শিরোনাম
প্রকাশ: ১০:৪৯, শনিবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২২

জাফর ইকবাল স্যাররা কেন উপাচার্য হন না

সৈয়দ বোরহান কবীর
অনলাইন ভার্সন
জাফর ইকবাল স্যাররা কেন উপাচার্য হন না

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) রাতেই শুনলাম জাফর ইকবাল স্যার সিলেটের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন। বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠেই টেলিভিশনে দেখলাম তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন। বললেন, ‘ছাত্রছাত্রীদের অনশন না ভাঙিয়ে যাব না’। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি এবং অধ্যাপক ইয়াসমিন হক মিলে শিক্ষার্থীদের অনশন ভঙ্গ করান। টেলিভিশনে দেখছিলাম, শিক্ষার্থীরা জাফর ইকবাল স্যারকে দেখে আবেগে, কান্নায় ভেঙে পড়লেন। স্যারও পরম মমতায় তাদের বুকে জড়িয়ে ধরলেন। অজান্তেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লাম। চোখ দিয়ে পানি বেরোল। স্মৃতিক্রান্ত হলাম। ১৯৮৪ সাল, এরশাদবিরোধী আন্দোলন চলছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে কীভাবে যুক্ত হলাম নিজেও জানি না। আন্দোলনের অংশ হিসেবে হরতাল ডেকেছে রাজনৈতিক দলগুলো। এস এম হল থেকে মিছিল করতে করতে আমরা কজন অবস্থান নিলাম পলাশীর মোড়ে। আলমগীর ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা ৮-১০ জন। কিছুক্ষণের মধ্যে বুয়েট থেকে খন্দকার মোহাম্মদ ফারুকের নেতৃত্বে বিরাট মিছিল এলো। ফারুক ভাই বিশাল লম্বা। দরাজ গলা। ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি। প্রচ- জনপ্রিয়। দু-একটি গাড়ি চলছিল, সেগুলো থামিয়ে দেওয়া হলো। ফারুক ভাই বললেন, কোনো ভাঙচুর নয়। কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার নয়। আমরা রিকশার যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছিলাম। শান্ত, উৎসবমুখর পরিবেশ। কিন্তু হঠাৎ পুলিশের দুটি গাড়ি এলো দুই দিক থেকে। নেমেই শুরু করল বেধড়ক মার। কিছু বোঝার আগেই আমি লুটিয়ে পড়লাম। জ্ঞান ফিরলে দেখলাম আমি একটি খাটে। চারদিকে তাকিয়ে বুঝলাম এটা কোনো বাড়ি। এরপর একজন পিতৃতুল্য মানুষ আমার মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করে দিলেন। বললেন, এখন ঘুমাও বাবা। মোহসীন স্যার। সলিমুল্লাহ হলের প্রভোস্ট। পরে শুনেছি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম। প্রভোস্ট স্যার জানার পর তাঁর বাংলোয় নিয়ে যান। ডাক্তার ডাকেন। আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে বড় হয়ে উঠেছি তখন এ রকমই পিতৃতুল্য কিছু শিক্ষক পেয়েছিলাম যাঁদের সঙ্গে সব কথা বলতে পারতাম আবার প্রচ- শ্রদ্ধা করতাম। জাফর ইকবাল স্যারের মমতা এবং আবেগ দেখে সেসব শিক্ষকের কথা মনে পড়ল। মনে হলো, তাঁরা কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হন না। কিংবা অন্যভাবে বলা যায়, সরকার কেন এঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করে না? এখন উপাচার্য কিংবা শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মমতার বন্ধনটা কেন আলগা? কেন সেখানে শ্রদ্ধা-ভালোবাসা নেই?

আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করি তার আগেই অধ্যাপক ফজলুল হালিম চৌধুরী স্যার পদত্যাগ করেছেন। নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক শামসুল হক। তখন উপাচার্য নিয়োগে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ, ১৯৭৩ কিছুটা হলেও মানা হতো। সিনেট তিনজনের নামের প্যানেল প্রস্তাব করত আচার্যের কাছে। সিনেট নির্বাচনে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী স্যার পেয়েছিলেন সর্বোচ্চ ভোট। তিনজনের মধ্যে তৃতীয় হয়েছিলেন শামসুল হক স্যার। এরশাদ সর্বনিম্ন ভোট পাওয়া শিক্ষককেই পছন্দ করেছিলেন। সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী স্যার ছিলেন জ্ঞানতাপস। সত্যিকার অর্থে একজন অভিভাবক। পরে বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে, বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করে বহুবার তাঁর সঙ্গে দেখা করেছি। যতবার সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী স্যারের সঙ্গে দেখা হয়েছে, ততবার মনে হয়েছে নতুন কিছু শিখলাম। কিন্তু এই মানুষটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করা হয়নি কোনো দিন। কেন? শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে নিয়ে যখন টানটান উত্তেজনা, তখন আমার মনে কিছু একটা বারবার ঘুরপাক খাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে কেন পন্ডিত, শিক্ষার্থীদের কাছে শ্রদ্ধেয় ও জনপ্রিয় শিক্ষকদের বেছে নেওয়া হয় না? কেন অনুগত, অযোগ্য, পদলেহী, চাটুকারদের প্রাধান্য দেওয়া হয়। আমার কাছে মনে হয় বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞানচর্চার তীর্থ কেন্দ্র। একজন পন্ডিত, পিতৃতুল্য সেরা শিক্ষকেরই এ পদ পাওয়া উচিত। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের প্রথম উপাচার্য ছিলেন অধ্যাপক শামসুল হক। তিনি ভালো মানুষ ছিলেন। কিন্তু সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর মতো জ্ঞানভান্ডার ছিল না। শিক্ষার্থীদের কাছে তাঁর জনপ্রিয়তা ও পরিচিতিও তেমন একটা ছিল না। কিন্তু তিনি শিক্ষাঙ্গনে ন্যূনতম পবিত্রতা কক্ষার চেষ্টা করেছিলেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েছিলেন। স্বৈরাচার এরশাদ সরকার হয়তো জ্ঞান, পান্ডিত্যকে ভয় পেতেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তাঁর একটা ভীতি ছিল। এজন্য সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর মতো একজন ব্যক্তিত্ববান, আদর্শবাদী শিক্ষককে তিনি উপাচার্যের দায়িত্ব দিতে ভয় পেয়েছিলেন। সে সময় থেকে অদ্যাবধি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদটি যেন একান্ত দলীয় অনুগতদের জন্য সংরক্ষিত। কোনো সরকারই উপাচার্য নিয়োগে পন্ডিত, গবেষক, উদ্ভাবনী চিন্তাবিদ কাউকে খোঁজে না। একজন দলীয় পাহারাদার খোঁজে। ফলে গার্মেন্ট মালিক, এনজিও নেতা, অনারারি মেজর পর্যন্ত উপাচার্য হচ্ছেন বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। উপাচার্য হতে অনেকে তদবির করেন। ছাত্র সংগঠনের নেতাদের খাতির করেন। মন্ত্রীর বাড়িতে মাছ, মিষ্টি নিয়ে যান। এখন যেভাবে উপাচার্য নিয়োগ হচ্ছে সমানে যদি আমলারা প্রেষণে উপাচার্য হন, অবাক হব না। অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জ্ঞানচর্চার নিত্যনতুন চিন্তা বিকাশে মনোযোগী নন। তাঁরা ব্যস্ত থাকেন সরকারের মন্ত্রী, প্রভাবশালী, ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে তুষ্ট রাখতে। জ্ঞানবিজ্ঞান চুলায় যাক, সরকার বাহাদুর খুশি থাকলেই তাঁরা নিজেদের সফল মনে করেন। উপাচার্য পদটি যেন এখন প্রকৃত শিক্ষকের জন্য নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কথাই ধরা যাক। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা মনে হলেই কয়েকজন ব্যক্তিত্বের নাম মনে আসে। জ্ঞানচর্চায় তাঁরা প্রত্যেকেই যেন একেকটি প্রতিষ্ঠান। সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, রঙ্গলাল সেন, সরদার ফজলুল করিম, আহমদ শরীফ। এঁরা কেউ বিশ্ববিদ্যায়য়ের উপাচার্য হননি। আশির দশকে প্রায় প্রতিটি ডিপার্টমেন্টে অন্তত একজন আলোকিত শিক্ষক ছিলেন। তাঁদের আমরা শ্রদ্ধা করতাম। আমাদের আইন বিভাগে অধ্যাপক কামরুদ্দিন আহমেদ, সাংবাদিকতায় অধ্যাপক সাখাওয়াৎ আলী খান, ইংরেজি বিভাগে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম এ রকম বহু নাম। কিন্তু তাঁরা কখনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হননি। এর পেছনে ক্ষমতাসীনদের যে অনাগ্রহ ছিল তা যেমন সত্য, তেমন এসব শিক্ষকও উপাচার্য পদটিকে ঝামেলা মনে করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষেই সাংবাদিকতায় জড়িয়ে যাই। এর ফলে সব বিভাগের শিক্ষকের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার একটা বিরাট সুযোগ পেয়েছিলাম। তাঁদের মধ্যে ইংরেজি বিভাগের সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম স্যারের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়জীবনেই নৈকট্য হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ সরকার সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম স্যারকে একবার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। স্যার তা গ্রহণ করেননি। স্যার আমাকে একদিন বলেছিলেন, ‘কিছুতেই আমি উপাচার্য হব না’। এ নিয়ে তাঁর সঙ্গে এক সন্ধ্যায় দীর্ঘ তর্কও হয়েছিল। তাঁর সার কথা- ‘উপাচার্য পদটি কোনো ব্যক্তিত্ববান মানুষের জন্য নয়’। একইভাবে আওয়ামী লীগ সরকার প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের কাছ থেকেও। শিক্ষার্থীদের কাছে বিপুল জনপ্রিয় হওয়ার পরও তিনি উপাচার্য হননি। অথচ আমার মনে হয় এ দায়িত্ব নিলে তিনি দেখাতে পারতেন উপাচার্যের কাজ কী? কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে হয়। এই মানুষটির মুগ্ধ ভক্ত আমি। আমি যখন ‘পরিপ্রেক্ষিত’ করি, তখন এক সাক্ষাৎকার নিতে তাঁর সঙ্গে আমার পরিচয়। আমি অবাক হয়ে যাই, এত সহজে শুধু কথা বলে একজন মানুষ কীভাবে এত আপন হয়ে যান। এরপর বিভিন্ন সময় নানা কাজে তাঁর কাছে গিয়েছি। সর্বশেষ তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎটা ছিল অন্যরকম। ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ শিশু সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণের একটি কর্মসূচি হাতে নিল। ঢাকা, সাভার এবং চট্টগ্রাম থেকে ৪০টি বাচ্চাকে এক বছর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কে প্রধান অতিথি থাকবেন। সেভ-এর সঙ্গে মিটিংয়ে নানা নাম। আমি জাফর ইকবাল স্যারের নাম প্রস্তাব করলাম। সবাই বললেন, স্যার আসলে তো খুবই ভালো, কিন্তু স্যার কি আসবেন? আমি বললাম, শিশুদের ব্যাপারে স্যারের আলাদা দরদ আছে। স্যারকে টেক্সট করলাম। বিকালে স্যার ফোন করলেন। সব শুনলেন। তারপর জানতে চাইলেন কবে অনুষ্ঠান করতে চাই। আমি বললাম, স্যার আপনি যেদিন বলবেন। স্যার একটা তারিখ দিলেন। ব্যস। স্যার তত দিন শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নিয়েছেন। জঙ্গি মৌলবাদীরা তাঁকে হুমকিও দিচ্ছে। সরকার এজন্য তাঁর বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। অনুষ্ঠানের দিন স্যারের বাসায় গিয়ে দেখলাম নিচে পুলিশ। বেল টিপতেই দেখি স্যার রেডি। আমরা নামলাম। স্যার বললেন, একজন পুলিশ ভাইও আমাদের সঙ্গে যাবেন। চালকের পাশে পুলিশ ভাইকে বসিয়ে আমরা রওনা হলাম ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির উদ্দেশে। আমাদের অনুষ্ঠানের সময় ছিল বেলা সাড়ে ১১টা। আমরা সাড়ে ৯টায় স্যারের মহাখালীর বাসা থেকে রওনা দিলাম। কিন্তু সেদিন এক ভয়ংকর ট্রাফিক জ্যামে পড়লাম। ২ ঘণ্টা জাফর ইকবাল স্যার আর আমি। এ ২ ঘণ্টা যেন আমার জীবনের এক সেরা অভিজ্ঞতা। নানা বিষয়ে আমরা কথা বলছিলাম। একপর্যায়ে স্যারের কাছে জানতে চাইলাম, আপনি কেন উপাচার্য হলেন না? স্যার খুব গুছিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। যদিও তাঁর ব্যাখ্যার সঙ্গে আমি একমত নই। কিন্তু ওইদিন আমি অন্য এক জাফর ইকবালকে আবিষ্কার করলাম সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে। মৎস্য ভবনের কাছে এসে গাড়ি আর কিছুতেই এগোচ্ছে না। প্রায় ১৫ মিনিট। ঘড়িতে সাড়ে ১১টা বাজে। স্যার হঠাৎ বিড়বিড় করছেন, বাচ্চাগুলো অপেক্ষা করছে। এটা ঠিক না। আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন অনুষ্ঠান কটায়? বললাম, স্যার অসুবিধা নেই। একটু দেরিতে গেলেও সমস্যা নেই। স্যার একটু রেগে গেলেন। ‘কী বলেন! ছেলেমেয়েরা বসে থাকবে, এটা কী করে হয়। চলেন হাঁটি।’ গাড়ি থেকে নেমে আমরা হাঁটা শুরু করলাম। পেছনে পুলিশ ভাই। ১০ মিনিট হেঁটে অনুষ্ঠানস্থলে যখন পৌঁছলাম তখন সবাই অবাক। এ রকম দায়িত্ববান মানুষের হাতে উপাচার্যের দায়িত্ব গেলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চেহারাই পাল্টে যেত। প্রকৃত শিক্ষকের এ অনাগ্রহে উপাচার্য পদটি চাটুকার, অনুগত, ব্যক্তিত্বহীনদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। (অবশ্য সব উপাচার্যের জন্য এটি প্রযোজ্য নয়। দু-একজন গুণী শিক্ষকও উপাচার্য হচ্ছেন। কিন্তু তাঁদের সংখ্যা খুবই কম)। আবার অনেক গুণী, প্রতিভাবান শিক্ষক দেশেই থাকেন না। চাকরি ছেড়ে চলে যান। জাফর ইকবাল স্যার যেমন বিজ্ঞ, বিপুল টাকার হাতছানি উপেক্ষা করে দেশে ফিরে এসেছেন। চাকরি নিয়েছেন, ঢাকা থেকে বহুদূরে। সবাই তো আর সে রকম ঝুঁকি নেন না।

আমার বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে ১৪ দিনের মাথায় টিএসসি গেছি। ঢুকতেই দেখলাম চমৎকার হাতের লেখা একটি পোস্টার। খান মোহাম্মদ ফারাবী বিতর্ক প্রতিযোগিতা। আয়োজক সংস্কৃতি সংসদ। কিছু না বুঝেই ফরম নিয়ে ফিলাপ করে জমা দিলাম। বিতর্কের দিন দেখলাম বিচারক আলী রীয়াজ, মাহাবুব মোকাদ্দেম আকাশ। বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ডাকসাইটে বিতার্কিকের ভিড়ে আমি এক পিচ্চি। বিরূপাক্ষ পাল যথারীতি প্রথম হলেন। আমি দ্বিতীয়। সেখানেই পরিচয় হলো আলী রীয়াজ স্যারের সঙ্গে। আমার বিতর্কের প্রশংসা করলেন। তাঁর ডিপার্টমেন্টে যেতে বললেন। মুহূর্তেই আপন করে নিলেন। এরপর কবে কীভাবে রীয়াজ ভাই হয়ে গেলেন তিনি, নিজেও জানি না। আলী রীয়াজের সঙ্গে সখ্যের সূত্রেই গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে যাওয়া-আসা শুরু হলো। আলী রীয়াজ, সুব্রত শংকর ধর আর আনিসুজ্জামান তিন তরুণ প্রভাষক বসতেন কোনার এক রুমে। তিনজন যেন টগবগে দীপ্ত তারুণ্যে। আমার মনে হতো এরা কেউ একদিন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হবেন। তখন বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, সঙ্গে সংস্কৃতিচর্চার এক উৎসব। বটতলায় ছাত্রনেতাদের বক্তৃতা মুগ্ধ হয়ে শুনতাম। মেজবাহ কামাল ছাত্রমৈত্রী করেন। সদ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হয়েছেন। আলী রীয়াজ বাসদ ছাত্রলীগের নেতা। ডাকসুর সাহিত্য সম্পাদক। সদ্য শিক্ষক। এম এম আকাশ ছাত্র ইউনিয়নের নেতা। সদ্য অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক। ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আশা সোনালি প্রজন্মের এসব মেধাবী কেউ উপাচার্য হননি। আলী রীয়াজ এখন মার্কিন মুলুকে অধ্যাপনা করেন। সুব্রত দা বিশ্বব্যাংকের বড় কর্তা। আনিস ভাই ট্র্যাজেডির এক করুণ অধ্যায় রচনা করে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। অন্য মেধাবীরা দায়িত্ব থেকে সযতেœ নিজেদের নিরাপদ দূরত্বে রেখেছেন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার দৌড়ে দলীয় লেজুড়রাই রাজত্ব করেন। ক্ষমতাসীন দলেও যাঁরা ব্যক্তিত্ববান, প্রতিবাদী, নীতিমান তাঁরাও উপাচার্য পদটি ঝামেলা মনে করেন। ড. আবুল বারকাত, কিংবা ড. সাদেকা হালিম, ড. মিজানুর রহমানের মতো সরকার সমর্থক শিক্ষকেরও উপাচার্য পদে নিয়োগ দিতে সরকারের অজানা শঙ্কায় বুক কাঁপে! আমার বিবেচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী সম্ভবত শেষ মেরুদন্ডসম্পন্ন উপাচার্য। যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ সবার ওপরে স্থান দিতেন। যিনি শিক্ষক-শিক্ষার্থী নিয়ে একটা শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছিলেন। তিনি কখনো শিক্ষামন্ত্রী বা শিক্ষা সচিবের পিএসের রুমে নতজানু হয়ে বসে থাকেননি। দলীয় বিবেচনায়ও যে ভালো, উপযুক্ত এবং দক্ষ উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া যায়, তার সর্বশেষ প্রমাণ অধ্যাপক চৌধুরী। এখন যাঁরা উপাচার্য হিসেবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ পান তাঁদের কাউকে কাউকে দেখে আমার আহমদ ছফার ‘গাভী বিত্তান্ত’ উপন্যাসের কথা মনে পড়ে। আহমদ ছফার এ উপন্যাসের প্রথম লাইনটা এ রকম- ‘আবু জুনায়েদের উপাচার্য পদে নিয়োগ প্রাপ্তির ঘটনাটি প্রমাণ করে দিল আমাদের এই যুগেও আশ্চর্য ঘটনা ঘটে।’... হঠাৎ হঠাৎ উপাচার্য পদে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়, তার নাম শুনে মনের অজান্তেই ওই বাক্যটি বেরিয়ে আসে। আমার মাথায় দ্বিতীয় যে প্রশ্নটি ঘুরপাক খাচ্ছে তা হলো, বিতর্কিত হওয়ার পরও উপাচার্যরা পদত্যাগ করেন না কেন? ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা ধিকৃত, নিন্দিত হওয়ার পরও কেন পদ আঁকড়ে রাখার মরিয়া চেষ্টা করেন তাঁরা?

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের আগেই পদত্যাগ করেছিলেন অধ্যাপক ফজলুল হালিম চৌধুরী। সামরিক সরকার তাঁর অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঢুকিয়েছিল। নির্ভীক এই মানুষটি অভিভাবক হিসেবে এ ঘটনা মেনে নিতে পারেননি। আর এখন উপাচার্যরা নিজেদের চেয়ার রক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের পুলিশ দিয়ে পেটান! কী ভয়াবহ। অধ্যাপক শামসুল হকের বাসভবনে হামলা চালিয়েছিল ছাত্রদলের ক্যাডাররা। উপাচার্য ভবনে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। স্যার সে সময় ছিলেন না। ফিরে এসে পদত্যাগে সময় নেননি। আর এখন দেখি উপাচার্যরা শিক্ষার্থীদের সাত দিন অনশনের পরও চেয়ার আঁকড়ে থাকেন। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দলকানা, চাটুকার, অযোগ্য হলে তা ক্ষমতাসীনদের জন্যই বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আমি বুঝি না সরকার কেন এসব লোভাতুর উদ্বাস্তুর ভার নিজের কাঁধে তুলে নেয়। উপাচার্য পদটিকে কেন অনুগতদের পুনর্বাসন কেন্দ্র বানানো হয়। তার চেয়ে যদি ‘গাভী বিত্তান্ত’র উপাচার্য আবু জুনায়েদের মতো এদের একটি করে গাভী কিনে দেওয়া হতো, তাহলে হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রক্ষা পেত।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।


বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
চেনা যায় সহজেই
চেনা যায় সহজেই
সর্বশেষ খবর
চট্টগ্রামে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সাইকেল র‍্যালি
চট্টগ্রামে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সাইকেল র‍্যালি

১৬ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জনতার হাতে আটক যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ
জনতার হাতে আটক যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ

২৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১
পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হবে মে দিবসের অঙ্গীকার : শিমুল বিশ্বাস
শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হবে মে দিবসের অঙ্গীকার : শিমুল বিশ্বাস

৩৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

ডুয়েটে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উদ্বোধন
ডুয়েটে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উদ্বোধন

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লিবিয়া থেকে কাল দেশে ফিরছেন ১৭৭ বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে কাল দেশে ফিরছেন ১৭৭ বাংলাদেশি

৩৯ মিনিট আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় অবহিতকরণ সভা
কলাপাড়ায় অবহিতকরণ সভা

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

৪১ মিনিট আগে | জাতীয়

১১ মাস পর হিলিতে ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি
১১ মাস পর হিলিতে ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বসিলা ও বেড়িবাঁধ সড়কের যানজট নিরসনে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা
বসিলা ও বেড়িবাঁধ সড়কের যানজট নিরসনে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা

৫২ মিনিট আগে | নগর জীবন

কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষার্থী আহত
কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষার্থী আহত

৫৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ
মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৩৫
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৩৫

৫৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা জানা গেল
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা জানা গেল

৫৯ মিনিট আগে | জাতীয়

সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির 
দাবিতে নীলফামারীতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ
সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির  দাবিতে নীলফামারীতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘তাণ্ডব’র শুটিং দৃশ্য
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘তাণ্ডব’র শুটিং দৃশ্য

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

'সংস্কার যেটুকু প্রয়োজন দ্রুত সেরে নির্বাচন দিন'
'সংস্কার যেটুকু প্রয়োজন দ্রুত সেরে নির্বাচন দিন'

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে মাদক কারবারি আটক
ঝিনাইদহে মাদক কারবারি আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে দিনব্যাপী কর্মশালা
বরিশালে দিনব্যাপী কর্মশালা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খাগড়াছড়িতে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা
খাগড়াছড়িতে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুন্সিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলা, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ
মুন্সিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলা, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইটনায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
ইটনায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অনলাইনে দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন শুরু ১৫ মে
অনলাইনে দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন শুরু ১৫ মে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রাক-প্রাথমিকে ১৫০০ বিদ্যালয়ে স্মার্ট টিভি-ল্যাপটপ দেবে সরকার
প্রাক-প্রাথমিকে ১৫০০ বিদ্যালয়ে স্মার্ট টিভি-ল্যাপটপ দেবে সরকার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
গোবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ
জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন
জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ
দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?
‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট
এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’
‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?
চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা
উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার
আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা
সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’
‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান
ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা
আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান
নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম
পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস
ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’
‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই
ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প
পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল
বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ
প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ

১৩ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে
চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ
মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?
আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?

১৬ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার
গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫
১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো
বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো

পেছনের পৃষ্ঠা

আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত
আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি
আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না
বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে
চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে

পেছনের পৃষ্ঠা

পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড
পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড

নগর জীবন

মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু
মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু

পেছনের পৃষ্ঠা

পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান
পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবিলা নূরের লুকোচুরি...
সাবিলা নূরের লুকোচুরি...

শোবিজ

বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না
বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না

পেছনের পৃষ্ঠা

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ
অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ

পেছনের পৃষ্ঠা

অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা
অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক
গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক

দেশগ্রাম

শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা
শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা

সম্পাদকীয়

ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই
ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই

পেছনের পৃষ্ঠা

শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা
শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা

শোবিজ

আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি
আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কে কারিনা
বিতর্কে কারিনা

শোবিজ

শ্রমিকেরাও মানুষ
শ্রমিকেরাও মানুষ

সম্পাদকীয়

মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা
মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা

মাঠে ময়দানে

চম্পা কেন দূরে
চম্পা কেন দূরে

শোবিজ

গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প
গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প

পেছনের পৃষ্ঠা

১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার
১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার

মাঠে ময়দানে

নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে
নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে

শোবিজ

কী চায় নতুন দলগুলো
কী চায় নতুন দলগুলো

প্রথম পৃষ্ঠা

মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে
মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা
নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা

মাঠে ময়দানে