযম ১৯৭৮ সালের জুলাই মাসে পাকিস্তানি পাসপোর্টে ঢাকা আসেন। এরপর থেকে জামায়াত পুনর্গঠনসহ সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জেলে থাকার পূর্ব পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে কনফেডারেশনের স্বপ্ন দেখা শুধু নয়, কাজও করেছেন। তাই তার মৃত্যুতে পাকিস্তানে গায়েবানা জানাজা ও শোক প্রকাশের আধিক্য দেখা যায়। গোলাম আযম ১৯৮০ সালে দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'বিদেশে অবস্থানকালে যেখানেই গিয়েছি সেখানে আমি বাংলাদেশে ইসলামকে কোনো শক্তি দাবিয়ে রাখতে পারবে না এবং এখানকার মুসলমানরা ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু বরদাশত করতে রাজি হবে না বলে মুসলিম বিশ্বকে নিশ্চয়তা দিয়েছি। তবে যাতে সংবিধান থেকে সেক্যুলারিজম প্রত্যাহার করা হয় এবং ইসলামের কাজ করতে যেসব বাধা আছে তা দূর করা হয় সে উদ্দেশ্যে মুসলিম জাহান ও ইসলামি আন্দোলনের নেতাদের কাছে তদানীন্তন বাংলাদেশ সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগের আবেদন জানিয়েছি।' প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক একজন পাকিস্তানি নাগরিক যিনি ১৯৭১ সালের ২২ নভেম্বর ঢাকা থেকে পলায়ন করে পাকিস্তান চলে যান, তিনি কী করে একটি স্বাধীন দেশ সম্পর্কে মতামত রাখেন? বাংলাদেশ বিরোধিতা আমৃত্যু করে গেছেন পাকিস্তানি চেতনাকারী গোলাম আযম। তার মৃত্যুর পর 'পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার' কমিটি ভেস্তে যে গেছে সেটা ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে।

লেখক : কবি ও সাংবাদিক

 

এই বিভাগের আরও খবর
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
সর্বশেষ খবর
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র
চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত
চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা
সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ
লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা
কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’
‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের
মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের

৬ ঘণ্টা আগে | পরবাস

মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস
লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ
ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা
জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন
টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ
কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক
ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’
‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

১৭ ঘণ্টা আগে | টক শো

মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার
মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন
গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর
মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি
ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ
শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা
বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’
চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত
গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ
রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের
আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী
ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক
স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!
বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?
কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন

নগর জীবন

পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

পেছনের পৃষ্ঠা

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি
প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি

পেছনের পৃষ্ঠা

২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি
প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি

নগর জীবন

ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত
ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত

নগর জীবন

ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে
ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে

নগর জীবন

নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি
অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি

নগর জীবন

দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ
দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন
বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ
ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির

নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই

নগর জীবন

বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮
বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮

নগর জীবন

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে

নগর জীবন

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা
কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা

নগর জীবন

ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন
ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন

নগর জীবন

১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়
১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়

নগর জীবন

সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল
সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল

খবর

ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের
শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের

খবর

মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত
মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত

খবর