শিরোনাম
প্রকাশ: ১০:৪৯, শনিবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২২

জাফর ইকবাল স্যাররা কেন উপাচার্য হন না

সৈয়দ বোরহান কবীর
অনলাইন ভার্সন
জাফর ইকবাল স্যাররা কেন উপাচার্য হন না

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) রাতেই শুনলাম জাফর ইকবাল স্যার সিলেটের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন। বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠেই টেলিভিশনে দেখলাম তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন। বললেন, ‘ছাত্রছাত্রীদের অনশন না ভাঙিয়ে যাব না’। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি এবং অধ্যাপক ইয়াসমিন হক মিলে শিক্ষার্থীদের অনশন ভঙ্গ করান। টেলিভিশনে দেখছিলাম, শিক্ষার্থীরা জাফর ইকবাল স্যারকে দেখে আবেগে, কান্নায় ভেঙে পড়লেন। স্যারও পরম মমতায় তাদের বুকে জড়িয়ে ধরলেন। অজান্তেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লাম। চোখ দিয়ে পানি বেরোল। স্মৃতিক্রান্ত হলাম। ১৯৮৪ সাল, এরশাদবিরোধী আন্দোলন চলছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে কীভাবে যুক্ত হলাম নিজেও জানি না। আন্দোলনের অংশ হিসেবে হরতাল ডেকেছে রাজনৈতিক দলগুলো। এস এম হল থেকে মিছিল করতে করতে আমরা কজন অবস্থান নিলাম পলাশীর মোড়ে। আলমগীর ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা ৮-১০ জন। কিছুক্ষণের মধ্যে বুয়েট থেকে খন্দকার মোহাম্মদ ফারুকের নেতৃত্বে বিরাট মিছিল এলো। ফারুক ভাই বিশাল লম্বা। দরাজ গলা। ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি। প্রচ- জনপ্রিয়। দু-একটি গাড়ি চলছিল, সেগুলো থামিয়ে দেওয়া হলো। ফারুক ভাই বললেন, কোনো ভাঙচুর নয়। কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার নয়। আমরা রিকশার যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছিলাম। শান্ত, উৎসবমুখর পরিবেশ। কিন্তু হঠাৎ পুলিশের দুটি গাড়ি এলো দুই দিক থেকে। নেমেই শুরু করল বেধড়ক মার। কিছু বোঝার আগেই আমি লুটিয়ে পড়লাম। জ্ঞান ফিরলে দেখলাম আমি একটি খাটে। চারদিকে তাকিয়ে বুঝলাম এটা কোনো বাড়ি। এরপর একজন পিতৃতুল্য মানুষ আমার মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করে দিলেন। বললেন, এখন ঘুমাও বাবা। মোহসীন স্যার। সলিমুল্লাহ হলের প্রভোস্ট। পরে শুনেছি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম। প্রভোস্ট স্যার জানার পর তাঁর বাংলোয় নিয়ে যান। ডাক্তার ডাকেন। আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে বড় হয়ে উঠেছি তখন এ রকমই পিতৃতুল্য কিছু শিক্ষক পেয়েছিলাম যাঁদের সঙ্গে সব কথা বলতে পারতাম আবার প্রচ- শ্রদ্ধা করতাম। জাফর ইকবাল স্যারের মমতা এবং আবেগ দেখে সেসব শিক্ষকের কথা মনে পড়ল। মনে হলো, তাঁরা কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হন না। কিংবা অন্যভাবে বলা যায়, সরকার কেন এঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করে না? এখন উপাচার্য কিংবা শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মমতার বন্ধনটা কেন আলগা? কেন সেখানে শ্রদ্ধা-ভালোবাসা নেই?

আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করি তার আগেই অধ্যাপক ফজলুল হালিম চৌধুরী স্যার পদত্যাগ করেছেন। নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক শামসুল হক। তখন উপাচার্য নিয়োগে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ, ১৯৭৩ কিছুটা হলেও মানা হতো। সিনেট তিনজনের নামের প্যানেল প্রস্তাব করত আচার্যের কাছে। সিনেট নির্বাচনে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী স্যার পেয়েছিলেন সর্বোচ্চ ভোট। তিনজনের মধ্যে তৃতীয় হয়েছিলেন শামসুল হক স্যার। এরশাদ সর্বনিম্ন ভোট পাওয়া শিক্ষককেই পছন্দ করেছিলেন। সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী স্যার ছিলেন জ্ঞানতাপস। সত্যিকার অর্থে একজন অভিভাবক। পরে বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে, বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করে বহুবার তাঁর সঙ্গে দেখা করেছি। যতবার সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী স্যারের সঙ্গে দেখা হয়েছে, ততবার মনে হয়েছে নতুন কিছু শিখলাম। কিন্তু এই মানুষটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করা হয়নি কোনো দিন। কেন? শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে নিয়ে যখন টানটান উত্তেজনা, তখন আমার মনে কিছু একটা বারবার ঘুরপাক খাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে কেন পন্ডিত, শিক্ষার্থীদের কাছে শ্রদ্ধেয় ও জনপ্রিয় শিক্ষকদের বেছে নেওয়া হয় না? কেন অনুগত, অযোগ্য, পদলেহী, চাটুকারদের প্রাধান্য দেওয়া হয়। আমার কাছে মনে হয় বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞানচর্চার তীর্থ কেন্দ্র। একজন পন্ডিত, পিতৃতুল্য সেরা শিক্ষকেরই এ পদ পাওয়া উচিত। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের প্রথম উপাচার্য ছিলেন অধ্যাপক শামসুল হক। তিনি ভালো মানুষ ছিলেন। কিন্তু সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর মতো জ্ঞানভান্ডার ছিল না। শিক্ষার্থীদের কাছে তাঁর জনপ্রিয়তা ও পরিচিতিও তেমন একটা ছিল না। কিন্তু তিনি শিক্ষাঙ্গনে ন্যূনতম পবিত্রতা কক্ষার চেষ্টা করেছিলেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েছিলেন। স্বৈরাচার এরশাদ সরকার হয়তো জ্ঞান, পান্ডিত্যকে ভয় পেতেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তাঁর একটা ভীতি ছিল। এজন্য সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর মতো একজন ব্যক্তিত্ববান, আদর্শবাদী শিক্ষককে তিনি উপাচার্যের দায়িত্ব দিতে ভয় পেয়েছিলেন। সে সময় থেকে অদ্যাবধি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদটি যেন একান্ত দলীয় অনুগতদের জন্য সংরক্ষিত। কোনো সরকারই উপাচার্য নিয়োগে পন্ডিত, গবেষক, উদ্ভাবনী চিন্তাবিদ কাউকে খোঁজে না। একজন দলীয় পাহারাদার খোঁজে। ফলে গার্মেন্ট মালিক, এনজিও নেতা, অনারারি মেজর পর্যন্ত উপাচার্য হচ্ছেন বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। উপাচার্য হতে অনেকে তদবির করেন। ছাত্র সংগঠনের নেতাদের খাতির করেন। মন্ত্রীর বাড়িতে মাছ, মিষ্টি নিয়ে যান। এখন যেভাবে উপাচার্য নিয়োগ হচ্ছে সমানে যদি আমলারা প্রেষণে উপাচার্য হন, অবাক হব না। অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জ্ঞানচর্চার নিত্যনতুন চিন্তা বিকাশে মনোযোগী নন। তাঁরা ব্যস্ত থাকেন সরকারের মন্ত্রী, প্রভাবশালী, ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে তুষ্ট রাখতে। জ্ঞানবিজ্ঞান চুলায় যাক, সরকার বাহাদুর খুশি থাকলেই তাঁরা নিজেদের সফল মনে করেন। উপাচার্য পদটি যেন এখন প্রকৃত শিক্ষকের জন্য নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কথাই ধরা যাক। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা মনে হলেই কয়েকজন ব্যক্তিত্বের নাম মনে আসে। জ্ঞানচর্চায় তাঁরা প্রত্যেকেই যেন একেকটি প্রতিষ্ঠান। সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, রঙ্গলাল সেন, সরদার ফজলুল করিম, আহমদ শরীফ। এঁরা কেউ বিশ্ববিদ্যায়য়ের উপাচার্য হননি। আশির দশকে প্রায় প্রতিটি ডিপার্টমেন্টে অন্তত একজন আলোকিত শিক্ষক ছিলেন। তাঁদের আমরা শ্রদ্ধা করতাম। আমাদের আইন বিভাগে অধ্যাপক কামরুদ্দিন আহমেদ, সাংবাদিকতায় অধ্যাপক সাখাওয়াৎ আলী খান, ইংরেজি বিভাগে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম এ রকম বহু নাম। কিন্তু তাঁরা কখনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হননি। এর পেছনে ক্ষমতাসীনদের যে অনাগ্রহ ছিল তা যেমন সত্য, তেমন এসব শিক্ষকও উপাচার্য পদটিকে ঝামেলা মনে করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষেই সাংবাদিকতায় জড়িয়ে যাই। এর ফলে সব বিভাগের শিক্ষকের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার একটা বিরাট সুযোগ পেয়েছিলাম। তাঁদের মধ্যে ইংরেজি বিভাগের সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম স্যারের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়জীবনেই নৈকট্য হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ সরকার সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম স্যারকে একবার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। স্যার তা গ্রহণ করেননি। স্যার আমাকে একদিন বলেছিলেন, ‘কিছুতেই আমি উপাচার্য হব না’। এ নিয়ে তাঁর সঙ্গে এক সন্ধ্যায় দীর্ঘ তর্কও হয়েছিল। তাঁর সার কথা- ‘উপাচার্য পদটি কোনো ব্যক্তিত্ববান মানুষের জন্য নয়’। একইভাবে আওয়ামী লীগ সরকার প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের কাছ থেকেও। শিক্ষার্থীদের কাছে বিপুল জনপ্রিয় হওয়ার পরও তিনি উপাচার্য হননি। অথচ আমার মনে হয় এ দায়িত্ব নিলে তিনি দেখাতে পারতেন উপাচার্যের কাজ কী? কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে হয়। এই মানুষটির মুগ্ধ ভক্ত আমি। আমি যখন ‘পরিপ্রেক্ষিত’ করি, তখন এক সাক্ষাৎকার নিতে তাঁর সঙ্গে আমার পরিচয়। আমি অবাক হয়ে যাই, এত সহজে শুধু কথা বলে একজন মানুষ কীভাবে এত আপন হয়ে যান। এরপর বিভিন্ন সময় নানা কাজে তাঁর কাছে গিয়েছি। সর্বশেষ তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎটা ছিল অন্যরকম। ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ শিশু সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণের একটি কর্মসূচি হাতে নিল। ঢাকা, সাভার এবং চট্টগ্রাম থেকে ৪০টি বাচ্চাকে এক বছর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কে প্রধান অতিথি থাকবেন। সেভ-এর সঙ্গে মিটিংয়ে নানা নাম। আমি জাফর ইকবাল স্যারের নাম প্রস্তাব করলাম। সবাই বললেন, স্যার আসলে তো খুবই ভালো, কিন্তু স্যার কি আসবেন? আমি বললাম, শিশুদের ব্যাপারে স্যারের আলাদা দরদ আছে। স্যারকে টেক্সট করলাম। বিকালে স্যার ফোন করলেন। সব শুনলেন। তারপর জানতে চাইলেন কবে অনুষ্ঠান করতে চাই। আমি বললাম, স্যার আপনি যেদিন বলবেন। স্যার একটা তারিখ দিলেন। ব্যস। স্যার তত দিন শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নিয়েছেন। জঙ্গি মৌলবাদীরা তাঁকে হুমকিও দিচ্ছে। সরকার এজন্য তাঁর বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। অনুষ্ঠানের দিন স্যারের বাসায় গিয়ে দেখলাম নিচে পুলিশ। বেল টিপতেই দেখি স্যার রেডি। আমরা নামলাম। স্যার বললেন, একজন পুলিশ ভাইও আমাদের সঙ্গে যাবেন। চালকের পাশে পুলিশ ভাইকে বসিয়ে আমরা রওনা হলাম ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির উদ্দেশে। আমাদের অনুষ্ঠানের সময় ছিল বেলা সাড়ে ১১টা। আমরা সাড়ে ৯টায় স্যারের মহাখালীর বাসা থেকে রওনা দিলাম। কিন্তু সেদিন এক ভয়ংকর ট্রাফিক জ্যামে পড়লাম। ২ ঘণ্টা জাফর ইকবাল স্যার আর আমি। এ ২ ঘণ্টা যেন আমার জীবনের এক সেরা অভিজ্ঞতা। নানা বিষয়ে আমরা কথা বলছিলাম। একপর্যায়ে স্যারের কাছে জানতে চাইলাম, আপনি কেন উপাচার্য হলেন না? স্যার খুব গুছিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। যদিও তাঁর ব্যাখ্যার সঙ্গে আমি একমত নই। কিন্তু ওইদিন আমি অন্য এক জাফর ইকবালকে আবিষ্কার করলাম সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে। মৎস্য ভবনের কাছে এসে গাড়ি আর কিছুতেই এগোচ্ছে না। প্রায় ১৫ মিনিট। ঘড়িতে সাড়ে ১১টা বাজে। স্যার হঠাৎ বিড়বিড় করছেন, বাচ্চাগুলো অপেক্ষা করছে। এটা ঠিক না। আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন অনুষ্ঠান কটায়? বললাম, স্যার অসুবিধা নেই। একটু দেরিতে গেলেও সমস্যা নেই। স্যার একটু রেগে গেলেন। ‘কী বলেন! ছেলেমেয়েরা বসে থাকবে, এটা কী করে হয়। চলেন হাঁটি।’ গাড়ি থেকে নেমে আমরা হাঁটা শুরু করলাম। পেছনে পুলিশ ভাই। ১০ মিনিট হেঁটে অনুষ্ঠানস্থলে যখন পৌঁছলাম তখন সবাই অবাক। এ রকম দায়িত্ববান মানুষের হাতে উপাচার্যের দায়িত্ব গেলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চেহারাই পাল্টে যেত। প্রকৃত শিক্ষকের এ অনাগ্রহে উপাচার্য পদটি চাটুকার, অনুগত, ব্যক্তিত্বহীনদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। (অবশ্য সব উপাচার্যের জন্য এটি প্রযোজ্য নয়। দু-একজন গুণী শিক্ষকও উপাচার্য হচ্ছেন। কিন্তু তাঁদের সংখ্যা খুবই কম)। আবার অনেক গুণী, প্রতিভাবান শিক্ষক দেশেই থাকেন না। চাকরি ছেড়ে চলে যান। জাফর ইকবাল স্যার যেমন বিজ্ঞ, বিপুল টাকার হাতছানি উপেক্ষা করে দেশে ফিরে এসেছেন। চাকরি নিয়েছেন, ঢাকা থেকে বহুদূরে। সবাই তো আর সে রকম ঝুঁকি নেন না।

আমার বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে ১৪ দিনের মাথায় টিএসসি গেছি। ঢুকতেই দেখলাম চমৎকার হাতের লেখা একটি পোস্টার। খান মোহাম্মদ ফারাবী বিতর্ক প্রতিযোগিতা। আয়োজক সংস্কৃতি সংসদ। কিছু না বুঝেই ফরম নিয়ে ফিলাপ করে জমা দিলাম। বিতর্কের দিন দেখলাম বিচারক আলী রীয়াজ, মাহাবুব মোকাদ্দেম আকাশ। বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ডাকসাইটে বিতার্কিকের ভিড়ে আমি এক পিচ্চি। বিরূপাক্ষ পাল যথারীতি প্রথম হলেন। আমি দ্বিতীয়। সেখানেই পরিচয় হলো আলী রীয়াজ স্যারের সঙ্গে। আমার বিতর্কের প্রশংসা করলেন। তাঁর ডিপার্টমেন্টে যেতে বললেন। মুহূর্তেই আপন করে নিলেন। এরপর কবে কীভাবে রীয়াজ ভাই হয়ে গেলেন তিনি, নিজেও জানি না। আলী রীয়াজের সঙ্গে সখ্যের সূত্রেই গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে যাওয়া-আসা শুরু হলো। আলী রীয়াজ, সুব্রত শংকর ধর আর আনিসুজ্জামান তিন তরুণ প্রভাষক বসতেন কোনার এক রুমে। তিনজন যেন টগবগে দীপ্ত তারুণ্যে। আমার মনে হতো এরা কেউ একদিন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হবেন। তখন বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, সঙ্গে সংস্কৃতিচর্চার এক উৎসব। বটতলায় ছাত্রনেতাদের বক্তৃতা মুগ্ধ হয়ে শুনতাম। মেজবাহ কামাল ছাত্রমৈত্রী করেন। সদ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হয়েছেন। আলী রীয়াজ বাসদ ছাত্রলীগের নেতা। ডাকসুর সাহিত্য সম্পাদক। সদ্য শিক্ষক। এম এম আকাশ ছাত্র ইউনিয়নের নেতা। সদ্য অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক। ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আশা সোনালি প্রজন্মের এসব মেধাবী কেউ উপাচার্য হননি। আলী রীয়াজ এখন মার্কিন মুলুকে অধ্যাপনা করেন। সুব্রত দা বিশ্বব্যাংকের বড় কর্তা। আনিস ভাই ট্র্যাজেডির এক করুণ অধ্যায় রচনা করে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। অন্য মেধাবীরা দায়িত্ব থেকে সযতেœ নিজেদের নিরাপদ দূরত্বে রেখেছেন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার দৌড়ে দলীয় লেজুড়রাই রাজত্ব করেন। ক্ষমতাসীন দলেও যাঁরা ব্যক্তিত্ববান, প্রতিবাদী, নীতিমান তাঁরাও উপাচার্য পদটি ঝামেলা মনে করেন। ড. আবুল বারকাত, কিংবা ড. সাদেকা হালিম, ড. মিজানুর রহমানের মতো সরকার সমর্থক শিক্ষকেরও উপাচার্য পদে নিয়োগ দিতে সরকারের অজানা শঙ্কায় বুক কাঁপে! আমার বিবেচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী সম্ভবত শেষ মেরুদন্ডসম্পন্ন উপাচার্য। যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ সবার ওপরে স্থান দিতেন। যিনি শিক্ষক-শিক্ষার্থী নিয়ে একটা শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছিলেন। তিনি কখনো শিক্ষামন্ত্রী বা শিক্ষা সচিবের পিএসের রুমে নতজানু হয়ে বসে থাকেননি। দলীয় বিবেচনায়ও যে ভালো, উপযুক্ত এবং দক্ষ উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া যায়, তার সর্বশেষ প্রমাণ অধ্যাপক চৌধুরী। এখন যাঁরা উপাচার্য হিসেবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ পান তাঁদের কাউকে কাউকে দেখে আমার আহমদ ছফার ‘গাভী বিত্তান্ত’ উপন্যাসের কথা মনে পড়ে। আহমদ ছফার এ উপন্যাসের প্রথম লাইনটা এ রকম- ‘আবু জুনায়েদের উপাচার্য পদে নিয়োগ প্রাপ্তির ঘটনাটি প্রমাণ করে দিল আমাদের এই যুগেও আশ্চর্য ঘটনা ঘটে।’... হঠাৎ হঠাৎ উপাচার্য পদে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়, তার নাম শুনে মনের অজান্তেই ওই বাক্যটি বেরিয়ে আসে। আমার মাথায় দ্বিতীয় যে প্রশ্নটি ঘুরপাক খাচ্ছে তা হলো, বিতর্কিত হওয়ার পরও উপাচার্যরা পদত্যাগ করেন না কেন? ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা ধিকৃত, নিন্দিত হওয়ার পরও কেন পদ আঁকড়ে রাখার মরিয়া চেষ্টা করেন তাঁরা?

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের আগেই পদত্যাগ করেছিলেন অধ্যাপক ফজলুল হালিম চৌধুরী। সামরিক সরকার তাঁর অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঢুকিয়েছিল। নির্ভীক এই মানুষটি অভিভাবক হিসেবে এ ঘটনা মেনে নিতে পারেননি। আর এখন উপাচার্যরা নিজেদের চেয়ার রক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের পুলিশ দিয়ে পেটান! কী ভয়াবহ। অধ্যাপক শামসুল হকের বাসভবনে হামলা চালিয়েছিল ছাত্রদলের ক্যাডাররা। উপাচার্য ভবনে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। স্যার সে সময় ছিলেন না। ফিরে এসে পদত্যাগে সময় নেননি। আর এখন দেখি উপাচার্যরা শিক্ষার্থীদের সাত দিন অনশনের পরও চেয়ার আঁকড়ে থাকেন। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দলকানা, চাটুকার, অযোগ্য হলে তা ক্ষমতাসীনদের জন্যই বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আমি বুঝি না সরকার কেন এসব লোভাতুর উদ্বাস্তুর ভার নিজের কাঁধে তুলে নেয়। উপাচার্য পদটিকে কেন অনুগতদের পুনর্বাসন কেন্দ্র বানানো হয়। তার চেয়ে যদি ‘গাভী বিত্তান্ত’র উপাচার্য আবু জুনায়েদের মতো এদের একটি করে গাভী কিনে দেওয়া হতো, তাহলে হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রক্ষা পেত।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।


বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর
নো হাংকি-পাংকি! বাঁকা আঙুলে ঘি তোলার হুমকি!
নো হাংকি-পাংকি! বাঁকা আঙুলে ঘি তোলার হুমকি!
বিদেশে দক্ষ কর্মী প্রেরণে আরো জোর দিতে হবে
বিদেশে দক্ষ কর্মী প্রেরণে আরো জোর দিতে হবে
দ্বৈত-নাগরিক প্রবাসীদের প্রার্থিতা নিয়ে লুকোচুরি ও ঝুঁকি
দ্বৈত-নাগরিক প্রবাসীদের প্রার্থিতা নিয়ে লুকোচুরি ও ঝুঁকি
নির্বাচনের পথে বাংলাদেশ
নির্বাচনের পথে বাংলাদেশ
বাঙালির গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের বাঙালি
বাঙালির গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের বাঙালি
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
নির্বাচন : একই প্রত্যাশায় জনতা ও সেনাবাহিনী
নির্বাচন : একই প্রত্যাশায় জনতা ও সেনাবাহিনী
শেষ ভালো যার সব ভালো তার
শেষ ভালো যার সব ভালো তার
সিপাহি-জনতার সংহতি থেকে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান
সিপাহি-জনতার সংহতি থেকে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান
বন্দর নিয়ে সদরে-অন্দরে মতলবি তৎপরতা
বন্দর নিয়ে সদরে-অন্দরে মতলবি তৎপরতা
ব্যবসা-বিনিয়োগে লাল বাতি
ব্যবসা-বিনিয়োগে লাল বাতি
একটি বন্য ছাগলের আত্মকথা
একটি বন্য ছাগলের আত্মকথা
সর্বশেষ খবর
জকসু নির্বাচনের সময়ও ক্লাস-পরীক্ষা চলবে
জকসু নির্বাচনের সময়ও ক্লাস-পরীক্ষা চলবে

এই মাত্র | ক্যাম্পাস

ভারতে চিড়িয়াখানায় কুকুরের আক্রমণে ১০ হরিণের মৃত্যু
ভারতে চিড়িয়াখানায় কুকুরের আক্রমণে ১০ হরিণের মৃত্যু

৫২ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় হচ্ছে মার্কিন ঘাঁটি, যাচ্ছে হাজারো সেনা?
গাজায় হচ্ছে মার্কিন ঘাঁটি, যাচ্ছে হাজারো সেনা?

৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জর্জিয়ায় বিধ্বস্ত তুর্কি সামরিক বিমানের সব আরোহী নিহত
জর্জিয়ায় বিধ্বস্ত তুর্কি সামরিক বিমানের সব আরোহী নিহত

৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুলিশের গাড়িতে আগুন নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর অনুরোধ ডিএমপির
পুলিশের গাড়িতে আগুন নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর অনুরোধ ডিএমপির

৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

রূপগঞ্জে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মী আটক
রূপগঞ্জে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মী আটক

১০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মহালছড়িতে ফায়ার স্টেশন স্থাপন ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আধুনিকায়নের দাবিতে মানববন্ধন
মহালছড়িতে ফায়ার স্টেশন স্থাপন ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আধুনিকায়নের দাবিতে মানববন্ধন

১১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাজীপুর-৬ আসন পুনর্বহালের দাবিতে টঙ্গীতে মহাসড়ক অবরোধ
গাজীপুর-৬ আসন পুনর্বহালের দাবিতে টঙ্গীতে মহাসড়ক অবরোধ

১৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, যা জাতির জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত হবে : প্রধান উপদেষ্টা
নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, যা জাতির জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত হবে : প্রধান উপদেষ্টা

১৫ মিনিট আগে | জাতীয়

১২ নভেম্বর উপকূল দিবস ঘোষণার দাবি
১২ নভেম্বর উপকূল দিবস ঘোষণার দাবি

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গোপালগঞ্জে সরকারি খাল দখল করে পোল্ট্রি ফার্ম, ভোগান্তিতে ২৫ হাজার মানুষ
গোপালগঞ্জে সরকারি খাল দখল করে পোল্ট্রি ফার্ম, ভোগান্তিতে ২৫ হাজার মানুষ

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সুনামগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী দেওয়ার আহ্বান
সুনামগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী দেওয়ার আহ্বান

২১ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

স্ত্রীসহ রূপালী ব্যাংকের সাবেক এমডি মাসুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
স্ত্রীসহ রূপালী ব্যাংকের সাবেক এমডি মাসুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

২১ মিনিট আগে | জাতীয়

অ্যাশেজের আগে হ্যাজলউডকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার শঙ্কা
অ্যাশেজের আগে হ্যাজলউডকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার শঙ্কা

২৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

জামালগঞ্জে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত
জামালগঞ্জে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

২৭ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

শাকসুর ভোটার হতে হলে পরিশোধ করতে হবে সব ফি
শাকসুর ভোটার হতে হলে পরিশোধ করতে হবে সব ফি

৩৪ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কারা চালাচ্ছে, তা খুঁজে বের করার দায়িত্ব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর’
‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কারা চালাচ্ছে, তা খুঁজে বের করার দায়িত্ব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর’

৩৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেন বিসিবি সভাপতি
ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেন বিসিবি সভাপতি

৩৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সূর্যের চেয়ে ৩০ গুণ বড় নক্ষত্র গ্রাস করল এক কৃষ্ণগহ্বর
সূর্যের চেয়ে ৩০ গুণ বড় নক্ষত্র গ্রাস করল এক কৃষ্ণগহ্বর

৪১ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

মেহেরপুরে সুইমিংপুল ও সাঁতার প্রশিক্ষণের উদ্বোধন
মেহেরপুরে সুইমিংপুল ও সাঁতার প্রশিক্ষণের উদ্বোধন

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ট্রাম্প মামলা করলে বিবিসির কি হবে?
ট্রাম্প মামলা করলে বিবিসির কি হবে?

৪৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার মিরপুরে বাসে আগুন
এবার মিরপুরে বাসে আগুন

৪৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

চাঁদপুরে ৫টি পাইপগানসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
চাঁদপুরে ৫টি পাইপগানসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

৫৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাজশাহী অঞ্চলের নদ-নদী, খাল-বিল দূষণ ও দখলমুক্ত করার দাবি
রাজশাহী অঞ্চলের নদ-নদী, খাল-বিল দূষণ ও দখলমুক্ত করার দাবি

৫৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও পৌর ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার
গাইবান্ধায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও পৌর ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

৫৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় বন্ধ করল যুক্তরাজ্য
এবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় বন্ধ করল যুক্তরাজ্য

৫৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে গুলিবিদ্ধ যুবকের মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীতে গুলিবিদ্ধ যুবকের মরদেহ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শপথ নিলেন হাইকোর্টের স্থায়ী ২১ বিচারপতি
শপথ নিলেন হাইকোর্টের স্থায়ী ২১ বিচারপতি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইমামোগলুর ২ হাজার বছরের সাজা চাইলো প্রসিকিউটর
ইমামোগলুর ২ হাজার বছরের সাজা চাইলো প্রসিকিউটর

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরাকিদের রক্ষায় আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক: সিরিয়া প্রেসিডেন্ট
ইরাকিদের রক্ষায় আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক: সিরিয়া প্রেসিডেন্ট

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে গুলি করা সেই দুই শুটার গ্রেফতার
শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে গুলি করা সেই দুই শুটার গ্রেফতার

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রমনা থানার সামনে হঠাৎ পুলিশের গাড়িতে আগুন
রমনা থানার সামনে হঠাৎ পুলিশের গাড়িতে আগুন

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নিখোঁজ বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক নাইমুর রহমান মাদারীপুর থেকে উদ্ধার
নিখোঁজ বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক নাইমুর রহমান মাদারীপুর থেকে উদ্ধার

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘হাসিনাকে ফাঁসিতে না ঝোলানো পর্যন্ত মুখ দিয়ে শেখ শেখ বের হবেই’
‘হাসিনাকে ফাঁসিতে না ঝোলানো পর্যন্ত মুখ দিয়ে শেখ শেখ বের হবেই’

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমার বক্তব্যকে ভুলভাবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল
আমার বক্তব্যকে ভুলভাবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

উত্তরায় মাইক্রোবাসে আগুন
উত্তরায় মাইক্রোবাসে আগুন

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আসন নিশ্চিত হলে আপসহীন নেতাদেরও বিক্রি হতে সমস্যা নেই: আব্দুল কাদের
আসন নিশ্চিত হলে আপসহীন নেতাদেরও বিক্রি হতে সমস্যা নেই: আব্দুল কাদের

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দেখলেই ব্রাশফায়ারের নির্দেশ সিএমপি কমিশনারের
অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দেখলেই ব্রাশফায়ারের নির্দেশ সিএমপি কমিশনারের

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রুদ্ধশ্বাস জয়ে শ্রীলঙ্কাকে ৬ রানে হারালো পাকিস্তান
রুদ্ধশ্বাস জয়ে শ্রীলঙ্কাকে ৬ রানে হারালো পাকিস্তান

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ক্যারিবীয় সাগরে বিশাল যুদ্ধজাহাজবহর মোতায়েন করল যুক্তরাষ্ট্র
ক্যারিবীয় সাগরে বিশাল যুদ্ধজাহাজবহর মোতায়েন করল যুক্তরাষ্ট্র

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মধ্যরাতে ঢাবির পাঁচ ভবনের ফটকে তালা দিল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ
মধ্যরাতে ঢাবির পাঁচ ভবনের ফটকে তালা দিল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচনের সুযোগ নেই: জামায়াত আমির
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচনের সুযোগ নেই: জামায়াত আমির

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে ৩-৪ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত দেবে সরকার
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে ৩-৪ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত দেবে সরকার

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাতে মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ
রাতে মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নতুন পে স্কেল বাস্তবায়নের ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করবে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
নতুন পে স্কেল বাস্তবায়নের ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করবে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীতে বাসে আগুন
রাজধানীতে বাসে আগুন

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নো হাংকি-পাংকি! বাঁকা আঙুলে ঘি তোলার হুমকি!
নো হাংকি-পাংকি! বাঁকা আঙুলে ঘি তোলার হুমকি!

৬ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

‘নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করলে লুকানোর গর্ত খুঁজে পাবেন না’
‘নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করলে লুকানোর গর্ত খুঁজে পাবেন না’

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ৩ লাখ টাকায় রফা, ভাগ নিলেন মাতবররা!
স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ৩ লাখ টাকায় রফা, ভাগ নিলেন মাতবররা!

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোহাম্মদপুরে ককটেলসহ আওয়ামী লীগ নেতা আটক
মোহাম্মদপুরে ককটেলসহ আওয়ামী লীগ নেতা আটক

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা
গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, বাসে আগুন
রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, বাসে আগুন

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দ্বাদশ সংসদের এমপিদের অখালাস ৩১টি গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর
দ্বাদশ সংসদের এমপিদের অখালাস ৩১টি গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ময়মনসিংহে শ্বশুরবাড়িতে জামাতা-নাতি খুন
ময়মনসিংহে শ্বশুরবাড়িতে জামাতা-নাতি খুন

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তাপমাত্রা নামল ১২ ডিগ্রিতে, বাড়ছে শীতের আমেজ
তাপমাত্রা নামল ১২ ডিগ্রিতে, বাড়ছে শীতের আমেজ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যা: ২ শ্যুটারসহ গ্রেফতার ৫
শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যা: ২ শ্যুটারসহ গ্রেফতার ৫

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গুগল ক্রোম ব্যবহারকারীদের জন্য সতর্কতা
গুগল ক্রোম ব্যবহারকারীদের জন্য সতর্কতা

৬ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

প্রেসিডেন্ট নয়, সেনাপ্রধানের হাতে যাচ্ছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ
প্রেসিডেন্ট নয়, সেনাপ্রধানের হাতে যাচ্ছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৩৮০০ শিশুর হার্ট সার্জারিতে অবদান : মানবসেবায় রেকর্ড জনপ্রিয় গায়িকার
৩৮০০ শিশুর হার্ট সার্জারিতে অবদান : মানবসেবায় রেকর্ড জনপ্রিয় গায়িকার

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রাজধানী ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রাজধানী ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
এনসিপিতে গৃহদাহ
এনসিপিতে গৃহদাহ

প্রথম পৃষ্ঠা

আলোচনার টেবিল থেকে রাজপথ
আলোচনার টেবিল থেকে রাজপথ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আর্মি সার্ভিস কোরকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
আর্মি সার্ভিস কোরকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

প্রথম পৃষ্ঠা

ভালোবাসার টানেই মাতৃভূমিতে হামজা
ভালোবাসার টানেই মাতৃভূমিতে হামজা

মাঠে ময়দানে

বোতলে দেদার জ্বালানি বিক্রি বাড়ছে অগ্নিসন্ত্রাসের ঝুঁকি
বোতলে দেদার জ্বালানি বিক্রি বাড়ছে অগ্নিসন্ত্রাসের ঝুঁকি

নগর জীবন

সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে
সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

শেয়ারবাজারে মাফিয়া
শেয়ারবাজারে মাফিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

আইন হাতে তুলে নিচ্ছে মানুষ
আইন হাতে তুলে নিচ্ছে মানুষ

পেছনের পৃষ্ঠা

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন নয়
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

আশা জাগাচ্ছে কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাবারের বাজার
আশা জাগাচ্ছে কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাবারের বাজার

নগর জীবন

শিশুর বিপদ ডেকে আনছে নিউমোনিয়া
শিশুর বিপদ ডেকে আনছে নিউমোনিয়া

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচন বানচালের চেষ্টা আওয়ামী লীগের
নির্বাচন বানচালের চেষ্টা আওয়ামী লীগের

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ওয়ানডে খেলেছে ১৬ বার
বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ওয়ানডে খেলেছে ১৬ বার

মাঠে ময়দানে

বুড়িগঙ্গা
বুড়িগঙ্গা

সম্পাদকীয়

সনদের বাইরে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিলে দায় সরকারের
সনদের বাইরে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিলে দায় সরকারের

প্রথম পৃষ্ঠা

ঘুমন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা
ঘুমন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোট হলে অস্তিত্ব থাকবে না জামায়াতের
ভোট হলে অস্তিত্ব থাকবে না জামায়াতের

প্রথম পৃষ্ঠা

ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব
ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব

সম্পাদকীয়

রাজধানীতে দুই ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার
রাজধানীতে দুই ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার

প্রথম পৃষ্ঠা

অপেশাদারিতে শাবনূর
অপেশাদারিতে শাবনূর

শোবিজ

কুলসুমের চোখে স্বপ্ন জয়ের দৃঢ়তা
কুলসুমের চোখে স্বপ্ন জয়ের দৃঢ়তা

মাঠে ময়দানে

যারা সংস্কারের পক্ষে তাদের সঙ্গে জোট
যারা সংস্কারের পক্ষে তাদের সঙ্গে জোট

প্রথম পৃষ্ঠা

বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?
বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?

সম্পাদকীয়

কড়া নিরাপত্তার চাদরে রাজধানী
কড়া নিরাপত্তার চাদরে রাজধানী

প্রথম পৃষ্ঠা

কেন ক্ষেপলেন তামান্না
কেন ক্ষেপলেন তামান্না

শোবিজ

শোবিজ তারকাদের ত্যাগের গল্প
শোবিজ তারকাদের ত্যাগের গল্প

শোবিজ

স্পর্শিয়ার ক্ষোভ
স্পর্শিয়ার ক্ষোভ

শোবিজ

টিভি নাটকে প্রমিত বাংলার অপমৃত্যু
টিভি নাটকে প্রমিত বাংলার অপমৃত্যু

শোবিজ

সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান শেখ হান্নানের ব্যাংক হিসাব জব্দ
সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান শেখ হান্নানের ব্যাংক হিসাব জব্দ

নগর জীবন