শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৫

\\\'পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার প্রকল্প\\\' ভেস্তে গেছে?

জাফর ওয়াজেদ
অনলাইন ভার্সন
\\\'পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার প্রকল্প\\\' ভেস্তে গেছে?

১৯৭১ সালে পরাজিত হওয়ার পর থেকেই তা পুনরুদ্ধারে গত ৪৩ বছর ধরে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা ও মুক্তির বিরুদ্ধে বাঙালি পরিবারে জন্ম নিয়েও সশস্ত্র বিরোধিতা আজও শেষ হয়নি। নাশকতামূলক তৎপরতায় 'সিদ্ধহস্ত' হিসেবে খ্যাতরা তাদের পুরো শ্রম, নিষ্ঠা, একাগ্রতা ব্যয় করছে মূলত সেই উপনিবেশ রাজ্য 'পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধারে'। ধর্মকে বর্ম করে তারা তাদের লক্ষ্য সম্প্রসারিত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তথাপি দীর্ঘ সময় ধরে যত তৎপরতাই চালিয়েছে, তা একটা জায়গায় এসে মুখ থুবড়ে পড়েছে। কিন্তু থেমে নেই। ইতিমধ্যে শীর্ষ নেতারা যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বিচারে প্রমাণিত। ফাঁসি, কারাদণ্ড, আমৃত্যু কারাদণ্ডের আওতায় নেতারা। ফাঁসি হয়েছে একজনের। আর অপরজনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে নব্বইঊর্ধ্ব বয়সে কারাদণ্ড নিয়ে। তিনিই সব কর্ম-অপকর্মের হোতা হিসেবে অভিহিত।

তিনি সদ্য প্রয়াত গোলাম আযম। জামায়াতের আমিরও ছিলেন। জীবনভর যত প্রচেষ্টাই নিয়েছেন, ব্যুমেরাং হয়ে তা ফিরে ফিরে এসেছে। আর এসব প্রচেষ্টার কোনোটাই ছিল না গণমুখী। বরং জনগণের বিরুদ্ধে হানাদার শাসকদের বক্ষপুষ্ট হয়েও থেকেছেন। দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে সহিংস অবস্থানের কারণে নিজ দেশের নাগরিকত্ব হারাতে হয়েছে। পালাতে হয়েছে দেশ ছেড়ে। বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্বের পাসপোর্ট নিয়ে জন্মভূমিতে ফিরে এলেও মামলা করে শাসকশ্রেণির 'তল্পিবাহক' হিসেবে নাগরিকত্ব পেলেও রাজনৈতিক অঙ্গনে নিরাপদে ঘোরাফেরা করতে পারেননি। বরং তাকে কেন্দ্র করেই যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রাসঙ্গিকতা সামনে এসে দাঁড়ায়। বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী প্রথম শীর্ষ ১০ জনের তিনি একজন। শুধু তাই নয়, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও তিনি পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধারে বাকি জীবন সচেষ্ট থেকেছেন। স্বীয় অপরাধের জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ বা ক্ষমা প্রার্থনা করেননি। '৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সক্রিয় সহযোগী হিসেবে তিনি সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিলেন।

জামায়াতে ইসলামীর 'পূর্ব পাকিস্তান' শাখার আমির গোলাম আযম যুদ্ধ চলাকালে ঢাকা ছেড়ে পাকিস্তান চলে যান একাত্তরের ২২ নভেম্বর আরও জামায়াত নেতাসহ। পুরো মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সমর্থনে প্রথমে বাংলাদেশবিরোধী রাজনীতিকদের সমন্বয়ে শান্তি কমিটি, পরে রাজনৈতিক কর্মী সমন্বয়ে সশস্ত্র রাজাকার বাহিনী এবং জামায়াত ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী ও ক্যাডার সমন্বয়ে আলবদর বাহিনী গঠন করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধবিরোধী তৎপরতাকে সর্বাত্মক করার জন্যই জামায়াতে ইসলামী হানাদার বাহিনীর সহযোগিতায় এসব গড়ে তোলে। আলবদর ছিল জামায়াতের তৈরি স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী। শিক্ষিত জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রসংঘ কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত সশস্ত্র সংগঠনটির উদ্দেশ্য ছিল, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধরত বাঙালি জনগোষ্ঠীকে পাকিস্তানি জীবনদর্শনে বিশ্বাসী জনগোষ্ঠীতে পরিণত করা। হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যোগসাজশে বদর বাহিনী সর্বাত্মকভাবে জামায়াতে ইসলামীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হতো। 'বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ঠাণ্ডা মাথায়' বদর বাহিনীর নৃশংসতা যুদ্ধের শেষ পাঁচটি মাস জনমনে ভয়াবহ আতঙ্কের সৃষ্টি করেছিল। হানাদারকবলিত দেশের প্রতিটি জেলা ও মহকুমা শহরেই এদের নিজস্ব 'ঘাঁটি' বা 'ক্যাম্প' ছিল। এসব ক্যাম্পে ধরে আনা স্বাধীনতাকামীদের ক্রমাগত নির্যাতনের মধ্য দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হতো। বদর বাহিনী সার্বিকভাবে গোলাম আযমের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হতো। এর প্রকাশ্য নেতা ছিলেন মতিউর রহমান নিজামী।

১৯৭১ সালের ২২ নভেম্বর গোলাম আযম, মওলানা আবদুর রহিম ও এ কে এম ইউসুফ- এই তিন জামায়াত তথা বদর রাজাকার ও শান্তি কমিটি নেতা পাকিস্তান চলে যান। সেখানে বসে তারা পাকিস্তান জামায়াত নেতাদের সঙ্গে সলাপরামর্শ করেন। গোলাম আযম ১৯৭১-এর ১ ডিসেম্বর ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে দেখা করে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষিত শ্রেণিকে হত্যা করার জন্য বদর বাহিনী ও রাজাকারের ক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিলেন, এমনটা পরে প্রচারিত হয়। তা ছাড়া ১৬ ডিসেম্বর 'পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ'-এর বৈঠক ডাকার প্রসঙ্গটিও আলোচনা হয়েছে বলে পরবর্তীকালে প্রকাশিত হয়। গোলাম আযমসহ স্বাধীনতাবিরোধী দলগুলো আওয়ামী লীগের আসন শূন্য করিয়ে সেখানে ৮৮টি আসন ভাগাভাগি করে নেয় ভোট ছাড়াই। ততদিনে পরিস্থিতি পাল্টে যেতে থাকে। পাকিস্তান হামলা চালায় ভারতে। ভারতও পাল্টা আক্রমণ করে। দু'দেশের মধ্যে যুদ্ধ বেধে যায়। ১৬ ডিসেম্বর হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের চূড়ান্ত পতন ঘটে এবং আত্মসমর্পণ করে হানাদার বাহিনী। কিন্তু রাজাকার আলবদর ও শান্তি কমিটি এবং আলশামস সদস্যরা পালিয়ে যায়। পলাতকদের অনেককে পরে ধরা হয়। বিচারের সম্মুখীনও করা হয়। তবে শীর্ষ পর্যায়ের যারা ছিল, তারা আত্মগোপন করে।

পরাজয় মেনে নিতে না পারা জামায়াত নেতা, শান্তি কমিটির নেতা গোলাম আযম ১৯৭২-এর ১৫ জানুয়ারি লাহোরে গঠন করেন 'পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি'। গোলাম আযমের নেতৃত্বে সপ্তাহব্যাপী পাকিস্তানের বাঙালি ও বিহারি অধ্যুষিত স্থানে মিছিল, সমাবেশসহ অন্যান্য কর্মসূচি পালন করা হয়। ভুট্টো তখন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট। তারও লক্ষ্য একই। ভুট্টোর অর্থায়নে গোলাম আযম পাকিস্তানে এ কর্মসূচি পালন করেন। এরপর মুসলিম দেশগুলোর সমর্থনলাভে ও বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দেওয়ার জন্য বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণার জন্য সফর শুরু করেন পাকিস্তানি নাগরিক হিসেবেই, পাকিস্তানি পাসপোর্টে। তবে তার গঠিত তথাকথিত পুনরুদ্ধার কমিটি পাকিস্তানে বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা অব্যাহত রাখে। পাকিস্তান সরকার যাতে কোনোভাবেই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দেয়, সে জন্য জামায়াতের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে গোলাম আযম প্রস্তাব পাস করান। এরপর '৭২ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশবিরোধী তার পরিকল্পিত আন্দোলনকে ব্যাপকতা দান ও সফল করার জন্য পাকিস্তান গোয়েন্দা বাহিনীর সহায়তায় দেশত্যাগ করেন।

সৌদি আরবে বসে গোলাম আযম ফন্দি ও পরিকল্পনা অাঁটতে থাকেন। সৌদি সরকারকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন, বাংলাদেশ ভারতের অঙ্গরাজ্য। সেখানে ইসলাম ধর্ম বিনষ্ট হচ্ছে। এ অবস্থায় 'পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধারে' সৌদি সহায়তা পেতে সক্ষম হন। তার প্ররোচনায় সৌদি আরব বাংলাদেশ থেকে কোনো হজযাত্রী যেতে দেয়নি ১৯৭২-৭৩ সালে। ১৯৭৪ সালে ওআইসি সম্মেলনে শেখ মুজিব সৌদি বাদশাহকে চাপ দেওয়ার পর হজযাত্রী যাতায়াত শুরু হয়। গোলাম আযম পূর্ব পাকিস্তানে ইসলামপন্থিদের ঐক্যবদ্ধ করে পাকিস্তানের সঙ্গে প্রথমে কনফেডারেশন গঠন ও ইসলামী রাষ্ট্র গোষণার আশ্বাস দেন। সেই সঙ্গে শেখ মুজিব সরকারকে উৎখাতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা নেওয়ার প্রস্তাবও রেখেছিলেন। ১৯৭২ সালের ডিসেম্বরে রিয়াদে অনুষ্ঠিত 'বিশ্ব ইসলামী যুব সংস্থা' আয়োজিত আন্তর্জাতিক ইসলামি যুব সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে সভাপতির ভাষণে গোলাম আযম স্পষ্টভাবেই বলেছেন, 'হিন্দুস্থান দখল করে নিয়েছে পূর্ব পাকিস্তান। সেখানে মুসলমানদের হত্যা ও নির্যাতন করা হচ্ছে। মসজিদগুলো মন্দিরে রূপান্তরিত করা হচ্ছে।'

এমন ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টিকারী মিথ্যাচারে বশীভূত করে বিশ্ব মুসলিম যুবকদের সাহায্য দাবি করেন এগিয়ে আসার ও সহায়তা করার। এই প্রক্রিয়ায় বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেন পরবর্তীকালেও। তবে সংগৃহীত অর্থের বিরাট অংশ আত্মসাতেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। যদিও এর অংশবিশেষ তিনি বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন জামায়াত পুনর্গঠনে। ১৯৭৩ সালের মার্চে গোলাম আযম সৌদি আরব হতে লিবিয়া যান। বেনগাজিতে অনুষ্ঠিত মুসলিম পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনে হাজির হন। মুসলিম দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কাছে ধরনা দেন এবং বাংলাদেশ যে ভারতীয়দের দখলে অঙ্গরাজ্য এবং ইসলাম বিপন্ন, মসজিদগুলো মন্দির হয়ে গেছে- ইত্যাকার মিথ্যা ও বানোয়াট বিষয় ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে তুলে ধরে 'পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার' ও সেখানকার মুসলিমদের উদ্ধারে সহায়তা চান। গোলাম আযম বাংলাদেশে তার অনুসারীরা সংঘবদ্ধ হচ্ছে বলে তাদের জানিয়েছিলেন। দ্বিতীয়বার ১৯৭৩ সালের জুলাই মাসে গোলাম আযম লিবিয়ায় যান। ত্রিপলিতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইসলামী সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি বাংলাদেশবিরোধী বক্তব্য রেখে ভাষা ও ভৌগোলিক জাতীয়তাবাদের তীব্র সমালোচনা করে মুসলিম জাতীয়তাবাদের ব্যাখ্যা দেন।

এই বক্তব্যের ক'মাস আগে ১৯৭৩ সালের ২২ এপ্রিল গোলাম আযমের নাগরিকত্ব বাতিল করে বাংলাদেশ সরকার। এরপর তিনি লন্ডনে চলে যান। 'পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধারের' নামে সংগৃহীত অর্থে লন্ডনে বাড়ি কিনে বসবাস শুরু করেন পাকিস্তানি নাগরিক হিসেবেই। লন্ডনে স্থাপন করেন পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি'র সদর দফতর। লন্ডনের ম্যানচেস্টারে ফেডারেশন অব স্টুডেন্টস ইসলামিক সোসাইটি গঠন করান। এবং বার্ষিক সম্মেলনে বাংলাদেশে ইসলাম ধর্ম পালন করা যায় না বলে নানা বানোয়াট যুক্তি-তথ্য দিয়ে সম্মোহিত করেন। সম্মেলনে 'পূর্ব পকিস্তান পুনরুদ্ধারে' অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোর সন্ত্রাসবাদী দল নেতাদের সঙ্গেও গোলাম আযম মতবিনিময় চালাতেন। লন্ডনে তিনি বাংলাদেশবিরোধী তৎপরতা অব্যাহত রাখতে বিভিন্ন সমাবেশে অংশ নিতে থাকেন। ১৯৭৩ সালের আগস্টে ব্রিটিশ ইসলামিক মিশনের লোটারে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সম্মেলনে বাংলাদেশবিরোধী মনোভাব উসকে দেন। ইসলামি আন্দোলন করার কারণে তার নাগরিকত্ব বাতিল হয়েছে বলে সহমর্মিতা লাভ করেন। আর আর্থিক সহায়তা পেতে থাকেন।

'পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধারে' তহবিল সংগ্রহে গোলাম আযম সমাবেশে যোগ দিতে থাকেন। এরপর আমেরিকা যান ১৯৭৩ সালের ৩১ হতে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে মুসলিম স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা অ্যান্ড কানাডা আয়োজিত একাদশ বার্ষিক কনভেনশনে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখার সুযোগ নিয়ে তার দেশকে পুনরুদ্ধারে সবার সহায়তা চান। টানা তিন সপ্তাহ ধরে গোলাম আযম যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ইসলামী কেন্দ্র ও সংস্থায় ঘুরে ঘুরে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দেওয়ার জন্য মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আবেদন জানান এবং দেশটি উদ্ধারে আর্থিক সহায়তা চান। বিশাল অঙ্কের তহবিল সংগ্রহ করেন গোলাম আযম।

১৯৭৩ সাল থেকে শুরু করে বেশ কয়েকবার গোলাম আযম সৌদি বাদশাহ ফয়সল বিন আজিজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। 'ভারতীয় আগ্রাসন এবং আধিপত্যের কবল থেকে বাংলাদেশের মুসলবানদের হেফাজতে রাখার' ব্যাপারে তিনি বাদশাহর সাহায্য কামনা করেছিলেন। 'বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ জনগণের ওপর ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ধর্মহীনতা চাপিয়ে দেওয়ার কোনো ষড়যন্ত্র যাতে সফল হতে না পারে সে বিষয়ে তার প্রভাব কাজে লাগানোর' অনুরোধও জানিয়েছিলেন। ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন, গোটা মুসলিম জাহান থেকে ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন বাংলাদেশ। সে দেশটির তিন দিকে ভারত এবং অপরদিকে বঙ্গোপসাগর এবং পাশে কোনো মুসলিম রাষ্ট্র নেই। সেই দেশের ইসলামপ্রিয় জনতার স্বার্থে সৌদি আরবসহ গোটা মুসলিম বিশ্বের বাংলাদেশের বিষয়ে একটি অবস্থানে শামিল হওয়া উচিত। ১৯৭৪ সালের এপ্রিলে গোলাম আযম মক্কায় রাবেতায়ে আলম ইসলামির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ইসলামি সংগঠনসমূহের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে পাকিস্তানি নাগরিক হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন। এখানেও তিনি জামায়াত পুনর্গঠনে বাংলাদেশে অবস্থানরত পাকিস্তানি বিহারিদের সহায়তাকারী রাবেতার সহায়তা চান। সে সময় প্রচার হয় যে, মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে বিধ্বস্ত মসজিদ পুনর্গঠনের দাবি জানিয়ে গোলাম আযম ৪৫ লাখ রিয়াল সংগ্রহ করেন। এ টাকার একটি অংশ দিয়ে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারের বাড়ি কেনেন। যেখানে তার পুত্ররা বসবাস করে আসছেন এখনো। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার পর গোলাম আযম তার রূপরেখা বাস্তবায়নে বাংলাদেশে আসার তৎপরতা চালান। মোশতাকের কাছে জামায়াতীরা ধরনা দিলেও গোলাম আযমকে দেশে ফিরে আসতে দিতে রাজি হয়নি। এরপর সামরিক জান্তা শাসক জিয়ার কাছে আবেদন জানালেও জিয়া আপত্তি করেন শুরুতে। তখন গোলাম আযম তার নাগরিকত্ব ফেরতসহ বাংলাদেশে প্রবেশাধিকার দাবি করেন। ১৯৭৬ সালের এপ্রিলে গোলাম আযম লন্ডনে অনুষ্ঠিত ইসলামিক কাউন্সিল অব ইউরোপ আয়োজিত ইসলামি সম্মেলনে পাকিস্তানের সঙ্গে কনফেডারেশনের জন্য বাংলাদেশকে চাপ দিতে বলেন। ডিসেম্বরে সৌদি আরবে ইবনে সউদ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামি আইন সম্মেলনে যোগ দিয়ে বাংলাদেশের মুসলমানদের ভারতের হাত থেকে রক্ষার জন্য মুসলিম বিশ্বের সহায়তা কামনা করে লিফলেট বিতরণ করেন।

গোলাম আযম ১৯৭৭ সালের জুলাইয়ে মক্কার কিং আবদুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক ইসলামি শিক্ষা সম্মেলনে যোগ দিয়ে বাংলাদেশে ইসলামি শিক্ষার পথ রুদ্ধ বলে বানোয়াট বর্ণনা দিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষার প্রসারে বাংলাদেশকে চাপ দিতে ও মাদ্রাসাগুলোকে আর্থিক সহায়তাদানের আবেদন জানান। জুলাই মাসে ইস্তাম্বুলে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ফেডারেশন অব স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশনস আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অতিথি বক্তা হয়ে ইসলামি আন্দোলনের নামে বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা চালাতে থাকেন। লন্ডনে গোলাম আযম 'ডকুমেন্টেশন সেন্টার' নামে বাংলাদেশবিরোধী প্রচার ও 'পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধারের' পক্ষে সমর্থনের লক্ষ্যে স্থাপন করেন। বিদেশি পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত বাংলাদেশবিরোধী খবরের কাটিং একসঙ্গে করে ছাপিয়ে বের করাই ছিল এ প্রতিষ্ঠানের কাজ। এসব কাটিংসমৃদ্ধ কাগজপত্র বাংলাদেশের বিভিন্ন বার লাইব্রেরিতে পাঠানো হতো।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রশ্নে গোলাম আযম ও তার দল জামায়াতে ইসলামী কেবল বিরোধী অবস্থানই নেয়নি, একে সমূলে নস্যাতের জন্য দলটি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায় এবং হত্যা, ধর্ষণ লুটপাটের পথ বেছে নেয়। দেশ, জাতি ও জনগণের বিরুদ্ধে গোলাম আযম ও জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই। তাই এ দলটি মানবতাবিরোধী অপরাধ যুদ্ধাপরাধে জড়িত। দেশ ও জাতির বিরুদ্ধেই অবস্থান নিয়ে এখনো সন্ত্রাস, ফন্দিপনা, হত্যা ইত্যাদির পথ বেছে নিয়েছে। আর এসব পথে দলটিকে ঠেলে দিয়েছেন গোলাম আযম, যার মৃত্যুর পর 'পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার প্রসঙ্গ' ভেস্তে গেছে। গোলাম আযম ১৯৭৮ সালের জুলাই মাসে পাকিস্তানি পাসপোর্টে ঢাকা আসেন। এরপর থেকে জামায়াত পুনর্গঠনসহ সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জেলে থাকার পূর্ব পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে কনফেডারেশনের স্বপ্ন দেখা শুধু নয়, কাজও করেছেন। তাই তার মৃত্যুতে পাকিস্তানে গায়েবানা জানাজা ও শোক প্রকাশের আধিক্য দেখা যায়। গোলাম আযম ১৯৮০ সালে দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'বিদেশে অবস্থানকালে যেখানেই গিয়েছি সেখানে আমি বাংলাদেশে ইসলামকে কোনো শক্তি দাবিয়ে রাখতে পারবে না এবং এখানকার মুসলমানরা ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু বরদাশত করতে রাজি হবে না বলে মুসলিম বিশ্বকে নিশ্চয়তা দিয়েছি। তবে যাতে সংবিধান থেকে সেক্যুলারিজম প্রত্যাহার করা হয় এবং ইসলামের কাজ করতে যেসব বাধা আছে তা দূর করা হয় সে উদ্দেশ্যে মুসলিম জাহান ও ইসলামি আন্দোলনের নেতাদের কাছে তদানীন্তন বাংলাদেশ সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগের আবেদন জানিয়েছি।' প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক একজন পাকিস্তানি নাগরিক যিনি ১৯৭১ সালের ২২ নভেম্বর ঢাকা থেকে পলায়ন করে পাকিস্তান চলে যান, তিনি কী করে একটি স্বাধীন দেশ সম্পর্কে মতামত রাখেন? বাংলাদেশ বিরোধিতা আমৃত্যু করে গেছেন পাকিস্তানি চেতনাকারী গোলাম আযম। তার মৃত্যুর পর 'পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার' কমিটি ভেস্তে যে গেছে সেটা ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে।

লেখক : কবি ও সাংবাদিক

 

এই বিভাগের আরও খবর
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
সর্বশেষ খবর
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের
ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু
খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর
ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের
তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি
ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের হামলা
তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের হামলা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পৃথিবীতে প্রাণের উৎস কী সত্যিই এসেছে এই অঞ্চল থেকে?
পৃথিবীতে প্রাণের উৎস কী সত্যিই এসেছে এই অঞ্চল থেকে?

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

নন্দনগাছীতে দুই মিনিট থামবে ঈশ্বরদী কমিউটার ট্রেন
নন্দনগাছীতে দুই মিনিট থামবে ঈশ্বরদী কমিউটার ট্রেন

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পার্বতীপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু
পার্বতীপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ
বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাসিরনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
নাসিরনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্পেশাল টিম: ডা. সায়েদুর
করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্পেশাল টিম: ডা. সায়েদুর

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডাকসু নির্বাচনের ১০ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ
ডাকসু নির্বাচনের ১০ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংবাদপত্রের ওপর কালোছায়া নেমে আসে’
‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংবাদপত্রের ওপর কালোছায়া নেমে আসে’

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঢাবি ভর্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা পেল দুই শিক্ষার্থী
ঢাবি ভর্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা পেল দুই শিক্ষার্থী

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫
২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫

৭ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ
সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১
মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা
উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা
নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’
‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর
ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন
ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু
‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক

২০ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা
সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান
নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত
ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’
‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড
ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার
তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা
দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা
ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা
নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান
আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত
ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি
ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী
১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত
ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত
ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এটিএম বুথের ভেতরে কারখানা শ্রমিককে ধর্ষণ
এটিএম বুথের ভেতরে কারখানা শ্রমিককে ধর্ষণ

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস
ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত
রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত

প্রথম পৃষ্ঠা

দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা
দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিমা খাতে আসছে নতুন আইন
বিমা খাতে আসছে নতুন আইন

শিল্প বাণিজ্য

সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ
সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার
মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি
সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি
স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

নামেই জীবন নামেই মরণ
নামেই জীবন নামেই মরণ

সম্পাদকীয়

নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি
নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি

নগর জীবন

চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি
চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা
ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা

পেছনের পৃষ্ঠা

নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ
নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ

খবর

পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ
পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা
লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়
ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি
যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি

শিল্প বাণিজ্য

ব্র্যান্ড দূষণ বাড়াচ্ছে ৪০ শতাংশ ফ্যাশন
ব্র্যান্ড দূষণ বাড়াচ্ছে ৪০ শতাংশ ফ্যাশন

শিল্প বাণিজ্য

হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী
হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী

পেছনের পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি
গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ
সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ
বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু
শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু

নগর জীবন

গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়
গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান
সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

পেছনের পৃষ্ঠা

বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান
বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান

প্রথম পৃষ্ঠা

সহসাই থামছে না ইরান ইসরায়েল সংঘাত
সহসাই থামছে না ইরান ইসরায়েল সংঘাত

পূর্ব-পশ্চিম

গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ
গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশের উন্নয়নে চাই মালয়েশিয়া মডেল
দেশের উন্নয়নে চাই মালয়েশিয়া মডেল

সম্পাদকীয়