বঙ্গবন্ধু শেখ মু্জিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস, আদ্দিস আবাবায় এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার দূতাবাস দিবসটি উপলক্ষে একটি ভার্চুয়াল স্মরণসভার আয়োজন করে যেখানে ইথিওপিয়া, সুদান এবং দক্ষিণ সুদানের প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি এবং অত্র দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠ এবং দোয়ার মাধ্যমে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু, তার পরিবার এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের সকল শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনা করা হয়।
ওয়েবিনারের শুরুতে দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন কামালের সংক্ষিপ্ত জীবনীর উপর আলোকপাত করেন। এরপর শহীদ শেখ কামালের জীবন ও কর্মকান্ডের উপরে একটি (ভিডিও) প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি আলোচনায় অংশগ্রহণ করে শহীদ শেখ কামালের কর্মময় জীবন সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করেন।
আলোচকরা শহীদ শেখ কামালকে বাংলাদেশের তরুণ সমাজের একজন আইকন হিসেবে তুলে ধরে স্বাধীন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক এবং ক্রীড়া ক্ষেত্রে একজন অনন্য সাধারণ সংগঠক হিসেবে তার বিভিন্ন কৃতিত্বের কথা, বিশেষ করে আবাহনী ক্রীড়াচক্র এবং ঢাকা থিয়েটার প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকার ভূঁয়সী প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রদূত প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে ওয়েবিনারে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশি ও স্থানীয়-বিদেশি ব্যক্তিদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান ও শেখ কামালের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি শেখ কামালের এই সংক্ষিপ্ত জীবনে জাতির জন্য ক্রীড়া ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে তার অসামান্য অবদানের কথা উল্লেখ করেন।
বিশেষ করে নব্য স্বাধীন দেশের পুনঃগঠন ও উন্নতির জন্য যুবশক্তির যথাযথ সংগঠন ও ব্যবহারের মাধ্যমে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য শহীদ শেখ কামালের নাম চীর স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে তিনি সকলকে শেখ কামালের ত্যাগ ও জাতিগঠনে তার উৎসাহে উজ্জ্বীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করার আহ্বান জানান। বাংলাদেশের যুবকদের জন্য শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল সবসময়ই একটি উজ্জল উদাহরণ হয়ে থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই