এ বছরের প্রথম ৬ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় ২০ হাজার ১৬০ জনের প্রাণহানী ঘটেছে। ২০০৬ সালের পুরো বছরের সমান প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছে বলে ‘ন্যাশনাল হাইওয়ে সেইফটি এডমিনিস্ট্রেশন’ (এনএইচটিএসএ) সূত্রে ২৯ অক্টোবর এ সংবাদ জানা গেছে।
করোনাভাইরাসের ভীতির মধ্যেও বল্গাহীন ড্রাইভিংয়ের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ফেডারেল প্রশাসন। ২০২০ সালের প্রথম ৬ মাসের তুলনায় এবারের একই সময়ের দুর্ঘটনার হার ১৮.৪% বেশি।
বাইডেনের পরিবহন মন্ত্রী পিতে বাটিগীগ বলেছেন, এহেন অবস্থাকে চলতে দেয়া উচিত হবে না। ১৯৭৫ সালের পর আর কোন বছরের অর্ধেক সময়ে এতবেশী আমেরিকান মারা যায়নি সড়ক দুর্ঘটনায়। তাই দুর্ঘটনা রোধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
ফেডারেল সংস্থাটি উল্লেখ করেছে, এ বছরের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত চার মাসের দুর্ঘটনা সমূহের পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণের পর দেখা গেছে, করোনা মহামারির আগের তুলনায় এখন সীটবেল্ট ছাড়া ড্রাইভিং এবং গতিসীমা লংঘনের ঘটনা বেড়েছে। গত দু’বছর থেকেই গতিসীমা লংঘনকারি ড্রাইভারের সংখ্যা বাড়ছে বলেও উল্লেখ করেছে মহাসড়কের ট্রাফিক পুলিশ।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় স্বাস্থ্যবিধি অনেকাংশে শিথিল করার পরই সড়কে গাড়ি চলছে দ্রুতবেগে। ট্রাফিক আইন লংঘনের প্রবণতাও বেড়েছে।
ফেডারেল মহাসড়ক প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ বছরের জুন পর্যন্ত ৬ মাসে গাড়ি চালানোর পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে ১৭৩.১ বিলিয়ন মাইল অর্থাৎ ১৩%। এ অনুযায়ী প্রতি ১০০ মিলিয়ন মাইল চলার সময় দুর্ঘটনায় মৃত্যু বেড়েছে ১.৩৪। আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে মৃত্যুর হার বেড়েছে ১.২৮। এহেন অবস্থায় এনএইচটিএস এর উপ-প্রশাসক স্টিভেন ক্লিফ ড্রাইভারদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন গতিসীমা লংঘন না করতে এবং সীটবেল্ট লাগিয়ে গাড়ি চালাতে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন