শনিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

ঝুঁকিতে নীলফামারী জেলা ক্রীড়া সংস্থা

নীলফামারী প্রতিনিধি

বেহাল অবস্থা নীলফামারী জেলা ক্রীড়া সংস্থার। পরিত্যক্ত ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে কার্যক্রম। ২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে গণপূর্ত বিভাগ। এখন মূল ভবন চুয়ে চুয়ে পানি পড়ছে। পলেস্তরা খুলে পড়ছে। ভবনের চারটি টয়লেটের মধ্যে তিনটি ব্যবহার অনুপযোগী। অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই এখন ওই পরিত্যক্ত ভবনে জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। খেলোয়াড়দের মধ্যেও এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে ভবন নিয়ে।

জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সম্পাদক তরিকুল ইসলাম গোলাপ জানান, পরিত্যক্ত এ ভবনে অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সব সময় কর্মকর্তা-কর্মচারী ও খেলোয়াড়দের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক কাজ করছে। যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অপরদিকে স্টেডিয়ামের খেলার মাঠটি নিচু হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে থাকে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা অকেজো। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে প্রশিক্ষণ ও অনুশীলন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন জেলার উঠতি খেলোয়াড়রা। খেলার মাঠ অনুপযোগী থাকায় বর্ষা মৌসুম এলেই সব কার্যক্রম বন্ধ থাকে জেলা ক্রীড়া সংস্থার। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জেলার ক্রীড়াঙ্গন।

সাবেক ফুটবলার দ্বীপক চক্রবর্তী জানান, দিন দিন অবহেলা ও অসচেতনতায় হারিয়ে গেছে নীলফামারীর ক্রীড়াঙ্গনের অতীত ঐতিহ্য। এক সময় এ জেলা থেকেই তৈরি হতো প্রতিভাবান খেলোয়াড়। পরবর্তীতে যাদের পদচারণা ছিল জাতীয় পর্যায়ে। কিন্তু এখন আর সেই অবস্থা নেই। তাই জেলার ক্রীড়াঙ্গনের অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হলে স্টেডিয়াম ভবন ও খেলার মাঠটি সংস্কার এবং পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা অত্যন্ত জরুরি।

এদিকে স্টেডিয়াম এলাকার পূর্ব গ্যালারির পেছন দিকের বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙে পড়ার পর তা আর সংস্কার করা হয়নি। স্টেডিয়ামের মূল গেটের সামনেও গর্ত থাকায় পানি জমে থাকে। সব মিলে জেলার একমাত্র স্টেডিয়ামটির এখন নাজুক অবস্থা।

এ ব্যাপারে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন মুন বলেন, অনেকটা বাধ্য হয়েই এই পরিত্যক্ত ভবনে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তবে স্টেডিয়ামটি খুব শিগগিরই একটি আধুনিক স্টেডিয়াম হিসেবে গড়ে উঠবে। এখন শুধু টেন্ডারের অপেক্ষা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর