ওআইসির সদস্য দেশগুলোর প্রতি অপুষ্টি দূরীকরণ ও ক্ষুধা মুক্তির লক্ষ্যে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
জেদ্দায় ওআইসির খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সংগঠন (IOFS) এরসম্মেলনে তিনি আজ এ আহ্বান জানান। এসময় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবুল কালাম, অতিরিক্ত সচিব ওমর ফারুক, খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. নাজমান আরা খানম ও রিয়াদ দূতাবাসের উপ-মিশন প্রধান ড. নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় এবং মৎস্য উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। সবার জন্য খাদ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খাদ্য উৎপাদনে কার্যকর নীতি গ্রহণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত বরাদ্দ ও কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছেন যার ফলে বাংলাদেশের খাদ্য শস্য উৎপাদন এখন প্রায় ৪০ মিলিয়ন মেট্রিক টনে পৌঁছেছে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ সরকার সকল নাগরিকের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। “আপনারা জেনে খুশি হবেন, বাংলাদেশ এখন খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করেছে”- মন্ত্রী বলেন। তিনি জানান বাংলাদেশ এখন নিরাপদ ওপুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে।
মন্ত্রী ওআইসির সদস্য দেশগুলোতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য (IOFS) কে কার্যকর সংস্থা হিসেবে সঠিক রোডম্যাপ এর প্রস্তাব দেয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রশংসা করেন। উদ্ভাবন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে এই সংগঠনকে আরও কার্যকরী করে তোলার মাধ্যমে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম হবে বলে খাদ্য মন্ত্রী আশাবাদ প্রকাশ করেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ইঞ্জিনিয়ার আবদুল রহমান বিন আবদুল মোহসেন আল ফাদলে, সভা শেষে খাদ্যমন্ত্রী কাজাখাস্তানের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক মন্ত্রী ওমর সাফার খানের সাথে বৈঠক করেন। এসময় তিনি খাদ্য ও কৃষি খাতে দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। অধিবেশনে (IOFS) এর নতুন মহাপরিচালক নিয়োগ দেয়া হয়। IOFS এর মহাপরিচালক ইয়ারলান বাইদৌলত বাংলাদেশের খাদ্য মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ে সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, সংগঠনটির সদর দফতর কাজাখাস্তানের রাজধানী নুর সুলতানে অবস্থিত।
এর আগে গত ২৭, ২৮ তারিখে ওআইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন