শিরোনাম
প্রকাশ: ১১:৪৯, শনিবার, ১৯ মার্চ, ২০১৬

এনালগ মস্তিষ্কের ডিজিটাল দেহ!

গোলাম মাওলা রনি
Not defined
অনলাইন ভার্সন
এনালগ মস্তিষ্কের ডিজিটাল দেহ!

দুটো ঘটনাই ২০১০ সালের। একটি ঘটেছিল পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল চরবোরহানে। অন্যটি ঘটেছিল জাতীয় সংসদের অভ্যন্তরে অবস্থিত মসজিদের সামনে। প্রথম ঘটনার নায়িকা হরিমন বেওয়া নামক ৭০-৭২ বছর বয়স্ক এক মহিলা। নিতান্ত দরিদ্র, অশিক্ষিত এবং নানান রোগে আক্রান্ত খিটখিটে মেজাজের এক গ্রাম্য ভিখারিণী। দ্বিতীয় ঘটনার নায়ক হলেন একজন ডাকসাইটে মন্ত্রী— বয়স হরিমন বেওয়ার প্রায় কাছাকাছি। প্রথম ঘটনার নায়িকা লোকমুখে খবর পেলেন সরকারের ডিজিটাল কর্মসূচির উদ্বোধন হবে। তিনি মনে করলেন বড় মাপের কোনো ত্রাণফ্রান দেওয়া হবে। দৌড়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখলেন একটি টিনের ঘরের অন্ধকারের মধ্যে সরকারের ডিজিটাল প্রকল্পসমূহ নিয়ে তৈরি বায়োস্কোপ দেখাচ্ছে। বুড়ি কি মনে করলেন তা বলতে পারব না। তিনি সবাইকে অতিক্রম করে একদম সামনের দিকে গিয়ে চ্যাংড়া পোলাপানের সঙ্গে বসে খুব মনোযোগ সহকারে প্রামাণ্যচিত্রটি দেখতে লাগলেন। অনুষ্ঠান শেষে তিনি বেশ উচ্ছ্বাস এবং হাসিমাখা মুখ নিয়ে বের হলেন এবং লোকজনকে জিজ্ঞাসা করলেন— মনুরা! চাউল দেবে না! কেউ একজন দুষ্টামি করে বলল— ওরে আমার ডিজিটাল বুড়িরে! চাউল লাগবে ক্যা— দুই ঘণ্টা বইস্যা ডিজিটাল দ্যাখলা— প্যাট ভরে নাই। লোকটির কথা শুনে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন হরিমন বেওয়া। খিস্তিখেউর করার জন্য ফোকলা দাঁতের চর্মসার মুখটি ভেংচিয়ে বললেন— এ্যাই ছ্যামড়া চাইয়্যা দ্যাখ! কি কইলি! মুই ডিজিটাল? তোর ম্যায় ডিজিটাল— তোর বাহে ডিজিটাল— তোর চৌদ্দগুষ্টি ডিজিটাল... কোহানকার ফ্যাতরার পো ফ্যাতরা— চুলুর পো চুলু...।

এবার দ্বিতীয় ঘটনার নায়ক সম্পর্কে কিছু বলে নেই। সাদা সফেদ পাঞ্জাবি এবং ঢোলা পাজামা পরে নায়ক দাঁড়িয়ে আছেন মসজিদের সামনে। কাচুমাচু মুখ— একটি হাত পাজামার পকেটে ঢোকানো। মাগরিবের আজান হয়েছে। দলে দলে মন্ত্রী-এমপি, আমলা এবং দর্শনার্থীরা তাড়াহুড়া করে মসজিদে ঢুকছেন। আমি সেখানে ঢোকার সময় লক্ষ্য করলাম নায়কের বিবর্ণ মুখচ্ছবি এবং অস্থির ছটফটানি। এগিয়ে গিয়ে বললাম— ভাই সমস্যা কি? অমন করছেন কেন। তিনি চোখে মুখে মহা বিরক্তি ফুটিয়ে তুলে বললেন— আরে বইলো না— মোবাইল নিয়ে বড় ঝামেলার মধ্যে আছি। মেয়ে একটা নতুন ফোন কিনে দিয়েছে। এখন ওটা বন্ধ করতে পারতেছি না। এদিকে বার বার ফোন আসছে আর মোরগের কক্কর ককর শব্দে রিংটোন বাজছে। সাউন্ডও কমাতে পারছি না। এইটা নিয়ে নামাজ পড়ব কীভাবে! জামাতে দাঁড়ালে যদি ফোন আসে তবে লোকজন তো মুরগার ডাক শুনে হাসাহাসি করব। তাই দাঁড়াইয়্যা আছি— সবার নামাজ শেষ হলে মসজিদে ঢুকব...।

সরকারের ডিজিটালাইজেশনের সময়ে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর একজনের প্রতিভূ এবং সরকারি দলে একজন কেবিনেট মন্ত্রীর বাস্তব সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে কেউ যদি প্রযুুক্তির পথে এগুতে চান তবে তিনি বা তার কর্মের দ্বারা কি ভয়ঙ্কর অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে তা হালের ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি কিংবা বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনা থেকে বোঝা যায়। সরকার পুরো দেশকে ডিজিটালাইজেশন করার জন্য কোনো মাস্টার প্ল্যান করেনি। তৈরি করেনি দক্ষ জনশক্তি এবং আধুনিক অবকাঠামো। পশ্চিমা দুনিয়ার রাস্তার পাশের সাইবার ক্যাফেগুলোতে যারা একজন কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে চাকরি করার যোগ্যতা রাখে না সেসব লোককে বড় বড় রাষ্ট্রীয় প্রকল্পে কনসালটেন্ট হিসেবে নিয়োগ দিয়ে গত কয়েক বছরে কতটা সর্বনাশ করেছে তার নমুনা ধীরে ধীরে প্রকাশ পেতে শুরু করেছে। টেলিযোগাযোগ এবং প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় যখন একীভূত ছিল তখন মন্ত্রী ছিলেন মোহতারেমা সাহারা খাতুন। এরপর এলেন আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। পরবর্তীতে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আলাদা করা হলে প্রথমে মন্ত্রী হন পদ্মা সেতু-খ্যাত সৈয়দ আবুল হোসেন। পরে মোস্তফা ফারুখ চৌধুরী নামের বয়োবৃদ্ধ এক ভদ্রলোক— যিনি তার সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর সৈয়দ আবুল হোসেনের কোম্পানি সাঁকো ইন্টারন্যাশনালে কাজ করতেন। ৫ জানুয়ারির পর ওই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান জুনায়েদ আহমেদ পলক। অন্যদিকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় নামের আরেকটি মন্ত্রণালয় গত সাত বছর যাবৎ নিভৃতে কাজ করে যাচ্ছেন ইয়াফেস ওসমান নামের একজন কবি। ফলে বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি কর্মকাণ্ডে প্রযুক্তির ব্যবহারের নামে আসলে কি হচ্ছে তার কিছু কিছু নমুনা সবে প্রকাশ হতে শুরু করেছে।

মন্ত্রীসহ বড় বড় সরকারি কর্মকর্তার রুমে একটা-দুইটা করে কম্পিউটার সংযোগ দেওয়া হয়েছে। কিছু কম্পিউটার কেনা হয়েছে রাষ্ট্রীয় অর্থে। আবার কিছু এসেছে বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্র, আন্তর্জাতিক সংস্থা, এনজিও ইত্যাদির অনুদান বা খয়রাতি সাহায্য থেকে। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি, আইডিবি, জাইকা প্রভৃতি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েও কম্পিউটার কেনা হয়েছে। মন্ত্রী-সচিব বা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেসব কম্পিউটার চালান না। অনেকে চালাতেও জানেন না। তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত কম্পিউটার অপারেটররাই কম্পিউটারগুলোর মালিক। ২/৪টা চিঠিপত্র টাইপ করা, অবসরে গেম খেলা এবং ইন্টারনেট কানেকশন থাকলে ফেসবুক, ইউটিউব প্রভৃতি সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে হাবিজাবি করার মধ্যেই কম্পিউটার ব্যবহার সীমাবদ্ধ থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা বিরাজমান ছিল এবং আছে।

নবম পার্লামেন্টের এমপিদের ইউএনডিপি প্রথমে খয়রাতি সাহায্য হিসেবে ডেস্কটপ কম্পিউটার এবং অফিসের জন্য কিছু ফার্নিচার দিল। পরে প্রত্যেক এমপির জন্য আবার একটা করে ল্যাপটপ এলো। নবম পার্লামেন্টের এমপিরা সেই ল্যাপটপ অবশ্য পায়নি— হতে পারে বর্তমানের এমপিরা সেগুলো পেয়েছেন। এমপিরা কম্পিউটার দিয়ে কি কি ডিজিটাল কাজ করেছেন তার ২/১টা নমুনা আমি তাদের সংসদ ভবনের অফিসে গিয়ে দেখেছি। ও কথা আমি কোনো দিন বলতে পারব না। বলা ঠিকও হবে না। তাদের কর্মকাণ্ড এবং সেগুলো নিয়ে সমবয়সী সহকর্মীদের মধ্যে সংসদ লবিতে বসে ফিসফিসানী কোনো অবস্থাতেই মুদ্রণযোগ্য নয়। এমপিদের বাইরে, মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর প্রশাসক এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরাও অফিসের জন্য ডেক্সটপ এবং ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য ল্যাপটপ পেয়েছেন। তারা গত সাত বছরে সেই কম্পিউটার দিয়ে কি করেছেন কি শিখেছেন ইত্যাদি প্রশ্ন করা হলে যে জবাবগুলো বেরিয়ে আসবে তা সরকারের জন্য মোটেই সুখকর হবে না।

মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকসহ উঁচু পর্যায়ের সরকারি বৈঠকগুলোতে দেখা যায়, সবার সামনে একটা কম্পিউটার রয়েছে। তারা মিটিংয়ে বসে কম্পিউটার দিয়ে কি করেন তা আমার মতো নাদান বান্দার মাথায় আজও ঢুকেনি। টেলিভিশনে যখন ওসব দৃশ্য দেখি তখন নিজের অজান্তে মনে মনে হাসি। উন্নত দেশের পেপার লেস অনেক অফিসে গিয়েছি— বৈঠক করেছি কিন্তু বাংলাদেশের মতো হাস্যকর ঘটনা কোথাও দেখিনি। এখানকার লোকেরা চিন্তা-চেতনায় পুরোই এনালগ। কিন্তু পোশাক আশাকে ডিজিটাল হওয়ার চেষ্টা করছে। হাতে ফোরজি মোবাইল বা আইপ্যাড, ডিজিটাল ঘড়ি, কানে ব্লুটুথ স্পিকার এবং মুখে ভাঙা ভাঙা ইংরেজির বোল ফুটিয়েই লোকজন চিৎকার শুরু করে এই বলে যে আমি ডিজিটাল হয়ে গেছি।

একটি দেশকে প্রযুক্তির পথে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সবার আগে দরকার মুক্ত, স্বাধীন এবং উদার একটি আধুনিক মন। গণতান্ত্রিক পরিবেশ, সুশাসন এবং রাষ্ট্র কর্তৃক নাগরিক অধিকারসমূহের বাস্তবায়ন, সামাজিক-রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা এবং ন্যায় বিচারের সংস্কৃতি গড়ে না ওঠা পর্যন্ত কোনো দেশের নাগরিকরা আধুনিক মনের অধিকারী হয় না। আধুনিক মনের মানুষের মধ্যে যাদের রয়েছে আধুনিক শিক্ষা, উদ্ভাবনী মন এবং উঁচু স্তরের মেধা কেবল তারাই প্রযুক্তির পথের যাত্রী হওয়ার যোগ্যতা রাখেন। অন্যদিকে দীর্ঘ সময় ধরে প্রযুক্তির পথে বিচরণ করার পর তৈরি হয় দক্ষ প্রযুক্তিবিদ। আমাদের প্রতিবেশী ভারত গত ২৫ বছর ধরে লাখ লাখ দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রযুক্তিবিদ তৈরি করার পরও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রযুক্তির ব্যবহার যতটা না বিস্তৃত করেছে আমরা গত সাত বছরে কোনো কিছু না থাকা সত্ত্বেও বিস্তৃতি ঘটানোর চেষ্টা করেছি অনেক অনেক বেশি যা প্রকারান্তে আমাদের জন্য ভয়ঙ্কর বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমরা প্রযুক্তির ভালো দিকসমূহের সুফল না পেলেও মন্দ দিকগুলো দ্বারা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এনালগ মস্তিষ্কের ডিজিটাল দেহের কারণে সামাজিক অবক্ষয়, নৈতিক অধঃপতন এবং অপরাধসমূহ মারাত্মক আকারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজকের সমাজের পরকীয়া, বিবাহ বিচ্ছেদ, চুরি, ডাকাতি, গুম, হত্যা, মারামারিসহ অন্যান্য সাইবার অপরাধের কারণে আমরা অধঃপতনের প্রান্ত সীমানায় পৌঁছে গেছি। ফেসবুক, ভাইবার, স্কাইপে, ট্যাংগো, হোয়াটস আপ, ক্লাউড ইত্যাদি প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেসব অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে তার কাছে নিরীহ ব্যক্তি তো দূরের কথা রাষ্ট্রও অসহায়বোধ করছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে সরকার না পারছে অপরাধীদের শনাক্ত করতে আর না পারছে প্রযুক্তিকে নিয়ন্ত্রণ অথবা বন্ধ করতে।

প্রকৃতির কতগুলো অমোঘ নিয়ম রয়েছে। মিষ্টি ফলে পোকার আক্রমণ বেশি হয়। অসহায় সুন্দরী নারীরা লোভী পুরুষের লালসার শিকার হন এবং দুর্বল ধনশালীরা শক্তিমানদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন। অন্যদিকে যে মানুষ তার যে জিনিসটি নিয়ে বড়াই করেন বা গর্ব অনুভব করেন লোকটির শত্রুরা সেই জিনিসটি ধ্বংস করার জন্য উঠেপড়ে লাগেন। বর্তমান সরকার গত সাত বছর ধরে বুক ফুলিয়ে প্রচার করছে যে, দেশ উন্নয়নের পথে এগুচ্ছে— দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রিজার্ভের পাহাড় জমে গেছে এবং নগদ অর্থের জোগান বেড়ে গেছে  অস্বাভাবিকভাবে।

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বেড়ে গেছে— এবং শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও রপ্তানি আয় বেড়ে গেছে। সরকার যেসব বিষয়কে তাদের সফলতা বলে প্রচার করছে সেসব বিষয়ে সেইভ গার্ড তৈরি করার প্রয়োজন অনুভব করেনি— বা তা করার মতো বুদ্ধিশুদ্ধি জোগাড় করেনি। সরকার যদি নিজেদের কঠোর পরিশ্রম এবং পরিকল্পনার মাধ্যমে তাদের সফলতাগুলো অর্জন করত তাহলে সেগুলোর রক্ষা কিংবা প্রতিরক্ষার ভেদবুদ্ধিও তাদের কাছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ধরা দিত। সময় ও সুযোগের কারণে অনেকে যেমন অনেক কিছু পায় তেমনি সরকারও তার সফলতা পেয়েছে পরিস্থিতির কল্যাণে। সরকারবিরোধীরা তাই ঠাট্টা করে বলেন, খায়দায় চিকন আলী, মোটা হয় রমজান।

সরকার তার সফলতাকে রক্ষা করার জন্য দুর্ভেদ্য দুর্গ হিসেবে বিবেচনা করেছে সীমিত গণতন্ত্র, নিয়ন্ত্রিত বাক স্বাধীনতা এবং বিরোধী দলের বিনাশ সাধন। গত ৪/৫ বছর ধরে সরকার তাদের ক্ষমতা রক্ষার দুর্গ যা তারা তাদের সফলতা রক্ষার দুর্গ বলে প্রচার চালাচ্ছে সেগুলো করতে গিয়ে এতটাই ব্যস্ত সময় পার করেছে যে, একবার ভাবার কিংবা দেখার সময় পায়নি কখন কীভাবে এবং কারা তাদের সফলতাগুলোতে পোকা ধরিয়ে দিল?

প্রথমে শেয়ার মার্কেট লুট, তারপর সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকসমূহের অর্থ লুট এবং সবশেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থ লুটের মাধ্যমে দেশের পুরো অর্থনীতিকে এবং উন্নয়নকে যারা সর্বনাশ করে ছাড়ল সরকার তাদের আজ অবধি চিনতে পারল না। বরং এমন সব সিদ্ধান্ত নিলো যাতে সব কেলেঙ্কারির দায় তাদের ঘাড়ে এসে চাপলো। উদাহরণ হিসেবে বেসিক ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কেলেঙ্কারির ব্যাপারে সরকার গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ পর্যালোচনা করলেই তাদের নির্বুদ্ধিতার নমুনাসমূহ পরিষ্কার হয়ে যাবে।

সরকারি ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকে কাজ চালানোর জন্য দুটি অনুষঙ্গ থাকে। একটি হলো নিয়মিত প্রশাসন এবং অন্যটি হলো বোর্ড। ব্যাংকগুলোর বোর্ড সব সময় সরকার মনোনীত ব্যক্তিদের দ্বারা গঠিত হয়। তেমনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ড ছাড়াও গভর্নর পদটিতে সরকার মনোনীত ব্যক্তি নিয়োগ লাভ করে। ইতিপূর্বে সোনালী এবং বেসিক ব্যাংকের কেলেঙ্কারি ধরার পর সরকার ব্যাংকগুলোর প্রশাসনিক কাঠামোকে বিচারের আওতায় না এনে তড়িঘড়ি করে বোর্ড ভেঙে দিল। এতে প্রমাণ হলো, সরকার মনোনীত ব্যাংক পরিচালক এবং চেয়ারম্যানরাই সব অপকর্মের হোতা। প্রায় একই ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকা লোপাট হওয়ার বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডে দুজন নতুন পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ লেখা যখন লিখছি তখন খবর এলো যে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে গভর্নর পদত্যাগ করেছেন। অর্থাৎ অর্থ লোপাটের দায়-দায়িত্ব সরকার নিজের ঘাড়ে নিয়ে নিল— যা আগামী দিনে তাদের দিকে কতটা ভয়ঙ্করভাবে বুমেরাং হয়ে ফিরে আসবে তা হয়তো তারা কল্পনাও করতে পারছে না।

গত সাত বছরে বিপুল অঙ্কের টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। কেউ কেউ আবার কোনো প্রবাসীকে ডামি বিনিয়োগকারী বানিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশে ফেরত এনেছে। ফলে দেশটি এখন মুদ্রা পাচারকারী, ভুয়া ব্যবসায়ী এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্রের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। নামবর্ণহীন অখ্যাত ব্যক্তিবর্গ হাজার হাজার বিঘা আবাদি জমি, পাহাড়-পর্বত এবং জলাভূমি কিনে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ভূমিহীন বানিয়ে রাজধানীসহ বড় বড় শহরে ভাসমান জনগোষ্ঠী হিসেবে পুশইন করাচ্ছে। হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, ডেভেলপার কোম্পানি, বিদ্যুৎ খাত, ব্যাংক-বীমা, সরকারি বন্ড, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং রিয়েল এস্টেট ব্যবসাসমূহে অখ্যাত, নাম না জানা কিংবা শ্যাডো মালিকানার আড়ালে লুটেরাদের লুটের টাকা সিন্ডিকেট আকারে ঢুকে পড়েছে। গত ২/৩ বছরে সিন্ডিকেটটি এত শক্তিশালী হয়ে পড়েছে যা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা সরকারের আছে কিনা তা নিয়ে আমার সন্দেহ বেড়েই যাচ্ছে।

হবিগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, সিলেট, মৌলভীবাজার, টেকনাফ, কক্সবাজার, কুয়াকাটা, গাজীপুর, ময়মনসিংহ প্রভৃতি এলাকায় গত ৩/৪ বছরে ৭/৮ লাখ কোটি টাকার জমি জিরেতের মালিকানা হস্তান্তর হয়েছে। অনেক জায়গায় গড়ে উঠেছে হাজার কোটি টাকার রিসোর্ট নামের বিনোদন কেন্দ্র। এসব কেন্দ্রে নিয়মিত উল্লেখিত সিন্ডিকেটটি মিলিত হয়। তারা হেলিকপ্টারে যাতায়াত করে এবং অতি গোপনে লোকচক্ষুর আড়ালে ওইসব স্থানে নিয়মিত বৈঠক করে। পত্রিকা মারফত জানতে পারলাম প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা পাচারের ঘটনাটি সিরিয়াসলি নিয়েছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্ধত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নাকি প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী ঐকমত্যে পৌঁছেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনেক কর্মকর্তাকে গোয়েন্দা নজরদারিতে আনা হয়েছে। অন্যদিকে র‍্যাবসহ অন্যান্য রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে ঘটনার ক্লু খুঁজে বের করার জন্য। তারা হবিগঞ্জের একটি রিসোর্টে গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১৮, ১৯ এবং ২০ তারিখে কিছু বিতর্কিত ব্যক্তি, সরকারের অত্যন্ত স্পর্শকাতর অফিসসমূহের প্রভাবশালী কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের গমনের বিষয়ে খোঁজখবর করছেন।

আমরা যারা দিন এনে দিন খাওয়ার আমজনতা তারা যেমন লুটেরাদের দুর্বৃত্তায়নের নিত্যনতুন কৌশল বুঝি না, তেমনি বুঝি না কি ডিজিটাল কৌশল ব্যবহার করে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকা লোপাট করে নেওয়া হলো! আমরা শুধু শান্তি চাই আর চাই আমাদের দেশের মান মর্যাদা যেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভূলুণ্ঠিত না হয়। আমাদের সোনার ছেলেদের রক্তপানি করা বৈদেশিক মুদ্রা, শ্রমিকের ঘাম ও রক্তের রপ্তানি আয় এবং খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষের সঞ্চয় যেন কোনো দূরাচার পাপিষ্ঠ লুট করতে না পারে এতটুকু গ্যারান্টি রাষ্ট্র নিশ্চিত করতে পারলেই আমরা সুখী হব। রাষ্ট্রের কাছে আমরা কোনো ভিক্ষা চাই না— শুধু কুত্তাগুলো সামলানোর দাবি জানাই, যারা আমাদের সবকিছু লুট করে নিয়ে গেছে।

লেখক : কলামিস্ট।

এই বিভাগের আরও খবর
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
সর্বশেষ খবর
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র
চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত
চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা
সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ
লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা
কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’
‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের
মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের

৬ ঘণ্টা আগে | পরবাস

মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস
লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ
ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা
জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন
টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ
কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক
ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’
‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

১৭ ঘণ্টা আগে | টক শো

মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার
মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন
গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর
মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি
ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ
শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা
বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’
চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত
গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ
রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের
আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী
ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক
স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!
বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?
কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন

নগর জীবন

পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

পেছনের পৃষ্ঠা

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি
প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি

পেছনের পৃষ্ঠা

২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি
প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি

নগর জীবন

ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত
ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত

নগর জীবন

ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে
ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে

নগর জীবন

নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি
অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি

নগর জীবন

দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ
দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন
বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ
ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির

নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই

নগর জীবন

বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮
বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮

নগর জীবন

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে

নগর জীবন

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা
কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা

নগর জীবন

ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন
ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন

নগর জীবন

১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়
১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়

নগর জীবন

সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল
সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল

খবর

ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের
শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের

খবর

মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত
মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত

খবর