বিশ্বকাপের বছর। ক্রিকেটপ্রেমীরা অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন বিশ্বকাপ দেখতে। ষষ্ঠবারের মতো ক্রিকেট মহাযজ্ঞে অংশ নিবে বাংলাদেশ। দেশবাসীকে রংধনুর সাত রঙে রাঙাতে প্রস্তুত মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহরা। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ম্যাচগুলো দেখার আগে ক্রিকেটপ্রেমীরা উপভোগ করলেন একটি জমাটি প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ। চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বিশ্বকাপের ছয় তারকার দল আবাহনী। দলটিকে শিরোপা উৎসবে মেতে উঠতে লড়াই করতে হয়েছে শেষ রাউন্ড পর্যন্ত। আবাহনী ও লিজেন্ড অব রূপগঞ্জের পয়েন্ট সমান হওয়ায় শেষ রাউন্ডে চ্যাম্পিয়নশিপ নির্ধারিত হয়েছে রান রেটে। দুই দলের লড়াইয়ের মতো রান করাতেও জোর লড়াই করেছেন স্থানীয় ক্রিকেটাররা। জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন তারকা ক্রিকেটারের অনুপস্থিতিতে আলো নিজেদের দিকে টেনে নিয়েছেন সাইফ হাসান, মোহাম্মদ নাইম, রকিবুল হাসান, জহুরুল ইসলাম অমিরা। প্রিমিয়ার ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের শীর্ষ ১০ জনের সবাই বাংলাদেশের। ১৬ ম্যাচে ৮১৪ রান করে সবার উপরে রয়েছেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটার সাইফ হাসান। আটশোর্ধ্ব রান করেছেন আরেক যুবা ক্রিকেটার মোহাম্মদ নাইমও (৮০৭)।
বিশ্বকাপে শতভাগ ফিটনেস নিয়ে খেলবেন বলে প্রিমিয়ার ক্রিকেটে খেলেননি সাকিব, মুশফিক, তামিম, মাহমুদুল্লাহ। খেলেছেন বিশ্বকাপ স্কোয়াডের বাকিরা। এর মধ্যে আবাহনীর শিরোপাজয়ী ম্যাচে সৌম্য সরকারের ইনিংসটি ছিল সোনালি মোড়কে লেখা। ২০৮ রানের রেকর্ড ইনিংসটি খেলেন ১৫৩ বলে ১৪ চার ও ১৬ ছক্কায়। বাংলাদেশের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করেন বাঁ হাতি ড্যাসিং ক্রিকেটার। সব মিলিয়ে লিগে এবার সেঞ্চুরির নহর বইয়ে গেছে। সেঞ্চুরি হয়েছে ৩৫টি। ৩টি করে সেঞ্চুরি করেছেন সাইফ হাসান, মোহাম্মদ নাইম, জহুরুল ইসলাম অমি, ফজলে মাহমুদ রাব্বি ও এনামুল হক বিজয়।
শীষ পাঁচ স্কোরারের মধ্যে সাইফ ১৬ ম্যাচে রান করেছেন ৬২.৬১ গড়ে ৮১৪। সর্বোচ্চ ১৪৮*, সেঞ্চুরি ৩, হাফসেঞ্চুরি ৪টি। দুইয়ে থাকা মোহাম্মদ নাইমের রান ১৬ ম্যাচে ৫৩.৮০ গড়ে ৮০৭। সর্বোচ্চ ১৩৭। সেঞ্চুরি ৩, হাফসেঞ্চুরি ৫টি। তিনে থাকা রকিবুল হাসান ১৬ ম্যাচে ৬০.০৭ গড়ে রান করেছেন ৭৮১। সেঞ্চুরি ১ এবং হাফসেঞ্চুরি সর্বাধিক ৮টি। চারে জহুরুলের রান ১৫ ম্যাচে ৭৩৫। গড় ৫৬.৫৩। সেঞ্চুরি ও হাফসেঞ্চুরি ৩টি করে। পাঁচে ফজলে রাব্বির রান ৭৫.৩৭ গড়ে ৬০৩। সেঞ্চুরি ৩ এবং হাফসেঞ্চুরি ২টি।