আমরা কিন্তু রক্তাপ্লুত বহুদিনই, দ্বন্দ্বদীর্ণ-রক্তাপ্লুত।
আমরা কিন্তু বহুদিনই স্বেছাবন্দী-গৃহবন্দী।
আমাদের কি মুক্তি আছে? আমাদের কোন ছিঁচকান্না!
বহুদিনই বন্দী আমরা অভিমানে-আত্মাভিমান, দেশাভিমান, ধর্মাভিমান।
এরূপ কিছু মোহে প’ড়েই আমরা কিন্তু ভাবতে চাইনি,
বলতেও নয়-বন্দী যে ভাই আমরা সবাই! বলতে চাইনি
পিতৃহারা হয়েছিলাম এ-ভূখন্ডে জঙ্গিদেরই গুলিগোলায়,
সত্য এমন আড়াল করে বলে গেছি মহাচতুর:
বিপথগামী ক’জন সেনা
মেরে ফেললো জনককে, হায়!
কি বলেছি?
বিপথগামী ক’জন সেনা
মেরে ফেললো জনককে, হায়!
সত্য কিন্তু এ-ভূখন্ডে তারাই ছিল প্রথম জঙ্গি, প্রথম উগ্র
সেই যে তখন শুরু হলো ভাবের ঘরে
কী ভয়ানক পুকুরচুরি আর চলে গেলো, জনক,
তোমার সঙ্গী-সাথী ঘাতক নেতার রঙচাতালে, মন্ত্রিসভায়-
দাঁড়ালো না প্রতিযুদ্ধ ধর্মায়নের;
চললো ক’ষে ধারাবাহিক মিনারান্ধ রাজার নীতি,
সংবিধানের পদদলন্ত-
উন্মাদনায় এখন তো দেশ পরিপূর্ণ-
রক্তাপ্লুত সারাটি দেশ।
হাঃ আমাদের দেশবাসী এভাবেই যে প্রতিবন্ধী!
স্বেচ্ছাবন্দী, বন্দী তারা
কানাগলির আপন ঘরে!
আমরা অন্ধ রক্তাপ্লুত বহুদিনই,
স্বেচ্ছাবন্দী-গৃহবন্দী আমরা কিন্তু বহুদিনই!!