শিরোনাম
প্রকাশ: ০৯:৫৫, শনিবার, ১৮ জুন, ২০২২

নির্বাচন কমিশনের মেরুদন্ড ভেঙে গেল কুমিল্লায়

সৈয়দ বোরহান কবীর
অনলাইন ভার্সন
নির্বাচন কমিশনের মেরুদন্ড ভেঙে গেল কুমিল্লায়

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন ছিল নতুন নির্বাচন কমিশনের প্রথম পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় শোচনীয়ভাবে ফেল করল কমিশন। শুধু ফেল করেনি, নতুন ইসির কোমর ভেঙে গেছে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত সামান্য ভোটে জয়ী হয়েছেন। দুবারের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু পরাজিত হয়েছেন চার শর কম ভোটে। বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত আরেক প্রার্থী নিজামুল হক কায়সারও প্রায় ৩০ হাজার ভোট পেয়েছেন। বিএনপির ভোট বিভক্ত হওয়ার কারণেই যে সাক্কু পরাজিত হয়েছেন, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু যেভাবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়ী হয়েছেন তা ছিল অপ্রয়োজনীয় ও অনাকাক্সিক্ষত। কুমিল্লা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী বর্ষীয়ান নেতা আ ক ম বাহাউদ্দিন তাঁর নিজের লোককে জেতাতে অনেক কিছু করেছেন। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছেন। বিরোধীদের হাতে তুলে দিয়েছেন সমালোচনার অস্ত্র। কুমিল্লার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জেতেনি, জিতেছে একজন এমপির ব্যক্তিগত আকাক্সক্ষা। কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ছিল দীর্ঘদিন প্রকাশ্য বিভক্তি। আফজল খান আর বাহাউদ্দিন বিরোধ বহুবার আওয়ামী লীগের বড় ক্ষতি করেছে। প্রথম সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ছিলেন আফজল খান। এ সময় আওয়ামী লীগের অতি উৎসাহী এক গ্রুপ মনিরুল হক সাক্কুকে প্রায় প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছিলেন। আফজলকে হারানোর জন্যই তারা কাছে টেনে নিয়েছিলেন বিএনপির সাক্কুকে। দ্বিতীয় সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছিলেন আফজল খানের মেয়ে আঞ্জুম সুলতানা। দলীয় বিরোধে ধরাশয়ী হন নৌকার প্রার্থী। অর্থাৎ প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছে আওয়ামী লীগ নয়, নিজের প্রতিপত্তি ও প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ। এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন ১৪ জন। আফজল খানের মৃত্যুর পর বাহাউদ্দিনের প্রভাব বাড়ে কুমিল্লায় এবং আওয়ামী লীগে। এবার মনোনয়ন পান বাহাউদ্দিনের আপন লোক আরফানুল হক রিফাত। রিফাত মনোনয়ন পাওয়ার পরপরই সাক্কুকে ছুড়ে ফেলে দেন বাহাউদ্দিন। ‘মাইম্যান’কে জেতাতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। শেষ পর্যন্ত এমপির আপন লোক জিতেছেন বটে, কিন্তু তাতে আওয়ামী লীগের ক্ষতিই হয়েছে। একটি গুরুত্বহীন স্থানীয় সরকার নির্বাচন জিততে গিয়ে আগামী নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এ নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য দূরে থাকলেও আওয়ামী লীগ হয়তো জিতত। আর আওয়ামী লীগ হারলেও দেশের রাজনীতির জন্য কোনো ক্ষতিবৃদ্ধি হতো না।

হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছিল বিতর্কের মধ্য দিয়ে। এবারই প্রথম আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। কিন্তু দেশের অন্যতম বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়নি। রাষ্ট্রপতির সংলাপে যায়নি বিএনপি। সার্চ কমিটিতেও নাম জমা দেয়নি। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ‘এ নির্বাচন কমিশন সরকারের অনুগত এবং আজ্ঞাবহ হবে।’ দলটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আবার রাজনীতির মাঠে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছিল নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়া বয়কট করে। তাই এক রকম হট সিটেই বসেছিল আউয়াল কমিশন। বাংলাদেশে প্রায় সব নির্বাচন কমিশনেরই ‘বাচাল’ রোগ ছিল। নানা রকম অপ্রাসঙ্গিক, বিতর্কিত ও অনভিপ্রেত কথাবার্তা বলে প্রথমেই নির্বাচন কমিশন সাধারণ মানুষের আস্থায় চির ধরায়। নতুন নির্বাচন কমিশনারও একই পথে হাঁটলেন। শুরুতেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির মতো বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে লড়াই করার পরামর্শ দিলেন। এরপর থেকে তাঁর কথা বলেই চলেছেন। বিএনপির আস্থা অর্জনই তাঁর অতিকথনের প্রধান কারণ- এটা বুঝতে কারও কোনো কষ্ট হচ্ছে না। নিজেকে বিশুদ্ধ নিরপেক্ষ প্রমাণের জন্য ‘এবার রাতে ভোট হবে না’ বলেও জাতিকে গ্যারান্টি দিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কাছে মানুষ কথা নয়, কাজ দেখতে চায়। কাজ দিয়েই একটি কমিশনের নিরপেক্ষতা প্রমাণিত হয়। নির্বাচন কমিশনের প্রধান কাজ হলো বিভিন্ন পর্যায়ের অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন এবং সম্পন্ন করা। হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে এ কমিশনের প্রথম পরীক্ষা ছিল কুসিক নির্বাচন। নতুন সিইসিও তাঁর প্রথম পরীক্ষায় নিজেকে যোগ্য ও পক্ষপাতহীন করার যুদ্ধে নামলেন। এ নির্বাচনে বিএনপি কাগজে ছিল না, বাস্তবে ছিল। কিছুদিন ধরে বিএনপি স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড় করানোর কৌশল নিয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। ধানের শীষ শেলফে তুলে রেখে মগ, ঘড়ি, বদনা ইত্যাদি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন তাঁরা। নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনেও বিএনপি প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। কুমিল্লায় অবশ্য বিএনপির প্রার্থী একজন নন, দুজন। সাবেক মেয়র সাক্কু ছাড়াও বিএনপির আরেক নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সারও শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন। কাজেই মুখে বিএনপি যতই বলুক এ সরকারের অধীনে তারা নির্বাচনে যাবে না, বাস্তবে ছদ্মবেশে নির্বাচনের মাঠে ভালোভাবেই আছে।

কুসিক নির্বাচনের সময়ও বিএনপি মহাসচিব নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই কথা বলেছেন। জিতলে জনপ্রিয়, হারলে আমরা তো নির্বাচনই করিনি বলা বিএনপির নতুন নির্বাচনী কৌশল এখন আর গোপন নয়। নির্বাচন থেকে তারা দূরে- এটা প্রমাণের জন্য এখন দলটি বহিষ্কার নাটক মঞ্চস্থ করে। নারায়ণগঞ্জে তৈমূর আলম খন্দকারকে প্রথমে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরাজয়ের পর তাঁকে লাল কার্ড দেখিয়ে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। কুমিল্লায়ও সাক্কুকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। বাদ যাননি কায়সারও। প্রকাশ্যে বহিষ্কার করলেও বিএনপি নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হয়ে তাঁদের দুই প্রার্থীর জন্যই কাজ করেছেন। এ রকম পরিস্থিতিতে প্রথম পরীক্ষায় নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের প্রথম মনোযোগ ছিল বিএনপির আস্থা অর্জন। হাবিবুল আউয়াল যত না নির্মোহ এবং নিরপেক্ষভাবে কুমিল্লা নির্বাচন করতে চেয়েছেন তার চেয়ে বেশি বিএনপিকে খুশি করার চেষ্টা করেছেন। একজন ব্যক্তি যখন তাঁর দায়িত্বের বাইরে গিয়ে কাজ করেন তখনই বিপত্তি বাধে। নির্বাচনের প্রচারণার এক পর্যায়ে সিইসি কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিনকে এলাকা ত্যাগের নির্দেশ দেন। ওই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন বিএনপির (স্বতন্ত্র) প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু। স্থানীয় সরকার নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী মন্ত্রী, সংসদ সদস্যরা প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারেন না। এ নিয়ম ভালো না খারাপ তা নিয়ে দীর্ঘ তাত্ত্বিক বিতর্ক হতে পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগ গত ১৩ বছরে সব নির্বাচনে এ নিয়মটি মেনে আসছে। এমনকি চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের মতো স্পর্শকাতর নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা দূরে ছিলেন। হাবিবুল আউয়াল হয়তো ভেবেছিলেন একটা চিঠি দিলেই কুমিল্লার এই আলোচিত নেতা ঢাকায় চলে আসবেন। অতি উৎসাহী নতুন সিইসি কেন এভাবে চিঠি দিয়ে একজন সংসদ সদস্যকে এলাকা ত্যাগ করতে বললেন সেও এক প্রশ্ন। অবশ্য এ প্রশ্নের উত্তরটা ভাবা যায় সহজেই। এটা ছিল কাজী হাবিবুল আউয়ালের ট্রাম্পকার্ড। আ ক ম বাহাউদ্দিন যদি এটা মানতেন তাহলে নতুন নির্বাচন কমিশনের মেরুদন্ড শক্ত হতো। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে কাজী হাবিবুল আউয়ালের ইমেজ বাড়ত। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নয়, নিজেকে গ্রহণযোগ্য করতেই বাহারকে এলাকা ত্যাগের নোটিস পাঠিয়েছিল ইসি। কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনার সম্ভবত আওয়ামী লীগ নেতাদের আত্মঘাতী ইতিহাস জানতেন না। আওয়ামী লীগের এ রকম নেতার সংখ্যা কম নয়, যাঁরা দলের প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করতে দলের ক্ষতি করেন। যাঁরা কোন্দল করে দলকে দুর্বল করেন। ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারের জন্য দলের অর্জন মøান করেন। এ কুমিল্লায়ই আওয়ামী লীগের রাজনীতি সম্পর্কে চমৎকার এক মন্তব্য করেছিলেন প্রয়াত বিএনপি নেতা কর্নেল (অব.) আকবর হোসেন। তিনি বলেছিলেন, ‘বাহার আর আফজল থাকলে বিএনপির জেতার জন্য কর্মী লাগে না।’

বিএনপি বা অন্য দল আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতার বিরুদ্ধে যত না কুৎসা ছড়িয়েছে, সমালোচনা করেছে তার চেয়ে বেশি করেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা একে অন্যের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ সম্পর্কে কেউ কেউ বলেন, আওয়ামী লীগের শত্রুর দরকার নেই। নিজেরাই নিজেদের সর্বনাশের জন্য যথেষ্ট। বিভিন্ন সময় এটা প্রমাণিত হয়েছে। খুনি মোশতাক এবং তার সাঙ্গোপাঙ্গরা শুধু নিজেদের স্বার্থের কথা ভেবে জাতির পিতার হত্যা ষড়যন্ত্রে ন্যক্কারজনকভাবে লিপ্ত হয়েছিল। আবদুর রাজ্জাক নিজের আমিত্ব জাহির করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ ভেঙেছিলেন। ড. কামাল দেশ কিংবা আওয়ামী লীগের স্বার্থ চিন্তা করেননি। তাঁর ব্যক্তিস্বার্থে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল আওয়ামী লীগ। ১৯৯১-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপর্যয়ের বড় কারণ ছিল অন্তঃকলহ। সেলিনা হায়াৎ আইভীকে হারাতে গিয়ে এক নেতা তো নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগকেই হারিয়ে দিয়েছিলেন প্রায়। চাঁদপুরে আওয়ামী লীগ বিতর্কিত হচ্ছে নিজেদের কোন্দলে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ‘মাইম্যান’কে জেতাতে এমপি-নেতারা আওয়ামী লীগকেই ক্ষতবিক্ষত করেছেন। কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ দুর্বল হয়েছে দুই নেতার বিরোধে। স্থানীয় এমপি বড় মাত্রার ঝুঁকি নিয়েছেন। কুমিল্লার অধিপতি হতে গিয়ে তিনি আওয়ামী লীগকে সমস্যায় ফেলেছেন। নির্বাচন কমিশনের চিঠি পেয়ে তিনি যদি এলাকা ত্যাগ করতেন তাহলে তাঁর এবং আওয়ামী লীগের ইমেজ বাড়ত। এতে হয়তো আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ভোটও বাড়ত। সাধারণ মানুষ মনে করত আওয়ামী লীগ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু বাহাউদ্দিন নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে প্রমাণ করেছেন, ক্ষমতাসীনরা নির্বাচন কমিশনকে থোড়াই কেয়ার করে। নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা নেই। বাহাউদ্দিন যখন কমিশনকে বুড়ো আঙুল দেখালেন তখন কমিশনও ভয় পেয়ে পিছু হটল। বলল, তিনি না গেলে আমাদের কী করার আছে। বাঃ, তাহলে কেন এত হম্বিতম্বি? কেন এভাবে চিঠি দেওয়া? এ ঘটনা প্রমাণ করল কমিশন তার ক্ষমতা প্রয়োগে অক্ষম, অযোগ্য।

আমাদের বিবেচনায় কুমিল্লা সিটি নির্বাচন লেজেগোবরে হয়ে যায় এখানেই। বাহাউদ্দিন এলাকায় থেকে তাঁর কর্মীদের বার্তা দিলেন ‘যে কোনো মূল্যে আমি আমার প্রার্থীকে জেতাতে চাই।’ বাস্তবে হলোও তাই। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পর ভোট গণনায় দেখা গেল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। তারপর মারমুখী সরকারি সমর্থকদের ঝটিকা তান্ডব। অবশেষে ৩৪৩ ভোটে জয়ী ঘোষণা করা হলো আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে। নির্বাচন ঘিরে সারা দিনের সব অর্জন বালুর বাঁধের মতো ভেঙে গেল। কুমিল্লায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিজয়টা কি খুব জরুরি ছিল?

এ নির্বাচনটি হচ্ছে এমন একসময় যখন বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নানামুখী মেরুকরণ চলছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে প্রতিনিয়ত নসিহত দিচ্ছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বারবার বলছেন, ‘বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চাই।’ কুমিল্লা নির্বাচনের আগে তিনি ছুটে গেছেন নির্বাচন কমিশনে। মুরব্বির আগমনে যেন কমিশন ধন্য হয়েছে। সেখানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচনে যেন জনমতের প্রতিফলন ঘটে। জনগণের পছন্দের ব্যক্তি যেন নির্বাচিত হয়।’ শুধু যুক্তরাষ্ট্র কেন, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এখন থেকেই খোলামেলা কথাবার্তা বলছে। এসব বলছে কারণ বিএনপি বিরামহীনভাবে তাদের কাছে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। বিএনপি বর্তমান সরকার এবং এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে দাবি করছে। কুমিল্লার নির্বাচন বিএনপির এ দাবিকে কি নতুন প্রাণশক্তি দিল না? এ নির্বাচনের আকস্মিক ফলাফলের পর আওয়ামী লীগের কারও মুখে হাসি নেই। তারা বলছেন, ক্ষতি হয়ে গেল। আওয়ামী লীগের এক নেতাকে জিজ্ঞেস করলাম, তাহলে কি আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত হারলে ভালো হতো? অমনি ওই নেতা বললেন, এসব না করলেও আওয়ামী লীগ প্রার্থী জিততেন। নির্বাচন এবং ইসিকে প্রশ্নবিদ্ধ না করেও যে জয়ী হওয়া যায় নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন ছিল তার প্রমাণ। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন একটি অনবদ্য নির্বাচনী কৌশলের মাধ্যমে। ঢাকা থেকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের নেতৃত্বে একটি নির্বাচন পরিচালনা টিম পাঠানো হয়েছিল। যে টিম নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের কোন্দল বন্ধ করেছিল কঠোরভাবে। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগই যে অপ্রতিরোধ্য তা প্রমাণ করেছিল। ওই নেতার কথায় নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনের সঙ্গে কুমিল্লা নির্বাচন মেলালাম। শুধু নারায়ণগঞ্জ কেন, বিভিন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয়ভাবে টিম করে দিয়েছে। সে টিম কাজ করেছে। কুমিল্লায় কেন্দ্রীয় টিম কোথায়? কয়েক জায়গায় ফোন করে জানলাম আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো টিম করেনি। কারণ কী? বাহাউদ্দিন চাননি। তিনি নিজেই সব দায়িত্ব নিয়ে কুমিল্লা দখলের নীলনকশা করেছিলেন। তাঁর অভিলাষ তিনি বাস্তবায়ন করেছেন আওয়ামী লীগের ঘাড়ে সওয়ার হয়ে। এই নেতাই কিছুদিন আগে কুমিল্লা বিভাগ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর সঙ্গে প্রায় তর্ক জুড়ে দিয়েছিলেন। আঞ্চলিকতাকে উসকে দিয়ে কুমিল্লাবাসীর কাছে হিরো সাজার চেষ্টা ছিল তাঁর ওই অযাচিত বিতর্কে। প্রধানমন্ত্রী সেদিন চরম ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন। কেউ কেউ বাহারকে বাহবা দিয়েছেন। অথচ বাহাউদ্দিনের মতো একজন প্রবীণ নেতা একবারের জন্যও ভাবেননি শেখ হাসিনা না থাকলে বাংলাদেশের কিছুই থাকে না। কুমিল্লা নির্বাচনে আওয়ামী লীগকেও ছোট করা হয়েছে। এর ফলে নির্বাচন কমিশনের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। অনেকেই বলছেন, যে নির্বাচন কমিশন একজন সংসদ সদস্যকেই সামাল দিতে পারে না সে কমিশন জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ সংসদ সদস্যকে সামলাবে কীভাবে? এ প্রশ্নের উত্তর কী দেবেন ব্যক্তিস্বার্থে দলকে প্রশ্নবিদ্ধ করা অর্বাচীন নেতারা?

এ কুমিল্লায়ই রাজনীতি করতেন খুনি মোশতাক, খুনি তাহের উদ্দিন ঠাকুর। ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে এ কুমিল্লায়ই ভোটকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল খুনি মোশতাক। ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আওয়ামী লীগের জয় নিয়ে কোনো সংশয় নেই কারও, কিন্তু কুমিল্লা-৯ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী খুনি মোশতাকের ভরাডুবি হলো। ইঞ্জিনিয়ার আবদুর রশীদ নামে এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে তিনি হারছিলেন। এ সময় হেলিকপ্টারে করে ব্যালট ঢাকায় নিয়ে আসা হলো। খুনি মোশতাককে বিজয়ী ঘোষণা করা হলো। ব্যক্তিস্বার্থে দলকে ব্যবহারের পরিণতি কখনো শুভ হয় না। নিজের স্বার্থে যারা দলকে ব্যবহার করে তারা দলের জন্য ক্ষতিকর।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

 

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
চেনা যায় সহজেই
চেনা যায় সহজেই
সর্বশেষ খবর
পদোন্নতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিসিএস হেলথ ফোরামের অবস্থান কর্মসূচি
পদোন্নতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিসিএস হেলথ ফোরামের অবস্থান কর্মসূচি

৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

চট্টগ্রামে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সাইকেল র‍্যালি
চট্টগ্রামে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সাইকেল র‍্যালি

৩৪ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জনতার হাতে আটক যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ
জনতার হাতে আটক যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১
পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১

৫০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হবে মে দিবসের অঙ্গীকার : শিমুল বিশ্বাস
শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হবে মে দিবসের অঙ্গীকার : শিমুল বিশ্বাস

৫৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

ডুয়েটে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উদ্বোধন
ডুয়েটে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উদ্বোধন

৫৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লিবিয়া থেকে কাল দেশে ফিরছেন ১৭৭ বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে কাল দেশে ফিরছেন ১৭৭ বাংলাদেশি

৫৭ মিনিট আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় অবহিতকরণ সভা
কলাপাড়ায় অবহিতকরণ সভা

৫৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

৫৯ মিনিট আগে | জাতীয়

১১ মাস পর হিলিতে ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি
১১ মাস পর হিলিতে ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বসিলা ও বেড়িবাঁধ সড়কের যানজট নিরসনে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা
বসিলা ও বেড়িবাঁধ সড়কের যানজট নিরসনে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষার্থী আহত
কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষার্থী আহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ
মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৩৫
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৩৫

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা জানা গেল
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা জানা গেল

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির 
দাবিতে নীলফামারীতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ
সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির  দাবিতে নীলফামারীতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘তাণ্ডব’র শুটিং দৃশ্য
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘তাণ্ডব’র শুটিং দৃশ্য

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

'সংস্কার যেটুকু প্রয়োজন দ্রুত সেরে নির্বাচন দিন'
'সংস্কার যেটুকু প্রয়োজন দ্রুত সেরে নির্বাচন দিন'

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে মাদক কারবারি আটক
ঝিনাইদহে মাদক কারবারি আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে দিনব্যাপী কর্মশালা
বরিশালে দিনব্যাপী কর্মশালা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খাগড়াছড়িতে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা
খাগড়াছড়িতে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুন্সিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলা, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ
মুন্সিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলা, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইটনায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
ইটনায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অনলাইনে দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন শুরু ১৫ মে
অনলাইনে দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন শুরু ১৫ মে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রাক-প্রাথমিকে ১৫০০ বিদ্যালয়ে স্মার্ট টিভি-ল্যাপটপ দেবে সরকার
প্রাক-প্রাথমিকে ১৫০০ বিদ্যালয়ে স্মার্ট টিভি-ল্যাপটপ দেবে সরকার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
গোবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ
জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন
জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?
‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট
এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’
‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?
চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা
উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার
আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা
সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান
ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’
‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা
আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান
নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম
পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস
ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’
‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই
ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প
পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল
বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ
প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ

১৩ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে
চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ
মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?
আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?

১৬ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার
গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫
১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো
বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো

পেছনের পৃষ্ঠা

আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত
আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি
আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না
বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে
চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে

পেছনের পৃষ্ঠা

পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড
পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড

নগর জীবন

মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু
মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু

পেছনের পৃষ্ঠা

পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান
পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবিলা নূরের লুকোচুরি...
সাবিলা নূরের লুকোচুরি...

শোবিজ

বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না
বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না

পেছনের পৃষ্ঠা

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ
অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ

পেছনের পৃষ্ঠা

অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা
অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক
গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক

দেশগ্রাম

শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা
শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা

সম্পাদকীয়

ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই
ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই

পেছনের পৃষ্ঠা

শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা
শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা

শোবিজ

আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি
আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কে কারিনা
বিতর্কে কারিনা

শোবিজ

শ্রমিকেরাও মানুষ
শ্রমিকেরাও মানুষ

সম্পাদকীয়

মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা
মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা

মাঠে ময়দানে

চম্পা কেন দূরে
চম্পা কেন দূরে

শোবিজ

গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প
গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প

পেছনের পৃষ্ঠা

১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার
১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার

মাঠে ময়দানে

নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে
নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে

শোবিজ

কী চায় নতুন দলগুলো
কী চায় নতুন দলগুলো

প্রথম পৃষ্ঠা

মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে
মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা
নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা

মাঠে ময়দানে