জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন স্মরণে ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২২’ উদযাপন করা হয়েছে। মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মিশনের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই শহীদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর শেখ রাসেলের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয় অনুষ্ঠানটিতে। এরপর শেখ রাসেল-এর জীবন বিষয়ক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
স্বাগত বক্তব্যে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত বলেন, “শেখ রাসেল মায়ের কাছে যেতে চেয়েছিল। ঘাতকেরা মায়ের কাছে নেওয়ার নাম করে নিষ্পাপ ও কোমলমতি শিশু রাসেলকে টেনে হিচড়ে পিতা বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের লাশের উপর দিয়ে নীচ তলা থেকে দোতলা পর্যন্ত নিয়ে যায় এবং হত্যা করে। একটি শিশুর প্রতি এমন নৃশংসতা বিশ্বে বিরল”।
স্থায়ী প্রতিনিধি আরও বলেন, ১৫ আগস্টের খুনিদের কেউ কেউ এখনও যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় পালিয়ে আছে। বিদেশে পালিয়ে থাকা এ সকল নৃশংস খুনীদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে বিচারের আওতায় আনতে সকলকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে একযোগে কাজ করতে হবে।
রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, জাতির পিতা খ্যাতনামা দার্শনিক বার্টান্ড রাসেলের নামে কনিষ্ঠ সন্তানের নাম রেখেছিলেন। আজ রাসেল আমাদের মাঝে নেই। সেদিনের শিশু রাসেল বেঁচে থাকলে হয়ত দার্শনিক বার্টান্ড রাসেলের মতই জগৎবিখ্যাত হতেন, কিন্তু খুনিরা শিশু রাসেলকে বাঁচতে দেয়নি। শেখ রাসেল হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শিশুর অধিকার রক্ষায় আরও অবদান রাখতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান স্থায়ী প্রতিনিধি।
রাষ্ট্রদূতের স্বাগত বক্তব্যের পর মুক্ত আলোচনা পর্বে মিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণ অংশগ্রহণ করেন। তাঁরা আশা প্রকাশ করেন দেশ ও দেশের বাইরে শেখ রাসেল দিবস উদযাপনের মাধ্যমে দেশে ও প্রবাসে বেড়ে ওঠা শিশু-কিশোররা শেখ রাসেল সমন্ধে আরও জানতে পারবে। এর মাধ্যমে শেখ রাসেলের পবিত্র স্মৃতি আজীবন সকলের মাঝে বেঁচে থাকবে যা শিশু-কিশোরদের মানবতাবাদী ও অধিকারবোধ সম্পন্ন ভবিষ্যত নাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে অনুপ্রেরণা যোগাবে। কেক কাটার মাধ্যমে শহীদ শেখ রাসেলএর জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘটে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল