শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৫

হাইকোর্টের রূপরেখা হাসিনা-খালেদার জন্য সেইফ এক্সিট

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
হাইকোর্টের রূপরেখা হাসিনা-খালেদার জন্য সেইফ এক্সিট

নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে হাইকোর্টের একটি পর্যবেক্ষণ এবং রূপরেখা বা রূপকল্প রাজনৈতিক অঙ্গনে আবার কিছুটা 'চঞ্চলতা' সৃষ্টি করেছে। দশম সংসদে অর্ধেকের বেশি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের বৈধতার বিষয়ে এক মামলার পর্যবেক্ষণে উচ্চ আদালত (হাইকোর্ট) দুটি রূপরেখার কথা বলেছেন। প্রথমটিতে বলা হয়, 'সংসদের মেয়াদ পুরো হলে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীর অধীনে সংসদ ভেঙে যাওয়ার দিন থেকে ৯০ দিনের জন্য সব দল থেকে ৫০ জন নতুন মন্ত্রী নেওয়া হবে। সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে মন্ত্রী নিয়োগ হবে। তবে বর্তমান সংসদের নির্বাচন বয়কট করার কারণে বিএনপি ও জামায়াত একাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তাবিত অন্তর্বর্তী সরকারে কোনো মন্ত্রী দিতে পারবে না। কিন্তু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বার্থে সংবিধানের ৫৬(২) অনুচ্ছেদের আওতায় বয়কটকারী দলগুলো পাঁচজন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী দিতে পারবে।' দ্বিতীয় রূপরেখায় বলা হয়, 'কোনো নির্বাচনে বিজয়ী দল প্রথম চার বছর দেশ শাসন করবে। এরপর প্রধান বিরোধী দল শেষ এক বছর দেশ চালাবে। তবে বিরোধী দলকে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের প্রাপ্ত মোট ভোটের অন্তত অর্ধেক সমান ভোট পেতে হবে। তা না পেলে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের পাঁচ বছরের শাসন মেনে নিতে হবে বিরোধী দলকে।' হাইকোর্টের এ পর্যবেক্ষণ এমন একটা সময়ে পাওয়া গেল, যখন মধ্যবর্তী বা আগাম নির্বাচন নিয়ে দেশে ও বিদেশে অর্থবহ আলাপ-আলোচনা চলা বা শুরু হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আকস্মিক মোড় নেওয়ার একটা সম্ভাবনার কথা বলছেন দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও। বিএনপি চেয়ারপারসনের একটি মন্তব্যকে তারা এই মোড় পরিবর্তনের লক্ষণ বা ইঙ্গিত বলে মনে করছেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচন বয়কটের মূল ইস্যুই ছিল নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্ত, যা পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে বাতিল করা হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০-দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্পষ্টতই সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছেন, 'আমি বলছি না যে, তত্ত্বাবধায়কই হতে হবে।' এটা তাৎপর্যপূর্ণ একটা নীতিগত ঘোষণাই বটে। নির্বাচন বর্জন এবং মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতে তিন মাসের সহিংস আন্দোলনের প্রধান ইস্যুর ব্যাপারে ছাড় দেওয়ায় প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী দুই পক্ষের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সমঝোতামূলক সমাধানে শুধু উইন্ডোই নয়, সদর দরজাই বেগম জিয়া খুলে দিয়েছেন। লীগ সরকারের মূল আপত্তি তো তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা নিয়েই। এরপর একটা ইনক্লুসিভ আগাম নির্বাচন আয়োজনে তাদের আর ভয় থাকার কথা নয়। আর প্রকাশ্যে না হলেও ভিতরগতভাবে সরকারের নীতিনির্ধারকরাও তো জানেন এবং মানেন যে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে নৈতিক বৈধতার সংকট আছে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক বেসরকারি গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠান স্ট্র্যাটফোরের এক বিশ্লেষণেও বলা হয়েছে, '২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসের নির্বাচনের পর থেকে সহিংসতায় বিপর্যস্ত বাংলাদেশ। বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ইঙ্গিত দিয়েছেন তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে সরে আসবেন। তবে দলটি নতুন একটি নির্বাচন চায়। অনড় অবস্থান থেকে খালেদা জিয়ার সরে আসার ফলে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে সমঝোতার। সামনের সপ্তাহ, মাসগুলোয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে পর্দার আড়ালে নতুন করে সমঝোতা আলোচনা শুরু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।' তাতে আরও বলা হয়, 'বিরোধী দল বিএনপি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মধ্য-ডানপন্থি এবং ইসলামী দলগুলোর একটি জোটের নেতৃত্বে রয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোয় সরকারি প্রতিষ্ঠান, নিরাপত্তা বাহিনী, ধর্মনিরপেক্ষ ব্লগার এবং অন্যান্য বেসরকারি টার্গেটগুলোয় কট্টরপন্থিদের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সহিংস মৌলবাদীদের থেকে নিজেদের দূরত্ব বাড়ানোর চেষ্টা করছে প্রধান বিরোধী দল। দলটির প্রতিবাদ কৌশলের কার্যকারিতা কমে আসায় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, বিরোধী দলের একাংশ তাদের কিছু দাবি থেকে সরে আসতে রাজি হতে পারে। যেমন- নির্বাচন আয়োজনে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা। এতেই সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল জটিল সমঝোতা প্রক্রিয়ায় যেতে পারে। দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বেসরকারি গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠানটির বিশ্লেষণ বেশ মিলে যায়। বেগম খালেদা জিয়ার আরও একটি অবস্থানেও নীতিগত পরিবর্তন হয়েছে। সেটি হচ্ছে তার ভারতনীতি। ২০-দলীয় জোটের দ্বিতীয় প্রধান শরিক জামায়াতে ইসলামীসহ আরও দু-একটি ইসলামী দল এবং জামায়াত ও বিএনপির ডানপন্থিদের প্রভাবিত ও নিয়ন্ত্রিত বলে কথিত কয়েকটি খুচরা-খাচরা দলের তা পছন্দ হওয়ার কথা নয়। বিএনপি নেত্রী তা আমলে নিচ্ছেন না। এতদিন একটি বিত্তশালী ডানপন্থি গ্রুপের প্রভাবে যেখানে বিএনপিতে এমন একটা ভাব ছিল যে, পারলে তারা দিল্লি দখলই করে ফেলবে, কারণে-অকারণে সর্বদা ছিল ভারত-বিরোধিতার ভ্রান্তিবিলাস, সেখান থেকে সরে এসে বিএনপি এখন দিল্লির 'সখী' হতে চায়, চায় নিবিড় বন্ধুত্ব। এটাও আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে সমঝোতা সৃষ্টির একটি নন্দিত উৎস হতে পারে।

দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আপাতত ও দৃশ্যত শান্ত। কিন্তু ভিতরগত আবহাওয়াটা গুমোট। লীগ সরকারের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি আশু একটি নির্বাচন আদায়ের চেষ্টা করছে। দৃঢ়ভাবেই বলা যায়, গণতান্ত্রিক দুনিয়ার বাঘা বাঘা রাষ্ট্রগুলো, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কমনওয়েলথ এমনকি জাতিসংঘও চায় সংলাপ-সমঝোতার মাধ্যমে বাংলাদেশে দ্রুত একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোক। বিএনপিসহ সরকারবিরোধীদের দাবি এবং আন্তর্জাতিক মহলের এ দাবির প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন-সহানুভূতির কারণ কারোরই অজানা থাকার কথা নয়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের দশম সংসদ নির্বাচনটি ছিল সম্পূর্ণই একপেশে। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৪২টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, সাবেক প্রেসিডেন্ট বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্পধারা, কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন এলডিপি, কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বাধীন জেএসডি, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, আন্দালিব পার্থের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি, ন্যাপ ও বিভিন্ন ইসলামী দলসহ ৩২টি রাজনৈতিক দলই ওই নির্বাচন বর্জন করে। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলের মধ্যে শাসক লীগ ছাড়া স্বৈরাচার এরশাদের জাতীয় পার্টি (এরশাদ নির্বাচনে যেতে রাজি ছিলেন না। তার স্ত্রী রওশন এরশাদের নেতৃত্বে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জিয়াউদ্দিন বাবলু, তাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখকে দিয়ে পার্টির একাংশকে নির্বাচনী টোপ গেলানো হয়। এরশাদকে নিয়ে মঞ্চায়ন করা হয় কৌতুক নাটক) ছাড়া প্যাডসর্বস্ব কটি দল- যাদের কয়েকজন বিনা ভোটে অথবা নৌকা মার্কা নিয়ে পাতানো নির্বাচন করে সংসদ সদস্য হন, কয়েকজন মন্ত্রিত্বের ভাগও পান।

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের আসন সংখ্যা ৩০০। এর মধ্যে ১৫৩ আসনে কোনো নির্বাচন-ভোটাভুটি হয়নি। সাংবিধানিক শাসনের ধারাবাহিকতা রক্ষার অজুহাত দেখিয়ে নির্বাচনটি করে নেওয়া হয়। স্থাপন করা হয় অদ্ভুত এক 'ভাগাভাগির গণতন্ত্র'। সাংবিধানিক শাসনের ধারাবাহিকতার কথা বলে প্রচ্ছন্নে 'অগণতান্ত্রিক শক্তির' ক্ষমতা দখলের ভয় দেখানো হয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছে, এ সরকার কতটা গণতান্ত্রিক? আমাদের দেশে শুধু বর্তমান লীগ সরকার নয়, এ পর্যন্ত এরশাদ স্বৈরাচার ছাড়া বিএনপি-আওয়ামী লীগ যারাই নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে, তারা কেউ প্রকৃত গণতান্ত্রিক সরকারের আচরণ করেনি। এরশাদ ছিলেন জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ক্ষমতা জবরদখলকারী ঘৃণ্য স্বৈরাচার, খালেদা-হাসিনার সরকারকে বলা হয় নির্বাচিত স্বৈরাচার। যে দল যখন ক্ষমতায় ছিল ও থাকে, অন্য দল তাদের স্বৈরাচার ডাকতে ডাকতে মুখে ফেনা তুলে ফেলে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনটি কোনো বিবেচনায়ই একটি আদর্শ নির্বাচন ছিল না। জাতীয় সংসদ নির্বাচনসংক্রান্ত জটিলতার সূচনা হয় ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে দেওয়ার পর। নবম সংসদে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে লীগ সরকার অনৈতিক কাজটি করেছে। অনৈতিক বললাম এ কারণে যে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধানটি সর্বদলীয় সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই গৃহীত হয়েছিল। আমাদের দেশের বর্তমান প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের নেতাদের পারস্পরিক সন্দেহ-অবিশ্বাস থেকেই নির্বাচনকালীন ব্যতিক্রমধর্মী এ তত্ত্বাবধায়ক কনসেপ্টের উদ্ভব। সাজেদা চৌধুরীকে চেয়ারম্যান এবং সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে কো-চেয়ারম্যান করে যে বিশেষ সংবিধান সংশোধন কমিটি করা হয়েছিল, সেই কমিটির সব সদস্যই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রাখার কথা বলেছিলেন। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের দুই দিন আগেও কমিটির কো-চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ব্যবস্থাটি থাকছে। পরে দেখা গেল একজনের ইচ্ছায় সর্বদলীয় একটি সিদ্ধান্ত অনেকটা একদলীয় সিদ্ধান্তেই বাতিল হয়ে যায়। নির্বাচন নিয়ে সংকট, আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থা এবং সংসদ ও সরকারের সর্বজনীনতার বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার কারণটা যে এখানেই, এটা কারও না বোঝার কারণ নেই।

বিএনপি-জামায়াত জোটের, বিশেষ করে বিএনপির এখন মূল এজেন্ডাই হচ্ছে একটি মধ্যবর্তী বা আগাম নির্বাচন। ২০১০ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে সরকারের 'দলদাস'রা মিডিয়ায় কী বললেন, কী বলছেন সেটা কোনো ধর্তব্য বিষয় নয়। হালুয়া-রুটির আশায় অনেকে অনেক কিছু এমন করতে পারেন। এরই মধ্যে অনেকে অনেক কিছু পেয়েছেন; কেউ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চপদ, ভালো চাকরি, ভালো পোস্টিং (বেশি ঘুষের জায়গা), রেডিও-টিভির চ্যানেল ইত্যাদি। যারা এখনো পাননি তারা চেষ্টা চালিয়ে যাবেন, তাতে বিস্ময়ের কিছু নেই। কিন্তু সরকার মনে হয় নমনীয়। শাসক লীগের সাধারণ সম্পাদক যদিও মাঝে মাঝে বলছেন যে, মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোনো সম্ভাবনা নেই; এটা দলের এমনকি তারও চূড়ান্ত কথা বলে মনে হয় না। কারণ এর আগেই তিনি বলে রেখেছেন যে, দলীয় ফোরামে এ ব্যাপারে কোনো আলোচনা হয়নি, তবে এ ব্যাপারে সংবিধান প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা দিয়েছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। তিনি চাইলে মেয়াদ ফুরানোর আগেও যে কোনো সময় নির্বাচন হতে পারে। বেগম জিয়ার নতুন প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতেই তিনি এমন বক্তব্য দিয়েছেন বলে ধরে নেওয়া যায় এবং এও বলা যায় যে, বক্তব্যটি ইতিবাচক। খালেদা জিয়া এটা ঠিকভাবেই উপলব্ধি করেছেন যে, তত্ত্বাবধায়কের দাবি থেকে সরে না এলে শেখ হাসিনা মধ্যবর্তী বা আগাম নির্বাচনের ব্যাপারে রাজি হবেন না। তার বিদেশি মিত্ররাও হয়তো তাকে এমন পরামর্শই দিয়েছেন যে, 'তত্ত্বাবধায়কের দাবি ছেড়ে দাও'।

তত্ত্বাবধায়কেই যত ভয় শেখ হাসিনার। অন্যদিকে তত্ত্বাবধায়ক হলেই যে বিএনপি-জামায়াত এখন ক্ষমতায় চলে আসবে, তারও কোনো গ্যারান্টি নেই, তা খালেদা জিয়াও বোঝেন। কারণ, তার সংগঠনের বেহাল অবস্থা অনেক দিন থেকেই। জানুয়ারি থেকে মার্চ ২০১৫- এ তিন মাসে হঠকারী আন্দোলনে নেমে বড় একটা আছাড় খেয়েছে বিএনপি। অনেকটা হাড়গোড় ভেঙে যাওয়ার মতো। এ অবস্থায় জনগণের ইতিবাচক-নেতিবাচক সমর্থন মিলিয়ে অবস্থানটা মন্দ না হলেও তা ক্যাশ করার সাংগঠনিক সামর্থ্য বিএনপির নেই। মনোনয়ন প্রশ্নে বিলেতি হস্তক্ষেপ ও বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে। তার পরও একটা আগাম নির্বাচন হলে তাতে অংশ নিয়ে সংসদে একটা সম্মানজনক অবস্থান দখল করে জেল-জুলুম, মামলা-মোকদ্দমাসহ নানা নিগ্রহ থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের রক্ষা তথা দলরক্ষা এবং তারেক রহমানকে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকারের সঙ্গে 'বার্গেইন' করার একটা সাংবিধানিক শক্তি দল অর্জন করতে পারে। আর যদি জনগণের ম্যান্ডেট ক্ষমতায় যাওয়ার অনুকূল হয়ে যায় তো কথাই নেই। অন্যদিকে তেমন একটি ইনক্লুসিভ নির্বাচনে সরকারের জন্যও সুবিধা আছে। বর্তমানে জনসমর্থনের দিকটা বাদ দিয়ে সাংগঠনিক দিক বিবেচনা করলে বলতে হবে, আওয়ামী লীগের সংগঠন তুলনামূলকভাবে বিএনপির সংগঠন থেকে শক্তিশালী এবং আদর্শগতভাবে শ্রেয়তর। তারা নির্বাচন বোঝে। জেতার কৌশল প্রয়োগ করতে জানে। চাকর-বাকর মার্কা লোক দিয়ে পরিচালিত বিএনপিকে বর্তমান অবস্থায় রেখে মধ্যবর্তী বা আগাম নির্বাচন দিলে ফসল তাদের ঘরে ওঠার সম্ভাবনা আছে। যদি তা নাও হয়, নিরাপদ একটা বহির্গমন পথ (সেফ এক্সিট) অন্তত পাওয়া যাবে। বর্তমানে দেশে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে আছে তাতে সরকার ও সরকারি দল সুখকর অবস্থানে নেই। রাজনীতি ও গণতন্ত্র চর্চার সব পথ রুদ্ধ করে রাখার পরিণতি কখনো কোথাও শুভ হয়নি। তাই আগাম নির্বাচনের কথা সরকার ভাবছে বা ভাববে, এমন ধারণা করাই যায়। নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে যে জটিলতা, সে ব্যাপারে সম্প্রতি হাইকোর্টের দেওয়া পর্যবেক্ষণটি 'বাতিঘর' হিসেবে কাজ করতে পারে। অনেকেই আলো দেখছেন স্পষ্টভাবে।

২০১০ সালে সুপ্রিমকোর্টে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল হওয়ার পর উচ্চ আদালতের এ পর্যবেক্ষণ এমন একটা সময় জাতির সামনে এলো, যখন মধ্যবর্তী বা আগাম নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে অর্থবহ আলাপ-আলোচনার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এমনও শোনা যায়, কোনো দলের পক্ষাবলম্বন না করে ভারতের বর্তমান বিজেপি সরকারও বাংলাদেশে দ্রুত একটি অর্থবহ ইনক্লুসিভ ইলেকশন হওয়ার পক্ষে নমনীয় হতে পারে।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের সব বিষয়ই ভারতের জানা থাকার কথা। কাজেই নির্বাচনমুখী গণতন্ত্রের দেশ ভারত প্রতিবেশী বাংলাদেশে অর্থবহ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত একটি সরকার চাইতেই পারে, সরকার যে দলেরই হোক। বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি ছেড়ে দেওয়ায় এবং উচ্চ আদালত থেকে নির্বাচনকালীন সরকার প্রশ্নে একটি পর্যবেক্ষণ পাওয়ার ফলে আশাবাদ জাগছে, জাতীয় রাজনীতির প্রধান দুই পক্ষ জাতীয় উন্নতি, অগ্রগতি, জনজীবনে শান্তি ও নিরাপত্তা এবং রাষ্ট্রীয় স্থিতি রক্ষার স্বার্থে দ্রুত একটা রাজনৈতিক সমাধানে পৌঁছবে। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে বিএনপি ও আইনমন্ত্রী প্রায় একই ধরনের নেতিবাচক কথা বলেছেন। এটা স্রেফ রাজনৈতিক খেলা বলে মনে হয়। তা ছাড়া ভিন্নমত থাকতেই পারে। কিন্তু উচ্চ আদালতের এ পর্যবেক্ষণকে তারা আলোচনার সূত্র হিসেবে তো বিবেচনা করতে পারেন। সমঝোতার স্বার্থে গ্রহণযোগ্য একটা জায়গায়ও পৌঁছতে পারেন। উচ্চ আদালত একটা সূত্র ধরিয়ে তো দিলেন আমাদের রাজনীতিবিদদের। বিশেষ করে শেখ হাসিনা এবং বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে যে 'অন্ধকার কারাগারে' বন্দী আছেন, সেখান থেকে দুজনের জন্যই একটা সেইফ এক্সিট হতে পারে মহামান্য হাইকোর্টের এ রূপরেখা।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট

ই-মেইল : [email protected]

 

এই বিভাগের আরও খবর
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
সর্বশেষ খবর
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের
ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু
খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর
ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের
তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি
ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের হামলা
তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের হামলা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পৃথিবীতে প্রাণের উৎস কী সত্যিই এসেছে এই অঞ্চল থেকে?
পৃথিবীতে প্রাণের উৎস কী সত্যিই এসেছে এই অঞ্চল থেকে?

৫ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

নন্দনগাছীতে দুই মিনিট থামবে ঈশ্বরদী কমিউটার ট্রেন
নন্দনগাছীতে দুই মিনিট থামবে ঈশ্বরদী কমিউটার ট্রেন

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পার্বতীপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু
পার্বতীপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ
বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাসিরনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
নাসিরনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্পেশাল টিম: ডা. সায়েদুর
করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্পেশাল টিম: ডা. সায়েদুর

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডাকসু নির্বাচনের ১০ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ
ডাকসু নির্বাচনের ১০ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংবাদপত্রের ওপর কালোছায়া নেমে আসে’
‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংবাদপত্রের ওপর কালোছায়া নেমে আসে’

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঢাবি ভর্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা পেল দুই শিক্ষার্থী
ঢাবি ভর্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা পেল দুই শিক্ষার্থী

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫
২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫

৭ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ
সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১
মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা
উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা
নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’
‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর
ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন
ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু
‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক

২০ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা
সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান
নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত
ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’
‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড
ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার
তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা
দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা
ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা
নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান
আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত
ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি
ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী
১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত
ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত
ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এটিএম বুথের ভেতরে কারখানা শ্রমিককে ধর্ষণ
এটিএম বুথের ভেতরে কারখানা শ্রমিককে ধর্ষণ

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস
ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত
রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত

প্রথম পৃষ্ঠা

দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা
দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিমা খাতে আসছে নতুন আইন
বিমা খাতে আসছে নতুন আইন

শিল্প বাণিজ্য

সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ
সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার
মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি
সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি
স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

নামেই জীবন নামেই মরণ
নামেই জীবন নামেই মরণ

সম্পাদকীয়

নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি
নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি

নগর জীবন

চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি
চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা
ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা

পেছনের পৃষ্ঠা

নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ
নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ

খবর

পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ
পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা
লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি
যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি

শিল্প বাণিজ্য

ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়
ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্র্যান্ড দূষণ বাড়াচ্ছে ৪০ শতাংশ ফ্যাশন
ব্র্যান্ড দূষণ বাড়াচ্ছে ৪০ শতাংশ ফ্যাশন

শিল্প বাণিজ্য

হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী
হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী

পেছনের পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি
গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ
সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ
বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু
শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু

নগর জীবন

গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়
গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান
সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

পেছনের পৃষ্ঠা

বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান
বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান

প্রথম পৃষ্ঠা

সহসাই থামছে না ইরান ইসরায়েল সংঘাত
সহসাই থামছে না ইরান ইসরায়েল সংঘাত

পূর্ব-পশ্চিম

গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ
গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশের উন্নয়নে চাই মালয়েশিয়া মডেল
দেশের উন্নয়নে চাই মালয়েশিয়া মডেল

সম্পাদকীয়