১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পর্তুগাল শাখা।
পর্তুগালের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯ টায় রাজধানী লিসবনের বেঙ্গল রেস্টুরেন্টে এই দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পর্তুগাল শাখার সভাপতি আবুল বাশার বাদশার সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম রিপনের সঞ্চালনায় শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন লিসবন বায়তুল মোকারম মসজিদের দ্বিতীয় খতীব মাওলানা মো. হাসান।
শোক দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পর্তুগাল শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, মাঈন উদ্দিন মাস্টার, মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জিল্লুর রহমান, বিল্লাল রেজা, পর্তুগাল ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রনি হোসাইন, সভাপতি শিপলু আহমেদ, জাহিদ হাসান সোহাগ প্রমুখ।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, শোকের মাস আগস্ট। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এ মাসের ১৫ তারিখে সপরিবারে হত্যা করে ঘাতকচক্র। এ দিনটি মানবসভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণ্য ও নৃশংসতম। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট নরপিশাচরূপী খুনিরা পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা পর ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। এই শোকাবহ আগস্ট আমাদের কাছে বেদনাবিধুর হয়ে আসে।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পর্তুগাল আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মোহাম্মদ শাহাজান, সহ- সভাপতি এম এ খালেক, মোহাম্মদ সেলিম সেরনিয়াবাত, সহ- সভাপতি আবু হেনা চৌধুরী, সহ-সাধারণ সম্পাদক মেজবাউল আলম রিগেন, মোহাম্মদ রাসেল, খোরশেদ আলম লিটন, তোবারক হোসেন তপু, আক্তার হোসেন খোকন, মোহাম্মদ শাহিন, পর্তুগাল ছাএলীগের জাহিদ হাসান সোহাগ, মিন্টু কুমার, লিকসান মিয়া, নওশাদুর রহমান ইমন, আরিফ হোসেন, রাধা কান্ত, রিজভী, সজিব, সাইফুল, রুহুল আমিন, রাসেল, অভি, রবিন, মুক্তাদি, নিবির আহম্মেদ, মুন্না, রাজিব, তপু ফজলুল হক খান, তানভীর আলম, জোবায়ের হোসেন, মানিক, আরিফ, মো. শাহিন, হাসান কোরাইশি, আবু সুফিয়ান রাফি, আহম্মেদ ইয়ামিন, রাফসান রানা, ফরিদুল ইসলাম, সাজু আহম্মেদ, মারুফ আহম্মেদ, সাকির হোসেন সহ যোগ দেন শতাধিক আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মী সমর্থকরা।
ভয়াল শোকের মাস আগস্টের আলোচনা শেষে বিশেষ মোনাজাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ২১ আগস্ট গ্রনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে বিশেষ দোয়া করা হয়। সব শেষে নৈশভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম