শব্দটি নিঃসঙ্গ। নির্লিপ্ত। কিন্তু লক্ষ্যভেদী।
শাপলা মোড় থেকে শাহবাগে পৌঁছনোর আগেই
তাকে খুবলে খুবলে খেয়েছে কতিপয় আগ্রাসী কাক।ত্বকে তার দগদগে ঘা।
শুভার্থীরা ছুঁড়ে দিচ্ছে গামলাভর্তি তরল সবুজ,
ঝুড়ি ঝুড়ি রক্তজবা, আর রোদে ভেজা মেঘের মলম।
বায়ান্নর মাঠ থেকে শোকপাথরের রায়ের বাজার হয়ে
কিছু বধ্যভূমি ছুঁয়ে ছুঁয়ে শব্দটি যাবে টেকনাফের
হিম সাগরে। সেখানে তার শুদ্ধস্নান। কিন্তু
দোয়েল চত্বরেই তাকে রুখে দিয়ে যে যার মতো করে
বেছে নিচ্ছে নারী ও শয়ন, মগজ ও মনন।
অথচ শব্দটির মাথার ওপর অমিত বৃক্ষের সারি,
চোখের নিমপাতায় ফুল্ল নারীর অপূর্ব কারুকাজ,
নাগরিক কাঠিন্যের মায়াবী কোমলতা। তবুও তাকে
হেঁটে যেতে হচ্ছে নিঃশব্দে। একাকী।
ভনভনী মাছিরা দারুণ মজেছে ঘায়ে। তার শরীর
থেকে ঝরে পড়ছে গামলা গামলা সবুজ, ঝুড়ি ঝুড়ি
রক্তজবা, আর রোদ মেঘ বৃষ্টির হলদে মলম।