মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও বিজয় সকল ক্ষেত্রেই রয়েছে কলম সৈনিকদের অবিস্মরণীয় অবদান। রণাঙ্গনের বীর সেনারা অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করে লড়েছে মুক্তির লক্ষ্যে। আর কলম সৈনিকরা তাদের লেখনীর মাধ্যমে বিশ্ববাসীর নিকট তা তুলে ধরেছে। তাই মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে তাদের অবদানও অবিস্মরণীয়।
রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানী কুয়ালালামপুর হোটেল ফার্স্ট বিজনেস ইনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে
এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। মালয়েশিয়া প্রবাসী সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব অব মালয়েশিয়া কর্তৃক আয়োজিত 'আমাদের স্বাধীনতা' শীর্ষক আলোচনা ও প্রেস ক্লাব কর্তৃক ‘অগ্নিঝরা’ স্মরণিকার মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার।
অনুষ্ঠানে প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আহমাদুল কবিরের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক (বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রতিনিধি) জহিরুল ইসলাম হিরণ এবং নির্বাহী সদস্য ফরহাদ হোসেনের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। এসময় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের স্মরণে নিরবতা পালন করা হয়।
আলোচনা সভায় শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার আহ্বানে সাড়া দিয়ে দীর্ঘ নয় মাসের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে আমাদের বিজয় অর্জিত হয়েছিল। স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আজ অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন রকম সেবা দ্রুত ও সহজে প্রদান করার জন্য দূতাবাস আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রবাসের সংবাদ প্রকাশনার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের উভয় দেশের বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় আনার আহ্বান জানান তিনি।তিনি বলেন, ভুল বার্তা দেয় বা ভীতির সঞ্চার করে এমন বার্তা গেলে দেশে অবস্থিত প্রত্যেকটা পরিবার দুশ্চিন্তায় পড়ে।
বন্ধুরাষ্ট্র মালয়েশিয়া সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করে দুই দেশের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে যে চমৎকার দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক বিধ্যমান রয়েছে তার ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে সকলে একসাথে কাজ করে যেতে হবে। বিদেশি কর্মী নিয়োগে সোর্স কান্টির তালিকা থেকে বাংলাদেশ বাদ পড়েনি বলেও জানান তিনি।
এসময় স্বাধীনতার তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. এম আব্দুল কুদ্দুছ, মুক্তিযোদ্ধা শওকত হোনে পান্না, কমিউনিটি নেতা মকবুল হোসেন মুকুল ও কামরুজ্জামান কামাল।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব অব মালয়েশিয়া কর্তৃক প্রকাশিত ‘অগ্নিঝরা’ নামক স্মরণিকার মোড়ক উম্মেচন ও প্রবাসে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় ২৭ জন প্রবাসীর সম্মাননা প্রদান করেন হাই কমিশনার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনের প্রথম সচিব শ্রম মো. হেদায়েতুল ইসলাম মণ্ডল, প্রথম সচিব কন্স্যুলার মো. মাসুদ হোসাইন, মালয়েশিয়া মাহাসা ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. আবুল বাশার, দাতু আক্তার হেসেন, দাতু এন সাহা, মনিরুজ্জামান মনির, এমদাদুল হক সবুজ মামা, বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব অব মালয়েশিয়ার সাধারণ সম্পাদক বশির আহমেদ ফারুক।
এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সামাজিক, রাজনৈতিক অঙ্গসংগঠন ও প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দসহ বিপুল সংখ্যাক প্রবাসী।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন