শিরোনাম
প্রকাশ: ১৫:১৮, সোমবার, ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ আপডেট:

বিএনপি : সত্যের জয় হবেই

আবু হেনা
Not defined
অনলাইন ভার্সন
বিএনপি : সত্যের জয় হবেই

বিএনপির শীর্ষ নেতারা এখন যেমন স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদের সংখ্যাতত্ত্ব নিয়ে গবেষণায় ব্যস্ত তেমনি এর কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দলের কতজন মারা গেছেন, কতজন গুম হয়েছেন, কতজন জেলে আছেন এর হিসাব করেই খালাস। তাদের হিসাব অনুযায়ী সারা দেশে চার লাখ তিন হাজার ৮৭৮ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে ১৭ হাজার ৮৮৫ জন। সরকারের দুই মেয়াদে ৪৪০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। ২৬৭ জনকে গুম করা হয়েছে আর ৩৩৭ জনকে পঙ্গু করা হয়েছে। এদিকে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় আদালতের জারি করা সমনটি ২১ জানুয়ারি তার বাসভবনের ফটকে সাটিয়ে দিয়ে আদালত যে বার্তা দিয়েছে তা হলো এই যে আদালতের নির্দেশনা বিএনপির অন্য নেতা-কর্মীদের মতো চেয়ারপারসনের বেলায়ও একইভাবে প্রযোজ্য হবে। ৩ মার্চের মধ্যে তাকে আদালতে হাজির হতে হবে। তার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এবং জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ প্রায় শেষ। হয়তো আগামী মাসেই এ মামলাগুলোর রায় হয়ে যাবে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী নাইকো এবং গ্যাটকো দুর্নীতি মামলাসহ তার বিরুদ্ধে আরও ১৭টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। একই সঙ্গে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ড বিষয়ক মামলাসহ আরও ১৭টি মামলা সচল রয়েছে। এতে আদালত তাকে সর্বোচ্চ সাজাও দিতে পারে। তার নাম ওয়ারেন্ট লিস্টে জুড়ে দিয়ে ইন্টারপোল তার বিরুদ্ধে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছে। লন্ডনে তিনি প্রায় অবরুদ্ধ কিন্তু তিনি সেখানে প্রায়শই প্রবাসে সিলেটবাসীকে নিয়ে সভা-সমাবেশ করছেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরছেন, বঙ্গবন্ধুকে ‘রাজাকার’ পাকবন্ধু বলছেন। অথচ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তাকে ‘সুপ্রিম লিডার’ বলে অভিহিত করে তার নামে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। তাকে তিনি ভক্তি শ্রদ্ধা করতেন এবং তার আমন্ত্রণে বাকশালেও যোগ দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুই তাকে বীরউত্তম উপাধি দেন। গত ২১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে বেগম জিয়া মন্তব্য করেছেন— ‘আজকে বলা হয় এত লাখ লোক শহীদ হয়েছে... এটা নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে... নানা বই... কিতাবে নানা তথ্য আছে।’ অথচ ১৯৭৪ সালে প্রকাশিত ‘একটি জাতির জন্ম’ শিরোনামে একটি লেখায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা স্পষ্টভাবে ৩০ লাখ শহীদ এবং আড়াই লাখ সম্ভ্রম লুণ্ঠিত মা-বোনের কথা উল্লেখ করে গেছেন। এসব কথা শুনে মনে হয় বিএনপি আজ একটি দিকভ্রান্ত রাজনৈতিক দল, যার ঘোষণাপত্র এবং গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোনো যোগ্য এবং বৈধ সাংগঠনিক নেতৃত্ব নেই। বিএনপি এখন একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে রূপান্তরিত হয়ে লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে বসবাসরত তারেক রহমানের পরিচালনায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে ব্যবসায়ী প্রতিযোগিতায় নেমেছে। চলছে নীতিহীন, আদর্শহীন জনবিচ্ছিন্ন গুলশান অফিস- কেন্দ্রিক রাজনীতি।

‘মূল ইস্যুতে নেই বিএনপি’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রতিদিনের ৩০ জানুয়ারি সংখ্যায় মাহমুদ আজহার দলটির অসারতার চিত্র তুলে ধরেছেন : ‘নেতারা ব্যস্ত এখন ইতিহাস চর্চা করে। নতুন নির্বাচনের দাবিতে নেই জোরালো অবস্থান। নেতাদের মুখে মুখে এখন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস চর্চা। সামনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এ নিয়েও কেন্দ্রে সে অর্থে কোনো প্রস্তুতি নেই। তৃণমূলে হামলা-মামলাসহ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর নেই কেউ। অভিযোগ রয়েছে আন্দোলনের সময় গুম-খুন হওয়া নেতা-কর্মীদের পরিবারের খোঁজও নেওয়া হয় না কেন্দ্রীয়ভাবে।’

আজ যেখানে বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মী দুঃসহ, দুর্বিষহ, মানবেতর জীবনযাপন করছেন, সহায়-সম্বল হারিয়ে পথে পথে ঘুরছেন, যখন দলে দীর্ঘ চার বছর ধরে কোনো বৈধ সংগঠন নেই, যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহান স্বাক্ষরিত মনোনয়ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত মনোনয়ন বোর্ড কর্তৃক মনোনীত প্রার্থীদের মোকাবিলা করতে দলীয় প্রার্থীরা ব্যর্থ হচ্ছে, যখন আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা এবং পৌর নির্বাচনের মতো বাণিজ্য হতে চলেছে, যখন তৃণমূল পর্যায়ে কমিটি না করেই চেয়ারপারসনসহ দলের নির্বাহী কর্মকর্তারা অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নিয়োগপ্রাপ্ত হতে চলেছেন তখন লন্ডনে বসে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিষয়ে গবেষণা করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতা-কর্মীদের বাঁচানো যাবে না, ক্ষমতায় যাওয়া তো দূরের কথা। গত বছর ২৬ এপ্রিল জনসম্মুখে সংবাদ সম্মেলনে নিজের দুই পুত্রের জন্য চোখের পানি ফেলেছিলেন খালেদা জিয়া। বলেছিলেন তারা নির্যাতনের শিকার। অথচ এই নির্যাতন তারাই করেছে যাদের বেগম জিয়া এবং তারেক রহমান আনুকূল্য প্রদর্শন করে বিভিন্ন সময়ে পদায়ন করেছিলেন রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের বিশেষ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ পদে। আজ তার খেসারত দিচ্ছে বিএনপি দলীয় কোটি কোটি নেতা-কর্মী আর সমর্থক। বিগত অবরোধ চলাকালে এরা ব্যবসা-বাণিজ্য, কাজকর্ম ফেলে উপরের নির্দেশে আন্দোলন-সংগ্রামে নেমেছে, জেল-জুলুম ভোগ করেছে। আজ তারা কেউ ঋণখেলাপি, কেউ আত্মগোপনে, কেউ জেলে, কেউ সর্বহারা। অথচ বেগম জিয়ার গত বছরের আয় উপার্জন ৯০ লাখ টাকা। যা শেখ হাসিনার বার্ষিক ঘোষিত আয়ের দ্বিগুণ। শোনা যায়, তার ব্যক্তিগত সহকারীদের কেউ কেউ সরকারি ব্যাংক থেকে শত শত কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। তারেক রহমানও লন্ডনে দুই দুইটি ফ্ল্যাট নিয়ে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করছেন। এখন পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রে বিএনপির কমিটি গঠিত হচ্ছে। তার অনুমোদন দিচ্ছেন তিনি। প্রবাসীদের অনেকে জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন পাবেন। এ আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। আজ বাংলাদেশে হতসর্বস্ব নেতা-কর্মীর জন্য কাঁদার কেউ নেই। ওদের মুক্তির জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করার কেউ নেই।

২৮ জানুয়ারি কালের কণ্ঠে প্রকাশিত বিশিষ্ট সাংবাদিক গাজিউল হাসান খানের, ‘বিএনপির আসন্ন কাউন্সিল ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা’ শীর্ষক লেখাটি তাত্পর্যময়। সহজ সরলভাবে  বলা তার সাদামাঠা কথাগুলো বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের বিশেষভাবে ভাবিয়ে তুলবে নিঃসন্দেহে। গাজিউল হাসান লিখেছেন : ‘এমন এক সময় আসতে পারে যখন বেগম জিয়া ও তারেক রহমানকে রাজনৈতিক আন্দোলনের মাঠে নাও পাওয়া যেতে পারে। তাতে কি বিএনপির সব আন্দোলন থেমে যাবে? তেমন একটি অবস্থার জন্য কি বিএনপি প্রস্তুত? কে দেবে সে উত্তর? এখনো বিএনপিতে বিকল্প নেতৃত্ব গড়ে তোলার কোনো প্রস্তুতি দৃশ্যমান নয়। বর্তমানে আন্দোলনে ভরাডুবি ও নেতৃত্বের কোন্দলের সীমাহীন অভিযোগের মুখে ঘোষিত হয়েছে বিএনপির জাতীয় কাউন্সিল।’সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন, দুর্বোধ্য অবরোধ আর খেয়ালখুশি হরতাল, হেফাজতের কর্মসূচি থেকে হঠাত্ করে সরে আসা— এসবের ফলশ্রুতিতে বিএনপির আজ যে বেহাল অবস্থা তাতে গাজিউল হাসানের প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। তবে এটা অনেকটাই নিশ্চিত যে, বাংলাদেশে বিএনপিকে নেতৃত্ব দিতে তারেক রহমান হয়তো আর কোনোদিনই দেশে ফিরবেন না। তার বিরুদ্ধে যেসব মামলা আছে তাতে তার জেল-ফাঁসি দুই-ই হতে পারে। অতএব লন্ডনে বসেই তিনি বাংলাদেশ, ইউরোপ, আমেরিকায় কমিটি অনুমোদন এবং বিভিন্ন আসনে মনোনয়ন দিতে পারবেন। দেশে ফিরে নির্যাতিত নেতা-কর্মীদের সারিতে নেমে এসে আন্দোলন-সংগ্রাম করার প্রয়োজন কি? একই কথা বেগম জিয়ার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতি তিন বছর অন্তর কাউন্সিল না করে যদি বছরের পর বছর দলের চেয়ারপারসন থাকা যায়, দলের সব সিদ্ধান্ত এককভাবে নেওয়া যায়, তাহলে আন্দোলন-সংগ্রাম করে মাঠে নেমে লাভ কি? তবে এটা সত্য যে, বেগম জিয়া এবং তারেক রহমান না থাকলেও বিএনপিকে আন্দোলন-সংগ্রাম করে লাখ লাখ নেতা-কর্মীকে মুক্ত করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। কোনো অবস্থাতেই আন্দোলন-সংগ্রাম থেমে যাবে না। প্রেসিডেন্ট জিয়ার শাহাদাতের পর যেভাবে বিচারপতি সাত্তার তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন তেমনি এবারও শূন্যস্থান পূরণ করবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত যোগ্য নেতৃত্ব। যোগ্য নেতৃত্বই দলের সব দুর্বলতা দূর করবে, সব বাধা অতিক্রম করে দলকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তার জন্য কি করতে হবে তারও ইঙ্গিত আছে গাজিউল হাসানের লেখায় : ‘জনমনে আবার দলটির প্রতি আস্থার ভাব ফিরিয়ে আনতে হলে বিএনপির চাই একটি সম্পূর্ণ নতুন ইমেজ। নতুবা যে ধারায় ক্ষমতা হারানো বিএনপি এতদিন চলছিল, তাতে কোনো বিস্ময়কর সাফল্য আসবে বলে কেউ মনে করে না। বরং সে অপরিণামদর্শী উল্লিখিত ধারাটি অব্যাহত থাকলে বিএনপি ভবিষ্যতে অস্তিত্ব সংকটে পড়তে পারে বলে অনেকের বিশ্বাস।’ তারপরের কথাগুলো বিশেষভাবে প্রবিধানযোগ্য। ‘দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে বিএনপি কীভাবে টিকে থাকতে চায়, তা আজ তাদের দলের অনেকেই পরিষ্কার করে জানতে আগ্রহী। অনেকে শহীদ জিয়ার বিএনপি চায়, যেখানে ঘটবে দেশের সত্, শিক্ষিত, কর্মঠ ও মেধাবী মানুষের সমাবেশ। দলে থাকবে নেতা-নেত্রীর সব কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা এবং দলে থাকবে অভ্যন্তরীণ গঠনতন্ত্রের চর্চা।’এই লেখাটির সারবত্তা হলো : ‘রাজনীতিগতভাবে বিএনপির বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। সামনের পথ অতিবন্ধুর। সে অবস্থায় বিএনপির আদর্শভিত্তিক বাস্তব কর্মসূচি কি হবে তা নিয়ে কোথাও কোনো আলোচনা নেই। দেশব্যাপী কর্মসূচি নেই, দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে জনগণের সামনে যুগোপযোগী কোনো রূপকল্প তুলে ধরা হচ্ছে না।’

কাউন্সিল বিষয়ে তার বক্তব্যটি সুস্পষ্ট : ‘এ কাউন্সিল বহুদিক থেকে বিএনপির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ কাউন্সিল শেষে বিএনপির সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীরা দেখতে চায় এক প্রতিশ্রুতিশীল বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজ সংস্কৃতির ক্ষেত্রে এক নতুন দিগদর্শন, যা বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে যুগোপযোগীভাবে আরও অনেক দূরে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আশা করি, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এ কথাগুলো বিবেচনায় রেখে জাতীয় কাউন্সিলের প্রস্তুতি নিবে।’

দলের বর্তমান নাজুক অবস্থা অব্যাহত থাকলে তা বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের জন্যই ভয়ঙ্কর বিপর্যয় ডেকে আনবে। আজ দলে কোনো সংগঠন নেই, নেই নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা, নেই কোনো দায়িত্বশীল নেতা যিনি প্রয়োজনে দলের দায়িত্ব নিয়ে সব সংকট মোকাবিলা করবেন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলাগুলোর রায় অচিরেই হয়ে যাবে। তখন সারা দেশে তাদের মুক্তি আন্দোলন গড়ে তোলা বর্তমানে ভেঙে পড়া দুর্বল সংগঠনের পক্ষে সম্ভব হবে না। এই দুর্যোগ মুহূর্তে তৃণমূল থেকে আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে একমাত্র একটি গণতান্ত্রিক সংগঠন। চাই একজন সঠিক নেতা যার কোনো হাওয়া ভবন থাকবে না, গুলশান অফিস থাকবে না। তিনি নয়াপল্টন অফিসে প্রতিদিন বসবেন, মিটিং মিছিলে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিবেন। দলের সব নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী তার সঙ্গে যে কোনো সময় দেখা করে তাদের সমস্যার কথা জানতে পারবে। আগামীতে যদি সত্যিই কোনো কাউন্সিল হয় তাহলে তার প্রথম এজেন্ডা হবে দলের সব নেতা-কর্মীকে মুক্ত করা, তাদের আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা। দ্বিতীয় এজেন্ডা হবে দলকে মূলধন হিসেবে ব্যবহার করে যারা বাণিজ্য করছে তাদের শাস্তি দেওয়া। এখন থেকে সততা আর যোগ্যতাই হবে নেতৃত্বের একমাত্র চাবিকাঠি। এবারের কাউন্সিলে আমরা একটি শপথ নিব; আমরা সবাই সবার জন্য। আমরা কেউ কারও চেয়ে বড় নই। আমরা সবাই শহীদ জিয়ার সৈনিক-সবাই সমান।

নীতিহীন, আদর্শহীন, ব্যক্তিপূজা আর নয়। এখন থেকে দলের সর্বস্তরে শুধু ১৯ দফার চর্চা হবে। সর্বাগ্রে থাকবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব। লক্ষ্য হবে মর্যাদাশীল, আত্মনির্ভর জাতি গড়ে তোলা। অর্থনৈতিক ন্যায়বিচারের সমাজতন্ত্র জাতীয় জীবনে সর্বত্র প্রতিফলিত হবে। প্রশাসনের সর্বস্তরে উন্নয়ন কার্যক্রম ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জনসাধারণের ব্যাপক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। কৃষি উন্নয়ন ও গ্রামীণ অর্থনীতি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে। দেশে কোনো গৃহহীন, কর্মহীন, নিরন্ন, বস্ত্রহীন থাকবে না। সবাই চিকিত্সা সুবিধা পাবে। নারী পাবে তার সঠিক মর্যাদা। শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে। শ্রমিকের অবস্থার উন্নতি হবে। মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্প অগ্রাধিকার পাবে। যুব সম্প্রদায় জাতি গঠনে উদ্বুদ্ধ হবে। পরিবেশগত, অর্থনৈতিক ও সামাজিক  জীবনের সর্বাঙ্গীণ উন্নতি সাধন রাষ্ট্রের ও সমাজের মৌলিক উদ্দেশ্য হবে। যুব সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি, মনোভাব ও ভূমিকার পরিবর্তন আনতে হবে। বাংলাদেশের যুবসমাজ এদেশের মঙ্গল চায়। তারাই সমাজকে, জাতিকে সুসংগঠিত ও আত্মমর্যাদাসম্পন্ন জনগোষ্ঠীতে রূপান্তরিত করবে। তার জন্য প্রয়োজন হবে গণমুখী যুব আন্দোলন, অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে বাস্তবসম্মত জনপ্রিয় ও জনগ্রাহ্য কার্যক্রম। সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে জনসেবা ও জাতিগঠনের মনোবৃত্তি উত্সাহিত হবে। সব বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে সমতা ও বন্ধুত্বের ভিত্তিতে সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে। প্রশাসন ও উন্নয়ন ব্যবস্থা বিকেন্দ্রীকরণ করে জনপ্রতিনিধিত্বশীল স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করা হবে। দুর্নীতিমুক্ত ন্যায়নীতিভিত্তিক সমাজব্যবস্থা কায়েম করা হবে। ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সব নাগরিকের অধিকার পূর্ণ সংরক্ষণ করে জাতীয় ঐক্য ও সংহতি সুদৃঢ় করা হবে। এর জন্য চাই নিবেদিতপ্রাণ সত্, আন্তরিক ও গঠনমূলক নেতৃত্ব এবং সংগঠন যা জাতীয় শক্তিকে ইতিবাচক বিপ্লবের দিকনির্দেশনা দিবে। এ আরাধ্য নেতৃত্ব ও সংগঠন গড়ে তোলাই হবে এবারের কাউন্সিলের মূলমন্ত্র। বিএনপির কাউন্সিলকে সামনের রেখে আশায় বুক বাধতে চাই। আর নয় লবিং, তদবির, পদলেহন আর পদসেবা; এবার ষড়যন্ত্র আর কূটকৌশলের কুটগুলো ধসে যাবে। সামনে আসবে শিক্ষিত, দক্ষ, প্রতিভাধর, মেধাবী, আদর্শবান, সমাজপতিরা। হবে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে সুপ্রতিষ্ঠিত সমাজ পরিধির ব্যাপ্তি। আমরা নিজেদের মধ্যে যা কিছু গঠনমূলক, যা কিছু মহত্, যা কিছু সুন্দর তাকেই তুলে ধরব— ক্ষুদ্র ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থে মেধা ও দক্ষতাকে, যোগ্যতা ও পারগতাকে আর ধুলায় লুণ্ঠিত হতে দেওয়া হবে না। জনজীবনে উন্নয়নে ও সমৃদ্ধির জন্য নেতৃত্বের আসনে আসবে সত্, স্থির চিত্ত, শিক্ষিত, অভিজ্ঞ ও কর্মনিষ্ঠ মানুষ, যারা বিশেষ গোষ্ঠী ও চক্রের ভূমিদাস নন। মনে রাখতে হবে শত সহস্র বিকৃতির মাঝে সত্য ও সুন্দরের জয় হবেই। মূক এবং অসহায় জনগণের পাশে দাঁড়ানোর এটাই সময়। এবারই খলনায়কদের সম্মোহন থেকে জাতি মুক্তি পাবে।     

লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য।

এই বিভাগের আরও খবর
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
সর্বশেষ খবর
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের
ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু
খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর
ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের
তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি
ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের হামলা
তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের হামলা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পৃথিবীতে প্রাণের উৎস কী সত্যিই এসেছে এই অঞ্চল থেকে?
পৃথিবীতে প্রাণের উৎস কী সত্যিই এসেছে এই অঞ্চল থেকে?

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

নন্দনগাছীতে দুই মিনিট থামবে ঈশ্বরদী কমিউটার ট্রেন
নন্দনগাছীতে দুই মিনিট থামবে ঈশ্বরদী কমিউটার ট্রেন

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পার্বতীপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু
পার্বতীপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ
বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাসিরনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
নাসিরনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্পেশাল টিম: ডা. সায়েদুর
করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্পেশাল টিম: ডা. সায়েদুর

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডাকসু নির্বাচনের ১০ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ
ডাকসু নির্বাচনের ১০ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংবাদপত্রের ওপর কালোছায়া নেমে আসে’
‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংবাদপত্রের ওপর কালোছায়া নেমে আসে’

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঢাবি ভর্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা পেল দুই শিক্ষার্থী
ঢাবি ভর্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা পেল দুই শিক্ষার্থী

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫
২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫

৭ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ
সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১
মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা
উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা
নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’
‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর
ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন
ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু
‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক

২০ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা
সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান
নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত
ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’
‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড
ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার
তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা
দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা
ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা
নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান
আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত
ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি
ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী
১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত
ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত
ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এটিএম বুথের ভেতরে কারখানা শ্রমিককে ধর্ষণ
এটিএম বুথের ভেতরে কারখানা শ্রমিককে ধর্ষণ

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস
ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত
রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত

প্রথম পৃষ্ঠা

দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা
দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিমা খাতে আসছে নতুন আইন
বিমা খাতে আসছে নতুন আইন

শিল্প বাণিজ্য

সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ
সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার
মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি
সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি
স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

নামেই জীবন নামেই মরণ
নামেই জীবন নামেই মরণ

সম্পাদকীয়

নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি
নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি

নগর জীবন

চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি
চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা
ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা

পেছনের পৃষ্ঠা

নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ
নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ

খবর

পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ
পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা
লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়
ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি
যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি

শিল্প বাণিজ্য

ব্র্যান্ড দূষণ বাড়াচ্ছে ৪০ শতাংশ ফ্যাশন
ব্র্যান্ড দূষণ বাড়াচ্ছে ৪০ শতাংশ ফ্যাশন

শিল্প বাণিজ্য

হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী
হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী

পেছনের পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি
গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ
সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ
বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু
শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু

নগর জীবন

গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়
গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান
সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

পেছনের পৃষ্ঠা

বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান
বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান

প্রথম পৃষ্ঠা

সহসাই থামছে না ইরান ইসরায়েল সংঘাত
সহসাই থামছে না ইরান ইসরায়েল সংঘাত

পূর্ব-পশ্চিম

গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ
গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশের উন্নয়নে চাই মালয়েশিয়া মডেল
দেশের উন্নয়নে চাই মালয়েশিয়া মডেল

সম্পাদকীয়