গ্রিসের উত্তরাঞ্চলে দাবানলে চারদিন ধরে জ্বলতে থাকা বনের ভেতর থেকে ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির ফায়ার সার্ভিস এ তথ্য জানিয়েছে।
গ্রিক ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী বলা হয়েছে, নিহতরা অভিবাসী বলে ধারণা করা হচ্ছে। তারা তুরস্ক থেকে গ্রিসে প্রবেসের সময় এ দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন বলে অনেকেই মনে করছেন।
ঘটনাস্থলটি ইভ্রোস অঞ্চলের দাদিয়া জাতীয় উদ্যান। এটি আলেকজান্দ্রোপলিসের উত্তরে একটি বৃহৎ বনাঞ্চল। তুরস্ক সীমান্তের কাছাকাছি এলাকাটির বনাঞ্চলে অভিবাসীরা সাধারণত ক্যাম্প করে থাকেন। গত সোমবার থেকে সেখানে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
মঙ্গলবার আভান্তাস গ্রামের বাইরে একটি কুঁড়ে ঘরের কাছে ১৮টি মৃতদেহ পাওয়া যায়। ফায়ার সার্ভিসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি ভবনের পুড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ পরিদর্শন করতে গিয়ে এসব মৃতদেহ পাওয়া যায়।
গ্রিক ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র ইয়ানিস আর্টোপিওস বলেন, কোনো বাসিন্দা নিখোঁজ রয়েছেন এমন কোনো রিপোর্ট আমাদের কাছে নেই। তাই আমরা ধারণা করছি নিহতরা অবৈধভাবে গ্রিসে প্রবেশ করেছিল। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তুরস্ক থেকে গ্রিক হয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশের জনপ্রিয় রুট হয়ে উঠেছে ইভ্রোস অঞ্চলটি। বিশেষ করে এশীয় অভিবাসীদের অন্যতম জনপ্রিয় রুট এটি। দাদিয়া বনটি অভিবাসীদের থাকার একটি বহুল ব্যবহৃত জায়গা।
গরম, শুষ্ক আবহাওয়া ও ঝোড়ো বাতাসের কারণে গ্রিসজুড়ে সম্প্রতি কয়েক ডজন দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। এ দাবানল উত্তর-পূর্ব বন্দর শহর আলেকজান্দ্রোপলিস পর্যন্ত প্রবেশ করেছে। আলেকজান্দ্রোপলিসের কাছে দুটি গ্রামে একটি স্কুল, বেশ কয়েকটি বাড়ি ও একটি কবরস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেখানে চারটি উড়োজাহাজ ও তিনটি হেলিকপ্টার দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন দুই শতাধিক দমকলকর্মী।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কাভালা অঞ্চলে আরেকটি দাবানলে আরো কয়েক ডজন বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়া এথেন্সের কাছে অ্যাসপ্রোপিরগোস এলাকায় একটি নতুন দাবানলের সূত্রপাত হয়েছে। ফলে সেখানে উদ্ধার অভিযানের আদেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল