শিরোনাম
প্রকাশ: ১৪:২৭, রবিবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০১৬ আপডেট:

শক্তি প্রয়োগের রাজনীতির ফল শুভ নয়

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
শক্তি প্রয়োগের রাজনীতির ফল শুভ নয়

গত ১২ জানুয়ারি জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ এবং ১১ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে শাসক লীগ আয়োজিত জনসভায় দলীয় সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ভাষণের মধ্যে একটি যোগসূত্র লক্ষ করা যায়। প্রধানমন্ত্রী ২০০৮ সালে সরকার গঠনের আগে তার দলের প্রতিশ্রুতি ও অর্জনের কথা উল্লেখ করে আগামী দিনের স্বপ্নের কথা বলেছেন।  সে স্বপ্ন পূরণ করতে হলে অবশ্যই তার সময়ের প্রয়োজন। প্রচ্ছন্নভাবে জাতিকে সে কথাটাই হয়তো স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন সময়ে তিনি বার বার একটা কথা প্রায়ই উল্লেখ করেন যে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়ন এবং জনগণের কল্যাণ করে; অন্যরা তা ধ্বংস করে। কথাটা এই দাঁড়ায় যে, উন্নয়ন চাইলে, দেশের কল্যাণ চাইলে আওয়ামী লীগকেই ক্ষমতায় রাখতে হবে। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম রাখঢাক না করে স্পষ্টভাবেই বলেছেন, দেশ ও জনগণের কল্যাণের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পরবর্তী টার্মই শুধু নয়, আরও ‘কয়েক টার্ম’ ক্ষমতায় রাখতে হবে। দুজনের বক্তব্যেই মনে হয় তারা আগামী সংসদ নির্বাচনের প্রচারণাতেই নেমে গেছেন। তারা যে দৃঢ় অবস্থানে এতদিন ছিলেন এবং সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মতো দলের এক্সট্রা প্লেয়াররা প্রায়শ যা বলে থাকেন, সে অনুযায়ী ২০১৯ সালের আগে পরবর্তী একাদশ সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা নয়। সময়ের ব্যবধান আরও প্রায় তিন বছর। এত আগে তাহলে নির্বাচনের ‘ঘ্রাণ’ ছড়াচ্ছেন কেন? দুজনের বক্তব্যে আরও একটা মিল আছে। দুজনই ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ ও গণতন্ত্রকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেছেন, ‘আসুন, দল-মত ও বিভক্তির ঊর্ধ্বে উঠে আমাদের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখি।’ ৫ জানুয়ারি ও ১২ জানুয়ারি গণতন্ত্র রক্ষা দিবস ও বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের জনসভায় দলের নির্বাহী প্রধান সৈয়দ আশরাফুলও একই কথা বলেছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা এসব বক্তব্যকে খুবই তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করেন। ক্ষমতাসীন দলের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তার দলের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা ও তির্যক মন্তব্য-বক্তব্যও আছে। এটা কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। গণতন্ত্রের দেশ বলতে আমরা যাদের নাম সর্বাগ্রে উল্লেখ করি, সেই সারির দেশ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান প্রার্থীদের পারস্পরিক আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ লক্ষ করলে আমাদের দেশের একের বিরুদ্ধে অপরের আক্রমণকে খুব একটা বড় ধরনের অপরাধ বলে গণ্য করা যাবে না। বহুদলীয় ব্যবস্থায় বহু দল, বহু মত তো থাকবেই। পাল্টাপাল্টি রাজনৈতিক বক্তব্য অভিযোগও থাকবে। রাষ্ট্র ও জনস্বার্থের মৌলিক বিষয়টিই বড়। শাসক লীগ ও প্রধানমন্ত্রীর অতি সাম্প্রতিক বক্তব্যের নির্যাসটা বোধ হয় এভাবেই বের করে আনা যায় যে, সরকার ও সরকারি দল দেশে বোধ হয় একটি আগাম ও সব দলের অংশগ্রহণমূলক একটি জাতীয় নির্বাচনের কথা ভাবছে। তা না হলে দল-মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ ও গণতন্ত্রকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বানটা এভাবে আসত না।

 

বিএনপিও সে পথেই হাঁটছে তা স্পষ্ট। তারা জাতীয় রাজনীতিতে পর পর বেশ কিছু বড় ভুল করেছে বলে অনেক পর্যবেক্ষক মনে করেন। বিএনপি একটি নির্বাচনমুখী উদার গণতান্ত্রিক দল। দলের প্রতিষ্ঠাতা মুক্তিযুদ্ধের একজন কিংবদন্তি নায়ক। দলের ঘোষণাপত্রের অঙ্গীকার হচ্ছে— ‘ঐতিহাসিক মুক্তি সংগ্রামের সোনালি ফসল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আমাদের পবিত্র আমানত এবং অলঙ্ঘনীয় অধিকার। প্রাণের চেয়ে প্রিয় মাতৃভূমির এ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সুদৃঢ় ও সুংরক্ষিত করে রাখাই হচ্ছে আমাদের কালের প্রথম ও প্রধান দাবি।’ যারা দলটির গোড়াপত্তন থেকে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন এবং যেসব পর্যবেক্ষক দলটির কার্যক্রম গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন, তারা একমত যে, বিএনপি বর্তমানে সে অঙ্গীকার থেকে বিচ্যুত হয়েছে। এটা কারও না বোঝার কারণ নেই যে, একাত্তরে যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রত্যক্ষ বিরোধিতা করেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত থেকেছে তাদের সঙ্গে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের যে অঙ্গীকারের কথা দলীয় ঘোষণাপত্রে শপথবাক্যের মতো উল্লেখ করা হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করা অসম্ভব। কথায় কথায় বিএনপির ‘নও-মুসলিমরা’ (হালে বিএনপির আলখেল্লা পরা) জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের ঐক্যের কথা উল্লেখ করে বিএনপি-জামায়াত ঐক্যকে জায়েজ করতে চান। কিন্তু দুই ঐক্যের মধ্যকার মৌলিক পার্থক্যের বিষয়টি গুরুত্ব দেন না। একাত্তরের ভূমিকা বিবেচনা করে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী সংগঠন জামায়াতের সঙ্গে অন্যদের যেমন-তেমন, আওয়ামী লীগের কোনো ঐক্য হতে পারে না। তবে তারা ঐক্য করেছে। ১৯৮৬ সালে। এরশাদের পাতানো নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতও অংশ নিয়েছিল। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে জামায়াতও যুগপৎ আন্দোলনে ছিল। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলনে বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে জামায়াত, জাপাকে পাশাপাশি রেখেছিল আওয়ামী লীগ। শুধু ক্ষমতার কাঙালিপনা থেকে জামায়াতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ওই বোঝাপড়াও ভালো চোখে দেখেনি একাত্তরের চেতনার প্রকৃত ধারকরা। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে লীগ সমর্থিত প্রার্থী বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরীর পক্ষে জামায়াতের সমর্থন প্রার্থনা করাও আওয়ামী লীগের সমীচীন হয়নি বলে মনে করেন অনেক আওয়ামী লীগারও। কিন্তু বিএনপির সর্বোচ্চ মৌলিক পার্থক্যটি এ জায়গায় যে, তারা জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে কোনো ঐক্যমোর্চা বা জোট করেননি। তারপরও তারা ‘পাপ’ স্খলন করেছেন একাত্তরের মানবতাবিরোধী  অপরাধের বিচার কার্যক্রম শুরু করে এবং কিছু দণ্ড বাস্তবায়নের মাধ্যমে। জামায়াত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কোনো ক্ষতি করতে পারেনি।

 

বিএনপির ক্ষেত্রে হয়েছে উল্টোটা। ১৯৯৮ সালে জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে প্রথম চারদলীয় জোট থেকে শুরু করে বর্তমান ২০-দলীয় জোট গঠন প্রক্রিয়ার দীর্ঘ ১৭-১৮ বছরে বিএনপি তার দলের ঘোষণাপত্রের অঙ্গীকারই শুধু ভঙ্গ করেনি, সাংগঠনিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিএনপির ঘাড়ে চড়ে সারা দেশে তারা সাংগঠনিক বিস্তৃতি ঘটিয়েছে। বিএনপির অনেক তৃণমূল নেতা-কর্মী ভাগিয়ে নিয়েছে। এখন বগুড়ার মতো বিএনপির ঘাঁটি এলাকায়ও জামায়াত বিএনপির জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আরও বড় বিপদের দিকও আছে। বিএনপি একটি নির্বাচনমুখী গণতান্ত্রিক দল— এটা উল্লেখ করেছি আগে। তারা ক্ষমতায় যেতে চায়। কিন্তু জামায়াত তো এ মুহূর্তে ক্ষমতার লড়াই বা দৌড়ে নেই। ভালো অবস্থায় তারা ক্ষমতার ছিটেফোঁটা অংশীদারিত্ব চায়। কিন্তু এখন তাদের এজেন্ডা ভিন্ন। নেতাদের বাঁচানো, দল বাঁচানো, দলের সম্পদ ও লোকবল রক্ষা করাই প্রধান এজেন্ডা। নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির পথে সে লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব নয় তা তারা জানে। এ জন্য পথ হচ্ছে হিংসা-হানাহানি, সহিংসতা-নাশকতার। বিএনপিকে তারাই সে পথে ঠেলে দিয়েছিল বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করেন। ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচির নামে হঠকারী আন্দোলনের পথে পা দিয়ে এখন চরম মাশুল দিচ্ছে দলটি। সর্বদলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়া, হেজাফতে ইসলামের ‘সরকার দখল’ (বাবুনগরীর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ঘোষণা) কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণার মতো ভুলগুলোও করেছে দলটি। এসব ভুল করে দলকে মহাবিপর্যয়ের মধ্যে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। দলের বর্তমান অবস্থান থেকে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে, ভুল শোধরাতে চাচ্ছে বিএনপি। আগাম ও সব দলের অংশগ্রহণমূলক সংসদ নির্বাচনের দাবি নিয়ে তারা এখন গণতান্ত্রিক পথেই হাঁটতে চাচ্ছে বলে মনে হয়। পৌরসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকার নীতিগত সিদ্ধান্ত তাদের নির্বাচনমুখী অবস্থানকেই জোরদার করেছে। এটা অবশ্যই বলতে হবে যে, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনটি ভালো নির্বাচন হয়নি। ইতিপূর্বেকার কয়েকটি নির্বাচন সম্পর্কে যেসব বিরূপ সমালোচনা ছিল, এ নির্বাচনও তা থেকে যে মুক্ত নয়, মিডিয়ায় প্রকাশিত সচিত্র প্রতিবেদনই তা প্রমাণ করে। তারপরও ফলাফল প্রত্যাখ্যান করলেও নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেনি বিএনপি। আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও বিএনপি অংশ নেবে এটা বলা যায়। সুস্থ ধারার রাজনীতি করেও গণতন্ত্রের সংগ্রামকে জোরদার করা যায়, পৌর নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ তা প্রমাণ করেছে। প্রত্যাশিত ফলাফল তারা পায়নি। কিন্তু এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে কার্যত অবরুদ্ধ বিএনপি আলোর মুখ দেখেছে। ২৩৪ পৌর এলাকায় সাংগঠনিক তত্পরতা চালাতে পেরেছে, ঘরে ফিরতে পেরেছে পলাতক নেতা-কর্মীরা, ভোটের হালহকিকত দেখেছে স্থানীয় জনগণ। ভোটাধিকার বঞ্চিত মানুষের মধ্যে আরও ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মিলে সরকারি দলের লোকজন কী করেছে দেশে-বিদেশে আবারও তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনা গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে বেগবান করে যোগ্য নেতৃত্ব ও উপযুক্ত সংগঠন থাকলে।

আমাদের দেশে বর্তমান গণতান্ত্রিক সংকটটি ঘনীভূত হয়েছে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে ঘিরে। গণতন্ত্র ‘বাক্সবন্দি’ রেখে উন্নয়নের যে কথা বলা হচ্ছে, অভিজ্ঞজনরা বলছেন, টেকসই উন্নয়ন ও প্রকৃত জনকল্যাণ গণতন্ত্র বিবর্জিত সমাজে কখনো হতে পারে না। যে কথিত উন্নয়নে জনমতের প্রতিফলন নেই, জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত নয়, সে উন্নয়ন সমাজের উপরতলার কিছু মানুষের কল্যাণে আসে, ব্যাপক জনগোষ্ঠী ও রাষ্ট্রের সামগ্রিক কোনো মঙ্গল করে না। বড় বড় কাজে বেশি বেশি কমিশন খাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়। কিছু লোক মোটাতাজা হয়। এ জন্য উন্নয়নের ঢাকঢোল পিটিয়ে ক্ষমতায় থাকার সহজ পথ খুঁজে শাসকরা। কেউ কেউ যে কোনো প্রকারে ক্ষমতায় থাকার কুবুদ্ধি দিতে পারে সরকারকে। কিন্তু সেভাবে কতদিন থাকা যাবে ক্ষমতায়? তারপর? পুলিশি রাষ্ট্রের কত উদাহরণই তো আছে আমাদের সামনে, আশা করতে চাই, দুপক্ষ গভীরভাবে আরও চিন্তাভাবনা করবেন। বিশেষ করে সরকার পক্ষ। তারা ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ ও গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যে কথা বলছেন, তা যদি কথার কথা হয় এবং গায়ের জোরেই যদি ‘আরও কয়েক টার্ম’ ক্ষমতায় থাকার জন্য জনগণের রায় অগ্রাহ্য করে এগোতে চান, জনগণ তা দিনের পর দিন মেনে নেবে এটা ভাবা কি ঠিক হবে? এ ব্যাপারে বিএনপি যদি গণতান্ত্রিক পন্থায় সাহসের সঙ্গে ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয় তাহলে সরকারি দণ্ড নয়, এবার জনগণের দণ্ডও তাদের পেতে হবে।

ইতিমধ্যে সমাজের চতুর্দিকে দারুণ অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অসম বেতন স্কেলে তাদের মর্যাদাহানির বিরুদ্ধে অবিরাম ধর্মঘটে আছেন। সচেতন সব মানুষ বলছেন, তাদের দাবি ন্যায্য। তারা বেতন বৃদ্ধির জন্য লড়ছেন না, লড়ছেন আমলাদের সঙ্গে তুলনামূলকভাবে তাদের অবস্থান অবনমনের বিরুদ্ধে। শিক্ষকদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর বিরূপ মন্তব্য শুধু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের নয়, সব ভদ্রজনকেই বিস্মিত করেছে। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতৃত্ব এখন লীগপন্থিদের হাতে। শোনা যাচ্ছে, তাদের মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটি লোক দেখানো বৈঠক এবং ‘আশ্বাসের’ কথা বলে শিক্ষক আন্দোলনের রশি টেনে ধরার চেষ্টা চলছে বলে শোনা যাচ্ছে। সরকারপন্থিরা একটি ‘আশ্বাস’ উপহার এনে শিক্ষকদের ক্ষোভ প্রশমনের গোপন তত্পরতা ইতিমধ্যেই শুরু করেছেন বলে শোনা গেলেও হাওয়া তাতে আরও আন্দোলনের পক্ষেই বেগবান হচ্ছে। সরকারি কলেজ শিক্ষকরাও আন্দোলনে আছে পদ অবনমনের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অসন্তুষ্ট কর্মকর্তাদের গভর্নর আতিউর রহমান আপাতত ম্যানেজ করতে পারলেও সবাই ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে ধিকি ধিকি তুষের আগুনের মতো। কৃষিতে নানা বিস্ময়কর অবদান রাখা কৃষি বিজ্ঞানীসহ সব শ্রেণির বিজ্ঞান গবেষকরাও মাঠে নেমেছেন। তাদের অবস্থানও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে অষ্টম বেতন স্কেলে। প্রথম শ্রেণির কর্মচারীরা নেমে গেছেন দ্বিতীয় শ্রেণিতে। প্রশাসনিক ক্যাডার ছাড়া বিসিএসের অন্য ক্যাডারদের প্রতিও অবিচার করা হয়েছে। আরও ভয়ঙ্কর ব্যাপার ঘটেছে বিচার বিভাগের সঙ্গে। মাননীয় বিচারকরা তো বাদ-প্রতিবাদ করতে পারেন না, সভা-সমাবেশ-বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে পারেন না। তাদের সবার নীরব মনোবেদনার প্রকাশ ঘটেছে সম্প্রতি মহামান্য প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার একটি বক্তব্যে।  তিনি প্রকাশ্যেই বিবেকের কণ্ঠস্বর হয়ে উচ্চারণ করেছেন ‘বিচার বিভাগকেও নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছে প্রশাসন বিভাগ।  সামগ্রিক পরিস্থিতি ভয়ঙ্করই মনে হচ্ছে। এসবই গণতন্ত্রহীন, আইনের শাসনহীন রাষ্ট্র-সমাজেরই ভয়াবহ চিত্র। শুধু উন্নয়নের ‘মধুবাণী’ আর রাষ্ট্রশক্তির যথেষ্ট প্রয়োগ কি এসব সংকটের সমাধান দিতে পারবে?

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট

ই-মেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
সর্বশেষ খবর
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের
ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু
খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর
ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের
তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি
ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের হামলা
তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের হামলা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পৃথিবীতে প্রাণের উৎস কী সত্যিই এসেছে এই অঞ্চল থেকে?
পৃথিবীতে প্রাণের উৎস কী সত্যিই এসেছে এই অঞ্চল থেকে?

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

নন্দনগাছীতে দুই মিনিট থামবে ঈশ্বরদী কমিউটার ট্রেন
নন্দনগাছীতে দুই মিনিট থামবে ঈশ্বরদী কমিউটার ট্রেন

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পার্বতীপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু
পার্বতীপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ
বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাসিরনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
নাসিরনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্পেশাল টিম: ডা. সায়েদুর
করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্পেশাল টিম: ডা. সায়েদুর

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডাকসু নির্বাচনের ১০ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ
ডাকসু নির্বাচনের ১০ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংবাদপত্রের ওপর কালোছায়া নেমে আসে’
‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংবাদপত্রের ওপর কালোছায়া নেমে আসে’

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঢাবি ভর্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা পেল দুই শিক্ষার্থী
ঢাবি ভর্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা পেল দুই শিক্ষার্থী

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫
২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫

৭ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ
সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১
মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা
উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা
নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’
‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর
ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন
ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু
‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক

২০ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা
সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান
নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত
ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’
‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড
ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার
তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা
দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা
ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা
নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান
আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত
ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি
ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী
১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত
ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত
ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এটিএম বুথের ভেতরে কারখানা শ্রমিককে ধর্ষণ
এটিএম বুথের ভেতরে কারখানা শ্রমিককে ধর্ষণ

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস
ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত
রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত

প্রথম পৃষ্ঠা

দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা
দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিমা খাতে আসছে নতুন আইন
বিমা খাতে আসছে নতুন আইন

শিল্প বাণিজ্য

সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ
সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার
মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি
সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি
স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

নামেই জীবন নামেই মরণ
নামেই জীবন নামেই মরণ

সম্পাদকীয়

নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি
নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি

নগর জীবন

চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি
চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা
ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা

পেছনের পৃষ্ঠা

নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ
নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ

খবর

পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ
পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা
লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়
ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি
যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি

শিল্প বাণিজ্য

ব্র্যান্ড দূষণ বাড়াচ্ছে ৪০ শতাংশ ফ্যাশন
ব্র্যান্ড দূষণ বাড়াচ্ছে ৪০ শতাংশ ফ্যাশন

শিল্প বাণিজ্য

হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী
হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী

পেছনের পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি
গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ
সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ
বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু
শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু

নগর জীবন

গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়
গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান
সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

পেছনের পৃষ্ঠা

বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান
বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান

প্রথম পৃষ্ঠা

সহসাই থামছে না ইরান ইসরায়েল সংঘাত
সহসাই থামছে না ইরান ইসরায়েল সংঘাত

পূর্ব-পশ্চিম

গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ
গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশের উন্নয়নে চাই মালয়েশিয়া মডেল
দেশের উন্নয়নে চাই মালয়েশিয়া মডেল

সম্পাদকীয়