শিরোনাম
প্রকাশ: ১১:৪৯, শনিবার, ১৯ মার্চ, ২০১৬

এনালগ মস্তিষ্কের ডিজিটাল দেহ!

গোলাম মাওলা রনি
Not defined
অনলাইন ভার্সন
এনালগ মস্তিষ্কের ডিজিটাল দেহ!

দুটো ঘটনাই ২০১০ সালের। একটি ঘটেছিল পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল চরবোরহানে। অন্যটি ঘটেছিল জাতীয় সংসদের অভ্যন্তরে অবস্থিত মসজিদের সামনে। প্রথম ঘটনার নায়িকা হরিমন বেওয়া নামক ৭০-৭২ বছর বয়স্ক এক মহিলা। নিতান্ত দরিদ্র, অশিক্ষিত এবং নানান রোগে আক্রান্ত খিটখিটে মেজাজের এক গ্রাম্য ভিখারিণী। দ্বিতীয় ঘটনার নায়ক হলেন একজন ডাকসাইটে মন্ত্রী— বয়স হরিমন বেওয়ার প্রায় কাছাকাছি। প্রথম ঘটনার নায়িকা লোকমুখে খবর পেলেন সরকারের ডিজিটাল কর্মসূচির উদ্বোধন হবে। তিনি মনে করলেন বড় মাপের কোনো ত্রাণফ্রান দেওয়া হবে। দৌড়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখলেন একটি টিনের ঘরের অন্ধকারের মধ্যে সরকারের ডিজিটাল প্রকল্পসমূহ নিয়ে তৈরি বায়োস্কোপ দেখাচ্ছে। বুড়ি কি মনে করলেন তা বলতে পারব না। তিনি সবাইকে অতিক্রম করে একদম সামনের দিকে গিয়ে চ্যাংড়া পোলাপানের সঙ্গে বসে খুব মনোযোগ সহকারে প্রামাণ্যচিত্রটি দেখতে লাগলেন। অনুষ্ঠান শেষে তিনি বেশ উচ্ছ্বাস এবং হাসিমাখা মুখ নিয়ে বের হলেন এবং লোকজনকে জিজ্ঞাসা করলেন— মনুরা! চাউল দেবে না! কেউ একজন দুষ্টামি করে বলল— ওরে আমার ডিজিটাল বুড়িরে! চাউল লাগবে ক্যা— দুই ঘণ্টা বইস্যা ডিজিটাল দ্যাখলা— প্যাট ভরে নাই। লোকটির কথা শুনে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন হরিমন বেওয়া। খিস্তিখেউর করার জন্য ফোকলা দাঁতের চর্মসার মুখটি ভেংচিয়ে বললেন— এ্যাই ছ্যামড়া চাইয়্যা দ্যাখ! কি কইলি! মুই ডিজিটাল? তোর ম্যায় ডিজিটাল— তোর বাহে ডিজিটাল— তোর চৌদ্দগুষ্টি ডিজিটাল... কোহানকার ফ্যাতরার পো ফ্যাতরা— চুলুর পো চুলু...।

এবার দ্বিতীয় ঘটনার নায়ক সম্পর্কে কিছু বলে নেই। সাদা সফেদ পাঞ্জাবি এবং ঢোলা পাজামা পরে নায়ক দাঁড়িয়ে আছেন মসজিদের সামনে। কাচুমাচু মুখ— একটি হাত পাজামার পকেটে ঢোকানো। মাগরিবের আজান হয়েছে। দলে দলে মন্ত্রী-এমপি, আমলা এবং দর্শনার্থীরা তাড়াহুড়া করে মসজিদে ঢুকছেন। আমি সেখানে ঢোকার সময় লক্ষ্য করলাম নায়কের বিবর্ণ মুখচ্ছবি এবং অস্থির ছটফটানি। এগিয়ে গিয়ে বললাম— ভাই সমস্যা কি? অমন করছেন কেন। তিনি চোখে মুখে মহা বিরক্তি ফুটিয়ে তুলে বললেন— আরে বইলো না— মোবাইল নিয়ে বড় ঝামেলার মধ্যে আছি। মেয়ে একটা নতুন ফোন কিনে দিয়েছে। এখন ওটা বন্ধ করতে পারতেছি না। এদিকে বার বার ফোন আসছে আর মোরগের কক্কর ককর শব্দে রিংটোন বাজছে। সাউন্ডও কমাতে পারছি না। এইটা নিয়ে নামাজ পড়ব কীভাবে! জামাতে দাঁড়ালে যদি ফোন আসে তবে লোকজন তো মুরগার ডাক শুনে হাসাহাসি করব। তাই দাঁড়াইয়্যা আছি— সবার নামাজ শেষ হলে মসজিদে ঢুকব...।

সরকারের ডিজিটালাইজেশনের সময়ে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর একজনের প্রতিভূ এবং সরকারি দলে একজন কেবিনেট মন্ত্রীর বাস্তব সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে কেউ যদি প্রযুুক্তির পথে এগুতে চান তবে তিনি বা তার কর্মের দ্বারা কি ভয়ঙ্কর অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে তা হালের ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি কিংবা বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনা থেকে বোঝা যায়। সরকার পুরো দেশকে ডিজিটালাইজেশন করার জন্য কোনো মাস্টার প্ল্যান করেনি। তৈরি করেনি দক্ষ জনশক্তি এবং আধুনিক অবকাঠামো। পশ্চিমা দুনিয়ার রাস্তার পাশের সাইবার ক্যাফেগুলোতে যারা একজন কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে চাকরি করার যোগ্যতা রাখে না সেসব লোককে বড় বড় রাষ্ট্রীয় প্রকল্পে কনসালটেন্ট হিসেবে নিয়োগ দিয়ে গত কয়েক বছরে কতটা সর্বনাশ করেছে তার নমুনা ধীরে ধীরে প্রকাশ পেতে শুরু করেছে। টেলিযোগাযোগ এবং প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় যখন একীভূত ছিল তখন মন্ত্রী ছিলেন মোহতারেমা সাহারা খাতুন। এরপর এলেন আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। পরবর্তীতে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আলাদা করা হলে প্রথমে মন্ত্রী হন পদ্মা সেতু-খ্যাত সৈয়দ আবুল হোসেন। পরে মোস্তফা ফারুখ চৌধুরী নামের বয়োবৃদ্ধ এক ভদ্রলোক— যিনি তার সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর সৈয়দ আবুল হোসেনের কোম্পানি সাঁকো ইন্টারন্যাশনালে কাজ করতেন। ৫ জানুয়ারির পর ওই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান জুনায়েদ আহমেদ পলক। অন্যদিকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় নামের আরেকটি মন্ত্রণালয় গত সাত বছর যাবৎ নিভৃতে কাজ করে যাচ্ছেন ইয়াফেস ওসমান নামের একজন কবি। ফলে বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি কর্মকাণ্ডে প্রযুক্তির ব্যবহারের নামে আসলে কি হচ্ছে তার কিছু কিছু নমুনা সবে প্রকাশ হতে শুরু করেছে।

মন্ত্রীসহ বড় বড় সরকারি কর্মকর্তার রুমে একটা-দুইটা করে কম্পিউটার সংযোগ দেওয়া হয়েছে। কিছু কম্পিউটার কেনা হয়েছে রাষ্ট্রীয় অর্থে। আবার কিছু এসেছে বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্র, আন্তর্জাতিক সংস্থা, এনজিও ইত্যাদির অনুদান বা খয়রাতি সাহায্য থেকে। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি, আইডিবি, জাইকা প্রভৃতি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েও কম্পিউটার কেনা হয়েছে। মন্ত্রী-সচিব বা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেসব কম্পিউটার চালান না। অনেকে চালাতেও জানেন না। তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত কম্পিউটার অপারেটররাই কম্পিউটারগুলোর মালিক। ২/৪টা চিঠিপত্র টাইপ করা, অবসরে গেম খেলা এবং ইন্টারনেট কানেকশন থাকলে ফেসবুক, ইউটিউব প্রভৃতি সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে হাবিজাবি করার মধ্যেই কম্পিউটার ব্যবহার সীমাবদ্ধ থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা বিরাজমান ছিল এবং আছে।

নবম পার্লামেন্টের এমপিদের ইউএনডিপি প্রথমে খয়রাতি সাহায্য হিসেবে ডেস্কটপ কম্পিউটার এবং অফিসের জন্য কিছু ফার্নিচার দিল। পরে প্রত্যেক এমপির জন্য আবার একটা করে ল্যাপটপ এলো। নবম পার্লামেন্টের এমপিরা সেই ল্যাপটপ অবশ্য পায়নি— হতে পারে বর্তমানের এমপিরা সেগুলো পেয়েছেন। এমপিরা কম্পিউটার দিয়ে কি কি ডিজিটাল কাজ করেছেন তার ২/১টা নমুনা আমি তাদের সংসদ ভবনের অফিসে গিয়ে দেখেছি। ও কথা আমি কোনো দিন বলতে পারব না। বলা ঠিকও হবে না। তাদের কর্মকাণ্ড এবং সেগুলো নিয়ে সমবয়সী সহকর্মীদের মধ্যে সংসদ লবিতে বসে ফিসফিসানী কোনো অবস্থাতেই মুদ্রণযোগ্য নয়। এমপিদের বাইরে, মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর প্রশাসক এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরাও অফিসের জন্য ডেক্সটপ এবং ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য ল্যাপটপ পেয়েছেন। তারা গত সাত বছরে সেই কম্পিউটার দিয়ে কি করেছেন কি শিখেছেন ইত্যাদি প্রশ্ন করা হলে যে জবাবগুলো বেরিয়ে আসবে তা সরকারের জন্য মোটেই সুখকর হবে না।

মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকসহ উঁচু পর্যায়ের সরকারি বৈঠকগুলোতে দেখা যায়, সবার সামনে একটা কম্পিউটার রয়েছে। তারা মিটিংয়ে বসে কম্পিউটার দিয়ে কি করেন তা আমার মতো নাদান বান্দার মাথায় আজও ঢুকেনি। টেলিভিশনে যখন ওসব দৃশ্য দেখি তখন নিজের অজান্তে মনে মনে হাসি। উন্নত দেশের পেপার লেস অনেক অফিসে গিয়েছি— বৈঠক করেছি কিন্তু বাংলাদেশের মতো হাস্যকর ঘটনা কোথাও দেখিনি। এখানকার লোকেরা চিন্তা-চেতনায় পুরোই এনালগ। কিন্তু পোশাক আশাকে ডিজিটাল হওয়ার চেষ্টা করছে। হাতে ফোরজি মোবাইল বা আইপ্যাড, ডিজিটাল ঘড়ি, কানে ব্লুটুথ স্পিকার এবং মুখে ভাঙা ভাঙা ইংরেজির বোল ফুটিয়েই লোকজন চিৎকার শুরু করে এই বলে যে আমি ডিজিটাল হয়ে গেছি।

একটি দেশকে প্রযুক্তির পথে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সবার আগে দরকার মুক্ত, স্বাধীন এবং উদার একটি আধুনিক মন। গণতান্ত্রিক পরিবেশ, সুশাসন এবং রাষ্ট্র কর্তৃক নাগরিক অধিকারসমূহের বাস্তবায়ন, সামাজিক-রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা এবং ন্যায় বিচারের সংস্কৃতি গড়ে না ওঠা পর্যন্ত কোনো দেশের নাগরিকরা আধুনিক মনের অধিকারী হয় না। আধুনিক মনের মানুষের মধ্যে যাদের রয়েছে আধুনিক শিক্ষা, উদ্ভাবনী মন এবং উঁচু স্তরের মেধা কেবল তারাই প্রযুক্তির পথের যাত্রী হওয়ার যোগ্যতা রাখেন। অন্যদিকে দীর্ঘ সময় ধরে প্রযুক্তির পথে বিচরণ করার পর তৈরি হয় দক্ষ প্রযুক্তিবিদ। আমাদের প্রতিবেশী ভারত গত ২৫ বছর ধরে লাখ লাখ দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রযুক্তিবিদ তৈরি করার পরও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রযুক্তির ব্যবহার যতটা না বিস্তৃত করেছে আমরা গত সাত বছরে কোনো কিছু না থাকা সত্ত্বেও বিস্তৃতি ঘটানোর চেষ্টা করেছি অনেক অনেক বেশি যা প্রকারান্তে আমাদের জন্য ভয়ঙ্কর বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমরা প্রযুক্তির ভালো দিকসমূহের সুফল না পেলেও মন্দ দিকগুলো দ্বারা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এনালগ মস্তিষ্কের ডিজিটাল দেহের কারণে সামাজিক অবক্ষয়, নৈতিক অধঃপতন এবং অপরাধসমূহ মারাত্মক আকারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজকের সমাজের পরকীয়া, বিবাহ বিচ্ছেদ, চুরি, ডাকাতি, গুম, হত্যা, মারামারিসহ অন্যান্য সাইবার অপরাধের কারণে আমরা অধঃপতনের প্রান্ত সীমানায় পৌঁছে গেছি। ফেসবুক, ভাইবার, স্কাইপে, ট্যাংগো, হোয়াটস আপ, ক্লাউড ইত্যাদি প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেসব অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে তার কাছে নিরীহ ব্যক্তি তো দূরের কথা রাষ্ট্রও অসহায়বোধ করছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে সরকার না পারছে অপরাধীদের শনাক্ত করতে আর না পারছে প্রযুক্তিকে নিয়ন্ত্রণ অথবা বন্ধ করতে।

প্রকৃতির কতগুলো অমোঘ নিয়ম রয়েছে। মিষ্টি ফলে পোকার আক্রমণ বেশি হয়। অসহায় সুন্দরী নারীরা লোভী পুরুষের লালসার শিকার হন এবং দুর্বল ধনশালীরা শক্তিমানদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন। অন্যদিকে যে মানুষ তার যে জিনিসটি নিয়ে বড়াই করেন বা গর্ব অনুভব করেন লোকটির শত্রুরা সেই জিনিসটি ধ্বংস করার জন্য উঠেপড়ে লাগেন। বর্তমান সরকার গত সাত বছর ধরে বুক ফুলিয়ে প্রচার করছে যে, দেশ উন্নয়নের পথে এগুচ্ছে— দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রিজার্ভের পাহাড় জমে গেছে এবং নগদ অর্থের জোগান বেড়ে গেছে  অস্বাভাবিকভাবে।

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বেড়ে গেছে— এবং শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও রপ্তানি আয় বেড়ে গেছে। সরকার যেসব বিষয়কে তাদের সফলতা বলে প্রচার করছে সেসব বিষয়ে সেইভ গার্ড তৈরি করার প্রয়োজন অনুভব করেনি— বা তা করার মতো বুদ্ধিশুদ্ধি জোগাড় করেনি। সরকার যদি নিজেদের কঠোর পরিশ্রম এবং পরিকল্পনার মাধ্যমে তাদের সফলতাগুলো অর্জন করত তাহলে সেগুলোর রক্ষা কিংবা প্রতিরক্ষার ভেদবুদ্ধিও তাদের কাছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ধরা দিত। সময় ও সুযোগের কারণে অনেকে যেমন অনেক কিছু পায় তেমনি সরকারও তার সফলতা পেয়েছে পরিস্থিতির কল্যাণে। সরকারবিরোধীরা তাই ঠাট্টা করে বলেন, খায়দায় চিকন আলী, মোটা হয় রমজান।

সরকার তার সফলতাকে রক্ষা করার জন্য দুর্ভেদ্য দুর্গ হিসেবে বিবেচনা করেছে সীমিত গণতন্ত্র, নিয়ন্ত্রিত বাক স্বাধীনতা এবং বিরোধী দলের বিনাশ সাধন। গত ৪/৫ বছর ধরে সরকার তাদের ক্ষমতা রক্ষার দুর্গ যা তারা তাদের সফলতা রক্ষার দুর্গ বলে প্রচার চালাচ্ছে সেগুলো করতে গিয়ে এতটাই ব্যস্ত সময় পার করেছে যে, একবার ভাবার কিংবা দেখার সময় পায়নি কখন কীভাবে এবং কারা তাদের সফলতাগুলোতে পোকা ধরিয়ে দিল?

প্রথমে শেয়ার মার্কেট লুট, তারপর সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকসমূহের অর্থ লুট এবং সবশেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থ লুটের মাধ্যমে দেশের পুরো অর্থনীতিকে এবং উন্নয়নকে যারা সর্বনাশ করে ছাড়ল সরকার তাদের আজ অবধি চিনতে পারল না। বরং এমন সব সিদ্ধান্ত নিলো যাতে সব কেলেঙ্কারির দায় তাদের ঘাড়ে এসে চাপলো। উদাহরণ হিসেবে বেসিক ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কেলেঙ্কারির ব্যাপারে সরকার গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ পর্যালোচনা করলেই তাদের নির্বুদ্ধিতার নমুনাসমূহ পরিষ্কার হয়ে যাবে।

সরকারি ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকে কাজ চালানোর জন্য দুটি অনুষঙ্গ থাকে। একটি হলো নিয়মিত প্রশাসন এবং অন্যটি হলো বোর্ড। ব্যাংকগুলোর বোর্ড সব সময় সরকার মনোনীত ব্যক্তিদের দ্বারা গঠিত হয়। তেমনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ড ছাড়াও গভর্নর পদটিতে সরকার মনোনীত ব্যক্তি নিয়োগ লাভ করে। ইতিপূর্বে সোনালী এবং বেসিক ব্যাংকের কেলেঙ্কারি ধরার পর সরকার ব্যাংকগুলোর প্রশাসনিক কাঠামোকে বিচারের আওতায় না এনে তড়িঘড়ি করে বোর্ড ভেঙে দিল। এতে প্রমাণ হলো, সরকার মনোনীত ব্যাংক পরিচালক এবং চেয়ারম্যানরাই সব অপকর্মের হোতা। প্রায় একই ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকা লোপাট হওয়ার বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডে দুজন নতুন পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ লেখা যখন লিখছি তখন খবর এলো যে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে গভর্নর পদত্যাগ করেছেন। অর্থাৎ অর্থ লোপাটের দায়-দায়িত্ব সরকার নিজের ঘাড়ে নিয়ে নিল— যা আগামী দিনে তাদের দিকে কতটা ভয়ঙ্করভাবে বুমেরাং হয়ে ফিরে আসবে তা হয়তো তারা কল্পনাও করতে পারছে না।

গত সাত বছরে বিপুল অঙ্কের টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। কেউ কেউ আবার কোনো প্রবাসীকে ডামি বিনিয়োগকারী বানিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশে ফেরত এনেছে। ফলে দেশটি এখন মুদ্রা পাচারকারী, ভুয়া ব্যবসায়ী এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্রের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। নামবর্ণহীন অখ্যাত ব্যক্তিবর্গ হাজার হাজার বিঘা আবাদি জমি, পাহাড়-পর্বত এবং জলাভূমি কিনে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ভূমিহীন বানিয়ে রাজধানীসহ বড় বড় শহরে ভাসমান জনগোষ্ঠী হিসেবে পুশইন করাচ্ছে। হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, ডেভেলপার কোম্পানি, বিদ্যুৎ খাত, ব্যাংক-বীমা, সরকারি বন্ড, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং রিয়েল এস্টেট ব্যবসাসমূহে অখ্যাত, নাম না জানা কিংবা শ্যাডো মালিকানার আড়ালে লুটেরাদের লুটের টাকা সিন্ডিকেট আকারে ঢুকে পড়েছে। গত ২/৩ বছরে সিন্ডিকেটটি এত শক্তিশালী হয়ে পড়েছে যা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা সরকারের আছে কিনা তা নিয়ে আমার সন্দেহ বেড়েই যাচ্ছে।

হবিগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, সিলেট, মৌলভীবাজার, টেকনাফ, কক্সবাজার, কুয়াকাটা, গাজীপুর, ময়মনসিংহ প্রভৃতি এলাকায় গত ৩/৪ বছরে ৭/৮ লাখ কোটি টাকার জমি জিরেতের মালিকানা হস্তান্তর হয়েছে। অনেক জায়গায় গড়ে উঠেছে হাজার কোটি টাকার রিসোর্ট নামের বিনোদন কেন্দ্র। এসব কেন্দ্রে নিয়মিত উল্লেখিত সিন্ডিকেটটি মিলিত হয়। তারা হেলিকপ্টারে যাতায়াত করে এবং অতি গোপনে লোকচক্ষুর আড়ালে ওইসব স্থানে নিয়মিত বৈঠক করে। পত্রিকা মারফত জানতে পারলাম প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা পাচারের ঘটনাটি সিরিয়াসলি নিয়েছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্ধত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নাকি প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী ঐকমত্যে পৌঁছেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনেক কর্মকর্তাকে গোয়েন্দা নজরদারিতে আনা হয়েছে। অন্যদিকে র‍্যাবসহ অন্যান্য রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে ঘটনার ক্লু খুঁজে বের করার জন্য। তারা হবিগঞ্জের একটি রিসোর্টে গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১৮, ১৯ এবং ২০ তারিখে কিছু বিতর্কিত ব্যক্তি, সরকারের অত্যন্ত স্পর্শকাতর অফিসসমূহের প্রভাবশালী কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের গমনের বিষয়ে খোঁজখবর করছেন।

আমরা যারা দিন এনে দিন খাওয়ার আমজনতা তারা যেমন লুটেরাদের দুর্বৃত্তায়নের নিত্যনতুন কৌশল বুঝি না, তেমনি বুঝি না কি ডিজিটাল কৌশল ব্যবহার করে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকা লোপাট করে নেওয়া হলো! আমরা শুধু শান্তি চাই আর চাই আমাদের দেশের মান মর্যাদা যেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভূলুণ্ঠিত না হয়। আমাদের সোনার ছেলেদের রক্তপানি করা বৈদেশিক মুদ্রা, শ্রমিকের ঘাম ও রক্তের রপ্তানি আয় এবং খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষের সঞ্চয় যেন কোনো দূরাচার পাপিষ্ঠ লুট করতে না পারে এতটুকু গ্যারান্টি রাষ্ট্র নিশ্চিত করতে পারলেই আমরা সুখী হব। রাষ্ট্রের কাছে আমরা কোনো ভিক্ষা চাই না— শুধু কুত্তাগুলো সামলানোর দাবি জানাই, যারা আমাদের সবকিছু লুট করে নিয়ে গেছে।

লেখক : কলামিস্ট।

এই বিভাগের আরও খবর
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
সর্বশেষ খবর
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের
ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু
খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর
ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের
তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি
ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের হামলা
তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের হামলা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পৃথিবীতে প্রাণের উৎস কী সত্যিই এসেছে এই অঞ্চল থেকে?
পৃথিবীতে প্রাণের উৎস কী সত্যিই এসেছে এই অঞ্চল থেকে?

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

নন্দনগাছীতে দুই মিনিট থামবে ঈশ্বরদী কমিউটার ট্রেন
নন্দনগাছীতে দুই মিনিট থামবে ঈশ্বরদী কমিউটার ট্রেন

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পার্বতীপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু
পার্বতীপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ
বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাসিরনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
নাসিরনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্পেশাল টিম: ডা. সায়েদুর
করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্পেশাল টিম: ডা. সায়েদুর

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডাকসু নির্বাচনের ১০ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ
ডাকসু নির্বাচনের ১০ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংবাদপত্রের ওপর কালোছায়া নেমে আসে’
‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংবাদপত্রের ওপর কালোছায়া নেমে আসে’

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঢাবি ভর্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা পেল দুই শিক্ষার্থী
ঢাবি ভর্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা পেল দুই শিক্ষার্থী

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫
২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫

৭ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ
সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১
মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা
উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা
নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’
‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর
ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন
ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু
‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক

২০ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা
সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান
নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত
ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’
‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড
ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার
তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা
দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা
ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা
নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান
আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত
ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি
ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী
১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত
ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত
ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এটিএম বুথের ভেতরে কারখানা শ্রমিককে ধর্ষণ
এটিএম বুথের ভেতরে কারখানা শ্রমিককে ধর্ষণ

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস
ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত
রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত

প্রথম পৃষ্ঠা

দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা
দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিমা খাতে আসছে নতুন আইন
বিমা খাতে আসছে নতুন আইন

শিল্প বাণিজ্য

সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ
সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার
মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি
সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি
স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

নামেই জীবন নামেই মরণ
নামেই জীবন নামেই মরণ

সম্পাদকীয়

নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি
নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি

নগর জীবন

চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি
চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা
ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা

পেছনের পৃষ্ঠা

নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ
নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ

খবর

পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ
পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা
লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়
ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি
যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি

শিল্প বাণিজ্য

ব্র্যান্ড দূষণ বাড়াচ্ছে ৪০ শতাংশ ফ্যাশন
ব্র্যান্ড দূষণ বাড়াচ্ছে ৪০ শতাংশ ফ্যাশন

শিল্প বাণিজ্য

হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী
হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী

পেছনের পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি
গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ
সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ
বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়
গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু
শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু

নগর জীবন

বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান
বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান
সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

পেছনের পৃষ্ঠা

সহসাই থামছে না ইরান ইসরায়েল সংঘাত
সহসাই থামছে না ইরান ইসরায়েল সংঘাত

পূর্ব-পশ্চিম

গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ
গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশের উন্নয়নে চাই মালয়েশিয়া মডেল
দেশের উন্নয়নে চাই মালয়েশিয়া মডেল

সম্পাদকীয়