শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

সিডনিতে হচ্ছে ভাষার মিনার

শনিবারের সকাল ডেস্ক

সিডনিতে হচ্ছে ভাষার মিনার

মায়ের ভাষা বাংলা। এই বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছেন রফিক, বরকত, শফিকরা। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বাঙালির ভাষা আন্দোলনের অন্যতম স্বীকৃতি। এই স্বীকৃতি ও সম্মান এবার নতুনভাবে দেখবে সিডনিবাসী। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে হচ্ছে ভাষার মিনার। পাঁচ বাংলাদেশির প্রচেষ্টায় এই ভাষা নির্মাণ প্রক্রিয়া অনেকটাই এগিয়েছে। গত ১৩ অক্টোবর সিডনির রকডেলে রেডরোজ হলে অনুষ্ঠিত হলো সিডনির দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস মনুমেন্টের ফান্ড রেইজিং ডিনার। প্রায়  ৩৫ হাজার ডলার সংগ্রহে পুরো সিডনির দেশপ্রেমিক বাঙালিরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন এই সমন্বিত কাজে।      স্মৃতির মিনার গড়তে হবে। পৃথিবীর সব জাতিকে জানিয়ে দিতে হবে লড়াকু বাঙালির আত্মমর্যাদা আর অধিকার আদায়ের সংগ্রামের ইতিহাস। এই কাজটি নেতৃত্ব দিয়েছেন কেন্টারবুরি-ব্যাঙ্কসটাউনের নির্বাচিত কাউন্সিলর বৃহত্তর ফরিদপুরের ভাঙ্গার সন্তান নাজমুল হুদা। কাউন্সিলর নাজমুল হুদা ও কেন্টারবুরি-ব্যাঙ্কসটাউনের নির্বাচিত কাউন্সিলর  ফেনীর সন্তান শাহে জামান টিটো, অস্ট্রেলিয়া যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানের সন্তান আবদুল্লাহ আল নোমান শামিম, সিডনির বাংলা হাবের সভাপতি যশোরের সন্তান মুনীর হোসেইন ও সিডনির সমাজসেবক কুমিল্লার সন্তান লিঙ্কন শফিকুল্লাহ। গত ১৩ অক্টোবর ২০১৯ হল ভর্তি সমাবেশে একত্রিত হয়েছিলেন সিডনির প্রায় সব বাংলাদেশি সংগঠন ও সামাজিক-রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ববর্গ। কেন্টারবুরি ব্যাঙ্কসটাউন সিটি কাউন্সিলের মেয়র কাউন্সিলর খালিদ আশফর, শোফি কোটসি এমপি, বাংলাদেশ হাই কমিশনের কাউন্সিল জেনারেল কামরুজ্জামান, সর্বোপরি, বাংলাদেশের হাই কমিশনার মান্যবর সফিউর রহমানের উপস্থিতিতে সিডনির ফান্ড রেইজিং ইভেন্টটি সফল হয়। অতিথিদের স্বাগত জানান ড. তানভীর এবং ফান্ড রেইজিং ডিনার উপস্থাপনা করেন স্মৃতিসৌধের মূল উদ্যোক্তা কাউন্সিলর নাজমুল হুদা। স্মৃতির মিনারের বিস্তারিত তুলে ধরেন উদ্যোক্তা মুনীর হোসেইন, প্রভাবশালী কাউন্সিলর ও উদ্যোক্তা শাহে জামান টিটো কাউন্সিলের কাজের বিস্তারিত তুলে ধরেন, উদ্যোক্তা আবদুল্লাহ আল নোমান শামীম জানান ’৫২-এর ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে এই মিনারের সম্পর্ক। লিঙ্কন শফিকুল্লাহ প্রবাসীদের নিয়ে এই সমন্নিত প্রয়াসের আলোচনা উপস্থাপনা করেন।

ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের সহায়তায় ডিনার প্রোগ্রামের এই আয়োজন। মূলত  কেন্টারবুরি-ব্যাঙ্কসটাউন কাউন্সিলের উদ্যোগে এই প্রক্রিয়াকে সামনে নিয়ে এসে পাঁচজনের ক্রমাগত প্রয়াসে এই অনবদ্য কাজটি সফলতার মুখ দেখে ৭ মাস পরে। প্রধান অতিথির ভাষণে বাংলাদেশের হাই কমিশনার বলেন, ‘ভাষাযোদ্ধাদের এই অনবদ্য কাজে ও সিডনির সফল এই কাজে আবারো এটি প্রমাণ হলো, বাঙালি ঐক্যবদ্ধ তার দেশ, ঐতিহ্য ও অহঙ্কারের অবস্থান থেকে।’ এ সময় সিডনির বিপুল সংখ্যক গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।  এই শহীদ মিনারটি সিডনিতে ভাষা দিবসের ওপর দ্বিতীয় প্রয়াস। এর আগে ২০০৬ সালে একুশে একাডেমি অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোগে সিডনির এশফিল্ড পার্কে পৃথিবীর প্রথম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস মনুমেন্ট তৈরি হয়।

সর্বশেষ খবর