হংকংয়ে শেখ রাসেল দিবস ২০২২ যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশ কন্স্যুলেট জেনারেল, হংকং কর্তৃক আজ কন্স্যুলেট প্রাঙ্গনে উদ্যাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে কন্স্যুলেটর হলরুম পোস্টার ও ব্যানার দিয়ে সজ্জিত করা হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন জাহিদুর রহমান, কনসাল (শ্রম)। কনসাল জেনারেল মহোদয়সহ কনস্যুলেটের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী, তাদের পরিবার, হংকংস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, হংকং শাখার নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব হংকং এর নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং অনেক শিশু-কিশোর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে মান্যবর কনসাল জেনারেল, মিজ্ ইসরাত আরা, কন্স্যুলেট এর পক্ষ থেকে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পন করেন। পবিত্র কোরআন হতে তেলাওয়াত এর মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বানী পাঠ করেন কন্স্যুলেটের কর্মকর্তাগন। শেখ রাসেলের উপর নির্মিত একটি প্রামান্যচিত্র এরপর প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দ শেখ রাসেলের স্মরণে বক্তব্য প্রদান করেন।
কনসাল জেনারেল তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলসহ পরিবারের সকল শহীদ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, শেখ রাসেলের মত একজন সদাহাস্যোজ্জল, কোমলমতি ও প্রাণচঞ্চল শিশুকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কাল রাতে ঘাতকেরা নির্মমভাবে হত্যা করে যা ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্যতম ও নিষ্ঠুর ঘটনা। শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে বঙ্গবন্ধুর একজন যোগ্য উত্তরসূরী হতেন বলে তিনি মন্তব্য করেন। পরবর্তিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ রাসেল এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহীদ অন্যান্য সদস্যবৃন্দের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষ্যে শিশু কিশোরদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন, সাধারন জ্ঞান ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরন ও সকল প্রতিযোগীকে সনদপত্র প্রদান করা হয়। এরপর শিশু-কিশোরদের নিয়ে কেক কাটা হয়। ছোটদের অংশগ্রহণে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। আগত অতিথিদেরকে আপ্যায়ন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এএ
