সোমবার, ১১ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

ফেসবুক আছে বলে...

ইয়াছিন খন্দকার লোভা

ফেসবুক আছে বলে...

বিয়েশাদি : একসময় পাত্র-পাত্রী খুঁজতে প্রাথমিকভাবে খুঁজে বেড়াতেন ঘটক মশাইগণ। তাছাড়া ঘটকের মাধ্যমে পাত্র-পাত্রী খোঁজ না করে ব্যক্তিগতভাবে এক ফ্যামিলি অন্য ফ্যামিলির মাঝে মিল মহব্বতের ভিতর বিয়ের পাত্র-পাত্রী ঠিক করা হতো। আর এখন খুব একটা দরকার হয়না ঘটক মশাইদের। অন্যদিকে নিজের ছেলেমেয়ের বিয়েশাদির টেনশন পোহাতে হয় না আজকালকার বেশির ভাগ মা-বাবার। কারণ এখন আছে ফেসবুকের মতো বিশাল একটা সুযোগ মাধ্যম। এ যুগে আর মা-বাবাকে কষ্ট না দিয়ে বিয়ে করার ছেলেমেয়েরা নিজেরাই নিজ দায়িত্ব সেরে নিচ্ছেন।

খবরাখবর : যে যুগে ফেসবুক ছিল না সে যুগে যত অজানা তথ্য ছিল সব এ যুগে অহরহ, নিত্য জানার সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া বাস্তব-অবাস্তব সব মিলিয়ে  দৈনিক খবরাখবর আমরা প্রতিনিয়ত পড়ে নিচ্ছি। আবার অন্যদিকে বানোয়াট খবর নিয়ে একে অন্যের সঙ্গে কথা কাটাকাটি করে মনোমালিন্য তৈরি করে নিচ্ছি। এতে অনেকেই অনেককে ইচ্ছামতো গালমন্দও করে নেন। তাছাড়া যত আপডেট খবর তাও তাড়াতাড়ি পড়ে নেওয়ার সুযোগ মিলছে আমাদের। তার বড় অংশই ফেসবুকের কল্যাণে।

মনের ইচ্ছা প্রকাশ : কাউকে উদ্দেশ করে নিজের ভিতর  প্রেম-ভালোবাসার মনোভাব প্রকাশ করে ইচ্ছামতো স্ট্যাটাস দেওয়া যায়। তাছাড়া কোথায় কি আনন্দ আর হতাশায় কাটাল তারও নমুনারূপ স্ট্যাটাসের মাধ্যমে বন্ধুদের সামনে উন্মোচন করে নেওয়া যায় ফেসবুকে। বিভিন্ন আঙ্গিকের আঁকাবাঁকা ফটো তুলে নিয়ে ফেসবুকে জম্পেশভাবে আপলোড দেওয়া যায়।

খুচরা জ্ঞান বিতরণ : খুচরা জ্ঞান বিতরণের জন্য ফেসবুক বেছে নিয়েছেন অনেকে। কথায় কথায় এরা উপদেশ ঝাড়েন। কী হইলে কী হইত— টাইপের বিশ্লেষণ লিখে এরা সাধারণ ফেসবুকারদের চোখ ঝালাপালা করে দেন। এরা অল্প জানেন, তারচেয়ে বেশি বোঝেন, লেখেন তারচেয়েও বেশি।  এদের জ্ঞানের কমতি হয় না।  ফেসবুকে এদের লেখা পড়েই পাঠক বুঝতে পারেন লেখকেরই জ্ঞানের ‘শর্ট’ আছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর