শিরোনাম
প্রকাশ: ১১:০৮, শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

মন্ত্রীর চোখ যখন টাকার ঝুড়িতে

সৈয়দ বোরহান কবীর
অনলাইন ভার্সন
মন্ত্রীর চোখ যখন টাকার ঝুড়িতে

আপনার সামনে যদি কেউ টাকার ঝুড়ি নিয়ে আসে আপনি কী করবেন? সপ্তাহজুড়ে এ প্রশ্নটা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। বিভিন্ন জনকে প্রশ্নটা করলাম। প্রথমেই জিজ্ঞেস করলাম সহধর্মিণীকে। কোনো চিন্তাভাবনা না করে সরাসরি জানিয়ে দিলেন ‘জীবনেও নেব না’। একজন সফল ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি চায়ের কাপে আলতো চুমুক দিয়ে মৃদু হাসলেন। বললেন, ‘পৃথিবীতে কেউ কোনো কারণ ছাড়া টাকার ঝুড়ি দেবে না। কেউ যদি টাকার ঝুড়ি সামনে নিয়ে আসে বুঝতে হবে তার বড় কোনো মতলব আছে। প্রথমে তার মতলব বোঝার চেষ্টা করব তারপর টাকার বস্তা তাকে ফিরিয়ে দেব।’ আমার গ্রামের এক আত্মীয় মাঝেমধ্যেই ফোন করেন। খোঁজখবর নেন। আমার মাথায় যখন এ টাকার ঝুড়ি প্রশ্নটি ঘুরপাক খাচ্ছে তখন তিনি এক বিকালে ফোন করলেন। কুশলাদি জিজ্ঞেসের আগেই তাকে আচমকা প্রশ্নটা করলাম। তিনি আকস্মিকভাবে আর্তনাদ করে উঠলেন। বললেন, ‘না বাবা! জমি আমি বেচব না। আমার গ্রামে যারা জমি কেনে তারা এমন টাকার ঝোলা নিয়ে ঘোরে।’ আমার তো আক্কেলগুড়ুম! একজন রাজনৈতিক নেতা বন্ধুর মতো। প্রায়ই তার সঙ্গে দেশের রাজনীতির আবহাওয়া নিয়ে আড্ডা হয়। তাকে একই প্রশ্ন করলাম। তিনি জিবে কামড় নিয়ে বললেন, ‘ভাই! এবার মনোনয়ন বাণিজ্য হবে না। নমিনেশন এবার নেত্রী নিজে দেবেন। টাকার বস্তা কেন ট্রাকভর্তি টাকা দিলেও লাভ হবে না।’ আমি বিরক্ত এবং আশ্চর্য হলাম। বললাম টাকার সঙ্গে মনোনয়নের সম্পর্ক কী? এবার তিনি আমাকে ভেংচি কেটে বললেন, ‘এত কিছু লেখেন এটা বোঝেন না! নমিনেশন পাওয়ার চেষ্টা ছাড়া কেউ কাউকে টাকার ঝুড়ি দেয়?’ একজন রিকশাচালককে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি রীতিমতো আঁতকে উঠলেন। বললেন, ‘কন কী স্যার! ফাঁসাইয়া দিব। পুলিশ বাইন্দা নিয়া যাইব।’ একজন মন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি যেন ভূত দেখলেন। বললেন, ‘ভাই! ভুলেও এসব কথা বলবেন না। দেয়ালেরও কান আছে।’ যে কজনের সঙ্গে কথা বললাম তারা কেউ আচমকা এভাবে টাকার ঝুড়ি নিতে রাজি নন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই যে টাকার ঝুড়ির আড়ালে আসলে স্বার্থ হাসিলের ফাঁদ আছে। সবাই ভাবনা ছাড়াই ঝটপট উত্তর দিয়ে দিয়েছেন। তাহলে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এত ভাবনা কেন? ভরা মজলিসে কেন তিনি জানতে চাইলেন সামনে টাকার ঝুড়ি, তিনি কী করবেন? কেন সবকিছু বাদ দিয়ে টাকার ঝুড়িতেই মন্ত্রীর চোখ গেল? ঘটনাটি শনিবারের। সেদিন জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত হচ্ছিল নিরাপত্তা সম্মেলন। তিন দিনব্যাপী ওই সম্মেলনে শনিবার রাতে প্যানেল আলোচনার বিষয় ছিল ‘ইন্দো-প্যাসিফিকে আঞ্চলিক ব্যবস্থা ও নিরাপত্তায় বড় পরিবর্তন’। ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের এশিয়া প্যাসিফিক-বিষয়ক সিনিয়র ফেলনিন কিউক অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর ইউরোপ ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা সহযোগিতাবিষয়ক সাবকমিটির চেয়ারপারসন জিনি শাহিন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামনিয়াম জয়শঙ্কর, অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মরিস পেইন ও জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হায়াশি ইয়োশিমাখা। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন প্যানেলের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন। ইংরেজিতে করা এ প্রশ্নের বাংলা অনুবাদ করলে এ রকম দাঁড়ায়- ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে ভালো করছে। দেশের মানুষের আশা-আকাক্সক্ষাও বেড়ে গেছে। তারা আরও উন্নত জীবন এবং সুযোগ-সুবিধা ও অবকাঠামো চায়। কিন্তু বাংলাদেশের যথেষ্ট টাকা ও প্রযুক্তি নেই।’ অবকাঠামো উন্নয়নে সহযোগিতা এবং ঋণের জন্য জাপান ও ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে আরও তহবিল প্রয়োজন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক তারা অনেক জটিলতা নিয়ে আসে এবং এটি গ্রহণ করা আমাদের জন্য খুব কঠিন হয়ে যায়।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিকল্প হিসেবে টাকার ঝুড়ি নিয়ে এগিয়ে এসেছে চীন। তারা আগ্রাসী ও সাশ্রয়ী প্রস্তাব নিয়ে এসেছে। এখন বিষয় হলো আমরা কী করব।’

কূটনীতি সম্পর্কে প্রয়াত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার এক মূল্যবান বক্তব্য উপস্থাপন করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘একজন কূটনীতিকের একটি শব্দ একটি আগ্নেয়াস্ত্রের সমান। তাই প্রতিটি শব্দ চয়নের উদ্দেশ্য এবং অন্তর্নিহিত তাৎপর্য উপলব্ধি করেই উচ্চারণ করতে হবে।’ আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য হেনরি কিসিঞ্জারের মতবাদ বিশ্বাস করেন না। তিনি সবকিছু বলেন, খুললাম খুললাম। কূটনীতির ভাষা-পরিভাষার বদলে তিনি তাঁর নিজস্ব স্টাইল চালু করেছেন। একবার তিনি বললেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর মতো’। ড. মোমেনের বক্তব্য শুনে ক্ষমতাসীন দলেরই কেউ কেউ লজ্জায় মুখ লুকালেন। কেউ জিব কাটলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে কিছুদিন বেশ ট্রল হলো। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন বাংলাদেশকে গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানাল না তখন আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন এটা নাকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ঢং। এরপর গণতন্ত্র সম্মেলনে দাওয়াত না পাওয়ার এক অদ্ভুত ব্যাখ্যা দিলেন। জানালেন, অপেক্ষাকৃত দুর্বল গণতন্ত্রের দেশগুলোকেই গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। একটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন, সে দেশের প্রধান কূটনীতিক। তার প্রতিটি শব্দের মূল্য অপরিসীম। কিন্তু আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শব্দকে মূল্যহীন করেছেন। কিসিঞ্জারের ভাষ্য অনুযায়ী একজন কূটনীতিকের একটি শব্দ যদি আগ্নেয়াস্ত্রের মতো হয় তাহলে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের মতো। একবার নয়, বারবার তিনি এ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেই চলেছেন। এতে দেশের কি আদৌ কল্যাণ হচ্ছে?

চীন এখন বিশ্বে অর্থনৈতিক পরাশক্তি। এ শক্তির আড়ালে তার রাজনৈতিক অভিপ্রায় ইদানীং প্রায়ই প্রকাশিত হয়। দেশে দেশে চীনা বিনিয়োগ এখন বিশ্ববাস্তবতা। চীন যে টাকার ঝুড়ি নিয়ে ঘুরছে এ কোনো নতুন তথ্য নয়। বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় চীন যে অবদান রাখছে তা-ও কোনো গবেষণার বিষয় নয়। কিন্তু প্রশ্ন হলো, চীনের আগ্রাসী ও সাশ্রয়ী প্রস্তাব আমরা কতটা নেব। আমার কি সামনে টাকা আছে, এজন্য খুশিতে বাকবাকুম করে যথেচ্ছ খরচ করব, ঋণের ভারে দেশকে জর্জরিত করব? নাকি টেকসই উন্নয়ন নীতি গ্রহণ করব? জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু আমাদের কূটনীতির মৌলিক বৈশিষ্ট্যকে একটি বাক্যে সন্নিবেশিত করেছেন- ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়।’ যখনই এ চিন্তার ব্যতিক্রম হয়েছে তখনই বাংলাদেশ পথভ্রষ্ট হয়েছে। সস্তা রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য জিয়ার ‘ভারতবিদ্বেষ’ নীতিতে বাংলাদেশের লাভ হয়নি। বরং ভারতবিদ্বেষের আড়ালে এ দেশে ধর্মান্ধ, মৌলবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর আবাদ হয়েছে। জিয়ার পথ ধরে এরশাদও বাংলাদেশে জনগণের জন্য সুখবর আনতে পারেননি। বেগম জিয়ার শাসনামলে ভুল বিদেশনীতি বিশে^ বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রের তকমা লাগিয়েছিল। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের উত্থানে বাংলাদেশের জনগণকে সন্দেহের খাতায় নাম লিখিয়েছিল। যে জায়গা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটিয়েছেন শেখ হাসিনা। গত ১৩ বছরে বিশে^ বাংলাদেশ আলাদা এক মর্যাদার আসন পেয়েছে। বাংলাদেশি পাসপোর্ট-ধারীদের এখন আর অন্য চোখে দেখা হয় না। বাংলাদেশ একাধারে চীন ও ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে এগিয়ে গেছে। পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক রেখেও ফিলিস্তিন প্রশ্নে সোচ্চার থেকেছে। মিয়ানমারের প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ বিশে^ মানবিকতার নতুন বিজ্ঞাপন হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। কিন্তু গত দুই বছরে বাংলাদেশের কূটনীতি যেন দিগ্ভ্রষ্ট। আমরা যেন লক্ষ্যচ্যুত। আর সে কারণেই টাকার ঝুড়ি বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর লোভাতুর প্রশ্ন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী একজন জ্ঞানীগুণী মানুষ। তিনি নিশ্চয়ই জানেন চীনের টাকার ঝুড়ির লোভ কখনো কখনো কোনো দেশের জন্য ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয় আনতে পারে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন গবেষক স্যাম পার্কার ও গ্যাবরিয়েল শেফিটন লিখেছেন, ‘গত এক দশকে চীন এমন সব দেশকে শত সহস্র কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে যে দেশগুলোর তা পরিশোধের সামর্থ্য নেই।’ ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, ‘যেসব দেশ বিপুল অঙ্কের চীনা ঋণ নিয়েছে চীন সেসব দেশের ওপর প্রভাব বিস্তারে সক্ষম হয়েছে।’ যেমন ধরা যাক শ্রীলঙ্কার কথা। ঋণ শোধে অক্ষমতার কারণে শ্রীলঙ্কা সরকার হ্যামবানটোটা পোর্ট ৯৯ বছরের জন্য চীনকে ইজারা দিতে বাধ্য হয়েছে। শ্রীলঙ্কা এখন দেউলিয়াপ্রায়। বাংলাদেশ রিজার্ভ থেকে শ্রীলঙ্কাকে ধার দিয়েছে। চীনের টাকার ঝুড়ির লোভে মালদ্বীপও এখন ধুঁকছে। ২০১৭ সালে জিবুতির ঋণের বোঝা তার মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) শতভাগের কাছাকাছি পৌঁছায়। এর ফলে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে দেশটিতে চীনা নৌঘাঁটি স্থাপনের সম্মতি দেয় সে দেশের সরকার। এ রকম বহু উদাহরণ আছে। কাজেই আমাদের উন্নয়ন কৌশলে চীনমুখী আগ্রাসী ঝোঁক কতটা মঙ্গলজনক তা ভাবার সময় এসেছে। চীন যখন টাকার বস্তা নিয়ে এগিয়ে আসে বুঝতে হবে এর পেছনে নিশ্চয়ই চীনের স্বার্থ জড়িয়ে আছে এবং এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই স্বার্থ আমাদের স্বার্থের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি না তা পর্যবেক্ষণ, পর্যালোচনা করাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ। বাংলাদেশের উন্নয়ন দরকার। কিন্তু দেশের স্বার্থ বিকিয়ে নয়। বাংলাদেশের অবকাঠামো দরকার। কিন্তু তা আত্মমর্যাদা বিকিয়ে নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় দেশের স্বার্থ অগ্রাধিকার দেন। ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শেখ হাসিনাকে গ্যাস বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই একাধিক বক্তৃতায় এ তথ্য প্রকাশ করেছিলেন। শেখ হাসিনা এও বলেছিলেন, ‘গ্যাস বিক্রি করতে রাজি হইনি বলেই নির্বাচনে জিততে পারিনি।’ বঙ্গবন্ধুকন্যা ক্ষমতায় যাওয়ার চেয়ে দেশের স্বার্থ প্রাধান্য দিয়েছিলেন। এতে সাময়িকভাবে তিনি হয়তো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে তিনিই উজ্জ্বল হয়েছেন। উদ্ভাসিত হয়েছেন। যে প্রধানমন্ত্রী দেশের স্বার্থ প্রাধান্য দেন সবার ওপরে তাঁর পররাষ্ট্রমন্ত্রী একটি আন্তর্জাতিক ফোরামে এ রকম প্রশ্ন করেন কীভাবে? বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের মন্তব্যটি বিচক্ষণ, বুদ্ধিদীপ্ত ও বাস্তবসম্মত। তিনি বলেছেন, ‘কোন দেশ কার কাছ থেকে বিনিয়োগ নেবে তা দেশের স্বার্থেই বিবেচনা করা উচিত। শেষ পর্যন্ত বিনিয়োগ গ্রহণকারী দেশ কী পাচ্ছে তা জেনে শুনেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’ আমি জানি না ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দার্শনিক উপদেশের পর ড. মোমেনের টাকার ঝুড়ির মোহভঙ্গ হয়েছে কি না। নাকি তিনি জড়বাদী চার্বাক দর্শনে বিশ্বাসী। চার্বাক দর্শন বলে, ‘ঋণং কৃত্বা ঘৃতং পিবেৎ, যাবৎ জীবেৎ সুখং জীবেৎ’। অর্থাৎ ‘ঋণ করে হলেও ঘি খাও, যত দিন বাঁচ সুখে বাঁচ’। কিন্তু ঋণের পরিণাম যে ব্যক্তি এবং রাষ্ট্রের জন্যও ভয়ংকর পরিণতি বয়ে আনতে পারে তার উদাহরণ চারপাশে তাকালেই দেখা যায়। ব্যক্তির ঋণের বোঝা বইতে হয় তার উত্তরাধিকারদের। রাষ্ট্রের ঋণের বোঝা বইতে হয় জনগণকে, প্রজন্মের পর প্রজন্মকে। আমাদের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা, অবকাঠামো উন্নয়ন ইত্যাদি সবই দরকার। কিন্তু লক্ষ্য রাখতে হবে আমরা যেন ঋণের ফাঁদে না পড়ি। যেমন পড়েছে পাকিস্তান। ২০২০-২১ সালে ঋণ গ্রহণে নতুন রেকর্ড গড়েছে পাকিস্তানের ইমরান খান সরকার। পাকিস্তানের ওপর এখন ৮৫ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণের বোঝা। এক অর্থবছরেই (২০২০-২১) ইমরান খান সরকার ১৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছে। ২০১৮ সালে পাকিস্তানি মুদ্রার বিপরীতে ডলার ছিল ১২৩ টাকা ডিসেম্বরে তা হয়েছে ১৭৭ টাকা। অর্থনীতিতে দেউলিয়া প্রায় পাকিস্তান এখন বাংলাদেশের সঙ্গে সখ্য গড়তে মরিয়া। ’৭১-এর ক্ষত ভুলিয়ে দিতে ইমরান খানের কত না আয়োজন। আমাদেরও মনে রাখতে হবে উন্নয়নের রঙিন স্বপ্ন পূরণে আমাদের আগামী প্রজন্ম যেন দেউলিয়া না হয়ে যায়। ঋণ করে অট্টালিকা বানানোর চিন্তা কখনই জাতির পিতার রাষ্ট্রদর্শনে ছিল না। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন স্বনির্ভর, আত্মমর্যাদাশীল এক সোনার বাংলা বিনির্মাণ করতে। জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘আমাদের যদি কেউ কিনতে চান ভুল হবে। কেউ যদি সাহায্যের নামে আমাদের দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায় তবে ভুল হবে। আমরা শোষিত মানুষ। বহু ত্যাগ করেছি। বহু রক্ত দিয়েছি। দরকার হয় আরও দেব। কিন্তু আত্মসম্মান বিক্রি করে আমরা কারও কাছে সাহায্য চাই না।’ তাই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মিউনিখের বক্তব্য জাতির পিতার রাষ্ট্রচিন্তার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা বেড়ে গেছে এজন্য সবকিছু জলাঞ্জলি দিয়ে আমাদের টাকার বস্তার জন্য হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে এমন ভাবনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী। বরং আমরা আমাদের সম্পদগুলো বিকশিত করব, সব ক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়াব, রপ্তানি বাড়াব, তা দিয়ে উন্নত হব- এটাই স্বাধীনতার আকাক্সক্ষা। মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নের কথা না হয় বাদই দিলাম। একজন মানুষ আয়-উপার্জনে উন্নতি করছেন। তার আকাক্সক্ষা হলো বিলাসবহুল বাড়ি বানাবেন, দামি গাড়িতে চড়বেন, ছেলেমেয়েদের বিদেশে পড়াবেন। এজন্য তিনি কী করবেন? আরও কষ্ট করে উপার্জন বাড়াবেন, অপচয়ের খাতগুলো বন্ধ করবেন নাকি ঋণ করবেন? একজন ব্যক্তির জন্য যেমন এ প্রশ্নের উত্তর জরুরি, তেমনি রাষ্ট্রের জন্যও এ প্রশ্নের উত্তর জরুরি।
একজন ব্যক্তির যেমন একটি নীতি ও আদর্শ থাকে। নিজের বিলাসিতা বা উন্নত জীবনের জন্য তিনি যদি নীতি ও আদর্শ বিলিয়ে দেন তাহলে তার আর মর্যাদা থাকে না। তেমনি একটি রাষ্ট্রও কিছু মৌলিক নীতি ও আদর্শের ওপর দাঁড়ায়। সে আদর্শ ও নীতি বিসর্জন দিলে আর কিছুই অবশিষ্ট থাকে না।

বাংলাদেশ গত এক যুগে যেমন বিস্ময়কর উন্নতি করেছে, তেমনি অনেক দেশের ঈর্ষার কারণও হয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং অগ্রযাত্রায় বিশে^র সব দেশ খুশি এমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই। তা ছাড়া বিশে^ এখন স্নায়ুযুদ্ধের নতুন মেরুকরণ চলছে। নতুন করে বিভক্তি এবং উত্তাপের আঁচ আজ টের পাওয়া যায়। এ অবস্থায় বাংলাদেশের উন্নয়ন টেকসই করতে টালমাটাল বৈশি^ক রাজনীতিতে আমাদের অত্যন্ত সজাগ থাকতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে। আমরা যেন কোনো শিবিরের ব্র্যাকেটবন্দি না হই। কোনো দেশের ‘একান্ত বাধ্যগত’ না হই তা বিবেচনায় রাখতে হবে। উন্নয়নের অংশীদার হয়ে কোনো দেশ যেন নব্য কাবুলিওয়ালা হয়ে আমাদের ঘাড়ে না চাপে সেটাই এখন কূটনীতির চ্যালেঞ্জ। উন্নয়নের বেপরোয়া উন্মাদনা যেন আমাদের আত্মমর্যাদা কেড়ে না নেয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে সবার আগে। টাকার বস্তা দেখলেই আমরা যেন খুশিতে আত্মহারা না হই, বরং বস্তার পেছনের উদ্দেশ্যের অবয়বটা বোঝার চেষ্টা করি।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

 

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
সর্বশেষ খবর
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র
চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত
চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা
সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ
লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা
কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’
‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের
মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের

৭ ঘণ্টা আগে | পরবাস

মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস
লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ
ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা
জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন
টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ
কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক
ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’
‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

১৭ ঘণ্টা আগে | টক শো

মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার
মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন
গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর
মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি
ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ
শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা
বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’
চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত
গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ
রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের
আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী
ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক
স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!
বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?
কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন

নগর জীবন

পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

পেছনের পৃষ্ঠা

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি
প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি

পেছনের পৃষ্ঠা

২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি
প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি

নগর জীবন

ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে
ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে

নগর জীবন

ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত
ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত

নগর জীবন

নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ
দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি
অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি

নগর জীবন

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন
বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ
ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির

নগর জীবন

বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮
বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮

নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই

নগর জীবন

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে

নগর জীবন

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা
কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা

নগর জীবন

১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়
১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়

নগর জীবন

সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল
সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল

খবর

ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন
ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন

নগর জীবন

শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের
শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের

খবর

মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত
মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত

খবর