শিরোনাম
প্রকাশ: ০৯:৫৫, শনিবার, ১৮ জুন, ২০২২

নির্বাচন কমিশনের মেরুদন্ড ভেঙে গেল কুমিল্লায়

সৈয়দ বোরহান কবীর
অনলাইন ভার্সন
নির্বাচন কমিশনের মেরুদন্ড ভেঙে গেল কুমিল্লায়

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন ছিল নতুন নির্বাচন কমিশনের প্রথম পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় শোচনীয়ভাবে ফেল করল কমিশন। শুধু ফেল করেনি, নতুন ইসির কোমর ভেঙে গেছে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত সামান্য ভোটে জয়ী হয়েছেন। দুবারের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু পরাজিত হয়েছেন চার শর কম ভোটে। বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত আরেক প্রার্থী নিজামুল হক কায়সারও প্রায় ৩০ হাজার ভোট পেয়েছেন। বিএনপির ভোট বিভক্ত হওয়ার কারণেই যে সাক্কু পরাজিত হয়েছেন, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু যেভাবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়ী হয়েছেন তা ছিল অপ্রয়োজনীয় ও অনাকাক্সিক্ষত। কুমিল্লা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী বর্ষীয়ান নেতা আ ক ম বাহাউদ্দিন তাঁর নিজের লোককে জেতাতে অনেক কিছু করেছেন। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছেন। বিরোধীদের হাতে তুলে দিয়েছেন সমালোচনার অস্ত্র। কুমিল্লার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জেতেনি, জিতেছে একজন এমপির ব্যক্তিগত আকাক্সক্ষা। কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ছিল দীর্ঘদিন প্রকাশ্য বিভক্তি। আফজল খান আর বাহাউদ্দিন বিরোধ বহুবার আওয়ামী লীগের বড় ক্ষতি করেছে। প্রথম সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ছিলেন আফজল খান। এ সময় আওয়ামী লীগের অতি উৎসাহী এক গ্রুপ মনিরুল হক সাক্কুকে প্রায় প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছিলেন। আফজলকে হারানোর জন্যই তারা কাছে টেনে নিয়েছিলেন বিএনপির সাক্কুকে। দ্বিতীয় সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছিলেন আফজল খানের মেয়ে আঞ্জুম সুলতানা। দলীয় বিরোধে ধরাশয়ী হন নৌকার প্রার্থী। অর্থাৎ প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছে আওয়ামী লীগ নয়, নিজের প্রতিপত্তি ও প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ। এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন ১৪ জন। আফজল খানের মৃত্যুর পর বাহাউদ্দিনের প্রভাব বাড়ে কুমিল্লায় এবং আওয়ামী লীগে। এবার মনোনয়ন পান বাহাউদ্দিনের আপন লোক আরফানুল হক রিফাত। রিফাত মনোনয়ন পাওয়ার পরপরই সাক্কুকে ছুড়ে ফেলে দেন বাহাউদ্দিন। ‘মাইম্যান’কে জেতাতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। শেষ পর্যন্ত এমপির আপন লোক জিতেছেন বটে, কিন্তু তাতে আওয়ামী লীগের ক্ষতিই হয়েছে। একটি গুরুত্বহীন স্থানীয় সরকার নির্বাচন জিততে গিয়ে আগামী নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এ নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য দূরে থাকলেও আওয়ামী লীগ হয়তো জিতত। আর আওয়ামী লীগ হারলেও দেশের রাজনীতির জন্য কোনো ক্ষতিবৃদ্ধি হতো না।

হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছিল বিতর্কের মধ্য দিয়ে। এবারই প্রথম আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। কিন্তু দেশের অন্যতম বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়নি। রাষ্ট্রপতির সংলাপে যায়নি বিএনপি। সার্চ কমিটিতেও নাম জমা দেয়নি। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ‘এ নির্বাচন কমিশন সরকারের অনুগত এবং আজ্ঞাবহ হবে।’ দলটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আবার রাজনীতির মাঠে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছিল নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়া বয়কট করে। তাই এক রকম হট সিটেই বসেছিল আউয়াল কমিশন। বাংলাদেশে প্রায় সব নির্বাচন কমিশনেরই ‘বাচাল’ রোগ ছিল। নানা রকম অপ্রাসঙ্গিক, বিতর্কিত ও অনভিপ্রেত কথাবার্তা বলে প্রথমেই নির্বাচন কমিশন সাধারণ মানুষের আস্থায় চির ধরায়। নতুন নির্বাচন কমিশনারও একই পথে হাঁটলেন। শুরুতেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির মতো বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে লড়াই করার পরামর্শ দিলেন। এরপর থেকে তাঁর কথা বলেই চলেছেন। বিএনপির আস্থা অর্জনই তাঁর অতিকথনের প্রধান কারণ- এটা বুঝতে কারও কোনো কষ্ট হচ্ছে না। নিজেকে বিশুদ্ধ নিরপেক্ষ প্রমাণের জন্য ‘এবার রাতে ভোট হবে না’ বলেও জাতিকে গ্যারান্টি দিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কাছে মানুষ কথা নয়, কাজ দেখতে চায়। কাজ দিয়েই একটি কমিশনের নিরপেক্ষতা প্রমাণিত হয়। নির্বাচন কমিশনের প্রধান কাজ হলো বিভিন্ন পর্যায়ের অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন এবং সম্পন্ন করা। হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে এ কমিশনের প্রথম পরীক্ষা ছিল কুসিক নির্বাচন। নতুন সিইসিও তাঁর প্রথম পরীক্ষায় নিজেকে যোগ্য ও পক্ষপাতহীন করার যুদ্ধে নামলেন। এ নির্বাচনে বিএনপি কাগজে ছিল না, বাস্তবে ছিল। কিছুদিন ধরে বিএনপি স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড় করানোর কৌশল নিয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। ধানের শীষ শেলফে তুলে রেখে মগ, ঘড়ি, বদনা ইত্যাদি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন তাঁরা। নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনেও বিএনপি প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। কুমিল্লায় অবশ্য বিএনপির প্রার্থী একজন নন, দুজন। সাবেক মেয়র সাক্কু ছাড়াও বিএনপির আরেক নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সারও শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন। কাজেই মুখে বিএনপি যতই বলুক এ সরকারের অধীনে তারা নির্বাচনে যাবে না, বাস্তবে ছদ্মবেশে নির্বাচনের মাঠে ভালোভাবেই আছে।

কুসিক নির্বাচনের সময়ও বিএনপি মহাসচিব নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই কথা বলেছেন। জিতলে জনপ্রিয়, হারলে আমরা তো নির্বাচনই করিনি বলা বিএনপির নতুন নির্বাচনী কৌশল এখন আর গোপন নয়। নির্বাচন থেকে তারা দূরে- এটা প্রমাণের জন্য এখন দলটি বহিষ্কার নাটক মঞ্চস্থ করে। নারায়ণগঞ্জে তৈমূর আলম খন্দকারকে প্রথমে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরাজয়ের পর তাঁকে লাল কার্ড দেখিয়ে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। কুমিল্লায়ও সাক্কুকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। বাদ যাননি কায়সারও। প্রকাশ্যে বহিষ্কার করলেও বিএনপি নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হয়ে তাঁদের দুই প্রার্থীর জন্যই কাজ করেছেন। এ রকম পরিস্থিতিতে প্রথম পরীক্ষায় নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের প্রথম মনোযোগ ছিল বিএনপির আস্থা অর্জন। হাবিবুল আউয়াল যত না নির্মোহ এবং নিরপেক্ষভাবে কুমিল্লা নির্বাচন করতে চেয়েছেন তার চেয়ে বেশি বিএনপিকে খুশি করার চেষ্টা করেছেন। একজন ব্যক্তি যখন তাঁর দায়িত্বের বাইরে গিয়ে কাজ করেন তখনই বিপত্তি বাধে। নির্বাচনের প্রচারণার এক পর্যায়ে সিইসি কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিনকে এলাকা ত্যাগের নির্দেশ দেন। ওই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন বিএনপির (স্বতন্ত্র) প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু। স্থানীয় সরকার নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী মন্ত্রী, সংসদ সদস্যরা প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারেন না। এ নিয়ম ভালো না খারাপ তা নিয়ে দীর্ঘ তাত্ত্বিক বিতর্ক হতে পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগ গত ১৩ বছরে সব নির্বাচনে এ নিয়মটি মেনে আসছে। এমনকি চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের মতো স্পর্শকাতর নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা দূরে ছিলেন। হাবিবুল আউয়াল হয়তো ভেবেছিলেন একটা চিঠি দিলেই কুমিল্লার এই আলোচিত নেতা ঢাকায় চলে আসবেন। অতি উৎসাহী নতুন সিইসি কেন এভাবে চিঠি দিয়ে একজন সংসদ সদস্যকে এলাকা ত্যাগ করতে বললেন সেও এক প্রশ্ন। অবশ্য এ প্রশ্নের উত্তরটা ভাবা যায় সহজেই। এটা ছিল কাজী হাবিবুল আউয়ালের ট্রাম্পকার্ড। আ ক ম বাহাউদ্দিন যদি এটা মানতেন তাহলে নতুন নির্বাচন কমিশনের মেরুদন্ড শক্ত হতো। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে কাজী হাবিবুল আউয়ালের ইমেজ বাড়ত। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নয়, নিজেকে গ্রহণযোগ্য করতেই বাহারকে এলাকা ত্যাগের নোটিস পাঠিয়েছিল ইসি। কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনার সম্ভবত আওয়ামী লীগ নেতাদের আত্মঘাতী ইতিহাস জানতেন না। আওয়ামী লীগের এ রকম নেতার সংখ্যা কম নয়, যাঁরা দলের প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করতে দলের ক্ষতি করেন। যাঁরা কোন্দল করে দলকে দুর্বল করেন। ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারের জন্য দলের অর্জন মøান করেন। এ কুমিল্লায়ই আওয়ামী লীগের রাজনীতি সম্পর্কে চমৎকার এক মন্তব্য করেছিলেন প্রয়াত বিএনপি নেতা কর্নেল (অব.) আকবর হোসেন। তিনি বলেছিলেন, ‘বাহার আর আফজল থাকলে বিএনপির জেতার জন্য কর্মী লাগে না।’

বিএনপি বা অন্য দল আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতার বিরুদ্ধে যত না কুৎসা ছড়িয়েছে, সমালোচনা করেছে তার চেয়ে বেশি করেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা একে অন্যের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ সম্পর্কে কেউ কেউ বলেন, আওয়ামী লীগের শত্রুর দরকার নেই। নিজেরাই নিজেদের সর্বনাশের জন্য যথেষ্ট। বিভিন্ন সময় এটা প্রমাণিত হয়েছে। খুনি মোশতাক এবং তার সাঙ্গোপাঙ্গরা শুধু নিজেদের স্বার্থের কথা ভেবে জাতির পিতার হত্যা ষড়যন্ত্রে ন্যক্কারজনকভাবে লিপ্ত হয়েছিল। আবদুর রাজ্জাক নিজের আমিত্ব জাহির করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ ভেঙেছিলেন। ড. কামাল দেশ কিংবা আওয়ামী লীগের স্বার্থ চিন্তা করেননি। তাঁর ব্যক্তিস্বার্থে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল আওয়ামী লীগ। ১৯৯১-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপর্যয়ের বড় কারণ ছিল অন্তঃকলহ। সেলিনা হায়াৎ আইভীকে হারাতে গিয়ে এক নেতা তো নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগকেই হারিয়ে দিয়েছিলেন প্রায়। চাঁদপুরে আওয়ামী লীগ বিতর্কিত হচ্ছে নিজেদের কোন্দলে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ‘মাইম্যান’কে জেতাতে এমপি-নেতারা আওয়ামী লীগকেই ক্ষতবিক্ষত করেছেন। কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ দুর্বল হয়েছে দুই নেতার বিরোধে। স্থানীয় এমপি বড় মাত্রার ঝুঁকি নিয়েছেন। কুমিল্লার অধিপতি হতে গিয়ে তিনি আওয়ামী লীগকে সমস্যায় ফেলেছেন। নির্বাচন কমিশনের চিঠি পেয়ে তিনি যদি এলাকা ত্যাগ করতেন তাহলে তাঁর এবং আওয়ামী লীগের ইমেজ বাড়ত। এতে হয়তো আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ভোটও বাড়ত। সাধারণ মানুষ মনে করত আওয়ামী লীগ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু বাহাউদ্দিন নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে প্রমাণ করেছেন, ক্ষমতাসীনরা নির্বাচন কমিশনকে থোড়াই কেয়ার করে। নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা নেই। বাহাউদ্দিন যখন কমিশনকে বুড়ো আঙুল দেখালেন তখন কমিশনও ভয় পেয়ে পিছু হটল। বলল, তিনি না গেলে আমাদের কী করার আছে। বাঃ, তাহলে কেন এত হম্বিতম্বি? কেন এভাবে চিঠি দেওয়া? এ ঘটনা প্রমাণ করল কমিশন তার ক্ষমতা প্রয়োগে অক্ষম, অযোগ্য।

আমাদের বিবেচনায় কুমিল্লা সিটি নির্বাচন লেজেগোবরে হয়ে যায় এখানেই। বাহাউদ্দিন এলাকায় থেকে তাঁর কর্মীদের বার্তা দিলেন ‘যে কোনো মূল্যে আমি আমার প্রার্থীকে জেতাতে চাই।’ বাস্তবে হলোও তাই। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পর ভোট গণনায় দেখা গেল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। তারপর মারমুখী সরকারি সমর্থকদের ঝটিকা তান্ডব। অবশেষে ৩৪৩ ভোটে জয়ী ঘোষণা করা হলো আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে। নির্বাচন ঘিরে সারা দিনের সব অর্জন বালুর বাঁধের মতো ভেঙে গেল। কুমিল্লায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিজয়টা কি খুব জরুরি ছিল?

এ নির্বাচনটি হচ্ছে এমন একসময় যখন বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নানামুখী মেরুকরণ চলছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে প্রতিনিয়ত নসিহত দিচ্ছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বারবার বলছেন, ‘বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চাই।’ কুমিল্লা নির্বাচনের আগে তিনি ছুটে গেছেন নির্বাচন কমিশনে। মুরব্বির আগমনে যেন কমিশন ধন্য হয়েছে। সেখানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচনে যেন জনমতের প্রতিফলন ঘটে। জনগণের পছন্দের ব্যক্তি যেন নির্বাচিত হয়।’ শুধু যুক্তরাষ্ট্র কেন, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এখন থেকেই খোলামেলা কথাবার্তা বলছে। এসব বলছে কারণ বিএনপি বিরামহীনভাবে তাদের কাছে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। বিএনপি বর্তমান সরকার এবং এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে দাবি করছে। কুমিল্লার নির্বাচন বিএনপির এ দাবিকে কি নতুন প্রাণশক্তি দিল না? এ নির্বাচনের আকস্মিক ফলাফলের পর আওয়ামী লীগের কারও মুখে হাসি নেই। তারা বলছেন, ক্ষতি হয়ে গেল। আওয়ামী লীগের এক নেতাকে জিজ্ঞেস করলাম, তাহলে কি আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত হারলে ভালো হতো? অমনি ওই নেতা বললেন, এসব না করলেও আওয়ামী লীগ প্রার্থী জিততেন। নির্বাচন এবং ইসিকে প্রশ্নবিদ্ধ না করেও যে জয়ী হওয়া যায় নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন ছিল তার প্রমাণ। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন একটি অনবদ্য নির্বাচনী কৌশলের মাধ্যমে। ঢাকা থেকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের নেতৃত্বে একটি নির্বাচন পরিচালনা টিম পাঠানো হয়েছিল। যে টিম নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের কোন্দল বন্ধ করেছিল কঠোরভাবে। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগই যে অপ্রতিরোধ্য তা প্রমাণ করেছিল। ওই নেতার কথায় নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনের সঙ্গে কুমিল্লা নির্বাচন মেলালাম। শুধু নারায়ণগঞ্জ কেন, বিভিন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয়ভাবে টিম করে দিয়েছে। সে টিম কাজ করেছে। কুমিল্লায় কেন্দ্রীয় টিম কোথায়? কয়েক জায়গায় ফোন করে জানলাম আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো টিম করেনি। কারণ কী? বাহাউদ্দিন চাননি। তিনি নিজেই সব দায়িত্ব নিয়ে কুমিল্লা দখলের নীলনকশা করেছিলেন। তাঁর অভিলাষ তিনি বাস্তবায়ন করেছেন আওয়ামী লীগের ঘাড়ে সওয়ার হয়ে। এই নেতাই কিছুদিন আগে কুমিল্লা বিভাগ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর সঙ্গে প্রায় তর্ক জুড়ে দিয়েছিলেন। আঞ্চলিকতাকে উসকে দিয়ে কুমিল্লাবাসীর কাছে হিরো সাজার চেষ্টা ছিল তাঁর ওই অযাচিত বিতর্কে। প্রধানমন্ত্রী সেদিন চরম ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন। কেউ কেউ বাহারকে বাহবা দিয়েছেন। অথচ বাহাউদ্দিনের মতো একজন প্রবীণ নেতা একবারের জন্যও ভাবেননি শেখ হাসিনা না থাকলে বাংলাদেশের কিছুই থাকে না। কুমিল্লা নির্বাচনে আওয়ামী লীগকেও ছোট করা হয়েছে। এর ফলে নির্বাচন কমিশনের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। অনেকেই বলছেন, যে নির্বাচন কমিশন একজন সংসদ সদস্যকেই সামাল দিতে পারে না সে কমিশন জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ সংসদ সদস্যকে সামলাবে কীভাবে? এ প্রশ্নের উত্তর কী দেবেন ব্যক্তিস্বার্থে দলকে প্রশ্নবিদ্ধ করা অর্বাচীন নেতারা?

এ কুমিল্লায়ই রাজনীতি করতেন খুনি মোশতাক, খুনি তাহের উদ্দিন ঠাকুর। ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে এ কুমিল্লায়ই ভোটকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল খুনি মোশতাক। ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আওয়ামী লীগের জয় নিয়ে কোনো সংশয় নেই কারও, কিন্তু কুমিল্লা-৯ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী খুনি মোশতাকের ভরাডুবি হলো। ইঞ্জিনিয়ার আবদুর রশীদ নামে এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে তিনি হারছিলেন। এ সময় হেলিকপ্টারে করে ব্যালট ঢাকায় নিয়ে আসা হলো। খুনি মোশতাককে বিজয়ী ঘোষণা করা হলো। ব্যক্তিস্বার্থে দলকে ব্যবহারের পরিণতি কখনো শুভ হয় না। নিজের স্বার্থে যারা দলকে ব্যবহার করে তারা দলের জন্য ক্ষতিকর।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

 

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
নির্বাচন : একই প্রত্যাশায় জনতা ও সেনাবাহিনী
নির্বাচন : একই প্রত্যাশায় জনতা ও সেনাবাহিনী
শেষ ভালো যার সব ভালো তার
শেষ ভালো যার সব ভালো তার
সিপাহি-জনতার সংহতি থেকে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান
সিপাহি-জনতার সংহতি থেকে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান
বন্দর নিয়ে সদরে-অন্দরে মতলবি তৎপরতা
বন্দর নিয়ে সদরে-অন্দরে মতলবি তৎপরতা
ব্যবসা-বিনিয়োগে লাল বাতি
ব্যবসা-বিনিয়োগে লাল বাতি
একটি বন্য ছাগলের আত্মকথা
একটি বন্য ছাগলের আত্মকথা
কৃষি সমবায়ের সাফল্যগাথা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
কৃষি সমবায়ের সাফল্যগাথা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
বিনিয়োগের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন
বিনিয়োগের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন
হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চায় জাতি
হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চায় জাতি
আমাদের বিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের সমস্যা!
আমাদের বিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের সমস্যা!
ধূসর হয়ে পড়েছে যে স্বপ্ন
ধূসর হয়ে পড়েছে যে স্বপ্ন
সর্বশেষ খবর
কারও দলীয় স্বার্থ বাস্তবায়ন করা এই সরকারের কাজ নয় : তারেক রহমান
কারও দলীয় স্বার্থ বাস্তবায়ন করা এই সরকারের কাজ নয় : তারেক রহমান

১ মিনিট আগে | জাতীয়

চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত খুলছে আধুনিক ইমেজিং প্রযুক্তি
চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত খুলছে আধুনিক ইমেজিং প্রযুক্তি

৪ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বগুড়া পৌরসভার উন্মুক্ত ড্রেন যেন মৃত্যু ফাঁদ
বগুড়া পৌরসভার উন্মুক্ত ড্রেন যেন মৃত্যু ফাঁদ

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জান্নাতের টিকিটের নামে একটি দল নারীদের বিভ্রান্ত করছে : সেলিমা রহমান
জান্নাতের টিকিটের নামে একটি দল নারীদের বিভ্রান্ত করছে : সেলিমা রহমান

১০ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

শিক্ষাবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নিয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের মতবিনিময় সভা
শিক্ষাবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নিয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের মতবিনিময় সভা

১৩ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

রাজবাড়ীতে উদীচীর ৫৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত
রাজবাড়ীতে উদীচীর ৫৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাজনীতি রাজনীতির জায়গায় আর ধর্ম ধর্মের জায়গায় থাকবে: ডা. জাহিদ হোসেন
রাজনীতি রাজনীতির জায়গায় আর ধর্ম ধর্মের জায়গায় থাকবে: ডা. জাহিদ হোসেন

২১ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

টাঙ্গাইল আদালত চত্বরে বিচারপ্রার্থীদের বিশ্রামাগার উদ্বোধন
টাঙ্গাইল আদালত চত্বরে বিচারপ্রার্থীদের বিশ্রামাগার উদ্বোধন

২৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

অনির্দিষ্টকালের জন্য পাঠদান বন্ধের ঘোষণা শিক্ষকদের
অনির্দিষ্টকালের জন্য পাঠদান বন্ধের ঘোষণা শিক্ষকদের

২৮ মিনিট আগে | জাতীয়

বাইডেনের কারণেই ইউক্রেনে যুদ্ধ: ট্রাম্প
বাইডেনের কারণেই ইউক্রেনে যুদ্ধ: ট্রাম্প

২৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুষ্টিয়ায় বিএনপি নেতাকর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর-লুটপাটের অভিযোগ
কুষ্টিয়ায় বিএনপি নেতাকর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর-লুটপাটের অভিযোগ

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘বাকসু’ বিএম কলেজের, দাবি সাবেক ছাত্র নেতাদের
‘বাকসু’ বিএম কলেজের, দাবি সাবেক ছাত্র নেতাদের

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শাহবাগে শিক্ষকদের ওপর জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড, যে ব্যাখ্যা ডিএমপি'র
শাহবাগে শিক্ষকদের ওপর জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড, যে ব্যাখ্যা ডিএমপি'র

৩২ মিনিট আগে | নগর জীবন

বিশ্বরেকর্ড করল অভিষেক
বিশ্বরেকর্ড করল অভিষেক

৩৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ডিসেম্বরের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে : সালাহউদ্দিন
ডিসেম্বরের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে : সালাহউদ্দিন

৩৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

কলাপাড়ায় বিতর্ক প্রতিযোগিতা
কলাপাড়ায় বিতর্ক প্রতিযোগিতা

৩৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বৃষ্টির কারণে কপাল পুড়ল অস্ট্রেলিয়ার
বৃষ্টির কারণে কপাল পুড়ল অস্ট্রেলিয়ার

৩৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

কুলাউড়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দের উদ্বোধন
কুলাউড়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দের উদ্বোধন

৪৭ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

গাজীপুরে কাভার্ডভ্যান চাপায় যুবক নিহত
গাজীপুরে কাভার্ডভ্যান চাপায় যুবক নিহত

৪৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

গামিনীকে সংবর্ধনা মাঠকর্মীদের
গামিনীকে সংবর্ধনা মাঠকর্মীদের

৪৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে ‘তারুণ্যের চোখে ডোমার’ সেমিনার অনুষ্ঠিত
উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে ‘তারুণ্যের চোখে ডোমার’ সেমিনার অনুষ্ঠিত

৫৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

উখিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় রোহিঙ্গা যুবক নিহত
উখিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় রোহিঙ্গা যুবক নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে অস্ত্র, মাদক ও টাকাসহ নারী গ্রেপ্তার, স্বামী পলাতক
বরিশালে অস্ত্র, মাদক ও টাকাসহ নারী গ্রেপ্তার, স্বামী পলাতক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে মৎস্য দপ্তরের জব্দ করা জাটকা লুট
বরিশালে মৎস্য দপ্তরের জব্দ করা জাটকা লুট

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

২০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বর্ণাঢ্য আয়োজন
২০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বর্ণাঢ্য আয়োজন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এশিয়ান আরচারির সভাপতি হলেন বাংলাদেশের চপল
এশিয়ান আরচারির সভাপতি হলেন বাংলাদেশের চপল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জি-মেইল হ্যাক করে ব্যাংক হিসাব থেকে ১৭ লাখ টাকা স্থানান্তর, গ্রেপ্তার ২
জি-মেইল হ্যাক করে ব্যাংক হিসাব থেকে ১৭ লাখ টাকা স্থানান্তর, গ্রেপ্তার ২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাদারীপুরের ডাসারে সেলুনে বই পড়ার নতুন উদ্যোগ
মাদারীপুরের ডাসারে সেলুনে বই পড়ার নতুন উদ্যোগ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধায় বাস টার্মিনালে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম
গাইবান্ধায় বাস টার্মিনালে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার
মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার

২০ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছিল ভারত-ইসরায়েল
পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছিল ভারত-ইসরায়েল

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কিছুই জানেন না তিনি, অথচ তাকে নিয়ে ভারতে তুলকালাম!
কিছুই জানেন না তিনি, অথচ তাকে নিয়ে ভারতে তুলকালাম!

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ
ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ

১৯ ঘণ্টা আগে | টক শো

আমেরিকায় গরুর মাংসের দামে রেকর্ড, তদন্তের নির্দেশ ট্রাম্পের
আমেরিকায় গরুর মাংসের দামে রেকর্ড, তদন্তের নির্দেশ ট্রাম্পের

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপে দল বাড়াচ্ছে আইসিসি, সুবিধা পাবে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপে দল বাড়াচ্ছে আইসিসি, সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বর্তমান বাস্তবতায় ১০-২০ কোটি টাকা ছাড়া নির্বাচন করা যায় না:  আসিফ মাহমুদ
বর্তমান বাস্তবতায় ১০-২০ কোটি টাকা ছাড়া নির্বাচন করা যায় না:  আসিফ মাহমুদ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জবির ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি
জবির ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মাহবুবউল আলম হানিফের শ্যালকসহ গ্রেফতার ৬ জন
মাহবুবউল আলম হানিফের শ্যালকসহ গ্রেফতার ৬ জন

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইউরোপের একটিমাত্র দেশকে রাশিয়ার তেল কেনার সুযোগ দেবেন ট্রাম্প!
ইউরোপের একটিমাত্র দেশকে রাশিয়ার তেল কেনার সুযোগ দেবেন ট্রাম্প!

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডায়বেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে নাও মিলতে পারে মার্কিন ভিসা
ডায়বেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে নাও মিলতে পারে মার্কিন ভিসা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করল ফিলিপাইন
দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করল ফিলিপাইন

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৬ বিলিয়নিয়ার ২২ মিলিয়ন ঢেলেও মামদানিকে ঠেকাতে পারেনি!
২৬ বিলিয়নিয়ার ২২ মিলিয়ন ঢেলেও মামদানিকে ঠেকাতে পারেনি!

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মা হারালেন অভিনেতা জায়েদ খান
মা হারালেন অভিনেতা জায়েদ খান

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত উত্তেজনা চায় না: রাজনাথ সিং
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত উত্তেজনা চায় না: রাজনাথ সিং

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতি ৪৫০০ কোটি টাকা
শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতি ৪৫০০ কোটি টাকা

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মাত্র দুই দিনেই ম্লান হলো ট্রাম্পের একচ্ছত্র ক্ষমতা!
মাত্র দুই দিনেই ম্লান হলো ট্রাম্পের একচ্ছত্র ক্ষমতা!

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফিফা দ্য বেস্ট ২০২৫: বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের মনোনয়ন ঘোষণা
ফিফা দ্য বেস্ট ২০২৫: বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের মনোনয়ন ঘোষণা

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ডায়াবেটিস-হৃদ্‌রোগীদের জন্য দুঃসংবাদ, বন্ধ হতে পারে মার্কিন ভিসা
ডায়াবেটিস-হৃদ্‌রোগীদের জন্য দুঃসংবাদ, বন্ধ হতে পারে মার্কিন ভিসা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীর টিটিপাড়া ৬ লেনের রেলওয়ে আন্ডারপাস উদ্বোধন
রাজধানীর টিটিপাড়া ৬ লেনের রেলওয়ে আন্ডারপাস উদ্বোধন

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষকদের আন্দোলনে পড়াশোনার ক্ষতি হলে কঠোর ব্যবস্থা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা
শিক্ষকদের আন্দোলনে পড়াশোনার ক্ষতি হলে কঠোর ব্যবস্থা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাইকে ভাইয়ের সঙ্গে মারামারির ঘোষণা: মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সেই কুদ্দুস
মাইকে ভাইয়ের সঙ্গে মারামারির ঘোষণা: মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সেই কুদ্দুস

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চার লাখ যথেষ্ট নয়, শামির কাছে ভরণপোষণ বাবদ ১০ লাখ দাবি হাসিনের
চার লাখ যথেষ্ট নয়, শামির কাছে ভরণপোষণ বাবদ ১০ লাখ দাবি হাসিনের

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জটিলতায় স্থবির জাইকা ঋণের ৫ মেগাপ্রকল্প
জটিলতায় স্থবির জাইকা ঋণের ৫ মেগাপ্রকল্প

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রামগতিতে এক ইলিশ ১০ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি
রামগতিতে এক ইলিশ ১০ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

করাচি-চট্টগ্রাম সরাসরি শিপিং চালু করল পাকিস্তান ও বাংলাদেশ
করাচি-চট্টগ্রাম সরাসরি শিপিং চালু করল পাকিস্তান ও বাংলাদেশ

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‌‘এই দেশের জনগণ তারেক রহমানকেই আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়’
‌‘এই দেশের জনগণ তারেক রহমানকেই আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়’

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শ্রীমঙ্গলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
শ্রীমঙ্গলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পপি সিড বা পোস্ত দানা কী, আইন কী বলে?
পপি সিড বা পোস্ত দানা কী, আইন কী বলে?

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
জাহানারার অভিযোগে টালমাটাল ক্রিকেটপাড়া
জাহানারার অভিযোগে টালমাটাল ক্রিকেটপাড়া

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই কাজরী এখন
সেই কাজরী এখন

শোবিজ

আসছে হেরোইনের কাঁচামাল
আসছে হেরোইনের কাঁচামাল

পেছনের পৃষ্ঠা

নদীর পারে অন্যরকম চিড়িয়াখানা
নদীর পারে অন্যরকম চিড়িয়াখানা

শনিবারের সকাল

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

‘নো হাংকি পাংকি’ ভাষা হতে পারে না
‘নো হাংকি পাংকি’ ভাষা হতে পারে না

প্রথম পৃষ্ঠা

সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা রুখতে হবে
সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা রুখতে হবে

নগর জীবন

ঝুঁকিতে ৭ কোটি পোশাকশ্রমিক
ঝুঁকিতে ৭ কোটি পোশাকশ্রমিক

পেছনের পৃষ্ঠা

গণভোটের দাবি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র
গণভোটের দাবি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশজুড়ে নির্বাচনি আমেজ
দেশজুড়ে নির্বাচনি আমেজ

প্রথম পৃষ্ঠা

সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ
সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ

প্রথম পৃষ্ঠা

উন্নয়নের সব প্রকল্পই আটকা
উন্নয়নের সব প্রকল্পই আটকা

নগর জীবন

এশিয়ান আর্চারির পদকের লড়াই শুরু আজ
এশিয়ান আর্চারির পদকের লড়াই শুরু আজ

মাঠে ময়দানে

নায়করাজের সেই ছবি
নায়করাজের সেই ছবি

শোবিজ

দেড় হাজার কোটি টাকার সুফল প্রকল্পে দুর্নীতি
দেড় হাজার কোটি টাকার সুফল প্রকল্পে দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র

সম্পাদকীয়

সিরিজে পিছিয়ে গেলেন যুবারা
সিরিজে পিছিয়ে গেলেন যুবারা

মাঠে ময়দানে

কালের সাক্ষী তমাল গাছটি
কালের সাক্ষী তমাল গাছটি

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেট-১ ছেড়ে ৪-এ প্রচার শুরু আরিফের
সিলেট-১ ছেড়ে ৪-এ প্রচার শুরু আরিফের

নগর জীবন

ইয়ামাল-দেম্বেলের বর্ষসেরার লড়াই
ইয়ামাল-দেম্বেলের বর্ষসেরার লড়াই

মাঠে ময়দানে

চাঁদা না দেওয়ায় অফিস ভাঙচুর
চাঁদা না দেওয়ায় অফিস ভাঙচুর

দেশগ্রাম

খেলবে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার ক্লাব
খেলবে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার ক্লাব

মাঠে ময়দানে

আইরিশ ক্রিকেট দল এখন সিলেটে
আইরিশ ক্রিকেট দল এখন সিলেটে

মাঠে ময়দানে

বছরের শুরুতে সব বই পাবে না শিক্ষার্থীরা
বছরের শুরুতে সব বই পাবে না শিক্ষার্থীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

বগুড়ায় বিড়াল হত্যার ঘটনায় নারী গ্রেপ্তার
বগুড়ায় বিড়াল হত্যার ঘটনায় নারী গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

ঠিক পথেই আছে খুদে কিংসরা
ঠিক পথেই আছে খুদে কিংসরা

মাঠে ময়দানে

বন্যায় ডুবতে পারে থাইল্যান্ড
বন্যায় ডুবতে পারে থাইল্যান্ড

পূর্ব-পশ্চিম

দুজনকে পিটিয়ে হত্যা, আরও একজন গ্রেপ্তার
দুজনকে পিটিয়ে হত্যা, আরও একজন গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লংমার্চ আইনজীবীদের
আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লংমার্চ আইনজীবীদের

দেশগ্রাম

মাছের আড়তে পড়ে ছিল যুবকের রক্তাক্ত লাশ
মাছের আড়তে পড়ে ছিল যুবকের রক্তাক্ত লাশ

দেশগ্রাম