নিউইয়র্কের কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরিতে অনুষ্ঠিত হলো কোভিড-১৯ মহামারিকালে মানুষের বাস্তবতা, কষ্ট এবং মানবিক বিপর্যয় নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র “হোপ নেভার ডাইস” –এর বিশেষ প্রদর্শনী।
প্রামাণ্যচিত্রটি পরিচালনা করেছেন লেখক, সাংবাদিক ও নির্মাতা শামীম আল আমিন। গত শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লাইব্রেরির প্রধান মিলনায়তনে আয়োজিত এই প্রদর্শনী দেখতে নানা পেশার ও শ্রেণির দর্শক উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে কুইন্স লাইব্রেরির নিউ আমেরিকান প্রোগ্রাম, যেখানে ইভেন্ট পার্টনার ছিল অলাভজনক সংস্থা ওয়ান ওয়ান অর্গানাইজেশন এবং সহায়তা দিয়েছে অটিজম সোসাইটি হ্যাবিলিটেশন অর্গানাইজেশন (আসো)।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুইন্স লাইব্রেরির সহকারী পরিচালক ফ্রেড জে গিটনার। বক্তব্য রাখেন আসো’র নির্বাহী পরিচালক রুবাইয়া রহমান, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব অধ্যক্ষ রানা আহমেদ, ক্রিডমোর সাইকিয়াট্রিক সেন্টারের চিফ সাইকিয়াট্রিস্ট ডা. মুনিবুর আর খান, স্ট্যান্ডার্ড এক্সপ্রেসের প্রেসিডেন্ট ও সিইও মোহাম্মদ মালেক, নিউইয়র্ক সিটির ডিপার্টমেন্ট অব সোশ্যাল সার্ভিসেস-এর কর্মকর্তা মারভা বোটসোয়াইন, সংস্কৃতিজন ডা. প্রতাপ দাস, এবং স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্য প্রাণ গোবিন্দ কুণ্ডুসহ অনেকে।
প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ও দর্শকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন পরিচালক শামীম আল আমিন।
অনুষ্ঠানের সূচনা সঙ্গীত পরিবেশন করেন গুঞ্জরি সাহা। সঞ্চালনায় ছিলেন জনম সাহা। সঙ্গীত পরিবেশন করেন মেলাল শাহ ও খন্দকার রাশিদুল হক। যন্ত্রসঙ্গীতে ছিলেন স্বপন দত্ত।
প্রামাণ্যচিত্রটির গবেষণা, পরিকল্পনা, নির্মাণ ও স্ক্রিপ্ট রচনা করেছেন শামীম আল আমিন। ৪৪ মিনিট দৈর্ঘ্যের এই প্রামাণ্যচিত্রে নিউইয়র্ককে কেন্দ্র করে কোভিড-১৯ সময়ের ভয়াবহতা, মানুষের লড়াই, বেঁচে থাকার সংগ্রাম এবং মনোবল উঠে এসেছে।
প্রামাণ্যচিত্রের সূচনা ও সমাপ্তিতে কণ্ঠ দিয়েছেন খ্যাতিমান আবৃত্তিশিল্পী ভাস্বর বন্দোপাধ্যায়, ধারাবর্ণনায় ছিলেন শামস উজ জোহা। টাইপোগ্রাফি ও পোস্টার ডিজাইন করেছেন মামুন হোসাইন। রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন স্বপ্নীল সজীব, সংগীতায়োজনে ছিলেন অভিজিৎ চক্রবর্তী জিতু।
দৃশ্যধারণে ছিলেন শফিকুল ইসলাম সাবু, শামীম আল আমিন, ও শেখ তানভীর আহমেদ। গ্রাফিক্স, সম্পাদনা ও সংগীতসহ অন্যান্য কারিগরি কাজ করেন জাহাঙ্গীর আলম। কারিগরি সহায়তায় ছিল সিনে হাউজ মিডিয়া। অর্থায়ন ও অন্যান্য সহযোগিতায় এগিয়ে আসে নিউইয়র্কের আইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেটা ইনফো টেক (MIT)।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম