সেই কিশোরীর ভালোবাসা ক্ষণে ক্ষণে ফুল হয়ে ফোটে
বুকের ভেতরে থেমে থেমে কান্নায় ডুকরে ওঠে;
আমি তার প্রতীক্ষায় রাতদিন কাঁদি আর কাঁদিআমার কান্নার কষ্টে একা একা কাঁদে সেই মেয়ে।
আমার চোখের জলে বেদনারা ফিরে ফিরে আসে
অন্ধকারে মন্থর হাওয়ায়- বিষণ্ণ বাতাসে।
আমাদের অস্ফুট অকুল বেদনার ভারে- হায়,
অর্ফিয়্যুসের বীণার মধুর সুর থেমে যায়;
শিশিরের পতনের মতো নীরব সবুজ পাহাড়ের চূড়া থেকে-
পাদদেশে নদী কাঁদে বৃক্ষ কাঁদে- কাঁদে পাখি; তাদের কান্নায়
হরিণের ফড়িঙের পথিকের নীরব বেদনা দূরে ভেসে যায়।
আমার কণ্ঠার হাড়ে কিশোরীর অব্যক্ত বেদনা মাথা রাখে
আমি কাঁদি- কাঁদি বেদনার ভারে- সেও কাঁদে সারারাত ধরে;
আমাদের নরম পাঁজর ভেঙে যায়- অশ্রুজলে সব প্রেম ভিজে যায়;
এই রূপসী আমার আজন্ম কিশোরীমুখ- আজ এক রূপবতী নারী;
বুকে তার সাগরের ঢেউ, কোমল কপালে লাল টিপ- পরনে হলুদ শাড়ি।
অপর পুরুষ এসে নিয়ে গেছে তারে- সে আর আসে না ফিরে
অঝোর কান্নায় আমার দুচোখ লাল হয়ে যায়...
আমার নতুন কবিতায় তার কচিমুখ আদরে আনন্দে ভরে যায়
সে আমার নাকে চোখে মুখে ও কপালে রাতভর চুমু খায়-
তার কোল ঘেষে এক পোষা বেড়ালের চোখ জ্বলে ভীষণ ঈর্ষায়!