শিরোনাম
প্রকাশ: ১২:৪৪, সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৫ আপডেট:

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা না ফেরা

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা না ফেরা

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। যাওয়ার সময় ফেরার যে সময়ের কথা বলা হয়েছিল সেই সময়ে তিনি ফিরছেন না, এটা পরিষ্কার। ‘বিলাতি’ বিএনপির এক নেতার বরাত দিয়ে ঢাকার কোনো কোনো পত্রিকা লিখেছে, আগামী ৩ নভেম্বর তার জন্য এয়ার টিকিটের বুকিং দেওয়া হয়েছে। তাতেও নিশ্চিত করে বলা হয়নি তিনি সেই তারিখেও আসবেন কিনা! বরং তার অসমাপ্ত চিকিৎসার যে বিবরণ দেওয়া হয়েছে, তাতে পরিষ্কার বোঝা যায় যে, তার ফিরতে আরও বিলম্ব হবে।  কেউ কেউ বলছেন, তার ফেরার বিষয়টি অনিশ্চিত। বেগম খালেদা জিয়া বিলাত রওনা হওয়ার সময় বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে, চোখের চিকিৎসা এবং ছেলে তারেক রহমান, তার স্ত্রী ও কন্যা জায়মা রহমান, প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও দুই কন্যাসহ ঈদুল আজহা উদযাপন করে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই তিনি দেশে ফিরে আসবেন। পাঠক, আপনাদের মনে থাকার কথা, তার যাওয়ার পরপরই এক লেখায় এই নিবন্ধকারের মন্তব্য ছিল না, ওই সময়ের মধ্যে তিনি আসবেন না। ঠিকই আসেননি তিনি। যে কারণে তিনি শিগগিরই দেশে না-ও ফিরতে পারেন বলে ধারণা করেছিলাম তা এখন বিদ্যমান। যে কারণগুলো তার দেশে ফেরা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি করেছে সেগুলো হচ্ছে : এক. তার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার গতি-প্রকৃতি দেখে মনে হয় তাতে তার সাজা হয়ে যেতে পারে। সরকার এ ব্যাপারে তাকে কোনো ধরনের ছাড় দেবে বলে মনে হয় না। ওয়ান-ইলেভেনের পর মইনউদ্দিন-ফখরুদ্দীন সরকার তাকে এবং শেখ হাসিনাকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে বিশেষ কারাগারে রেখেছিল। কিন্তু তিনি হয়তো মনে করছেন, এবার আদালত সাজা দিলে শেখ হাসিনার সরকার তাকে সেই সুযোগও দেবে না। থাকতে হবে সাধারণ কারাগারে। এক মন্ত্রী তো খালেদা জিয়াকে কোন কারাগারে (কাশিমপুর) রাখা হবে তা আগাম বলেও রেখেছেন। সরকারের উঁচু মহলে এ ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা হয়েছে এবং তার ভিত্তিতেই ওই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী তা বলেছেন বলে পর্যবেক্ষকরা অনুমান করতেই পারেন। সরকারের অন্যতম শরিক দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরেক সাবেক স্বৈরাচার হু. মু. এরশাদ সদম্ভে উচ্চারণ করেছেন যে, তিনি খালেদা জিয়াকে কারাগারে দেখতে চান। এটা থেকে দুটি বিপজ্জনক বিষয়ের আলামত স্পষ্ট হয় এক. বিএনপি চেয়ারপারসনকে জেল খাটানোর ব্যাপারে বোধহয় সরকারি উচ্চ মহল চিন্তাভাবনা করছে, দুই. এ ব্যাপারে আদালতের সিদ্ধান্তের জন্যও তারা অপেক্ষা করছেন না। আগে থেকেই খালেদা জিয়াকে জেলে দেওয়ার ব্যাপারে বলাবলি শুরু করেছেন। এতে যে বিচার কাজ প্রভাবিত হতে পারে তা-ও ভাবছেন না তারা। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কতটুকু আছে তা নিয়ে সরকারের বিরোধী পক্ষ এবং সুশীল সমাজের কেউ কেউ যে প্রশ্ন উত্থাপন করেন এতে তা কি আরও জোরালো হয় না? ফলে খালেদা জিয়া উল্লিখিত দুই মামলায় তার ভাগ্য নিয়ে যদি দুশ্চিন্তায় থাকেন, তার পেছনে যুক্তি তো থাকেই। এই বয়সে, এই শরীরে জেল খাটা তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ তো বটেই। দুই. ওই দুই মামলা ছাড়াও চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত তিন মাসের সহিংসতা-নাশকতার বেশকটি মামলায় খালেদা জিয়া হুকুমের আসামি। তার দলের অনেককেই এসব মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ারের বয়স এখন ৮৬ বছর; তার বাড়ি কুমিল্লা উত্তর জেলার হোমনা উপজেলায়, থাকেন ঢাকায়। তিনি এখন জেল খাটছেন চৌদ্দগ্রাম (দক্ষিণ কুমিল্লা জেলা) থানার পেট্রলবোমা সন্ত্রাসের এক মামলায়। খালেদা জিয়াও তেমন আশঙ্কা করতে পারেন। তিন. চোখের অপারেশন এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিষয়। চার. বিলাতে জ্যেষ্ঠ পুত্র যাকে তিনি দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নিয়োগ করে জীবদ্দশায়ই তার সাকসেসর বানিয়ে রেখেছেন, তার সঙ্গে দলের পুনর্গঠন সংক্রান্ত আলোচনা করা। বিলাতে অবস্থান দীর্ঘায়িত করার জন্য খালেদা জিয়া এ ইস্যুগুলো অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে পারেন।

প্রিয় পাঠক, আমরা জানি, বিলাত যাওয়ার আগে খালেদা জিয়ার ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরব যাওয়ার কথা ছিল। তার কোনো কোনো কর্মচারীর ভিসা জটিলতার কথা বলা হলেও তখন প্রচার ছিল যে, সৌদি আরব গেলে সরকার তাকে দেশে ফিরতে দেবে না। সে ভয়েই তিনি সৌদি সফর বাতিল করেছেন। বিলাত সফরও তিনি দুবার পিছিয়েছেন একই কারণে। এমন একটা কথা তখন বাজারে চাউর হয়েছিল যে, সরকার খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে ‘মাইনাস’ করতে চায়। যুক্তিটা এমন যে, জাতীয়-আন্তর্জাতিক নানা বাস্তবতায় সরকার দেশে একটা আগাম নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই এমন চিন্তা করে থাকতে পারে। আগাম নির্বাচন হলে খালেদা জিয়াকে সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং তার দলের পক্ষে প্রচার-প্রচারণা থেকে হয়তো সরিয়ে রাখতে চায় সরকার। তারা জানে খালেদা জিয়া এখনো বিএনপির ‘ভোট কারেন্সি’। ‘মাইনাসের’ পথ তো তিনটি। একটি হচ্ছে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে যা করতে চাওয়া হয়েছিল; আরেকটি যে কোনো অজুহাতে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিয়ে পরে দেশে ঢুকতে আইনি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা, যা ওয়ান-ইলেভেনের সরকার শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে করতে চেয়ে খালেদা জিয়ার অনমনীয় মনোভাবের কারণে করতে পারেনি এবং তৃতীয় পথটি হলো ফৌজদারি মামলায় দুই বছরের দণ্ড হয়ে গেলে। ‘মাইনাস’ করার সেই চিন্তা সরকারের মাথায় এখনো থাকতে পারে বলে ভাবতে পারেন খালেদা জিয়া। পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, সরকারের পদক্ষেপ পর্যবেক্ষণ করার জন্যও তিনি বিলাতে অবস্থান প্রলম্বিত করছেন। সম্প্রতি নতুন আরেকটি উপসর্গ যুক্ত হয়েছে। দেশ-দুনিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টিকারী দুই বিদেশি নাগরিক হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে সরকার পক্ষ সরাসরি খালেদা জিয়া এবং তার দল বিএনপিকে অভিযুক্ত করছে। অভিযোগ এমন জায়গা থেকে এসেছে যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তা আমলে না নেওয়ার সুযোগ নেই। আমলে না নিলে এমন এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকারের অতি উচ্চাসন থেকে আরেকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির অভিযোগ সত্য নয় বলে প্রমাণিত হবে। যদি তা-ই হয় তাহলে প্রশ্ন আসবে, অসত্য অভিযোগটি এমন উঁচু জায়গা থেকে করতে কে বা কারা তথ্য ও পরামর্শ দিয়েছে? কেন দিয়েছে? আর অভিযোগটি যদি আমলে নেওয়া হয়, তাহলে বিএনপি চেয়ারপারসন একটি কঠিন দেশদ্রোহিতার মামলার আসামি হবেন। কেননা, দুই বিদেশি হত্যাকাণ্ড কোনো ব্যক্তি, দল বা সরকারের ক্ষতি করেনি, ক্ষতি করেছে বাংলাদেশের। এ অবস্থায় খালেদা জিয়ার দেশমুখী হওয়া আরও পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইঙ্গিত এরই মধ্যে পাওয়া গেছে। তার বিলাত যাওয়ার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল চোখের চিকিৎসা। এই কাজটায় তিনি হাত দিয়েছেন অনেক পরে। এতদিনে তার একটি চোখের অপারেশন হয়েছে মাত্র। অপর চোখেও অপারেশন লাগবে। কবে সে অপারেশন হবে, কিছু বলা হচ্ছে না। নতুন করে বলা হচ্ছে, তিনি হাঁটুর চিকিৎসাও করাবেন। এটি তার পুরনো অসুস্থতা। এর জন্য দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা গ্রহণের প্রয়োজন আছে বলে বলছেন চিকিৎসকরা। সবকিছু মিলিয়ে চিন্তা করলে এ ধারণাই করা যায় যে, তিনি শিগগিরই হয়তো দেশে ফিরবেন না। তাহলে কী হবে? তার নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ, দলের ভবিষ্যৎ, দলের হাজার-লাখো নেতা-কর্মী, সংগঠক, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীর স্বপ্ন-আকাঙ্ক্ষার কী হবে? একটি জাতীয় দৈনিক লিখেছে যে, তিনি এখন তার ছেলে তারেক রহমানের বাসায় আছেন তারই তও্বাবধানে। ‘বিলাতি’ বিএনপির দুই নেতা ছাড়া কেউ খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না। দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আমেরিকায় চিকিৎসা শেষে বিলাতে নেত্রীর সঙ্গে দেখা করে আসতে চেয়েছিলেন। অনুমতি না পেয়ে তিনি সরাসরি দেশে চলে এসেছেন। দলের আরেকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. ওসমান ফারুকও দেখা করার সুযোগ না পেয়ে আমেরিকা থেকে দেশে চলে এসেছেন। অথচ চালাকি করে অর্থশালী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু এবং তার ছেলে তাবিথ আউয়ালকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারা ‘বিলাতি’ বিএনপির কয়েকটি অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ডানে-বাঁয়ে ছিলেন মঞ্চে। কী বিচিত্র রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে বিএনপি! দলের চেয়ারপারসনের সঙ্গে অনেক দিন, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে বহু দিন দেখা নেই গঠনতান্ত্রিকভাবে দলের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রধানের। ফেরার আগে ডেকে নিয়ে দেশে এসে করণীয় সম্পর্কে তার সঙ্গে পরামর্শ করাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু তাকে যেতে নিষেধ করে (মিডিয়ায় এ খবর বারবার প্রকাশিত হচ্ছে) জাতীয় রাজনীতিতে অগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ডেকে নেওয়া হয়েছে। তাবিথ আউয়াল এখনো নাকি ‘সেবা’ দিয়ে যাচ্ছেন। দলের তরুণ প্রভাবশালী নেতা যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন নাকি দেনদরবার করেও দেখা করতে পারেননি তার নেত্রীর সঙ্গে। তাকে নাকি সন্দেহ করা হয় মওদুদ আহমদের লোক হিসেবে। বিলাতে মা ও ছেলে কী করছেন, কিছুই জানছেন না দলের অন্যরা। পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, এতে তাদের দলের ক্ষতি হচ্ছে, কর্মীরা হতাশ হচ্ছেন। এই মহলের মতে, তারেক রহমানের আপাতত কোনো রাজনৈতিক সম্ভাবনা নেই। খালেদা জিয়া এই দুঃসময়ে দলের নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মী-সংগঠকদের বাদ দিয়ে শুধু তাকে নিয়েই যদি স্বপ্ন দেখেন সেই স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে খালেদা জিয়া এবং বিএনপির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এখনো সম্পূর্ণ বিনাশ হয়নি। তারেকের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানকে দিয়ে কিছুটা চেষ্টা করা যায়। সেই সম্ভাবনাকে বাস্তব রূপ দেওয়ার জন্যই কাজ করা উচিত। তারেক রহমানেরও বিষয়টি অনুধাবন করা উচিত।

তারেক রহমানের সাংগঠনিক অনেক গুণ থাকতে পারে। কিন্তু নেতিবাচক কিছু বিষয় তার সর্বজনীনতাকে নষ্ট করেছে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করেন। এক্ষেত্রে তিনি তার বাবা প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়া এবং মা বেগম খালেদা জিয়ার কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেননি। দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়া এবং বর্তমান চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সমগ্র দলের নেতা ছিলেন, তারেক রহমান যা হতে পারেননি। হয়ে গেছেন ‘ভাইয়াপন্থি’দের নেতা। ‘ভাইয়াপন্থি’দের নেতা হতে গিয়ে তিনি সমগ্র দলের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা ও আস্থার পাত্র হওয়ার সুযোগ নষ্ট করেছেন। এই ‘ভাইয়াপন্থি’রা আবার তারেক রহমানের কোনো উপকারও করতে পারেনি। সেই যোগ্যতা ও ক্ষমতা তাদের নেই। তাদের অক্ষমতা বিবেচনা করার সুযোগ তিনি পাননি স্তুতি-তোষামোদের কারণে। শোনা যায়, তিনি তা পছন্দ করেন। একদিকে ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা মামলাসহ কঠিন কঠিন মামলা-মোকদ্দমা, অন্যদিকে দলের ভিতরে-বাইরে দারুণ ভাবমূর্তি-সংকট নিয়ে এ সময়ে তার পক্ষে দেশে এসে দলের জন্য কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। আবার বিলাতে থেকে বাংলাদেশের দল চালানো অসম্ভব ব্যাপার। এই চিন্তা তার পরিহার করা উচিত। দেশে পার্টি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াই নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে একটা যৌথ নেতৃত্বের মাধ্যমে দল পুনর্গঠন করে এগিয়ে যেতে পারেন। তারেক রহমানের উচিত হবে আপাতত নিজের নেতৃত্ব জাহির না করে মা খালেদা জিয়ার নেতৃত্বকে দৃঢ় এবং তার হাতকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করা। কেননা, তার নেতৃত্ব এখন অকার্যকর।

পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, তারেক-নির্ভরতা বেগম জিয়ার নিজের, দলের এবং দলের অগণিত নেতা-কর্মীর ক্ষতি করবে। তারেকের জন্য সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি। তার অপেক্ষা করা, ধৈর্য ধরা উচিত। বছর দুই-তিনেকের জন্য দলের বড় দায়িত্ব থেকে তিনি অব্যাহতিও নিতে পারেন।  এতে তার মঙ্গল হবে। জনগণের ভালোবাসায়  হয়ে বিএনপি যদি আবার সরকার গঠনের সুযোগ পায়, তারেক রহমানের তখন দেশে ফিরে আসা কি অনেক সহজ হয়ে যাবে না? দল কি তখন তাকে ফিরিয়ে দেবে?

খালেদা জিয়া অতীতে অনেক সাহস দেখিয়েছেন। গণতান্ত্রিক সংগ্রামে, দেশের কাজে, জনগণের কল্যাণে অনেক অবদান রেখেছেন। দেশের বহু মানুষ আশা করে, তিনি এবারও সাহস দেখাবেন। জেলজুলুমের ভয়কে জয় করে দেশে এসে আবারও গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় শরিক হবেন। হিংসা-হানাহানির পথ পরিহার করে শান্তিপূর্ণ পন্থায় গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করবেন, পরবর্তী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেবেন। দল পুনর্গঠনের যে কথা বলেছেন, তিনি কি জানেন, পুনর্গঠনের নামে কী হচ্ছে? পুরনো কায়দায়ই নামকাওয়াস্তে ‘নতুন বোতলে পুরনো মদ’ ঢালা হচ্ছে। তৃণমূল পর্যায়েও হচ্ছে পারিবারিক কমিটি অথবা পকেট কমিটি। অভিযোগ পাওয়া যায়, মাঠের নিবেদিতপ্রাণ, সাহসী লড়াকুরা স্থান পাচ্ছে না কমিটিতে। ‘বিলাতি’ সংযোগের কথা বলে বা ভয় দেখিয়ে নাকি এমন অপকর্ম চলছে। কী যে এক ‘বিকাশ’ হয়েছে, যারা নেতৃত্বের প্রত্যাশী তাদের নাকি ‘বিকাশ নম্বর’ দিয়ে সেই নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়। কোথায় গিয়ে ঠেকেছে বিএনপির দল পুনর্গঠনের কাজ! দলের পদবিধারীরা অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। কিন্তু যা রটে তা কিছু তো বটে! দল পুনর্গঠন করে ফল পেতে হলে সবকিছু ভেঙেচুরে নতুন করে কাজে হাত দিতে হবে। এক্ষেত্রে খালেদা জিয়ার দৃঢ় অবস্থানটা জরুরি। কমিটিতে তারেক রহমানের লোক বলে কাউকে ঢোকানোর কী প্রয়োজন? তারেক যখন দেশে আসার সুযোগ পাবেন, দলের সবাই তো তার লোক হওয়ার কথা। দুর্যোগ কাটিয়ে, সব প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে দেশে ফিরে আসতে পারলে গোটা দলই তখন তার পাশে থাকবে। শুভানুধ্যায়ীদের পরামর্শ হচ্ছে, তারেক রহমানের উচিত বিলেতে থেকে এখন নিজেকে তৈরি করা এবং অবিতর্কিত একটি ভাবমূর্তি গড়ে তোলার চেষ্টা করা। এই মুহূর্তে সবকিছু নির্ভর করছে খালেদা জিয়ার দেশে ফিরে আসার ওপর। সপ্তাহ দুই আগে এক লেখায় উলে­খ করেছিলাম যে, বিএনপি এখন এক ‘ফেরারি’ দল। ব্যক্তি ফেরারি হওয়ার কথা জানি আমরা; কিন্তু কী দুর্ভাগ্য, বিপুল জনসমর্থিত একটি দল দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতি এবং সৎ, সাহসী ও যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে এখন ফেরারি। কেউ কেউ এখন বলছেন, দলটি এখন ‘সিসিইউ’তে আছে। সঠিক ‘চিকিৎসায়’ অবস্থার উন্নতি না হলে ‘আইসিইউ’তে পাঠাতে হবে। সেখানেও যদি সঠিক ‘চিকিৎসা’ না হয়, তাহলে কী হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, এ অবস্থায় খালেদা জিয়ার দেশে ফিরে আসা উচিত অতি দ্রুত। তার দ্রুত ফিরে আসাটাও সরকারের ওপর একটা চাপ সৃষ্টি করবে।  বিলাত থেকেই তিনি বড় বড় জনসভা, লংমার্চ, রোডমার্চের মতো কিছু শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন।  সরকারকে ফেলে দিতে পারেন গণতন্ত্রের কঠিন পরীক্ষায়।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।

ই-মেইল :  [email protected]

 

বিডি-প্রতিদিন/ ২৬ অক্টোবর, ২০১৫/ রশিদা

 

এই বিভাগের আরও খবর
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
চেনা যায় সহজেই
চেনা যায় সহজেই
সর্বশেষ খবর
গোবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
গোবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লুজ পাউডার বনাম প্রেসড পাউডার
লুজ পাউডার বনাম প্রেসড পাউডার

৬ মিনিট আগে | জীবন ধারা

জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ
জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ

১১ মিনিট আগে | জাতীয়

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন
জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

২৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ
দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ

২৭ মিনিট আগে | জাতীয়

তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

২৮ মিনিট আগে | জাতীয়

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘বিএনপি ক্ষমতায় না এলে ভাত খাব না’ বলা নিজামের পাশে তারেক রহমান
‘বিএনপি ক্ষমতায় না এলে ভাত খাব না’ বলা নিজামের পাশে তারেক রহমান

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গণপিটুনিতে যুবক নিহত
গণপিটুনিতে যুবক নিহত

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘অন্যান্য পেশাজীবীর মতো সাংবাদিকদের পেশাগত লাইসেন্স থাকা দরকার’
‘অন্যান্য পেশাজীবীর মতো সাংবাদিকদের পেশাগত লাইসেন্স থাকা দরকার’

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার
চট্টগ্রামে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার

৪০ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বজ্রপাতে ট্রলি চালকের মৃত্যু
বজ্রপাতে ট্রলি চালকের মৃত্যু

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ইউনিয়নের কমিটি ঘোষণা
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ইউনিয়নের কমিটি ঘোষণা

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৫ মে থেকে বাজারে আসবে সাতক্ষীরার আম
৫ মে থেকে বাজারে আসবে সাতক্ষীরার আম

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পুঁজিবাজারে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে
পুঁজিবাজারে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে

৪৪ মিনিট আগে | বাণিজ্য

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই, হাসপাতালে ভর্তি ২৯
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই, হাসপাতালে ভর্তি ২৯

৫০ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

ভিয়েতনামের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে সিপিবি নেতা হাসান তারিক
ভিয়েতনামের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে সিপিবি নেতা হাসান তারিক

৫০ মিনিট আগে | রাজনীতি

রাখাইনে করিডর নিয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে সরকারের প্রতি সাইফুল হকের আহ্বান
রাখাইনে করিডর নিয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে সরকারের প্রতি সাইফুল হকের আহ্বান

৫২ মিনিট আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রামে মৃগী রোগী আছে, পৃথক সেবা নেই
চট্টগ্রামে মৃগী রোগী আছে, পৃথক সেবা নেই

৫৩ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১০০ টাকার জন্য খুন, আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১০০ টাকার জন্য খুন, আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সংযোগ সড়কবিহীন সেতু, ১০ গ্রামবাসীর দুর্ভোগ
সংযোগ সড়কবিহীন সেতু, ১০ গ্রামবাসীর দুর্ভোগ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দেশের রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার
দেশের রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় মাসব্যাপী অ্যাথলেটিকস প্রশিক্ষণ
বগুড়ায় মাসব্যাপী অ্যাথলেটিকস প্রশিক্ষণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোবিপ্রবি’তে কর্মকর্তাদের আচরণ ও শৃঙ্খলা বিষয়ক কর্মশালা
গোবিপ্রবি’তে কর্মকর্তাদের আচরণ ও শৃঙ্খলা বিষয়ক কর্মশালা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছাত্রলীগের নির্যাতনের সহযোগী শিক্ষক-কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ
ছাত্রলীগের নির্যাতনের সহযোগী শিক্ষক-কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্র্যাজুয়েশন ডে ২০২৫ উদযাপন
গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্র্যাজুয়েশন ডে ২০২৫ উদযাপন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়ায় ধান চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন
বগুড়ায় ধান চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
কাশ্মীর ইস্যু: প্রতিশোধ নিতে সামরিক হামলার ‘সবুজ সংকেত’ দিলেন মোদি
কাশ্মীর ইস্যু: প্রতিশোধ নিতে সামরিক হামলার ‘সবুজ সংকেত’ দিলেন মোদি

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?
‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট
এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’
‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?
চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা
উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার
আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা
সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’
‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা
আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে পাঠ্যবই থেকে বাদ মোগল-সুলতানি ইতিহাস
ভারতে পাঠ্যবই থেকে বাদ মোগল-সুলতানি ইতিহাস

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘বেগম খালেদা জিয়াকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ফেরাতে কাজ করছে সরকার’
‘বেগম খালেদা জিয়াকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ফেরাতে কাজ করছে সরকার’

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ
শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস
ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান
নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’
‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই
ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প
পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল
বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান
ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে
চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম
পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ
প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ

১১ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার
গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো
বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো

পেছনের পৃষ্ঠা

আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত
আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি
আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না
বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে
চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে

পেছনের পৃষ্ঠা

পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড
পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড

নগর জীবন

মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু
মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু

পেছনের পৃষ্ঠা

পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান
পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবিলা নূরের লুকোচুরি...
সাবিলা নূরের লুকোচুরি...

শোবিজ

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ
অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ

পেছনের পৃষ্ঠা

বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না
বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না

পেছনের পৃষ্ঠা

অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা
অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক
গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক

দেশগ্রাম

শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা
শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা

সম্পাদকীয়

ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই
ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই

পেছনের পৃষ্ঠা

শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা
শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা

শোবিজ

আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি
আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কে কারিনা
বিতর্কে কারিনা

শোবিজ

শ্রমিকেরাও মানুষ
শ্রমিকেরাও মানুষ

সম্পাদকীয়

মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা
মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা

মাঠে ময়দানে

গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প
গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প

পেছনের পৃষ্ঠা

চম্পা কেন দূরে
চম্পা কেন দূরে

শোবিজ

১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার
১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার

মাঠে ময়দানে

নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে
নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে

শোবিজ

মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে
মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

কী চায় নতুন দলগুলো
কী চায় নতুন দলগুলো

প্রথম পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা
নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা

মাঠে ময়দানে