শিরোনাম
প্রকাশ: ১৪:২২, মঙ্গলবার, ০৫ জানুয়ারি, ২০১৬

কী এমন লিখেছিলাম?

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
অনলাইন ভার্সন
কী এমন লিখেছিলাম?

৫ জানুয়ারি আমরা যে কলঙ্কের মালা গলায় পরেছি তা থেকে কবে যে মুক্তি পাব সে শুধু দয়াময় আল্লাহই জানেন। সেদিন গাজীপুরের পথে টঙ্গীতে ব্যানারে দেখলাম, ‘বিশ্ব ইজতেমা সফল হোক— গাজীপুর পুলিশ’। ভালোই লাগল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একটি ইসলামী জলসার সফলতা কামনা করছে— খুশি না হয়ে উপায় কী?

গত সংখ্যায় কী এমন লিখেছিলাম বুঝতে পারছি না। তাড়াহুড়া থাকায় লেখায় তেমন গতি ছিল না। বই ছাপার জন্য যখন আবার চোখ বুলাব, হৃদয় ছোঁয়াব তখন লেখাটি আরও একটু উন্নত হবে। সাত-আট বছর ধরে নিয়মিত লিখি। এমনকি গত বছর চরম উত্তেজনা জ্বালাও-পোড়াওয়ের মাঝেও ২৮ জানুয়ারি থেকে ৩০৮ দিন ঘরের বাইরে অবস্থানের মাঝে ফুটপাথে, তাঁবুতে বসেও লিখেছি। সে যে কী নিদারুণ কষ্ট, লিখে বোঝানো যাবে না। সে সময়ও পাঠকদের বঞ্চিত করিনি। যত কষ্ট হোক রাস্তার পাশে ছোট্ট কাঠের টুল নিয়ে পাঠকদের জন্য লেখা তৈরি করেছি। কিন্তু গত মঙ্গলবার ‘মা-বাবা-মামার দেশে টিউলিপকে প্রাণঢালা অভিনন্দন’ তাতে কী এমন লিখেছি? টিউলিপ আমার ভাগিনী, আমি তার মামা। এ তো শাশ্বত সত্য— কারও কোনো সন্দেহ আছে? সে ব্রিটেনে পার্লামেন্ট সদস্য হয়েছে, এ জন্য আমি আনন্দিত, গর্বিত। আমার মনে হয়েছে রাস্তাঘাটের মানুষও বেশ খুশি, তাই লিখেছি। আমি তো এখানে একদিকে আনন্দের বান, অন্যদিকে আসমান ভেঙে পড়ার কিছু দেখি না। এত ফোন, এত চিঠি, এত জনের শুভ কামনা আর কোনো লেখায় পাইনি। রেহানা একবার বলেছিল, ‘কাদের ভাই, দুইটা মা একত্র হলে তবেই মামা হয়। মামা যেনতেন ছোটখাটো কিছু নয়, মামা বড় অমূল্য ধন।’ ব্যাপারটা আমি আমার সমস্ত অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করি। আমি যখন সম্পূর্ণ নিঃস্ব-রিক্ত ম্রিয়মাণ, আশপাশে ভরসার তেমন কেউ ছিল না, তখন চাঁদের মতো বোন শাহানার মেয়ে ইয়া আমাদের অন্ধকার ঘর আলো করেছিল। জয়-পুতুল-ববি-টিউলিপ-রূপন্তীও আমার কাছে তেমনি। আমার মন, আমার হৃদয় যদি ওদের কল্যাণে ব্যাকুল হয় কার কী করার আছে? কুশিমণি যে এখন আমার সমস্ত অস্তিত্বজুড়ে বিরাজ করে সেটা ফেরানোর ক্ষমতা কারও আছে, কোনো পথ বা শক্তি আছে? কয়েক বছর আগে এক বিমানযাত্রায় রেহানা ববিকে বলেছিল, ‘যা, দেখ, মামা ভাগ্নে চিনে কিনা?’ আমি আমার বুকের ধন চোখের আলো ভাগিনা ববিকে ঠিকই চিনেছিলাম। আর কদিন পর আমার কলিজার টুকরা, হৃদয়ের স্পন্দন কুঁড়িও পড়তে বিলেত যাবে। আমি নিশ্চয়ই বলব, রেহানাকে গিয়ে বলতে ভাইঝিকে চেনে কিনা। ববি-টিউলিপ-রূপন্তী তার বোনকে চিনতে পারে কিনা। আমি জানি আমার বোন তার ভাইঝি, ভাগিনা-ভাগিনী তাদের বোনকে অবশ্য অবশ্যই চিনতে পারবে।

সেদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া টিউলিপের সংবর্ধনায় আমাকে না দেখে একজন ক্ষমতাবান উচ্চ পর্যায়ের ভদ্রলোক বলছিলেন, ‘গণভবনে আপনাকে দেখলাম না! আপনি যাননি?’ উত্তর দেওয়ার সুযোগ না দিয়েই আবার প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘আপনার উপনির্বাচনের কী হলো? মনে হয় সরকার আপনাকে নির্বাচন করতে দিতে চায় না।’ ভদ্রলোককে তেমন কিছু বলতে পারিনি। এ ধরনের ক্ষমতাবানরা খুব একটা শোনার জন্য বলে না, বলার জন্য বলে, নিজেকে জাহির করার জন্য বলে। আমার জন্য যাদের এখন সুবিধা তারা তাদের চেষ্টা চালাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সামনে রেখে তারা যদি এটাওটা করতে পারে তারা তা করবে। কিন্তু আমি সেটা নিয়ে ভাবতে যাব কেন? আমরা যখন বড় হয়েছি তখন নেতাদের সালাম দিলে তারা সালাম নিতেন। আমাদেরও যারা সালাম দিত, তাদের সালাম আমরা নিতাম। সারা জীবন শত্রু-মিত্র সবার সঙ্গে মানবিক আচরণ করার চেষ্টা করেছি। দয়া-মায়া-ভালোবাসায় আমরা মানবতার শিক্ষা পেয়েছি। আমাদের নেতা বঙ্গবন্ধু তার চরম বিরোধী জনাব শাহ আজিজ, সবুর খান এমনকি ফজলুল কাদের চৌধুরীকেও সম্মান দেখিয়েছেন, তাদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করেছেন। স্বাধীনতার পর জনাব শাহ আজিজুর রহমান যখন জেলে বঙ্গবন্ধুর হুকুমে আমি তার বাড়ি গিয়ে প্রতি মাসে বাড়ি ভাড়াসহ খরচের টাকা দিয়ে এসেছি। অথচ সেই জনাব শাহ আজিজ বীরউত্তম জিয়াউর রহমানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমার বিয়ের পাত্রী নাসরিনের পাসপোর্ট সিজ করে বাধার সৃষ্টি করেছিলেন। একেই বলে কৃতজ্ঞতা! খান আবদুস সবুর খানের ছোট্ট এক চিঠিতে বঙ্গবন্ধু তাকে মুক্তি দিয়ে বাড়ি পাঠিয়েছিলেন। ফজলুল কাদের চৌধুরীকে জেলে বাড়ির খাবার দিতে বাধা দেওয়ায় তার ছোট মেয়ে বঙ্গবন্ধুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদলে জেলে বাড়ি থেকে খাবার-দাবারের সব বাধা উঠিয়ে নিতে বলেছিলেন। একবার গ্রেফতার করতে জনাব অলি আহাদের ঘরে পুলিশ গেলে বিরক্ত হয়ে পুলিশ কর্তাকে বলেছিলেন, ‘তোমাদের সাধারণ ভদ্রতাও নেই অমন একজন প্রবীণ নেতার শোবার ঘরে যেতে হয়?’ বেল নেই তাই বলে লাভ নেই। ভাষাসৈনিক আবদুল মতিন এক দিনের জন্যও বঙ্গবন্ধুকে সম্মান করেননি। সব সময় নাহক গালাগাল করেছেন। স্বাধীনতার পরপরই রাজশাহীর কোথাও অস্ত্রসহ ধরা পড়েছিলেন। কারণ তারা এই স্বাধীনতা মানতে চাননি। আমাদের রক্তের স্বাধীনতা তাদের পছন্দ নয়। বঙ্গবন্ধুর হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে তারা আবার নতুন করে দেশকে স্বাধীন করতে চেয়েছিলেন। তাই রক্ষীবাহিনী তাকে গ্রেফতার করে পিঠমোড়া করে বেঁধে এক পুলিশ ট্রেনিং ক্যাম্পের মাঠে ফেলে রেখেছিল। তখন এত ফোন ছিল না। জনাব সরদার আমজাদ হোসেন তখন হুইপ। রাজশাহী থেকে ফোন করেছিলেন, ‘রক্ষীবাহিনী আবদুল মতিনকে ধরে পিঠমোড়া করে মাঠে ফেলে রেখেছে। এখন আমরা কী করব?’ শোনা মাত্র বলেছিলেন, ‘তোরা করেছিস কী? এখনই তাকে রাজশাহী সার্কিট হাউসে নিয়ে যা। গোসল আসল করিয়ে নাস্তা খাইয়ে আমাকে ফোন দে।’ নেতা আমাকে সন্তানের মতো দেখতেন। তাই বসেছিলাম। ৪০-৫০ মিনিটের মধ্যেই ফোন এসেছিল। ফোন ধরে বলেছিলেন, ‘মতিন ভাই চিন্তা করবেন না। কয়েক দিন এ-জেল ও-জেল করুন। তারপর সব ঠিক হয়ে যাবে।’ হয়েছিলও তাই। কিন্তু তারা কেউ বঙ্গবন্ধুকে সম্মান করেনি। স্বাভাবিক মানবিক মর্যাদাটুকুও দেয়নি। এই যে মাননীয় মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বঙ্গবন্ধুকে কী গালাগালই না করেছেন। এখানে সেখানে তার বক্তৃতা শুনে নিজেকে ধরে রাখতে পারতাম না। কদিন আগে শেরপুর আওয়ামী লীগ নেতা হুইপ আতিউর রহমান তাকে ষড়যন্ত্রকারী বলে খেতাব দিয়েছেন। ধন্যবাদ আতিউর রহমান দেরিতে হলেও তাকে চিনেছেন। আমাদের নেতা ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। মানবতা ভালোবাসা তাদের কাছে শিখেছি। একবার সিরাজ সিকদার গিয়েছিলেন সন্তোষে। ঠিক সেই সময় হুজুরের কাছে আমিও গিয়েছিলাম। তিনি সিরাজ সিকদারকে আমার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। যেই মাত্র তিনি আমার পরিচয় পান একেবারে আঁতকে ওঠেন। হুজুর মওলানা ভাসানী তাকে ধমকে উঠে বলেছিলেন, ‘মেহমানকে কীভাবে আশ্রয় দিতে হয় তা কাদ্রী জানে না? তুমি না বিপ্লবী। তুমি আবার ছটফট কর, থাম?’ আমাকেই দায়িত্ব দিয়েছিলেন সিরাজ সিকদারকে নিরাপদে এগিয়ে দিতে। আমি সে দায়িত্ব পালন করেছিলাম। ঘটনার দুই-তিন মাস পর একদিন বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলাম। তিনি মাথায় হাত দিয়ে বলেছিলেন, ‘তুই ঠিক করেছিস।’ অমন জাতীয় নেতার কাছে শত্রু-মিত্র আবার কী? সব সমান, সন্তানের মতো। তিনি সবাইকে আশ্রয় দেবেন। এতে আবার দোষের কী? বেশি কী বলব? আ স ম আবদুর রব এখনো বেঁচে আছেন। তার যেদিন গুলি লাগে বঙ্গবন্ধু খবর শুনে ভীষণ মর্মাহত হয়েছিলেন। পিজিতে চিকিৎসা চলছিল। আ স ম রবের চিকিৎসায় যাতে কোনো ত্রুটি না হয় এটা বললে তুখোড় আওয়ামী নেতারা বিস্মিত হয়ে এটাওটা বলছিলেন। বঙ্গবন্ধু গর্জে উঠে বলেছিলেন, ‘তোরা রবকে মেরে ফেলতে চাস? ও তো তোদের সঙ্গেই মুক্তিযুদ্ধে ছিল। আমি বেঁচে থাকতেই ওকে মেরে ফেলবি?’ তার পরও বঙ্গবন্ধুকে কত গালাগাল শুনতে হয়েছে, এখনো শুনতে হয়। কত কঠিন সময় আমরা পার করছি। এখন কারও অত বিদ্বেষ দেখি না। তবে হ্যাঁ, ইদানীং কিছু বিশ্রী ফোন, চিঠিপত্র পাচ্ছি। যেমনটা ’৭৫-এর আগে পেতাম। তখন কিছু করার ছিল, বলার ছিল। জনাব তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল হক মণি, আবদুর রাজ্জাক, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ফণি দা— এদের দরজা ছিল আমার জন্য সব সময় খোলা। অনেক কথাই তাদের বলেছি। স্বয়ং বঙ্গবন্ধুকেও কত কথা বলেছি। তখন বঙ্গবন্ধুকে কিছু বলতে কাউকে জিজ্ঞাসা করতে হতো না। তিনি মাথায় হাত দিয়ে পুত্র স্নেহে কতবার বলেছেন, ‘যুদ্ধ করেছিস তাই সব দিকে শত্রু দেখিস। চিন্তা করিস না, আর যাই হোক কেউ আমাকে মারবে না, মারতে পারবে না। পাকিস্তানিরাই পারে নাই, কোনো বাঙালি আমাকে মারবে? তোর চিন্তা আমাকে ভাবিয়ে তোলে।’ কিছু করার মতো তখন বয়স ছিল, শক্তি সামর্থ্যও ছিল। আজ শক্তিও নেই, বয়সও নেই। মঙ্গল অমঙ্গল জানানোর জায়গাও নেই। কিন্তু এমন বিদ্বেষ মানুষের মধ্যে থাকে এটা স্বপ্নেও ভাবতে পারি না। যারা চিঠিপত্র লেখে তারা অধিকাংশই বিরোধী। লেখা এবং ভাষায় মনে হয় বেশিসংখ্যক ধর্মীয় দলের। ইসলামপন্থি ধর্মীয় দলের লোকজনের লেখা অন্যের প্রতি এমন নির্মম হতে পারে ভাবতে পারি না। তারা কেউ কেউ বঙ্গবন্ধুকে যে নামে ডাকেন, আমি এখানে তাদের বয়ান লিখতেও লজ্জাবোধ করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে যে ধরনের জঘন্য ভাষা প্রয়োগ করে ভাবতেও অবাক লাগে। ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত কেউ অমন জঘন্য ভাষা ব্যবহার করতে পারে তা ছিল ধারণার অতীত। অন্যের প্রতি দয়া-মায়া-সম্মান না দেখাতে পারলে সে আবার কীসের মুসলমান? আরব বেদুইনরা না জেনে নিজের সন্তানের খুনিকেও আশ্রয় দিয়ে জানার পর তার কোনো ক্ষতি না করে বরং নিরাপদে পথ দেখিয়ে দেয়। অথচ আমরা নাম গোপন করা চিঠিতে কত কী যে দেখি যা বলার মতো নয়।

এবার অসন্তুষ্টির কথা বলি। বেগম খালেদা জিয়া শহীদদের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ করেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বঙ্গবন্ধুর অবদান ও ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাই বলেছিলাম, ওসব বলার অর্থ স্বাধীনতাকেই অস্বীকার করা। কতজন ইনিয়ে-বিনিয়ে বলার চেষ্টা করেছেন। দু-চার জন তো লিখেছেনই, ‘এ সময় বেগম জিয়ার ও কথা না ধরলে পারতেন না? তিনি তো ওভাবে বলেননি।’ যা সত্য তা না বলে আমি থাকতে পারি না। তাই যারা বঙ্গবন্ধুকে স্বীকার করে না, আমার দৃষ্টিতে তারা বাংলাদেশকেও স্বীকার করে না। আর বাংলাদেশকে স্বীকার না করে বাংলাদেশে রাজনীতি চলে না— এ সাদা কথাটিই বলেছিলাম। তাতে আসমান ভেঙে পড়ার কী ছিল? গত কয়েক বছর বিএনপি মানুষকে পাত্তা দেয়নি। যেমন আজকাল আওয়ামী লীগ দেয় না। ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিয়ে সবচেয়ে বড় অন্যায় করেছে, আওয়ামী লীগ এটা জনগণের কাছে অনেকটা প্রতিষ্ঠাও করেছে। নির্বাচন বর্জন ’৮৬ সালে বিএনপিই সূচনা করেছিল। ’৮৬-র এরশাদবিরোধী আন্দোলনে যখন নির্বাচনের কথা হয় তখন এমনও হয়েছিল, প্রয়োজনে দুই নেত্রী ১৫০+১৫০ = ৩০০ আসনে দাঁড়াবেন। সে জন্য হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আদেশ জারি করেছিলেন ৫ আসনের বেশিতে কেউ দাঁড়াতে পারবেন না। রাজাকারদের সঙ্গে নিয়ে তিন জোটের এরশাদবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে ’৮৬-তে ভোটে যাওয়ার কথা ছিল। আওয়ামী জোট ভোটে যাচ্ছে বলে বিবৃতি দিয়ে দেয়, আড়াইটা পর্যন্ত বিএনপি জোট ভোটে অংশ নেওয়ার বিবৃতি দেয়নি। পর দিন বিএনপি সরে দাঁড়ায়, আওয়ামী লীগ ভোটে যায়। সে যাত্রায় বিএনপি আওয়ামী লীগকে এরশাদের দালাল বলে জনগণের কাছে তুলে ধরতে সফল হয়। আবার ’৯৬ সালে বিএনপির ডাকা ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন আওয়ামী লীগ বর্জন করে। বিএনপিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার মেনে নিতে বাধ্য করে। ১২ জুনের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২৩ জুন পলাশী দিবসে ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণ করে। আন্দোলনের মধ্যে পতিত বিএনপি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তা হয়নি। ১১৬টি আসন নিয়ে বিএনপি বরং সরকার গঠনের কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। আওয়ামী লীগ ১৪২, বিএনপি ১১৬, জাতীয় পার্টি ৩৫। বিএনপি ১১৬+জাতীয় পার্টি ৩৫ = ১৫১। তারা কোয়ালিশন সরকার গঠন করতে পারত। জাতীয় পার্টিকে সব কটি মন্ত্রিত্ব দিয়ে বিএনপি সরকার গঠন করতে চেয়েছিল।

ব্যাপারটা তখন এমন দাঁড়িয়েছিল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ একটু ঝুঁকলেই আবার সেই বিএনপি সমর্থিত সরকার। শোনা যায়, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে ভারতই আওয়ামী লীগের দিকে টেনেছিল। যে কারণে ঐকমত্যের সরকার হয়েছিল। যার ফলে জাতীয় পার্টির আনোয়ার হোসেন মঞ্জু হয়েছিলেন যোগাযোগমন্ত্রী। ’৮৬ সালের নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি জনগণকে পাশে পেয়েছিল। ’৯৬-র ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বর্জন করে আওয়ামী লীগ মানুষকে জাগাতে পেরেছিল। কিন্তু ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন বয়কট করে বিএনপি মানুষের কাছে যেতে পারেনি বা যায়নি। তা না হলে ৩০০ আসনের ১৫৩টি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়, বাকি আসনেও ভোট পড়েছিল ৪-৫ শতাংশ। নির্বাচন কমিশন নিজেই বলেছে ভোট পড়েছে ৪০ শতাংশ। অর্ধেক আসনে ৪০ শতাংশ ভোট পড়লে পুরো সংসদ ২০ শতাংশ ভোটের ওপর দাঁড়িয়ে— এ সাদা কথাটিও বিএনপি দেশবাসীকে এবং বিশ্ববাসীকে বোঝাতে পারেনি। জাতীয় নির্বাচন বর্জন করার পরপরই কাউকে কিছু না বলে তাড়াহুড়া করে উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়। নিবন্ধিত দল যারা জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়নি তাদের তো জিজ্ঞাসা করা হয়ইনি, নিজের জোটের কাউকে কোনো কিছু না বলেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। এরপর ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন। সেখানেও বিরোধী দল বিএনপি লাল কার্ড দেখেছে। সদ্য সমাপ্ত পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি যা পাওয়ার তা-ই পেয়েছে। কেন যেন মনে হয় যা পেয়েছে অনেক বেশিই পেয়েছে। সাদা চোখে যা দেখেছি তাতে বিএনপি মনে করেছিল দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে না, তাহলে বিএনপি ছাড়া কাকে দেবে? সব ভোট ধানের শীষে দেবে তাই তারা প্রচারে নামেনি। মাগনা পেলে কে আবার পরিশ্রম করে? এমপি, মন্ত্রীদের প্রচারে বাধা ছিল। বিএনপি নেত্রী এখন এমপিও নন, মন্ত্রীও নন। আর তা ছাড়া কোনো দলীয় প্রধানের নির্বাচনী প্রচারে কোনো বাধা ছিল না। এক দিনের জন্যও ম্যাডাম বাইরে বেরোননি, প্রচারে যাননি। বরং ভোটের দু-এক দিন আগে শহীদের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ, স্বাধীনতায় বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা ও অবদান অস্বীকার করেন। এতে আর কিছু না হোক শতকরা ১০টি ভোটও যদি কমে তাহলে তার জন্য কম করে ২৫ জন প্রার্থী হেরেছেন। কারণ ১৪ ভোটে চুনারুঘাটে বিএনপি জিতেছে, ১৩ ভোটে বিএনপি জিতেছে তানোরে। ঠিক তেমনি ১৭৬ ভোটে বিএনপি হেরেছে ভূঞাপুরে, ১১৭ ভোটে বাগেরহাটে, ১৭২ ভোটে ধামরাইয়ে, রায়গঞ্জে ২৫৭ ভোটে, ৮৩ ভোটে শায়েস্তাগঞ্জে, ২৬৭ ভোটে শেরপুরে, ১৫৪ ভোটে জকিগঞ্জে। শতকরা ১০টি ভোট বেশি পেলে এরা সবাই হয়তো জিততেও পারত। নিজের খেয়ে আর কত বনের মোষ তাড়াব? ম্যাডাম তো নির্বাচনী প্রচারে বের হননিই, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব একবার ঢাকা থেকে সড়কপথে সুদূর ঠাকুরগাঁও গিয়ে চ্যানেলের সামনে ভোট প্রার্থনা করেছেন। তিনি গাজীপুর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, রংপুর পথে পথে ভোট চাইতে চাইতে যেতে পারতেন। নির্বাচনে গুরুত্ব দিলে এমনটা হতো না।

লেখক : রাজনীতিক


বিডি-প্রতিদিন/ ০৫ জানুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা

এই বিভাগের আরও খবর
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
সর্বশেষ খবর
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের
ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু
খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর
ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের
তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি
ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের হামলা
তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের হামলা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পৃথিবীতে প্রাণের উৎস কী সত্যিই এসেছে এই অঞ্চল থেকে?
পৃথিবীতে প্রাণের উৎস কী সত্যিই এসেছে এই অঞ্চল থেকে?

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

নন্দনগাছীতে দুই মিনিট থামবে ঈশ্বরদী কমিউটার ট্রেন
নন্দনগাছীতে দুই মিনিট থামবে ঈশ্বরদী কমিউটার ট্রেন

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পার্বতীপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু
পার্বতীপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ
বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাসিরনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
নাসিরনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্পেশাল টিম: ডা. সায়েদুর
করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্পেশাল টিম: ডা. সায়েদুর

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডাকসু নির্বাচনের ১০ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ
ডাকসু নির্বাচনের ১০ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংবাদপত্রের ওপর কালোছায়া নেমে আসে’
‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংবাদপত্রের ওপর কালোছায়া নেমে আসে’

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঢাবি ভর্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা পেল দুই শিক্ষার্থী
ঢাবি ভর্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা পেল দুই শিক্ষার্থী

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫
২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫

৭ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ
সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১
মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা
উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা
নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’
‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর
ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন
ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু
‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক

২০ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা
সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান
নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত
ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’
‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড
ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার
তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা
দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা
ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা
নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান
আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত
ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি
ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী
১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত
ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত
ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এটিএম বুথের ভেতরে কারখানা শ্রমিককে ধর্ষণ
এটিএম বুথের ভেতরে কারখানা শ্রমিককে ধর্ষণ

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস
ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত
রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত

প্রথম পৃষ্ঠা

দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা
দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিমা খাতে আসছে নতুন আইন
বিমা খাতে আসছে নতুন আইন

শিল্প বাণিজ্য

সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ
সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার
মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি
সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি
স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

নামেই জীবন নামেই মরণ
নামেই জীবন নামেই মরণ

সম্পাদকীয়

নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি
নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি

নগর জীবন

চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি
চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা
ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা

পেছনের পৃষ্ঠা

নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ
নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ

খবর

পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ
পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা
লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়
ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি
যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি

শিল্প বাণিজ্য

ব্র্যান্ড দূষণ বাড়াচ্ছে ৪০ শতাংশ ফ্যাশন
ব্র্যান্ড দূষণ বাড়াচ্ছে ৪০ শতাংশ ফ্যাশন

শিল্প বাণিজ্য

হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী
হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী

পেছনের পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি
গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ
সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ
বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু
শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু

নগর জীবন

গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়
গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান
সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

পেছনের পৃষ্ঠা

বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান
বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান

প্রথম পৃষ্ঠা

সহসাই থামছে না ইরান ইসরায়েল সংঘাত
সহসাই থামছে না ইরান ইসরায়েল সংঘাত

পূর্ব-পশ্চিম

গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ
গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশের উন্নয়নে চাই মালয়েশিয়া মডেল
দেশের উন্নয়নে চাই মালয়েশিয়া মডেল

সম্পাদকীয়