সোমবার, ১ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা
গৌরব জুয়েলার্স

ক্রেতাদের আস্থা ও ভরসার ঠিকানা

গণেশ দেবনাথ, স্বত্বাধিকারী, গৌরব জুয়েলার্স

নিজস্ব প্রতিবেদক

ক্রেতাদের আস্থা ও ভরসার ঠিকানা

জুয়েলারি ব্যবসায় ভোক্তাদের বিশেষ সুযোগ- সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে গৌরব জুয়েলার্সের যাত্রা শুরুর কথা জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার গণেশ দেবনাথ। তিনি বলেছেন, খুব অল্প সময়ে জুয়েলারি ব্যবসায় নিজের অবস্থান শক্ত করেছে গৌরব জুয়েলার্স। বিভিন্ন জুয়েলার্সে গ্রাহকরা প্রতারণার শিকার হয়েছেন এমন অনেক অভিযোগ দেখি আমরা। এ জায়গাতে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি যেখানে ভোক্তারা সঠিকভাবে আমাদের পণ্য পেতে পারেন। গৌরব জুয়েলার্স মানেই ভরসার জায়গা, আস্থার জায়গা। গ্রাহকদের মধ্যে এই আস্থা তৈরি করেই এগিয়ে যাচ্ছে গৌরব জুয়েলার্স।

গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন গৌরব জুয়েলার্সের কর্ণধার গণেশ দেবনাথ। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গ্রাহকদের কাছ থেকে বিশাল সাড়া পেয়েছি। গ্রাহকদের বিশেষ বিশেষ সুবিধা দিয়ে থাকে গৌরব জুয়েলার্স। অনেক সময় গ্রাহকদের পণ্য রিপেয়ারের কাজ থাকে। এ ক্ষেত্রে আমরা কোনো প্রকার চার্জ নিই না। আবার ১০ লাখ টাকার পণ্য বুকিং দিতে পারছেন মাত্র ৫ হাজার টাকা অগ্রিম জমা দিয়েই। এ ছাড়াও আমরা সবসময় গ্রাহকদের চাওয়াকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকি। সবসময় চেষ্টা থাকে যাতে কোনো প্রকার আস্থার সংকট তৈরি না হয়। আরও রয়েছে গ্রাহকদের রিভিউ। যা নিয়ে আমরা সবসময় পর্যালোচনা করে থাকি।’ গণেশ দেবনাথ বলেন, ‘সবসময় আমাদের চেষ্টা থাকে ভালো কিছু করার। আমাদের আরও একটি সুবিধা হলো- আপনি চাইলে পুরনো স্বর্ণ দিয়ে নতুন স্বর্ণ ক্রয় করতে পারবেন। জেনে খুশি হবেন যে, মাসিক কিস্তিতেও গ্রাহকদের পণ্য ক্রয় করার সুযোগ থাকছে আমাদের এখানে। বড় বড় জুয়েলার্সই শুধু নয়, আমরা যারা তুলনামূলকভাবে নতুন তারাও যে গ্রাহকদের আস্থা পুঁজি করে এগিয়ে যেতে পারে তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আমাদের গৌরব জুয়েলার্স।’

জুয়েলারি শিল্পে নিত্যনতুন ডিজাইনের ছড়াছড়ি। পরিবর্তন এসেছে মানুষের রুচিতেও। ডিজাইনের ক্ষেত্রে প্রায়োরিটি সম্পর্কে জানতে চাইলে গৌরব জুয়েলার্সের  কর্ণধার বলেন, ‘আমরা গ্রাহকদের আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সবসময় নিত্যনতুন ডিজাইন সরবরাহ করে থাকি। এ ছাড়াও দেশি- বিদেশি যে কোনো প্রকার ডিজাইন গ্রাহকদের চাহিদা অনুসারে আমরা দিতে সক্ষম। এক্ষেত্রে মাত্র ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে আমরা ডেলিভারি দিতে চেষ্টা করি। আমাদের গ্রাহকরা সব শ্রেণির মানুষ। যেমন ভিআইপি গ্রাহকের কাছে ৫০ ভরি ওজনের সেট বিক্রি করতে পারি আবার সাধারণ কারও কাছে ২ আনা ওজনের পণ্যও বিক্রি করে থাকি। গৌরব জুয়েলার্স সবসময় সব রকম মানুষের চাহিদা মাথায় রেখে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা বিশেষ করে মধ্যবিত্ত গ্রাহকদের কথা বেশি চিন্তা করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০১৮ সাল থেকে গৌরব জুয়েলার্সের যাত্রা শুরু হলেও আমি নিজে স্বর্ণের ব্যবসায় জড়িত অনেক বছর। ফলে এই সেক্টরে আমার অর্জিত অভিজ্ঞতা পুরোটাই কাজে লাগছে গৌরব জুয়েলার্সে। ভবিষ্যতে আমরা নিত্যনতুন আরও অনেক পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাব। যেমন কোনো গ্রাহক চাইলে ২ হাজার টাকা বুকিং দিয়েও পণ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। হোম ডেলিভারি কিংবা মজুরির ওপর ছাড় পাবেন গ্রাহকরা। বিক্রির সময় ডিসকাউন্ট পেতে পারেন। আবার পণ্য ময়লা বা নষ্ট হয়ে গেলে আমরা বিনামূল্যে সার্ভিস দেওয়াসহ নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। মোট কথা, গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী সার্ভিস দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। আমরা প্রতিনিয়তই আমাদের শোরুম বাড়াচ্ছি। শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক নয়, বরং আমরা সারা দেশে গৌরব জুয়েলার্সের প্রসার নিয়ে পরিকল্পনা করছি।’

বাজুস সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে এই সেক্টরের উত্থান হচ্ছে বলে জানান গৌরব জুয়েলার্সের এই কর্ণধার। তিনি বলেন, আমরা এখন এক্সপোর্ট মার্কেট নিয়ে চিন্তা করছি। যেহেতু ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে আছি, তাই আমি চাই এটা দ্রুত বাস্তবায়ন হোক। আমিও এর গর্বিত অংশীদার হতে চাই। বাজুস সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর সাহেব যেভাবে আমাদের জুয়েলারি ইন্ডাস্ট্রিকে ওপরের দিকে নিয়ে আসছেন তা প্রশংসনীয়। এর আগে বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন ঘটনা আর ঘটেনি। উনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি প্রতিনিয়তই। এ ধারা অব্যাহত থাকবে। উনার সাহসী নেতৃত্বের ওপর আমাদের আস্থা ভরসা অনেক।  তাঁর একটা পদক্ষেপ আমাদের জুয়েলারি ব্যবসার ক্ষেত্রে দিগন্ত হয়ে থাকবে।

সর্বশেষ খবর